রাজপথ
কুষ্টিয়ায় কারফিউ ভেঙে রাজপথ দখল আন্দোলনকারীদের, সংঘর্ষ-গুলিতে আহত অর্ধশতাধিক
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা কারফিউ ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কয়েকটি সড়ক দখলে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই শহরের একাধিক স্থানে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এরপর শহরের ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, মজমপুর এলাকাসহ কয়েকটি সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে কুষ্টিয়া মডেল থানা দখল করার আহ্বান জানায়। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া পৌরসভায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছিল। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে কুষ্টিয়ার রাজপথে দেখা যায়নি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৫ থেকে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
৩ মাস আগে
এখন দুর্নীতিবাজদের দখলে রাজপথ: দুদক চেয়ারম্যান
দেশের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনুদ্দীন আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আগে দুর্নীতিবাজরা রাতের আঁধারে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটত, যাতে লোকজন তাদের দেখতে না পায়। আর এখন দুর্নীতিবাজরা প্রকাশ্যে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটে।’
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) দুদকের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) স্মরণিকা ‘সুপথ’-এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু, আরেক আসামি গ্রেপ্তার
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আরও বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করার পরও নিজেদের দুর্নীতিবাজ মনে করে না। সমাজে দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) আছিয়া খাতুন বলেন, মামলার অভিযোগপত্র ছাড়াও প্রতিরোধের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে খবর প্রকাশ করুন। যাতে আমরাও ঘটনার গভীরে পৌঁছাতে পারি।
র্যাক সভাপতি জেমসন মাহবুবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাফি উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
৭ মাস আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।’
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বন্দুকের জোরে দেশ শাসন করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
মঈন খান বলেন, ‘এখন শুধু আমরাই বলছি না, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়ার দিকে তাকান, বিভিন্ন দেশের বিবৃতির দিকে তাকান। প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলো গত কয়েক বছর ধরে যা বলে আসছি, তারাও তারই প্রতিধ্বনি করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, দেশে-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন মৃত।
তিনি বলেন, দলের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। ‘ইনশাল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দেশের প্রতিটি মানুষ যোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। এছাড়া তিনি বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্রের পক্ষে ও ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
আয়োজকরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলগুলোর দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে, জেলা ও উপজেলা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সর্বস্তরের জনগণের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নয় বলেই ৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
মান্না আরও বলেন, এজন্য আমরা এই স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা শুধু বাংলাদেশের ১০ কোটি ভোটার নয়, দেশের ১৭ থেকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের কর্মসূচি অফলাইন ও অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।
মান্না বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গঠিত সরকারের নিন্দা জানাতে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সারাদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।
তিনি আরও বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে তাদের দল রাজপথে একযোগে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা রাস্তা ছেড়েছি, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ‘রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে আমরা স্বাক্ষর সংগ্রহ করছি। আমরা এমন একটি সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি যাতে দখলদারকে মাথা নত করতে বাধ্য করা যায়।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
১০ মাস আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। গণতন্ত্র বলতে শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝায়। তাই নীতিগতভাবে সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রাস্তায় সরকারের বন্দুক ও গুলি মোকাবিলায় নিরস্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
তিনি বলেন, এভাবে আমরা এই সরকারকে পরাজিত করব। আজকের এই দিনে আমরা এই শপথ নিই। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব এবং এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জনগণই বিএনপির শক্তি উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, বন্দুকের নল, বুলেটের শক্তি, কাঁদানে গ্যাসের শক্তি, জলকামানের শক্তি বা এই সরকারের যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন জনগণের সেই শক্তি দিয়ে বিএনপি বর্তমান অবৈধ দ্বিতীয় বাকশাল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘তাদের দল লগি-বৈঠা দিয়ে রাজনীতি করে না। তিনি বলেন, সভ্য মানুষই বিএনপির রাজনীতি করে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সফলতা পেতে হয়তো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, কিন্তু তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হবে না।
জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ড. মঈন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
১০ মাস আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজপথে তারাপুর বাগানের চা শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চার দিন ধরে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে।
স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক তারুনী মোদী বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না, বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
অপর শ্রমিক বেলী রায় বলেন, বেতন বকেয়া থাকায় সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই। আমরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছি।
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, কর্তৃপক্ষ বার বার বেতন আটকে দিচ্ছে আমাদের। এতে করে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পেয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের সব কিস্তি অন্যান্য বাগানে পরিশোধ করা হলেও আমরা শেষ কিস্তি পাচ্ছি না। আমরা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
১০ মাস আগে
আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের দল রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৌলিক অধিকার এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা রাজপথে রয়েছি এবং এই স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে থাকব।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথচারীদের মাঝে আসন্ন নির্বাচন বর্জনের জন্য তাদের দলের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে এই প্রবীণ নেতা এসব কথা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, তাদের দল অসহযোগ আন্দোলনের মতো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারকে অপসারণ করে দেশে একটি গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা রাজপথে লিফলেট বিতরণ করছি। প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলছি।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বলে দাবি করলেও জনগণের ভোটকে কেন এত ভয় পায়?
আরও পড়ুন: রবিবার ফের বিএনপির অবরোধ
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কেন (আসন) ভাগাভাগি ও বণ্টনের ভুয়া একতরফা নির্বাচন করছে? এটা এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন।’
বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ড. মঈন ৭ জানুয়ারির আসন্ন নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে বিরোধী দলের অবস্থানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে রাজধানীর রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রামপুরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নিজেরাই ডামি প্রার্থী দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের আয়োজন করছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় ভোট না দিয়ে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতা দখল করে। ‘তারা আবারও দেশের জনগণের মতামত উপেক্ষা করে প্রতিবেশী দেশের সমর্থনে আরেকটি মঞ্চ-পরিচালিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।’
এই বিএনপি নেতা দেশবাসীকে নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২১-২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
১০ মাস আগে
রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ব্যাপক গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের মধ্যেও বিরোধী দলের বিপুল উপস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তীব্র দমন-পীড়নের পরও বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকার বিস্মিত হয়ে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।’
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে তাদের চলমান এক দফা আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে তারা সেখানে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করা সম্ভব হবে না। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা ততই জোরালোভাবে রাস্তায় নামছে।’
সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) শামসুজ্জামান দুদুসহ আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। যারা আমাদের ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তারা সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় তুলেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। সরকারের পতন আসন্ন হওয়ায় আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগের মতোই তালাবদ্ধ রয়েছে এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
১ বছর আগে
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহস নিয়ে রাজপথে থাকুন: ফখরুল
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুর্গাপূজার পর দলের নেতা-কর্মীদের সাহস নিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) কৃষিবিষয়ক এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা করেন এবং বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের গডফাদার।
দেড় দশক ধরে একই রকম দমন-পীড়নের শিকার হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের হুমকি ও হামলায় উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ১৫ বছরে আমাদের কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বহু লোক গুম করা হয়েছে, ৫০ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিএনপির ৭৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে না পারলে জাতি, দেশ ও স্বাধীনতার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে, তাই আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলে সর্বস্তরের জনগণ এবং বাম-ডানে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেওয়ায় আন্দোলনের সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন: রিজভী
তিনি বলেন, ‘শেষবারের মতো আমি সরকারকে বলতে চাই, আপনারা দয়া করে সম্মানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করুন এবং একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালি দল’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন। সব দেশেই দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই বৃদ্ধি অবিশ্বাস্য ও নজিরবিহীন। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ সরকারের জবাবদিহির অভাব।’
তিনি বলেন, সরকার ডিসি ও ইউএনওদের জন্য নতুন গাড়ি কিনছে। অথচ মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও শাকসবজি কিনতে পারছে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় দেশের মানুষ ভোট ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘তিনি (হাসিনা) গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাসী দল হলে আপনি কী? আপনি সন্ত্রাসের গডফাদার ফাদার। আপনারা দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। আপনি ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ক্ষমতায় থাকতে চান।’
আরও পড়ুন: সহজ জয়ের জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে আ. লীগ: ফখরুল
নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
১ বছর আগে
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না: মঈন খান
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাঘার বাজার এলাকায় নির্ধারিত রোডমার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি, শপথ নিয়েছি, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা দাবি করেন, দেশের জনগণ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে এবং তাদের (সরকারের) ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ‘যত তাড়াতাড়ি তারা ক্ষমতা ছাড়বে, দেশের জন্য যত ভালো হবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। ‘কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এ দেশের গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এমন মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে মানুষ বাঁচতে পারবে না।’
সুতরাং আপনি (জনগণ) আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, উন্নত জীবনযাপন করতে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চাইলে সরকারকে পতন করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই রোডমার্চের আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে ও ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনায় একই ধরনের রোডমার্চ করেছে দলটি।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
আওয়ামী লীগ আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়: মঈন খান
১ বছর আগে
জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান জাতির জন্য দুভার্গ্যজনক: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। সেই খুনি জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান দেওয়া হয়; যা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩' উপলক্ষে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ১৮ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে বর্তমান সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির ভাগ্যাকাশে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে।’
আরও পড়ুন: অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
সংস্কৃতি সচিব বলেন, জাতির পিতার জীবনাদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়টি দপ্তর ও সংস্থা অংশ নিয়েছে। দপ্তর ও সংস্থাগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১ বছর আগে