সামরিক শাসন
সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধির চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশের সমৃদ্ধির জন্য সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমাদের দেশ এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল, যার অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের অধীনে, এটি তার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিবন্ধন করেনি। দেশের জনগণকে এটা উপলব্ধি করতে হবে।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের অষ্টম সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১২ মে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্তত আমি দাবি করতে পারি যে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাধীনতার আদর্শ গ্রহণ করেছে এবং প্রশাসন পরিচালনায় তা অনুসরণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর ফল পাচ্ছি। এই নীতির কারণেই আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।’
তিনি আগামী প্রজন্মের সুবিধার্থে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে এ বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: একনেকে ১৩,৬৫৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
সামরিক শাসনের একটি অধ্যাদেশ কিছুটা পরিবর্তনের সঙ্গে প্রতিস্থাপনের জন্য মন্ত্রিসভা পারিবারিক আদালত আইন, ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে খসড়া আইনটি বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সরকার শুধু জেলা জজ আদালত নয়; জেলা জজের সমতুল্য অন্যান্য বিচারকদের আদালতকেও এ ধরনের মামলার আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
এছাড়াও, পশুদের যথাযথ সংরক্ষণ বা উন্নত ফিডের জন্য কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং কুলিং স্টোরেজ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দুগ্ধজাত দুধের গুণমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড আইন, ২০২২-এর খসড়া সভায় উপস্থাপন করা হয়।
তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের নকল আছে কি না তা মূল্যায়নের জন্য কিছু পর্যবেক্ষণসহ খসড়া আইনটি ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা অবিলম্বে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দিয়েছে। যাতে দুই দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে একে অপরের দেশে যেতে পারেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর ঢাকা অভিমুখে যানবাহন চলাচল করায় প্রধানমন্ত্রী অন্য একটি কর্মসূচিতে দুটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি ঢাকা কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত ইস্ট ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। যাতে কোনো পরিবহন (অন্যান্য গন্তব্যেমুখী) ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন শুরু
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
২ বছর আগে
বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা আরব্য রজনীর গল্পের মতো। এক হাজার এক রাতেও বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর সামরিক শাসন জারি করে দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীতে পাইকপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়: কৃষিমন্ত্রীআব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সেরকমভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য আলাদিনের আশ্বর্য প্রদীপ পেয়েছি। সে প্রদীপটি হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ গতিকে আমাদের ধরে রেখে আরও গতিশীল করতে হবে। সেজন্য, দলকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরেরসততা, আদর্শ ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখে নেতা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, তৃণমূলের কর্মীবাহিনী ও তাদের ঐক্যই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে আরও শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র ও আইন মেনে শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যাতে করে বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, রাজাকার-আলবদর ও ধর্মান্ধরা অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, ক্ষমতায় না আসতে পারে।সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সাবেক হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এসময় টংগীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্টকে সোমবার ভোরে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর দেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নতুন সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেবে।
৩ বছর আগে