উচ্চ ফলনশীল
উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আলুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলুর চাষ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাষাবাদে থাকা বর্তমান জাতগুলো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে ও ফলন কম। তাছাড়া বর্তমানে সরিষা, ভুট্টা ও বোরো আবাদ বৃদ্ধির কারণে আলুর আবাদ কম হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পারেরটং গ্রামে বিএডিসি আলু-১ বা সানশাইন জাতের আলুর মাঠ পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আলুর আবাদ কমে যাওয়ার ফলে বর্তমানে আলুতে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। এই অবস্থায়, নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো দিয়ে কম ফলনশীল জাতগুলো রিপ্লেস করতে পারলে কম জমিতেও আমাদের প্রয়োজনীয় আলু উৎপাদন করা যাবে এবং রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আলু বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশে ৪ দশমিক ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়। ফলন গড়ে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৩ টন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০ টন
দেশি ও বিদেশি ৮০টি জাতের গাজর নিয়ে গবেষণা করে উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ ও তার গবেষকদল।
ইউএসএআইডি, ইউএসডিএ/এআরএস ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের যৌথ অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬টি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৪টি জাতের গাজর নিয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।
দেশে প্রচলিত পদ্ধতিতে গাজরের হেক্টরপ্রতি ফলন গড়ে ১০ টন হলেও গবেষণায় উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল গাজরগুলোর জাত থেকে হেক্টরপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টন ফলন পাওয়া যাবে। এছাড়া গাজরগুলো দেশের উষ্ণ ও খরাপ্রবণ অঞ্চলেও চাষের উপযোগী ।
উচ্চ ফলনশীল এসব জাতের গাজর চাষ সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, ৭০ থেকে ৮০ দিনেই গাজরগুলোর ফলন পাওয়া যায় এবং এক একটি গাজরের ওজন প্রায় দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘গাজরগুলো দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন খরাপ্রবণ এলাকায় যেমন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা, লালমনিরহাট ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে চাষ করে সফলতা পেয়েছি। তাছাড়া যেসব অঞ্চলে আলুর ফলন বেশি হয় সেখানে এসব গাজরের চাষ কৃষকদের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
৯ মাস আগে
জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া, দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদেরকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
রবিবার সকালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামীতে টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামকেও উন্নত ও আধুনিক করতে হবে।
এছাড়া নবীন কৃষিবিদদের সেভাবে যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষকমণ্ডলীদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধবনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে চাল, গম, ভুট্টা, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে আছে।
তিনি জানান, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে চালের উৎপাদন চার কোটি চার লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে চালের উৎপাদন ২৯ শতাংশ, গম ৩৭ শতাংশ, ভুট্টা শতাংশ, আলু ১১০ শতাংশ, ডাল ৩২৮ শতাংশ, সবজি ৬৪৫ শতাংশ, পেঁয়াজ ৩৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনে অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্যের ফলেই দেশের মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পায়। করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধসহ শত দুর্যোগের মাঝেও কেউ না খেয়ে থাকে না।
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে কোন খাদ্য সংকট হয় নি।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিখাতে আজ যে অভাবনীয় সাফল্য দৃশ্যমান, এর পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্র্যাজুয়েটরা।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী চ্যান্সেলরের পক্ষে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন।
সমাবর্তনে জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে ২২৪ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় উচ্চ ফলনশীল ‘খেজুর ছড়া’ ধানের জাতের সন্ধান
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে উচ্চ ফলনশীল ধানের জাতের সন্ধান পেয়েছেন একজন কৃষক, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘খেজুর ছড়া’।
৩ বছর আগে