স্বীকৃতি
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স: মাখোঁ
আগামী সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। খাবারের অভাবে গাজায় একের পর এক মৃত্যুর মধ্যে এই সাহসী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলেন তিনি। তবে তার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন মাখোঁ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথাও জানান তিনি।
পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করা।’
২০২৩ সালে হামাস ইসরায়েলে হামলা করার পর প্রথম দিকে তেল আবিবকে সমর্থন করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত অভিযানের কারণে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়ে আসছেন মাখোঁ।
এক্স পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘শান্তি সম্ভব, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতি সততার দিক থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি লন্ডনের মেয়রের আহ্বান
সম্প্রতি হামাস সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না— এই অজুহাতে কাতারে চলমান গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা সংক্ষিপ্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরপরই এই ঘোষণা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, মাখোঁর এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ বলেন, ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে। তাছাড়া গাজা যেমন একটি ইরানি দোসরে পরিণত হয়েছিল, তেমনি আরেকটি দোসর তৈরির ঝুঁকি তৈরি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য একটি লঞ্চ প্যাড। এর পাশে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ থাকবে না।’
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মাখোঁর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
মাখোঁর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদ আব্বাসের ডেপুটি হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, ‘(মাখোঁর) এই অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থনকে প্রতিফলিত করে।’
অন্যদিকে, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাখোঁর সিদ্ধান্তকে জোরালোভাবে প্রত্যাখান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
তিনি বলেন, ‘অবিবেচনাপ্রসূত নেওয়া এই সিদ্ধান্ত কেবল হামাসের প্রচারকে শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, এটি ৭ অক্টোবরের নিহতদের প্রতি চরম অবমাননা।’
বর্তমানে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে, যার মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশও রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ তার মিত্ররা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এরই মধ্যে, আগামী সপ্তাহে ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘে যৌথভাবে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন উপদেষ্টাকে গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের ছবি দেখালেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট
এর আগে, গত মাসে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে একটি বৃহত্তর উদ্যোগের পক্ষে জোর দিয়েছিলেন মাখোঁ, তবে ইসরায়েলকেও স্বীকৃতি ও আত্মরক্ষার অধিকার সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এ ছাড়াও গাজার চলমান পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছানো যায় এবং যুদ্ধ থামানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ব্রিটেন ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মাখোঁর।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে সমর্থন করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার। একটি যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যে দুর্ভোগ ও অনাহার চলছে, তা বর্ণনাতীত এবং কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
১৩২ দিন আগে
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি লন্ডনের মেয়রের আহ্বান
ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। যা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক খান গাজা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত মর্মান্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় বর্তমানে ক্ষুধার্ত শিশুরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খাবার খুঁজছে। এদিকে, খাবারের সন্ধানে বের হওয়া মানুষদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা।’
পোস্টে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়—যার মধ্যে আমাদের সরকারও রয়েছে—ইসরায়েলি সরকারকে এই নৃশংস ও অযৌক্তিক হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে আরও কঠোর চাপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত করার সুযোগ নেই।’
লন্ডনের মেয়র বলেন, ‘যুক্তরাজ্যকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি ফিলিস্তিন নামে কোনও রাষ্ট্রই না থাকে, তাহলে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কোনো ভিত্তি নেই।’
পড়ুন: ‘গাজায় বোমার চেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছে ক্ষুধা’
সাদিক খানের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের নেতৃত্বে নিজ দল লেবার পার্টির ভেতর থেকেই চাপ বাড়ছে। দলটির একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে এবং বেসামরিক প্রাণহানি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিংও একই সুরে বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। ইসরায়েল যে আত্মরক্ষার কথা বলে, সে বৈধ আত্মরক্ষার সীমা বহু আগেই ছাড়িয়ে গেছে।’
এদিকে, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস, সেভ দ্য চিলড্রেন, অক্সফামসহ ১১১টি মানবিক সংস্থা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধাস্ত্র’ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘ক্ষুধার্ত বেসামরিক মানুষদের গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখে আমি হতভম্ব, বেদনায় ভারাক্রান্ত।’ সম্প্রতি তিনি জানান, যুক্তরাজ্য দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করবে।
১৩৩ দিন আগে
‘জুলাই সনদকে’ সংবিধানের মূল নীতির স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের নিন্দা রিজভীর
সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে জুলাই সনদ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বানকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই সনদের অনেক বিষয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু কেন এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ করা হবে?’
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আব্দুল কুদ্দুসের সুস্থতা কামনা করে জিয়া পরিষদ আয়োজিত নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নামাজের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এই মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার সারা দেশে এবং সব সময় অব্যাহত থাকবে। ‘সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির কিছু নয়। এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে যখন প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কার করা উচিত এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা উচিত।
রিজভী বলেন, ‘এটাই একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সংস্কার আগে করতে হবে এবং এটি (জুলাই সনদ) সংবিধানের মৌলিক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এই দাবি বিভ্রান্তিকর। এটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কেন আপনারা এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন?’
বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পরিবর্তে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
পড়ুন: শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান খালেদার
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। ‘আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজাটি আবার খুলতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল কখনও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলেনি এবং বাস্তবে সর্বদা এটিকে সমর্থন করেছে। ‘আপনি সংস্কারের নামে যে বিষয়গুলোর কথা বলছেন, তার অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বিএনপির ৩১-দফা সংস্কার রূপরেখায় প্রতিফলিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করে আসছে - ন্যায়বিচার, সাম্য, আইনের শাসন এবং প্রকৃত গণতন্ত্র। ‘এই লড়াই রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য। যখন সেই মালিকানা অস্বীকার করা হয়, তখন এটি ফ্যাসিবাদের পথ খুলে দেয়।’
রিজভী উল্লেখ করেন, জনগণের সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ‘সেই জবাবদিহিতা এখন নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন এবং সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে গঠিত হয়েছে— আওয়ামী লীগ ও তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা সকলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে চলেছি। কিন্তু এটাও সত্য যে আমরা যদি দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখতে এবং শুনতে শুরু করি—তাহলে জনগণ আমাদেরও ছাড় দেবে না।’
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। ‘মানুষ যদি খাবার কিনে খেতে না পারে, তাহলে এটি দুর্ভিক্ষের স্পষ্ট লক্ষণ। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়—তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— তখন পতিত ফ্যাসিস্টরা আনন্দে হাততালি দেবে।
পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার চাইলে, আওয়ামী লীগের যেসব সহযোগী দেশ ছেড়ে বিপুল অর্থ পাচার করে পালিয়ে গেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে এবং কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারে।
‘অর্থনীতির ভয়াবহ অবস্থার কারণে কারখানা বন্ধ করা উচিত নয়। এটি কেবল একটি বক্তব্যই নয় - মানুষ এখন গুরুত্ব সহকারে ভাবছে যে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয় কিনা,’ সতর্ক করেন রিজভী।
১৪৬ দিন আগে
আবারও আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে তারা আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে 'নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী নির্বাচনি পর্ষদ-২০২৪' উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলে তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে তারা আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
পদোন্নতি পর্ষদের উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সৃষ্ট বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের।
তিনি আরও স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদসহ সব বীর সেনাদের।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনি পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
তাছাড়া সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন। এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন, কমান্ডার ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এবং বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন, উইং কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
এসময় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি দমনে ডিজিটাইজেশনকে গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে: আসিফ নজরুল
৪০৩ দিন আগে
সংসদে ভোটাভুটির পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল স্লোভেনিয়া
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের তিনটি দেশের তালিকায় এবার যুক্ত হলো স্লোভেনিয়া। দেশটির সংসদে এ বিষয়ে ভোটাভুটির পর মঙ্গলবার ফিলিস্তনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গত সপ্তাহে একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় স্লোভেনিয়া সরকার। এরপর তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো হয়। সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই চূড়ান্ত অনুমোদন পায় প্রস্তাবটি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ৯০ আসনবিশিষ্ট সংসদের ৫২ সদস্যের ভোটে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাশ হয়। বাকি সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানিয়া ফাইওন এক এক্স পোস্টে লেখেন, ‘প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণ, স্লোভেনিয়ার আজকের এই সিদ্ধান্ত আশা ও শান্তির বার্তা। আমরা বিশ্বাস করি, একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যকে স্থায়ী শান্তির দিকে ধাবিত করতে পারে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য স্লোভেনিয়া কাজ করে যাবে।’
এর আগে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড একযোগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল সেসময় এসব দেশের সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানায়। তবে সপ্তাহখানেক পর ওই তিন দেশের পথে হাঁটল স্লোভেনিয়াও।
তার আগে, ইউরোপীয় ইউনয়নের ৭ দেশসহ বিশ্বের ২৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
৫৪৭ দিন আগে
সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলালিংক
উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের’ স্বীকৃতি হিসেবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
গত চার বছর ধরে নিয়মিতভাবে বাংলালিংক এই পুরস্কার পেয়ে আসছে। এই স্বীকৃতি বাংলালিংকের নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে।
৩২ দশমিক ৬৫ এমবিপিএস স্পিড স্কোর নিয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকের ওকলা স্পিডটেস্ট রিপোর্টে গত চার বছরে টানা অষ্টমবারের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাপ থেকে প্রতিদিন সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা, মান ও উপযোগিতা সঠিকভাবে জানার জন্য বিশ্বব্যাপী এটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অ্যাপ।
আরও পড়ুন: বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৪.০ বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা
এই অর্জন সম্পর্কে বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, দেশের দ্রুততম মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, মানুষের আস্থাভাজন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার জন্য আমরা নেটওয়ার্ক অবকাঠামো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দ্বিগুণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলালিংক দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সেবার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করছে। এছাড়াও, টেলিকম সেক্টরে ইন্টারনেট সেবার উৎকর্ষ সাধনের ক্ষেত্রে বাংলালিংক একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
ওকলার প্রেসিডেন্ট ও সিইও স্টিফেন বাই বলেন, স্পিডটেস্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের অংশগ্রহণমূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার পর, বাংলালিংককে দেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওর্কের’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে টানা আট বার শুধু বাংলালিংক ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
স্টিফেন আরও বলেন, ২০২৩ সালের তৃতীয় থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে বাজারে নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী সব মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি ও কর্মক্ষমতা তুলনার ভিত্তিতে শুধু একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বাংলালিংককে টানা চার বছর বাংলাদেশের দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংক-এর মান সম্পন্ন ও দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টারই ফলাফল।
দেশজুড়ে চার কোটি ৩০ লাখের বেশি দ্রুতবর্ধনশীল গ্রাহকসংখ্যা ও ১৬ হাজার মোবাইল টাওয়ার নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ স্পেকট্রাম বরাদ্দকারী মোবাইল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংকের জন্য এই অর্জনটি নিঃসন্দেহে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল শুরু করেছে বাংলালিংক ও টেলিটক
ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
৬৪৭ দিন আগে
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এক প্রেস কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে একটি মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের একটি অংশ বলছে, এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতির বিষয়টিই তুলে ধরেছে এ ঘটনা।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক হিসেবে প্রশ্ন করার আগে মুশফিকুল ফজল আনসারি দুটি অনুচ্ছেদের পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা মনে করেন, ওই পর্যবেক্ষণে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি যেকোনো পেশাদার সাংবাদিকেরই এড়ানো উচিত।
আনসারি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়ও প্রকাশ পেয়েছে। জয়ের জন্য ভারতের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাস্তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে যেসব দেশ জনগণের ম্যান্ডেট মেনে নিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সিনিয়র সাংবাদিকরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা একটি পুরোনো তৎপরতা। এটিকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা বলা যায় না, কারণ তিনি এই প্রশ্নগুলোর জবাবও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- তিনি যে পোর্টালটি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সমর্থিত প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভ্যানগার্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।
জাস্টনিউজ নামে পরিচিত ওই পোর্টালের বিষয়বস্তু মিথ্যা বিবরণের আরেকটি উদাহরণ এটি। অগ্নিসংযোগকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা, ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন ও তারেক রহমানকে তার অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে তারা বিভিণ্ন প্রতিবেদন করে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করে।
এর আগেও, আনসারি প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তখন শিক্ষাবিদরা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এবং রাজনৈতিক এজেন্ডায় চালিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সেই আনসারিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মিথ্যা দোষারোপ করতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে দাবি করতে দেখা যায়। যা বিরোধীরা তাদের অগ্নিসংযোগের সহিংস কাজ এবং নির্বাচনি প্রচার বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক দাবির ন্যায্যতা দেয়।
নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের মালিক ও সাংবাদিকদের 'বিরোধীদের পক্ষে' কাজ করানোর উদ্দেশ্যে আনসারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে 'স্বাধীন গণমাধ্যম আউটলেটগুলোকে' 'সরকারপন্থী' হিসেবে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অধ্যাপক তাবিউর রহমানের মতে, এই কৌশলটি খুবই অশুভ।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার সামনে তিনি সরকারের ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কক্ষ থেকে বের হয়ে লোকটিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রচার করতে দেখা যায়।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই সাংবাদিকতা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না বলে দাবি তাবিউরের।
তাবিউর রহমান বলেন, 'অগ্নিসন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের লম্বা লম্বা দাবি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগলাভের এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার অব্যাহত থাকা উচিত নয়।’
আনসারির অতীতের একের পর এক মিথ্যা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, 'এ ধরনের প্রচারণাকে সাংবাদিকতার কাজ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়- কেবল কর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা চালাতে পারে। এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতা একটি ভালো হাতিয়ার।’
আরও পড়ুন: ব্রাসেলসে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামে শুক্রবার যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৭১ দিন আগে
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
৬৮৩ দিন আগে
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল আরএফএল
দেশের সেরা হাউজওয়্যার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে গৃহস্থালী পণ্যের ব্র্যান্ড আরএফএল হাউজওয়্যার। দেশসেরা ব্র্যান্ডের মধ্যে আরএফএল হাউজওয়্যার সব ক্যাটাগরিতে তৃতীয় ও প্লাস্টিক পণ্য ক্যাটাগরিতে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৫তম আসরে দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়।
এনসার্চের অংশীদারিত্বে ও ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
আরও পড়ুন: সেরা ভ্যাটদাতা সম্মাননা পেল প্রাণ-আরএফএলের ৪ প্রতিষ্ঠান
দেশজুড়ে ভোক্তাদের অংশগ্রহণে পরিচালিত জরিপের ওপর ভিত্তি করে এবছর পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার ৪০টি ক্যাটাগরিতে ১১০টি ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড ও সব ক্যাটগরি মিলে সেরা ১৫ ব্র্যান্ডকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আরএফএল হাউজওয়্যার এ নিয়ে টানা ১৩ বার দেশের সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য বড় অর্জন। ভোক্তাদের আস্থা ও ভালবাসায় এ সম্মান অর্জন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় মনে করি, সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভোক্তার আস্থা ও ভালবাসাই আমাদের প্রেরণা।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল প্রাণ-আরএফএল
৭০৯ দিন আগে
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ নয়: মুখপাত্র
বাংলাদেশে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি এবং বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত যা বলেছি তা এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলতে চাই।’
এর আগে নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘকে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর', কিন্তু বিক্ষোভের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও মানুষের জীবন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ্য করবেন না, যা বিরোধীরা প্রায়ই করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে আমরা যে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, তার প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি- জাতিসংঘের সচিবালয়, সংস্থা ও কান্ট্রি অফিসসহ জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবিচল থাকতে সহায়তা করতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে।’
১৯ নভেম্বর চিঠিটি লেখা হয় এবং ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে তা হস্তান্তর করে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না।
এক প্রশ্নকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি এ বিষয়য়ে মুখপাত্রের কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েছেন।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং ওইসব ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে অনেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আমি মন্তব্য করব না। দ্বিতীয়ত, আমরা এখানে বারবার বলেছি, কোনো ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া মহাসচিবের কাজ নয়। বিষয়টি উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।’
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
৭২৬ দিন আগে