সরকারে
জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য সরকারের সমালোচনা ফখরুলের
বৈশ্বির্ক জলবায়ু পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত 'জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ ও নদী'- শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ ইস্যুতে সরকারের অবহেলার কারণে ঢাকা দেশের অন্যতম দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে।
এসব সমস্যা সমাধানে এবং মানুষের ভবিষ্যৎ বা জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘সাভার-ধামরাইতে ছোট ছোট যে নদীগুলো ছিলো সেগু্লো প্রায় মরে গেছে। আপনারা দেখেছেন যে, তুরাগ নদীর পাশে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সযোগিতায় ও তাদের সমর্থনের ফলোশ্রুতিতে বিভিন্ন ক্লাব গড়ে উঠেছে। সেই ক্লাবগুলো একেবারেই নদীর ওপরে নদী ভরাট করে গড়ে উঠেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পানি কমে যাচ্ছে, নদী দখল করা হচ্ছে-এটার বিষয়ে যা কিছু খবর নেবেন-এই সরকারের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই এই কাজগুলো করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না।’
তিনি পরিবেশ রক্ষায় জনমুখী সরকারের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির শাসনামলে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ, খাল খনন কর্মসূচি এবং বেবি ট্যাক্সি নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ফখরুল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি জনমুখী সরকার প্রয়োজন এবং জবাবদিহিতার জন্য গণতন্ত্র প্রয়োজন।
ভারতের উজানে বাঁধ নির্মাণের ক্ষতিকর দিক এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি নিয়েও এসময় আলোচনা করা হয়।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যিনি সরকারের ফারাক্কা চুক্তি চুক্তি এবং গ্যারান্টি ক্লজ না রাখার সমালোচনা করেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সেভ দ্য সুন্দর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
১ বছর আগে
পাকিস্তানে লোডশেডিং: সরকারের পক্ষে অবস্থান পাক জ্বালানি মন্ত্রীর
পাকিস্তানে বিপর্যয়কারী দিনব্যাপী গ্রিড বিপর্যয়ের জেরে তীব্র গণঅসন্তোষের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ নিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী খুররম দস্তগীর।
মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদে দস্তগীর সাংবাদিকদের বলেন,‘আজ ভোর সোয়া পাঁচটায় বিদ্যুৎ পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’
তবে গ্রিড বিপর্যয়ের জন্য জ্বালানি মন্ত্রী কোন ক্ষমা প্রার্থনা করেননি কিংবা সরকারের জ্বালানি-সাশ্রয়ী পদক্ষেপের কারণে এই সংকট হয়েছে কিনা- এ বিষয়েও তিনি কোনও আলোকপাত করেননি।
অন্যদিকে তিনি সিস্টেম বুট আপ করার জন্য দেশের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: তালেবানদের হাতে বন্দি কর্মকর্তাদের উদ্ধারে পাকিস্তানে অভিযান শুরু
মন্ত্রী জানান, সোমবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দেবে।
তিনি বলেন, কমিটিকে ‘আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব’। তারা কিছুদিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তদন্তে দেখা যাবে ঠিক কী কারণে বিভ্রাট হয়েছে।
দস্তগীর আরও ‘আশঙ্কা করছেন’ যে হ্যাকাররা পাকিস্তানি গ্রিডের সিস্টেমগুলোকে হ্যাক করায় বিদ্যুত বিভ্রাট হতে পারে।
তিনি মূলত প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করেছেন।
দস্তগীর আরও বলেন যে পাকিস্তানের দু’টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ থাকায় সম্পূর্ণ বিদ্যুত আসতে সময় লাগতে পারে এবং এই সপ্তাহে কোথাও কোথাও ‘নিয়মিত বিদ্যুত বিভ্রাট’ ঘটতে পারে।
সোমবার প্রায় ১২ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে সারাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। ব্ল্যাকআউটে স্কুল,কারখানা ও দোকানগুলো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তীব্র শীতের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয় হওয়ায় প্রায় ২২ কোটি মানুষের দেশটির অনেকেই খাবার পানির সংকটে ছিলেন।
শুধুমাত্র দেশটির বড় কয়েকটি হাসপাতাল,সামরিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিখ্যাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে জেনারেটর চালু ছিল।
জানা যায়, বেশিরভাগ বিদ্যুত পুনরুদ্ধার করা হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের কিছু অংশে এখনও ব্ল্যাকআউট রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারের জ্বালানি-সাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রবিবার রাতে কম ব্যবহারের সময় বিদ্যুত বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার ভোরে আবার বিদ্যুত চালু করার সময় সিস্টেমে বিপর্যয় দেখা দেয়।
এ বছরের ব্ল্যাকআউট ২০২১ সালের জানুয়ারির বিশাল ব্ল্যাকআউটের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। পাকিস্তানের সেবারের ব্ল্যাকআউটকে বিদ্যুত উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে দায়ী করা হয়। পাকিস্তান তার বিদ্যুতের অন্তত ৬০ ভাগ পায় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে এবং প্রায় ২৭ ভাগ উৎপন্ন হয় জলবিদ্যুৎ থেকে। দেশটির গ্রিডে পারমাণবিক ও সৌরশক্তির অবদান প্রায় ১০ ভাগ।
সোমবার বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী দেশের অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে এই ব্ল্যাকআউট সরকারের অযোগ্যতার প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বোমা হামলায় যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, আহত ১৫
মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা জাতিসংঘের
১ বছর আগে
বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে: উপমন্ত্রী শামীম
বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
৩ বছর আগে