তাপস
কারাগারে গান বাংলার তাপস, ৬ নভেম্বর রিমান্ড শুনানি
উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় গান বাংলা চ্যানেলের চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে, তাপসকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল মোকতাদির ৫ দিনের রিমান্ডে
কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মো. মহিববুল্লাহ আদালতে উপস্থিত না থাকায় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
উত্তরা পূর্ব থানার ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। সেসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক বাদী হয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার এজাহারনামীয় ৯ নম্বর আসামি তাপস।
সোমবার গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ৪ দিনের রিমান্ডে
১০ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিসিএসআইআর (সায়েন্স ল্যাব) আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
শেখ হাসিনার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি মন্তব্য করে তাপস বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন।
আজ আমাকে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান বললেন, শুধু গবেষণায় ৯ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটাও পর্যাপ্ত নয়। আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং আমিসহ সবাই মিলে আমরা যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি তাহলে ৯ কোটি ৯০ কোটিতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, একসময় বিজ্ঞান শিক্ষা পিছিয়ে পড়লেও শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও কর্মক্ষেত্র বাড়ছে। বিজ্ঞান চর্চায় ও বিজ্ঞানে পড়াশোনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে এখন আবারও আগ্রহ ফিরে পেয়েছে। আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা বড় হলেই ভাবত পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যাব। এদেশে আমার কর্মের সুযোগ নেই, আমার মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এই পথচলায় আমাদের অনেক সন্তান বহির্বিশ্বের অনেক সুযোগের হাতাছানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। দেশের জন্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই তারা দেশে ফিরে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
৯ মাস আগে
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
বুধবার (১০ জানুয়ারি) নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনও আলু, কখনও ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না। এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়।
মেয়র বলেন, যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ সব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্য সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
৯ মাস আগে
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বর্তমানে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, বর্তমানে আমরা নিয়মিতভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বরাদ্দ গ্রহীতাদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় দোকান বরাদ্দ দিচ্ছি। এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে আগে বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা হতো।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর মার্কেটে বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকানিদের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে সেসব বিষয়কে আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এখন এই প্রক্রিয়ায় আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছি।
ক্ষতিগ্রস্তদেরও যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, শুধু নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রেই নয় বরং পুনর্নির্মাণ কার্যক্রমে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমরা তাদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসন করছি।
অনুষ্ঠানে ৩০৩ জন বরাদ্দ গ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যারা তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তারাই আজ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।
তাপস বলেন, আজ অনেকেই অনেক কথা বলেন। তাদের চোখে উন্নয়ন দেখা যায় না। যারা জীবনে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা কীভাবে উন্নয়ন দেখবে?
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। শেখ হাসিনা সে প্রত্যাশা পূরণ করছেন। যারা উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে, তারা তিন-চারবার ক্ষমতায় ছিল। তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না।
বিএনপি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা এসেছিল। তখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেনি। তখন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেনি। এখনও বলে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তারা ভুলে গেছে। মাইনাসই করে ফেলছে। তাদের আর বেগম খালেদা জিয়ার দরকার নেই। তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে।
তিনি বলেন, একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে।
তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাব না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকুল্যে আটটি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জোটেনি। সুতরাং এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে তাপস বলেন, এবার তারা যদি নির্বাচনে না আসে, এর মানে হলো, তারা বুঝে গেছে যে, নির্বাচনে এলে তারা শূন্য আসন পাবে। সেজন্য নির্বাচনে আসতে চায় না, যা তারা ২০১৪ সালে করেছিল।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছিল। সেজন্য ২০১৪ সালে লজ্জায় আর নির্বাচনে আসেনি। তারা জানত, নির্বাচনে এলে ভরাডুবি হবে। ভরাডুবি থেকে ইজ্জত বাঁচাতে নির্বাচনে না এসে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়েছিল। ভেবেছিল নির্বাচনকে প্রতিরোধ করবে, প্রতিহত করবে। সে শক্তি তাদের নেই। সেটি তারা করতে পারেনি।
উন্নয়ন উৎসবে মেয়র তাপস জানান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত তিন বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোড়ান খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা, এসটিএস নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
মাতুয়াইল নিমতলা কলেজ রোড ৬০ ফুটে উন্নীত করা হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মাতুয়াইল এলাকার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিমতলা কলেজ রোডকে ৬০ ফুটে উন্নীত করা হবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইল এলাকার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সড়কের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের নজরে এসেছে যে, এ এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এবং এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত। আশপাশে অনেক কলকারখানা, দোকানপাট রয়েছে। এ এলাকাটি একটি ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র। আমরা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসহ আরএসটিপি পর্যালোচনা করে এ সড়কটাকে প্রশস্ত করব।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, সড়কটা সংস্কার করবো। নর্দমা ও হাঁটার পথসহ আমরা এ সড়কটিকে চার সারিতে উন্নীত করব। সড়কের উভয় পাশে ১০ ফিট করে হাঁটার পথসহ ৬০ ফিটের একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।
সেই প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনে আজকে আমরা এখানে এসেছি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন হতে সড়কটির বেহাল দশা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদন দেখে আমরা আজকে এখানে এসেছি। আমি এখানে পরিদর্শনে এসে এ এলাকার জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। এর আগে এটা নজরে আসেনি। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের ফলে সড়কটির বেহাল দশা সম্পর্কে আমাদের নজরে এসেছে। সেজন্য আমি বেসরকারি টেলিভিশনটিকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: লালে নয়, হকাররা হলুদ-সবুজ চিহ্নিত এলাকায় ব্যবসা করবে: মেয়র তাপস
শিগগিরই সড়কটির সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ শুরুর আশাবাদ জানিয়ে মেয়র এ সময় আরও বলেন, আমরা এ অর্থবছরের বাজেট থেকে অর্থ প্রাক্কলন এবং দরপত্র সম্পন্ন করতে চাই। আশা করছি যে, বর্ষার পরপরই এ রাস্তার কাজ শুরু করতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সামসুদ্দিন ভূঁইয়া, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শফিকুল ইসলাম খান এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফা ইয়াসমিনসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
১ বছর আগে
সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: ব্যারিস্টার তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, দখলদারের নাম নিয়ে চিন্তিত না তারা। সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কালু নগর স্লুইস গেইট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নাম নিয়ে চিন্তিত না। নাম আমাদের কাছে বিষয় না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এখানে ১০ তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। বুধবার আবার পরিদর্শনে আসব। আমরা আশা করি, (অবৈধ ভবনের) যে অংশটা খালের মধ্যে বা নদীর মধ্যে পড়েছে সে অংশটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে খেয়েছে সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে তাহলে আমরা এটা ভেঙে দিব।’
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। আমরা এরই মাঝে খনন কাজ শুরু করেছি। আজকে থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সকলেই যৌথভাবে আমরা পরিমাপ করছি। সীমানা চিহ্নিত করেছি। আজকে থেকেই আমরা সেই সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দিব। আমরা আশাবাদী, এই কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ অচিরেই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
স্থায়ীভাবে আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী-নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটাকেই ধরে আমরা সকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করব। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে আমরা তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব। যাতে করে মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণপরিসর প্রতিষ্ঠা করব যাতে করে মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।’
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে আজ আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। এখনও আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও রয়েছে। কিন্তু ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী (সারাদেশে মোট) ৬৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত, প্রাদুর্ভাব নেমে না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’
এর আগে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ডগাইর এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হকার নয়: মেয়র তাপস
ওষুধের দোকান বন্ধের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: তাপস
২ বছর আগে
ওষুধের দোকান বন্ধের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকান বন্ধের সময়সীমা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
বুধবার নগরীর আজিমপুর পথচারী পারাপার সেতু উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবশ্যই ওষুধ একটি অত্যাবশকীয় বিষয়। এ জন্য বিবেচনা করেই আমরা মহল্লার ওষুধের দোকানগুলোকে রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। এছাড়া হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের সবসময় একটি তাগাদা থাকতে পারে এবং প্রয়োজন থাকে। এজন্য আমরা রাত দুইটা পর্যন্ত করেছি। আমরা মনে করি যে, এটা যৌক্তিক। তারপরও যদি কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে লিখিত জানালে আমরা সেটা পর্যালোচনাপূর্বক বিবেচনা করব।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী জনগণের আইনজীবী ছিলেন: শেখ তাপস
তিনি বলেন, যেমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এটি বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। তারা যদি আমাদেরকে লিখিতভাবে জানায়, তাহলে আমরা সেটা পর্যালোচনা করে পুনর্বিবেচনা করব। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে প্রয়োজন হয়, ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তোবা সময়টা বর্ধিত করা যেতে পারে। এটা সেই হাসপাতাল ও এলাকার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেই করা হবে। এখন থেকে কোনও ঢালাওভাবে কোনও সময়সূচি ছাড়া কেউ চলতে (কার্যক্রম পরিচালনা) পারবে না। সবাইকে একটা সময়সূচির মধ্যে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনও আইন বা নীতিমালা প্রয়োগ বা বাস্তবায়নে অবশ্যই কঠোর হতে হয়। তবে সেখানে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমরা যে সময়সূচি দিয়েছি, এটা শুধু ঢাকাবাসীই নয়, সারা বাংলাদেশের জনগণ এবং বহির্বিশ্বে আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, তারাও এটা সাদরে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং আমরা জনসম্পৃক্ততা পেয়েছি। তাই, আমি মনে করি এটা বাস্তবায়ন দুরূহ হবে না। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে।
এরপরে ডিএসসিসি মেয়র জয়কালী মন্দির থেকে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন এবং হাজারীবাগে ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে ১৫ অগাস্ট ১৯৭৫ এ নিহত সকল শহীদ স্মরণে ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর এ কে এম নাসিম, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
২ বছর আগে
ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
ডেঙ্গু বিস্তার রোধে আগামীকাল বুধবার থেকে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী চার মাস এই অভিযান চলবে।
মঙ্গলবার বিকালে নগরের ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে মশক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই নিদের্শ দেন।
সভায় তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর মধ্যে একটি বড় অংশ নিজ থেকেই সচেতন। তারা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে স্বপ্রণোদিতভাবেই কাজ করে থাকেন। কিন্তু একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এ ব্যাপারে সচেতন নয়। তাদেরকে আমরা যতই উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি না কেন, তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণই এখন মূখ্য কাজ উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণে আমাদের পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। অলি-গলি থেকে শুরু করে অপরিচর্যিত ছাদবাগানেও আমাদের নজর দিতে হবে। অপরিচর্যিত ছাদবাগানে কোনরকম নমনীয়তা প্রদর্শন করা যাবে না। তাছাড়া কোনো স্থাপনায় মশার প্রজননস্থল থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে যে কোনো উপায়ে সেখানে প্রবেশের অনুমতি নিতে হবে এবং প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
ঢাকার নতুন তিন রুটে ২২৫টি বাস চালু করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকার নতুন তিনটি রুটে নগর পরিবহনের আরও ২২৫ টি বাস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বিগত সভায় যে তিনটি যাত্রাপথ চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘সেই তিনটি যাত্রাপথ চালু করার লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমগুলো আমরা পর্যালোচনা করেছি এবং সার্বিক পর্যালোচনায় যাত্রাপথগুলোকে আরেকটু সুনির্দিষ্ট করেছি। আমরা ঢাকার প্রান্ত পর্যন্তই সেই যাত্রাপথকে বিস্তৃত রাখবো। নতুন সেসব যাত্রাপথের মধ্যে ২২ নম্বর যাত্রাপথে ৫০টি বাস, ২৩ নম্বর যাত্রাপথে ১০০টি এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথে ৭৫টি; সবমিলিয়ে আরও ২২৫টি বাস নতুন করে নামবে।’
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২২তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন,ঢাকা নগর পরিবহনে যাত্রী সেবায় আমাদের প্রাধান্য। যাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না। হয়রানির শিকার হতে হয় না। নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে উঠতে পারে আবার নির্দিষ্ট জায়গায় নামতে পারে। ঢাকাবাসীর এই আকাঙ্ক্ষা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। সেজন্য আমরা আনন্দিত। এখন এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাকী তিনটি যাত্রাপথে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করব। কিন্তু এটি তখনই পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে যখন আমরা সব যাত্রাপথকে একসঙ্গে নিয়ে একটি কোম্পানি করে ঢাকা নগর পরিবহন কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত করতে পারব।
পরীক্ষামূলক যাত্রাপথে নগর পরিবহন সফল বলে মন্তব্য করে তাপস বলেন, এটা অত্যন্ত সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছেন, কারণ এর যাত্রী সেবার মান অত্যন্ত সন্তোষজনক। এর চাহিদাও রয়েছে। আমরা যে ৫০টি বাস দিয়ে চালু করেছি, তার সেটা বৃদ্ধি করার জন্য যাত্রীরা উৎসুক হয়ে আছেন। তাই বাস সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ট্র্যান্সসিলভা আরও ২০টি বাস চালু করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আরও ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু হবে
৪টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও ঘাটারচরের টার্মিনাল ও ডিপো নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন উদ্যোগ গ্রহণ করবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, এই পাঁচটি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য এখন থেকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের স্ব স্ব টার্মিনাল নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নিবে। অন্যান্য সংস্থা থেকে অনাপত্তি, জমি অধিগ্রহণসহ এ সংক্রান্ত কার্যক্রম আমরা দুই সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিবো এবং কার্যক্রম আরম্ভ করবো; যাতে দ্রুত টার্মিনালগুলো নির্মাণ করা যায়।"
এ সময় আনিসুল হকের স্বপ্ন বাস্তবাযনে ঢাকাবাসী ও গণমাধ্যমের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘যদিও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত দুরূহ ছিল।’
এসময় ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন আওতায় শহরের রুট যেগুলো আছে সেগুলোতে কিভাবে দ্রুত বাস সেবা দেয়া যায় সে ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে গণপরিবহনের মান ও সেবার উন্নয়নে আমরা আরও বেশি নজর দিচ্ছি।
ঢাকার দুই তৃতীয়াংশ মানুষের বাহন বাস উল্লেখ করে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে ঢাকা শহরের ৬২ শতাংশ মানুষ বাস সার্ভিস সেবার ওপর নির্ভর করে। তাই বাস সেবা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে ট্রাফিক সিস্টেমের বড় পরিবর্তন আসবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, রাজউক সদস্য মো. শফিকুল হক, বিআরটিএ এর পরিচালক শীতার্ত শেখর বিশ্বাস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আফজাল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন চালু হওয়া তিনটি রুট হলো-
২২ নম্বর রুট:
ঘাটারচর- ওয়াশপুর-বসিলা - মোহাম্মদপুর টাউন হল - আসাদ গেট - ফার্মগেট কাওরানবাজার - শাহবাগ - কাকরাইল ফকিরাপুল - মতিঝিল - টিকাটুলি - সায়েদাবাদ - যাত্রাবাড়ী - কোনাপাড়া - ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার
২৩ নম্বর রুট:
ঘাটারচর- ওয়াশপুর-বসিলা - মোহাম্মদপুর- জাপান গার্ডেন সিটি - শ্যামলী - কলেজ গেট - আসাদ গেট - কলাবাগান - সায়েন্স ল্যাব - শাহবাগ - মৎস্য ভবন - প্রেসক্লাব - গুলিস্তান (জিরো পয়েন্ট)- দৈনিক বাংলা - রাজার বাগ - কমলাপুর - ধলপুর - যাত্রাবাড়ী- শনির আখরা রায়েরবাগ - মাতুয়াইল- সাইনবোর্ড - চিটাগং রোড
২৬ নম্বর রুট:
ঘাটারচর- ওয়াশপুর-বসিলা - মোহাম্মদপুর- টাউন হল - আসাদ গেট- কলাবাগান - সায়েন্স ল্যাব - নিউ মার্কেট - আজিমপুর- পলাশী- চাঁনখার পুল - ফ্লাইওভার হয়ে - পোস্তগোলা কদমতলী
আরও পড়ুন: ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে ডিসেম্বরে নামছে ১২০ বাস
২ বছর আগে