পত্রিকা
পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
শিশুদের বিকাশের জন্য সব পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আগে দৈনিক পত্রিকাসহ প্রায় সব পত্রিকায় নিয়মিত ছোটদের পাতা প্রকাশ হতো, সেখানে শিশু-কিশোরদের লেখা, তাদের জন্য লেখা বের হতো।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশ মুক্ত গণমাধ্যমের উদাহরণ: ইংরেজি দৈনিকের উদ্বোধনীতে তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন অনেক পত্রিকা ছোটদের পাতা বের করে না। কিন্তু এই ধরনের পাতা প্রকাশের মাধ্যমে শিশুদের বিকাশ ও সমাজ গঠনের জন্য সব পত্রিকার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় টাইমস মিডিয়া ভবনে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ১৯তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তার শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা বলেন।
সংবাদপত্রের সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্যকালে আমি ছোটদের পাতায় লিখতাম। যেদিন আমার কোনো লেখা বা কবিতা ছাপা হতো, সেদিন যে আমার কী আনন্দ হতো! বড়দের কাছে গিয়ে সেটি দেখাতাম। সেসব এখনো আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে।
সমকালের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, দৈনিক সমকাল শুরুতেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং ১৮ বছর পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। সমকাল শতবর্ষী হোক।
সমকাল তার ভবিষ্যতের পথচলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে- প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ক্লিনফিড সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সহজ কাজ ছিল না। ১৫ বছরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এরআগেও একবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে সেটি করা সম্ভবপর হয়নি। এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেভাগে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে এবং যে সমস্ত জায়গা থেকে কথা উঠতে পারে তাদেরকে অবহিত করে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি৷ সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্পাদক ফোরামের নেতৃত্বে সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউজপোর্টালের শৃঙ্খলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আপনারা জানেন সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য সম্প্রচার, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে আমরা এব্যপারে উদ্যোগ নিয়েছি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে প্রস্তাব সেটার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত প্রথমে ৫০টি পত্রিকা সম্ভব হলে ১০০ টি পত্রিকার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টিক যে সার্কুলেশন সেটার ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি এটা অনেক ভালো প্রস্তাব, আমি এটা করতে চাই। আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হলো।
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং এর জন্য বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না এটি আসলে কিছুটা জানতাম। তবে এতো ভয়াবহ চিত্র সেটা জানা ছিলো না। এবিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ই- টেন্ডারিং হলেও যেন বিজ্ঞাপন যায়। আর আপনারা যে বকেয়ার কথা বলেছেন সেটা আমি জানি। অনেক পত্রিকার কয়েক কোটি টাকা করে বাকি আছে। কোর্টেও যে পড়ে আছে সেটা অবশ্য জানতাম না। এগুলা আমি জানলাম। দেশের মানুষ জানলেও মনে হয় ভালো হতো। কারণ এই বাকিটাতো থাকার কথা ছিলো না। বিজ্ঞাপনের টাকা প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। কেন বাকি পড়ছে এটা আসলে বিষয়।
আরও পড়ুন: ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বুধবার থেকে ফের মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এবিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে সকল মন্ত্রণালয়কে তাগাদাও দিয়েছিলাম। আমরা পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। আপনারাও বড় বড় মন্ত্রণালয়, বিচারপতির নজরে আনেন কোর্টে কতো কোটি টাকা বাকি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মনীতিহীন ভাবে, এভাবে এ মাধ্যমটা চলতে পারে না। অনেক নিয়মনীতি আছে কিন্তু যেগুলোতে নেই সেখানে প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ২৪ বিদেশি চ্যানেল প্রচারে বাধা নেই: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
আগামী বছর থেকে নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে
আগামী বছর থেকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করতে আগেই নিবন্ধন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে প্রথমে ডিক্লারেশন নিতে হয়, এছাড়া কেউ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারে না। অনলাইনের ক্ষেত্রে তো সেটা হওয়া সমীচীন। সুতরাং আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া মোটামুটি একটা পর্যায়ে নিয়ে যাব, আমরা আলোচনা করেছি আগামী বছর থেকে কোন অনলাইনকে আত্মপ্রকাশ করার আগেই রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। তাহলে এখানে একটা শৃঙ্খলা আসবে।’
আরও পড়ুন: অনুমোদন পেলো আরও ৮৫ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত এটা (চালুর পর নিবন্ধন দেয়া) রেখেছি এজন্য যে, অনেকগুলো অনলাইন চালু আছে। আমরা রেজিস্ট্রেশন প্র্রক্রিয়া চালু করেছি অনেক পরে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইপি টিভি সারা পৃথিবীর বাস্তবতা, এটি নিউ মিডিয়া। এটিকে বন্ধ করা সমীচীন নয়। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো আইপি টিভি, এটি হতে পারে না। এজন্য আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেগুলো সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চায়, তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি যখন কোন অনুষ্ঠান বা সংবাদ সম্মেলন হবে এক ঝলকে যেন কোনটা টিভি আর কোনটা আইপি টিভি এটা যেন বুঝা যায়। ওখানেও একটা শৃঙ্খলা আনতে হবে। একই ধরণের বুম (মাইক্রোফোন) যাতে ব্যবহার করতে না পারে। সেখানে যেন অ্যাট লিস্ট আইপি টিভি লেখা থাকে।’
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অননুমোদিত নিউজ পোর্টাল: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোন আইপি টিভি খবর প্রকাশ করতে পারবে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে আইপি টিভি খবর প্রচার করে আমরা খুব সহসা সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাস্তব সম্মত নয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সেখানেও একটা শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। (প্রচার সংখ্যা) অন্তত বাস্তবতার কাছাকাছি আনতে হবে। এই রকম অবাস্তব ও ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে থাকবে, সেটি হয় না। কিছু পত্রিকা আছে হঠাৎ হঠাৎ বের হয়, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়, যেদিন ক্রোড়পত্র পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার, তিনিই প্রকাশক। ওনার একটা ব্রিফকেস আছে, পত্রিকাও ব্রিফিকেস বন্দি। ব্রিফকেসে করে সেই পত্রিকার অফিসে অফিসে বিলি করে বেড়ায়। এগুলো আসলে পত্রিকা নয়, আমরা সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২১০টির ব্যাপারে সব ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এগুলো বের হয় না সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয় না। আরও ২০০-এর বেশি আছে এই রকমের পত্রিকা। সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে, ধীরে ধীরে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে, এটি সংসদে পাস হলে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এমনকি অনলাইন মিডিয়ার সংবাদিকরাও আইনগত সুরক্ষা পাবে। এখন যে কথায় কথায় ছাঁটাই, বিনা নোটিশে ছাঁটাই, তুমি কালকে থেকে আসিও না- এগুলোর বলার সুযোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে সময় পেল বিটিআরসি
মন্ত্রী বলেন , ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান) যখন পাঠাবে তখনই সেগুলোর সম্প্রচার শুরু হবে । ’
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড নেই এমন বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সংলাপ সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের দু-বছর আগে থেকে তাগাদা দিয়েছি, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলোকে ক্লিন ফিড চালাতে হবে। তাগাদা দেয়ার পর বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসেছি। মাস দেড়েক আগে সবার সঙ্গে বসেছিলাম, সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড কার্যকর হবে। এটি ছিল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।’
৩ বছর আগে
২১০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে: তথ্যমন্ত্রী
অনিয়মিত পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘ব্রিফকেস বন্দি পত্রিকা, যেগুলো আসলে ছাপায় না। মাঝে মধ্যে হঠাৎ ছাপায়। সেগুলো আমি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই ২১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে লেখা হয়েছে, প্রক্রিয়াধীন আছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন ভাবনা আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই তৈরি হবে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ একটি রাষ্ট্রের বিকাশের সাথে সম্পর্কিত এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি বিশ্বাস করেন বিধায় গত সাড়ে ১২ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে কিছু ধান্দাবাজও যুক্ত হয়েছে, এটিই বাস্তবতা। গণমাধ্যমকে কেউ নিজের স্বার্থে, কেউ ব্যবসায়িক ‘প্রোটেকশন’ দেয়ার জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছে আবার কেউ একটি ব্রিফকেস নিয়ে গণমাধ্যমের মালিক হয়ে যাচ্ছে, উনিই মালিক, উনিই সাংবাদিক, উনিই রিপোর্টার। এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তরে ঘুরে বেড়ান বিজ্ঞাপন ‘কালেকশন’ করেন এবং সেই বিজ্ঞাপন যেদিন পান সেদিন পত্রিকা ছাপেন। একশ’ পত্রিকা ছাপেন, একশ’ দপ্তরে দেন। এতে ভালো গণমাধ্যমগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে, অনেক সময় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পত্রিকার ডিক্লারেশন নিয়ে চালায় না, বরং বিজ্ঞাপন নেয়ার জন্য আবার সেটার জন্য নিউজপ্রিন্টের যে কোটা আছে, সেই নিউজপ্রিন্ট এনে বাজারে বিক্রি করে দেয়ার জন্য, এটিকেই ব্যবসা হিসেবে নেয়। পত্রিকা চালানো উদ্দেশ্য নয়, মূলত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ক্ষতি করছে। সেই ক্ষতির প্রাথমিক বোঝাটা সাংবাদিকদের ওপর পড়ছে। সুতরাং এখানে একটি শৃঙ্খলা আনা দরকার। সেই উদ্যোগ আমি গ্রহণ করেছি। আপনাদের ধন্যবাদ যে, আপনারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
আরও পড়ুন: কোনো সাংবাদিক অহেতুক হয়রানির শিকার হবেন না: তথ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি হয়েছে, সেই উন্নয়ন, অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন সাংবাদিকরা। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের সাথে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে এবং আমরা একযোগে কাজ করতে পারছি বিধায় দেশকেও আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা গণমাধ্যম পরিচালনা করেন আর গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, কোথাও কোনো ব্যত্যয় হলে সেটি যেমন প্রচার করতে হবে, তেমনি যখন সাফল্য আসবে, সেটিও ফলাও করে প্রচার করতে হবে। কারণ শুধু ব্যত্যয় হলে সেটিই যদি প্রচার হয় আর সাফল্যের প্রচার না হয়, তাহলে সঠিকভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের চিত্র পরিস্ফুটন হবে না এবং দর্পণটিও সঠিকভাবে কাজ করছে সেটি বলা যাবে না।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি সাংবাদিক কর্মচারীদের বীমা করার অনুরোধ জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘বীমা করলে সাংবাদিক ও কর্মচারীরা উপকৃত হবে এবং একইসাথে মালিকের দায়িত্বও পালন করা হবে। সেই সাথে করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমের অসুবিধা হয়েছে। এখন করোনা কেটে গেছে সুতরাং যাদেরকে ছাঁটাই করা হয়েছিল, তাদের সবাইকে আবার কাজে ফিরিয়ে নেয়া হবে, এটিই আমার বিনীত অনুরোধ।’
রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র সভাপতি খায়রুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চৌধুরী বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের সহায়তা
মানিকগঞ্জে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
৪ বছর আগে
দৈনিক চাঁদপুর খবরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
চাঁদপুর জেলা শহর থেকে নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার ১৩তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে সোমবার।
৪ বছর আগে