ঘুষ
ঘুষ-দুর্নীতি বেড়েছে, তাহলে কীসের সংস্কার হচ্ছে: মুরাদ
সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ দুর্নীতি কমবে। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি তো কমেনি বরং বেড়েছে। তাহলে দেশে কীসের সংস্কার হচ্ছে?’
সোমবার (১৭ মার্চ) ধামরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মুরাদ বলেন, দেশের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা নাজুক। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না: মুরাদ
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফার মধ্যেই রাষ্ট্রের সব সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলে আলাদা করে আর কোন সংস্কার প্রয়োজন হবে নেই।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুরাদ বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এটাই আমাদের দলের মূলনীতি। দলের আদর্শচ্যুত হয়ে এই দলে কেউ টিকে থাকতে পারেননি। তাই ভেবেচিন্তে কাজ করবেন। এমন কিছু করবেন না যাতে দলের সুনাম নষ্ট হয়।
ধামরাই সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্ব এবং এনায়েত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতা এম এ জলিল, এবাদুল হক জাহিদ, মনিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মো. পলাশ, জসিমউদদীন, মুহাম্মদ রাকিব প্রমুখ।
আগের দিন রবিবার কুশুরা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন লোকমান দেওয়ান।
৪ দিন আগে
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের দুই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
বাংলাদেশি পর্যটক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে কর্মরত দুই অভিবাসন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।
এমএসিসির প্রধান কমিশনার আজম বাকির বরাত দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, দুইজনকে-একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে রিমান্ডে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের ইমিগ্রেশন অ্যাটাচে অফিসে অস্থায়ীভাবে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
একটি টুইটার পোস্টে্র উইসমা পুত্র (মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বলেছেন যে এটি তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বেসামরিক কর্মচারীদের এবং বিদেশে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক মিশনে কর্মরতদের সততার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশন এবং মন্ত্রণালয় এমএসিসিকে তদন্তে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
৭০১ দিন আগে
ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ রাজশাহী উপ-কর কমিশনার আটক
রাজশাহীতে আয়কর অফিসে ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আটকের দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাদা পোশাকে অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করেন দুদক কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসান বলেন, একজন চিকিৎসকের কাছে ৬০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন মহিবুল ইসলাম ভূঁইয়া। তার প্রথম কিস্তির ১০ লাখ টাকা মঙ্গলবার দেন। এ টাকা দেওয়ার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা কিশোরী আটক
দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক উপ-কর কমিশনারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
এদিকে, রাজশাহীতে কর অফিসে অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। কর ভবনের উপ-করকমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়ার কার্যালয়ে দুদক অভিযান চালাতে গেলে সেখানকার কর্মচারীরা হট্টগোল শুরু করেন।
এতে কর কমিশনারের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দরজা ভেঙে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হামলা ও ধস্তাধস্তি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুদক রাজশাহীর বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসানের নেতৃত্বে একটি টিম রাজশাহী সার্কেল ১৩ এর উপ-করকমিশনার মহিবুলের ইসলাম ভুঁইয়ার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন।
এসময় মহিবুলের ইসলাম ভুঁইয়া চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। এক পর্যায়ে কর অফিসের কর্মচারীরা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুদকের ওপর হামলা করে।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এসময় কর ভবনে ছড়িয়ে পড়ে চরম উত্তেজনা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, রাজশাহী কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার মহিবুলের ইসলাম ভুঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকিয়া ২৬ কোটি টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। এটি নিয়ে কাজ করতে গেলে তিনি আমাকে ফাঁসিয়েছেন।
তিনি ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসে আমাকে সাজানো অভিযানে আটক করে নিয়েছেন। দুদক আমাকে মারধর করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪০
৭১৭ দিন আগে
শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য ও জনসাধারণকে হয়রানির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং কর্মসুচি পালন করেছেন।
সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসের সামনের সড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ সনু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রেস ব্রিফিং।
এসময় বক্তারা বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী তার বিভিন্ন অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে জনরোষের শিকার হয়েছেন। অথচ তিনি ঘটনার দায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিবে না।
কারণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত একজন ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার চালালে মুক্তিযোদ্ধারা আগামীতে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সেই সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত সাব-রেজিস্টার ইউসুফ আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি বিকালে বিভিন্ন অনিয়ম, হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় আহত হন শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী।
এ ঘটনায় বুধবার বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়।
কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
ডিমলায় ভূয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
৭৯৪ দিন আগে
হাইকোর্টে জামিন পেলেন দণ্ডিত এনামুল বাছির
ঘুষ নেয়ার মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জন্য জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দিলেও পরদিন তা প্রত্যাহার করেন নেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে আদালত দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে৷ তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেয়া হয়নি।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে এনামুল বাছির।
আরও পড়ুন: জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
১৩ এপ্রিল তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন। বর্তমানে খালাস চেয়ে করা তার আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন একই কর্মকর্তা।
৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
২০২১ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর একই বছরের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
অপরদিকে ডিআইজি মিজানকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার বিচার শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস’র জামিন মঞ্জুর
দেশের সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ
৮৫৫ দিন আগে
একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
ঘুষ গ্রহণের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়ে তা একদিন পরেই প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার সকালে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ জামিন আদেশ প্রত্যাহারকালে আদালত এনামুল বাছিরের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরীকে উদ্দেশ করে বলেন, আইনজীবীদের কথা আমরা বিশ্বাস করি। এ কারণে আপনাদের কথার ওপর বিশ্বাস করে অনেক আদেশ দিয়ে থাকি। আপনি এনামুল বাছিরের আপিলের নথিতে জামিনের দরখাস্ত সংযুক্ত না করেই জামিন শুনানি করেছেন। এটা একটা অপরাধ। দ্বিতীয়ত, আপনি আদালতকে না জানিয়ে পরে জামিনের দরখাস্ত বেঞ্চ অফিসারের কাছে দিয়েছেন। এটা আরেকটা অপরাধ। এই পেশাগত অসদাচারণের জন্য আমরা আপনাকে বার কাউন্সিলে পাঠাতে পারতাম। কিন্তু তা করছি না। তবে খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ৮ বছরের দণ্ডিত দুদকের এনামুল বাছিরকে জামিন দিল হাইকোর্ট
আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, এনামুল বাছিরের আইনজীবী জামিন আবেদন দাখিল না করেই শুনানি করেছেন। এজন্য আদালত জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার এনামুল বাছিরকে জামিন দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে করা মামলার রায় দেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে হাইকোর্টের রুল
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি।
বিচারিক আদালত থেকে দেওয়া এই সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল গত ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত। বিচারাধীন ওই আপিলের সঙ্গে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন দাখিল করেননি। জামিনের আবেদন দাখিল না করেই গত মঙ্গলবার তার আইনজীবী শুনানি করেন। আদালত তাৎক্ষণিক বিষয়টি না বুঝতে পারলেও গতকাল বিকালেই বিষয়টি টের পান। সে অনুযায়ী এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন ফের আজকের কার্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ ফের এনামুল বাছিরেরর বিষয়টি লিস্টে আসে। আদালত শুনানি করে তার জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে নেন এবং আবেদনটি আউট অব লিস্ট করেন।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম বিচার শেষে এ মামলায় রায় দেন।
আরও পড়ুন: এনামুল বাছিরের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
৯৪১ দিন আগে
ডিআইজি মিজানের হাইকোর্টে জামিন
ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ২ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় তার কারামুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার আপিল গত ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ওই আপিলের সঙ্গে করা জামিন আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি নিয়ে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন। রায়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এ মামলার প্রধান আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সাজা চেয়ে হাইকোর্টে দুদক আপিল করে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল এনামুল বাছিরও তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন যা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত রায় দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
১০৭৩ দিন আগে
ঘুষ লেনদেন মামলা: বাছিরের ৮ ও মিজানের ৩ বছর কারাদণ্ড
অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ৩ জানুয়ারি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি: নিরপেক্ষ তদন্তে ১০ আইনজীবীর রিট
এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
এরপর নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় তিন সদস্যের একটি দলকে।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন।
গত বছরের (২০২১ সাল) ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে।
১১২২ দিন আগে
সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। বর্তমানে ওই দুই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
এরপর ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়।
এরপর নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ওই বছরই ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
মামলার তদন্তকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে এনামুল বাছির তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্যাকে প্রধান করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় তিন সদস্যের একটি দলকে।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালত দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেন।
গত বছরের (২০২১ সাল) ১৯ আগস্ট মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা অপর এক মামলায় মিজানুর রহমানসহ চারজনের ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে বিচার চলছে।
১১৩৫ দিন আগে
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রাবেল সাময়িক বরখাস্ত
সরকার ও স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রের জন্য হানিকর বক্তব্য রেখেছেন, যা আইন অনুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ।
মতবিনিময় সভায় রাবেল বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে যে কোনো প্রকল্প ছাড়ার জন্য আমাদেরকে ৫ শতাংশ অগ্রিম ঘুষ দিতে হয়।’
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রের মৃত্যু: ডিএসসিসি’র ২ পরিচ্ছন্নতাকর্মী চাকরিচ্যুত, একজন সাময়িক বরখাস্ত
লন্ডনে দেয়া তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। এমন আলোচনার মধ্যেই তাকে বহিস্কার করলো মন্ত্রণালয়।
আমিনুল ইসলাম রাবেল যুক্তরাজ্যে থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাবেল গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। দলের বিদ্রোহী হওয়ায় ভোটের আগেই তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
পড়ুন: বগুড়ার মেয়র জাহাঙ্গীরের বরখাস্তের আদেশ অবৈধ: আপিল বিভাগ
১২০১ দিন আগে