উৎসব
ঈদুল আজহায় মুক্তি-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’: এক ঝাঁক শক্তিমান অভিনয়শিল্পীর এক অনবদ্য রম্য পরিবেশনা
২০২৫-এর ৭ জুন তথা ঈদুল আযহার এই দিনটিতে ভরপুর বিনোদন নিয়ে একসাথে মুক্তি পেয়েছে দারুণ সব ব্লকবাস্টার। এই কাতারে থেকে চমকপ্রদ ভাবে প্রেক্ষাগৃহে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে রম্য চলচ্চিত্র ‘উৎসব’। শিরোনামের মতই সিনেমাটি দর্শকদের এক নতুন উৎসবমুখর অভিজ্ঞতার উপহার দিচ্ছে। এর মাঝে রয়েছে পুরনো সব দেশ সেরা নাটক ও সিনেমার নস্টালজিয়া; সাথে গভীর অর্থবহ হাস্যরস। চলুন, সব ধরণের চলচ্চিত্রপ্রেমিদের মন জয় করে নেওয়া এই সিনেমাটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেশ সেরা অভিনয়শিল্পীদের সমন্বয়ে অভূতপূর্ব আয়োজন
‘উৎসব’-এর শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, অপি করিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, তারিক আনাম খান, ও নরেশ ভুঁইয়া। এই কুশীলবদের অধিকাংশই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া।
এ প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ও সৌম্য জ্যোতি।
‘উৎসবের’ চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া। প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 'উৎসব' এর আন্তর্জাতিক ডিসট্রিবিউশনে আছে 'স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো' ও 'পথ প্রোডাকশনস'।
আরো পড়ুন: শাকিব-সাবিলার ‘লিচুর বাগানে’কে ছাড়িয়ে জোভানের ‘আশিকি’
পর্দার পেছনের চলচ্চিত্রশিল্পীরা
ছবির পরিচালনায় ছিলেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’-খ্যাত নির্মাতা তানিম নূর। কিংবদন্তির ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত গল্প ‘এ ক্রিস্টমাস ক্যারল’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। লেখনীতে তানিম নূরের সাথে যৌথভাবে ছিলেন আয়মান আসিব স্বাধীন, সামিউল ভূঁইয়া, এবং সুস্ময় সরকার। এদের মধ্যে চিত্রনাট্য ও সংলাপ বানিয়েছেন সামিউল ভূঁইয়া এবং আয়মান আসিব স্বাধীন। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন রাশেদ জামান।
সিনেমার গল্প
জাহাঙ্গীর একজন স্বার্থপর ও কৃপন ব্যবসায়ী। হঠাৎ এক দৈববাণীর সংস্পর্শে তার বোধোদয় হয়। নিমেষেই তিনি পরিণত হন পুরোদস্তুর এক পরোপকারী মানুষে।
ফ্যামিলি ড্রামা ঘরানার এই মুভিটিতে এক অভূতপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে পুরোনো কিছু সিনেমা ও নাটকের সংলাপের। বিষয়টি দর্শকদের বিশেষ করে মধ্য বয়স্কদের পুরনো সময়ের স্মৃতিকাতরতায় ভাসিয়েছে।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে যে চলচ্চিত্রগুলো
উল্লেখ্য যে, একদম শুরুতে ছবির ঘোষণা হয়েছিলো মজার একটি স্লোগানের মাধ্যমে আর তা হচ্ছে- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।
মুক্তি পরবর্তী ছবির চমকপ্রদ সাফল্য
ঈদের পঞ্চম দিন স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির ক্যাপাসিটি ছিলো ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৫০। ৯টি শো-এর ১ হাজার ৪৮৯ টা টিকেটের সবগুলোই বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হওয়ায় ষষ্ঠ দিনের জন্যও অবশিষ্ট কিছু ছিলো না। শাকিব খানের ‘তান্ডব’ সিনেমার পরে শুধুমাত্রই এই ‘উৎসব’-এর জন্য হলটিতে এই অবস্থা।
এমন একটি ড্রামা জনরার মুভির জন্য বিষয়টি নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিলো। বলাই বাহুল্য যে, খুব বেশি শো রাখা ছিলো না এর জন্য। এমনকি ১০০ ভাগ অকুপেন্সীর পরেও সিনেমাটি যথেষ্ট শো পায়নি। ফলে অনেকেই টিকেট না পেয়ে বাধ্য হয়ে অন্য সিনেমা দেখেছে।
এই কারণে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও বক্সঅফিস সংগ্রহ আশানুরূপ মাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। চার দিনে সিনেমার মাল্টিপ্লেক্স আয় ছিলো সর্বমোট ২৫ দশমিক ৯১ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ দর্শক মাতাতে আসছে যে নাটকগুলো
পরিশিষ্ট
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমার এই সাফল্য ঢালীউডের চিরাচরিত গতিপথে পরিবর্তন এনেছে। নাট্যজগতের প্রথিতযশা সব মুখগুলো একসাথে থাকায় মন সম্মত অভিনয় পাওয়া গেছে শতভাগ। সেই সাথে বিশ্ববিখ্যাত গল্পের দক্ষ রূপান্তর স্ক্রিণের পুরো সময়টা জুড়ে ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। গভীর হাস্যরসের পরিমিতি এবং নাটকীয়তার নির্দেশনাশৈলী ছুঁয়ে গেছে প্রতিটি দর্শকের হৃদয়। এই সাফল্যের নিরিখে অকপটেই স্বীকার করা যায় যে, শিঘ্রই সুদিন ফিরছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে।
১৭৬ দিন আগে
ঈদুল আজহা ২০২৫ এ মুক্তির অপেক্ষায় যে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো
ঢালিউড পাড়ায় এখনও কাটেনি ঈদুল ফিতরে মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমার রেশ। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। অবশ্য নির্মাণের সময়সীমার ভিত্তিতে অনেক আগে থেকেই বছরের দ্বিতীয় ঈদ উৎসবের আয়োজনে সারিবদ্ধ হয়েছে ছবিগুলো। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই একাধিকবার পেছানোর পর ঠিক হয়েছে মুক্তির দিনক্ষণ। চলুন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোন চলচ্চিত্রগুলোর মুক্তির কথা চলছে তা জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ ঈদুল আজহায় মুক্তির মিছিলে ৭টি বাংলাদেশি সিনেমা
.
তান্ডব
আসন্ন ঈদে দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে থাকা সিনেমাটি হচ্ছে শাকিব খান অভিনীত ‘তান্ডব’। ‘তুফান’-এর পর আবারও ঢালিউড সুপারস্টারকে নিয়ে ছবি বানালেন পরিচালক রায়হান রাফি।
এবার শাকিবের বিপরীতে প্রধান নায়িকা হিসেবে থাকবেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। আর এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবিলার।
ছবিতে সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা যাবে দুই বাংলায় বহুল সমাদৃত অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। এছাড়া ৪০ সেকেন্ডের একটি ক্যামিওতে দেখা দেবেন বর্তমান সময়ের ব্যস্ততম তারকা শরিফুল রাজ।
আরো পড়ুন: সিআইডির এসিপি প্রদ্যুমানের বিদায়: সনি টিভির সেরা গোয়েন্দা সিরিজে আকস্মিক ছন্দপতন
রায়হান রাফী নিজেই চলচ্চিত্রটির মূল গল্প লিখেছেন। চিত্রনাট্যে রাফীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছেন আদনান আদিব খান।
দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলার প্রেক্ষাপট নিয়ে এগিয়ে যাবে সিনেমার কাহিনী।
পিনিক
শবনম বুবলীকে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। কিন্তু তাদের এই প্রতীক্ষা দীর্ঘায়িত করে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ছবি মুক্তির দিনক্ষণ। তবে এবারের কুরবানীর ঈদে চূড়ান্ত মুক্তির কথা চলছে জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এই সিনেমাটির।
সিনেমায় তার প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ। ২০২২-এর ‘তালাশ’ এবং ২০২৩-এর ‘লোকাল’-এর পর ‘পিনিক’ বুবলী-আদর জুটির তৃতীয় কাজ।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ছোট পর্দার ঈদ আয়োজন: মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০টি নাটক
থ্রিলার, সাসপেন্স ও অ্যাকশনে ভরপুর ছবিটিতে প্রাধান্য পেয়েছে জিঘাংসা, প্রতিশোধ, এবং পাল্টা প্রতিশোধের গল্প। চিত্রনাট্যে রয়েছেন আখিউজ্জামান মেনন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন আলী রাজ, ফজলুর রহমান বাবু ও আজাদ আবুল কালাম-এর মতো অভিনেতারা। এছাড়াও আছেন সমু চৌধুরী, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, শরীফ সিরাজ, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং জয়িতা মহলানবীশ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট-এর সাথে সিনেমার সহ-প্রযোজনা করেছেন অভিনেতা শিমুল খান।
ইনসাফ
ছোট পর্দার দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের নতুন সিনেমার নাম ‘ইনসাফ’। ওয়েব চলচ্চিত্রের বাইরে বাংলাদেশে এটি ফারিণের দ্বিতীয় ছবি। এর আগে ২০২৪ সালে তার অভিনীত প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা ‘ফাতিমা’ মুক্তি পায়। ‘ইনসাফ’-এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি ফর্মুলা ছবির নায়িকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। এখানে তার বিপরীতে রয়েছেন শরিফুল রাজ। আর খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে শক্তিমান অভিনেতা মোশাররফ করিমকে।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা
অ্যাকশন ও থ্রিলার গল্প কেন্দ্রীক সিনেমাটির নির্দেশনা দিয়েছেন সঞ্জয় সমাদ্দার।
২২২ দিন আগে
কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানে সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এই আন্দোলনের সফলতা অর্জনে তাদের (ছাত্রদের) উৎসব করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘এই অর্জন ধরে রাখতে তারা কিছু পরিপক্ক বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন নাশকতা ও সন্ত্রাসকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে তারা যে আস্থা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেসব দায়িত্বহীন কথাবার্তা বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছেন যে নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গ্রেপ্তার করা বন্ধ না হলে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। আমার প্রশ্ন হলো, মেট্রোরেল ভাঙচুর, বিটিভিতে নাশকতা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আক্রমণ ও নাশকতার উন্মক্ত লালসা যে গোষ্ঠী চালিয়েছে, সেটাকে মির্জা ফখরুল আন্দোলন বলতে চান কি না? আর এটা যদি আন্দোলন হয়, তাহলে কার বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন, এটা আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটেও ব্যর্থ নয়। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছেন। ২০১৮ সালে তো প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের আগেও সেই কোটা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারই আপিল বিভাগে আপিল করেছে। তারপর সেই আদেশ স্থগিত।’
তিনি বলেন, একটা জিনিসকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আনতে হলে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। যেহেতু একটা বিচারাধীন বিষয় আদালতে ছিল, সেই আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪৯৭ দিন আগে
‘শেখ হাসিনার দর্শন: ভিশন ও নেতৃত্ব, উন্নয়নের চাবিকাঠি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব
অনুষ্ঠিত হলো ‘শেখ হাসিনার দর্শন: ভিশন ও নেতৃত্ব, উন্নয়নের চাবিকাঠি’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসব।
বইটির লেখক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ: কানাডার প্রকাশনা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন- প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী।
এছাড়া বই সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন- বইটির লেখক ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন- বেঙ্গল বুকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: সদ্যপ্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরীর নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
এছাড়া বেঙ্গলবুকস- নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প প্রধান আজহার ফরহাদ।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- বেঙ্গলবুকসের কনসালট্যান্ট গাজী মুনছুর আজিজ।
‘শেখ হাসিনার দর্শন: ভিশন ও নেতৃত্ব, উন্নয়নের চাবিকাঠি’ শীর্ষক এই বইটিতে শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের নানা বিষয়ও উঠে এসেছে। লেখকের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা স্মৃতির কথাও বলা হয়েছে বইটিতে।
বইটির প্রচ্ছদ ও শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন আজহার ফরহাদ। ১৬৮ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৬৯০ টাকা।
একুশে বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেঙ্গল বুকসের ৮৮ নম্বর স্টলে।
আরও পড়ুন: জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
৬৫৫ দিন আগে
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- এই স্লোগানে শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্দা উঠবে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসব চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি সিনেমা নিয়ে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী এই উৎসব।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি শর্মিলা ঠাকুর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালের এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচ্যুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম বিভাগ।
উৎসবকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর অডিটরিয়াম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমির মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় ‘আগে এলে আগে দেখবেন’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। তবে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন কেবল আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকবেন ইরানের খ্যাতিমান নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মীলা ঠাকুর, স্বস্তিকা মুখার্জি, অঞ্জন দত্তসহ বিভিন্ন দেশের নামকরা সব তারকা।
সংবাদ সম্মেলন আরও জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রদর্শন করা হবে- ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম নির্মিত ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’ এবং বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজিত ও শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সবার আকর্ষণ এবার ‘মাস্টার ক্লাস’-এ! কারণ মাস্টার ক্লাস নিতে যাচ্ছেন ইরানি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ‘চিলড্রেন অব হেভেন’, ‘বারান’ ও ‘সং অব স্প্যারো’র মতো বিশ্বনন্দিত সিনেমার পরিচালক মাজিদ মাজিদি। এছাড়া মাস্টার ক্লাসের দু’টি ভিন্ন সেশনে কথা বলবেন চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান এবং ভারতের নির্মাতা, অভিনেতা ও গায়ক অঞ্জন দত্ত। ২৭ জানুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে মাস্টার ক্লাসটি।
মাস্টারক্লাসের সেশনগুলো পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু। মাস্টারক্লাস শেষে পরিবেশিত হবে অঞ্জন দত্তের সংগীত। এই চারটি সেশনের জন্যই অগ্রিম নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন লিংক উৎসবের ফেসবুক পেইজে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুজতবা জামাল।
এছাড়া আগামী ২২ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে ‘ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ সেকশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ার শি চুয়ান।
আরও পড়ুন: ‘হুব্বা’ দুই বাংলার দর্শককে আকৃষ্ট করবে: মোশাররফ করিম
২১ থেকে ২২ জানুয়ারি উৎসবের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা বিষয়ক ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্স’ ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে। কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি সুযোগ পাবেন।
এখানে নারী নির্মাতারা তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে বিশ্বের খ্যাতিমান নারী নির্মাতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। বিশ্ব পরিবর্তনে নারীর নেতিবাচক ও ইতিবাচক ভূমিকা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে সমাধানের উপায়সমূহ উঠে আসবে এই কনফারেন্সে।
২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্ম মেকারস্ কনফারেন্সের’ উদ্বোধনী দিনে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে এ পর্বটি উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম।
উৎসবের অংশ হিসেবে আগামী ২৩-২৬ জানুয়ারি আঁলিয়স ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্মাতাদের মিথস্ক্রিয়ামূলক চার দিনব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালা ‘ওয়েস্ট মিট ইস্ট: চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতা’। এই আয়োজনে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য পাবে ৫ হাজার মার্কিন ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী চিত্রনাট্য পাবে ৩ হাজার মার্কিন ডলার এবং তৃতীয় স্থান জয়ী চিত্রনাট্য পাবে ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক মাজিদ মাজিদি এবং ভারতীয় অভিনয়শিল্পী শর্মিলা ঠাকুর। ২৮ জানুয়ারি এ উৎসবের পর্দা নামবে।
উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও চলচ্চিত্র উৎসব। এটি দেশে রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলে আমরা মনে করি। রেইনবো’র এই উৎসব তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ধারার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে যেমন সফল হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনুরূপ ধারাকে বলিষ্ঠ করেছে। সারা বিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নতুন নতুন চলচ্চিত্র সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দেওয়াই উৎসবের মূল লক্ষ্য।
উৎসবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস ও সামিট গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারপারসন কিশওয়ার কামাল, গবেষক মফিদুল হক, নাট্যজন ম হামিদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, নির্মাতা আকা রেজা গালিব, ফাখরুল আরেফিন খান, আরিফুর রহমান ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরুসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকে নিয়মিত এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
৬৮৬ দিন আগে
গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসব
‘ঝপ-ঝপা-ঝপ’ শব্দে মুখর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের বিল (দক্ষিণের বড় বিল)। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে দেশে এসেছেন অনেক প্রবাসী। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি এসেছে গ্রামের অনেক মেয়েরা। পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব শুরুর আগে সকাল থেকেই গ্রামে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে গ্রামের সব বয়সের পুরুষ ও অন্য গ্রাম থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন একসঙ্গে গোয়াহরি গ্রামের বিলে মাছ শিকারে নামেন।
তবে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই। এর সঙ্গে কচুরিপানা থাকায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে মাছ শিকারের পরিমাণ কম। তাই পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেওয়া অনেককেই ঘরে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যকে যুগ যুগ ধরে বুকে ধারণ করে রেখেছেন গোয়াহরি গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের বাসিন্দারা। তাই নিজেদের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
সোমবার থেকে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে ওই উৎসব। গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ১৫ দিন বিলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা।
এজন্য ওই ১৫ দিনের ভেতরে বিলে গ্রামের যে কেউ হাত দিয়ে বা ঠেলা জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। তবে গ্রামবাসীর ঐতিহ্য অনুযায়ী আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে এক সঙ্গে আবারও পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেবে গ্রামবাসী।
এবারের পলো বাওয়া উৎসবে পলোর সঙ্গে সঙ্গে ঠেলা জাল (হাত জাল), উড়াল জাল, চিটকি জাল, কুচাসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেয় কয়েক শতাধিক সৌখিন শিকারী।
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
তবে বিলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলের পানি কমে যাওয়ায় মাছ শিকার হয়েছে অনেক কম। মাছের মধ্যে রয়েছে- বোয়াল, কাতলা, রুই, কার্প, শোল, গণিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে ও দেখতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই গোয়াহরি গ্রামবাসীর পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের লোকজন বিলের পাড়ে এসে জমায়েত হতে থাকে।
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা আসে বিল পাড়ে। শিশুরাও এসেছে ঠান্ডা উপেক্ষা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে বার্ষিক ওই পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: ‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে শেষ হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট
তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো পলো বাইতে পারেননি অনেকেই। তবে মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ঝাঁপিয়ে পড়া শিকারীদের এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ্য ছিল।
মাছ শিকারী সাহিদুর রহমান বলেন, গত বছর ১৫টি মাছ শিকার করেছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র একটি মাছ শিকার করেছি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলম খান বলেন, ছোট বেলায় তিনটা মাছ শিকার করেছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আজ আবার পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
তাজ উদ্দিন বলেন, বিলে পানি কম থাকায় কেউ মাছ শিকার করতে পারছে, আবার কেউ পারছে না। তবে আমি দুইটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দ লাগছে।
গ্রামে আসা আত্মীয় সৌখিন মাছ শিকারী শামীম আহমদ বলেন, পলো বাওয়াতে অংশ নিতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। আর পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে একটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দই লাগছে।
পাঁচ বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে আসা প্রবাসী গোলাম কামরান বলেন, দীর্ঘদিন পলো বাওয়া উৎসবে অংশ গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবারে দেশে এসে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ পেতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর মাছ শিকার করতে পেরে এর পরিধি আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
মাছ শিকার কম হওয়ার ব্যাপারে গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ময়না মিয়া বলেন, দিন বিলের সঙ্গে এলাকার নদী-নালার পানি চলাচল না থাকার কারনে বিলের পানি কমে গেছে। তাছাড়া কচুরিপানাও আছে প্রচুর। এসব কারণে এবার মাছ কম শিকার করতে পেরেছেন শিকারীরা।
৬৮৯ দিন আগে
উৎসব ও শান্তির বার্তায় বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন
বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে বিশ্বের সঙ্গে ২০২৩ সালের বড়দিন ঐতিহ্যগত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করছে। এবারের উৎসব দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষ্য বহন করছে।
বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।
উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে: রঙিন আলোয় সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি এবং ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্রের আনন্দময় শব্দে ভরা বাতাস, বিশেষত গির্জার বিশেষ প্রার্থনার সময়। এই প্রাণবন্ত উদযাপন কেবল বিশ্বাসেরই প্রদর্শন নয়, সম্প্রদায়ের বন্ধনকে শক্তিশালী করার একটি উপায়ও।
আরও পড়ুন: সোমবার বড়দিন
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও পেশাদার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হবে একদল গায়কের পরিবেশনা, যার সমাপ্তিতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্রিসমাস কেক কাটবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে জাপা চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্রিস্টান মিশনের প্রতিফলন ঘটিয়ে অভাবগ্রস্তদের জন্য তার আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ী অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহরুখের ‘ডানকি’ বনাম প্রভাসের ‘সালার’: মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে
৭১১ দিন আগে
ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
ভারতের গ্লোবাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০২৩ এ তিনটি পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘মেঘের কপাট’।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতায় এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ‘মেঘের কপাট’ চলচ্চিত্রের পরিচালক ওয়ালিদ আহমেদ ও প্রযোজক আফরোজা মোমেনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার তিনটি হলো- শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক (বিদেশি চলচ্চিত্র) ও রাজকাপুর পুরস্কার।
তৃতীয়বারের মতো ড্রিমজ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই চলচ্চিত্র উৎসবে সারাবিশ্ব থেকে ৪০০টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অঞ্জন বোস (চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের সত্ত্বাধিকারী), অভিজিৎ ব্যানার্জী (চলচ্চিত্র পরিচালক), সি এস কারনান (বিচারপতি, কলকাতা ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট), জয়দীপ মুখার্জিসহ (অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অব ইন্ডিয়া এবং সম্পাদক, অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরাম) আরও অনেকে।
উৎসবে সারাবিশ্ব থেকে ৭০ জনেরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশ নেন।
কলকাতার মৌলালি যুব কেন্দ্রের স্বামী বিবেকানন্দ অডিটোরিয়ামে ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারতের গ্লোবাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন প্রথম পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত ৪০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকাল ৪টা থেকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ১০ জন পুরস্কারপ্রাপ্ত পেশাদার বিচারক এই ফেস্টিভ্যালে বিচারের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: এল গার্লস স্কোয়াড সিজন-৩
৭৩২ দিন আগে
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
৭৪৫ দিন আগে
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ আনুষ্ঠানিকভাবে বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১ শুরু করেছে।
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় দারাজের মাধ্যমে ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা যুক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে।
দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাচ্ছেন উন্নতমানের ফ্যাশন, বিউটি, হোম ও ডেকোর এবং আরও অনেক আইটেম। কম দামের পাশাপাশি ৬৩ শতাংশ ক্রেতারা উপভোগ করেছেন ফ্রি ডেলিভারির সুবিধা। ১৪ হাজারের বেশি ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এস এম ই) দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেছেন প্রথম ২৪ ঘণ্টায়।
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ারকে মিকেলসেন এই মাইলফলক সম্পর্কে বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা ক্রেতাদের কাছে সম্ভাব্য সর্বোত্তম মূল্য অফার নিশ্চিত করতে চেয়েছি। এটি আমাদের বিক্রেতা ও পার্টনারদের ছাড়া সম্ভব ছিল না। এ ছাড়াও দারাজে আরও অনেক নতুন বিক্রেতা যোগ দিচ্ছেন। দারাজকে ভরসা করার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এবারের ১১.১১-এ ক্রেতাদের অভিভূত সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আশা করি আমরা সারা বছর ক্রেতাদের জন্য সেরা পণ্য, সেরা মূল্য এবং সেরা মান নিশ্চিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতিকে বজায় রাখতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
দারাজ ১১.১১ সেলে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ফ্যাশন পোশাক বিক্রি হয়েছে। এর মাঝে বাংলাদেশি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংখ্যাই বেশি।
১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি গ্রোসারি আইটেম বিক্রি করেছে।
দারাজ জানায়, ক্রেতাদের কাছে সর্বোত্তম মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আকর্ষণীয় ডিল এনছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে ক্রেতারা কেনাকাটা করার সময় অনেক বেশি সাশ্রয় করতে পারেবেন। গ্রাহকরা ৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের ছাড়সহ অতুলনীয় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
২০ লাখ ডিলের সঙ্গে এ বছরের ১১.১১ আগের চেয়ে বড় যেখানে রয়েছে সুলভ মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ।
অবস্থান নির্বিশেষে, দারাজ এই মেগা উৎসব উদযাপনের জন্য নির্বাচিত পণ্যসমূহে বিনামূল্যে ডেলিভারি অফার করছে।
বিকাশ, নগদ, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ-ইবিএল কো-ব্র্যান্ড কার্ড ও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পেমেন্টে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে।
১১.১১-এ আকর্ষণীয় ডিলগুলো ছাড়াও, ক্রেতারা সারা বছর প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সেরা মানের পণ্য উপভোগ করতে পারে। দারাজে আছে প্রতিদিনের কম দামের ডিল থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় ভাউচার এবং ফ্ল্যাশ সেল যা তার ব্যবহারকারীদের জন্য কেনাকাটাকে সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক করে তোলে। এই ধরনের উদ্যোগগুলো ক্রেতাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিতে সঞ্চয় করার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটাকে শোভনীয় অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান আরও হয় উন্নত।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘আমরা আমাদের পার্টনারসমূহ, ক্রেতাগণ এবং অবশ্যই আমাদের টিমের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের প্রশংসনীয় সমর্থনের জন্য যা ১১.১১-কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ সময়ে, আমাদের এ বছরের লক্ষ্য ছিল ক্রেতাদের সঞ্চয় সর্বাধিক করতে সাহায্য করা এবং বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি করা। আমরা চেয়েছি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবেলা করায় তাদের সাহায্য করতে। আমরা সামনে আমাদের ক্রেতাদের আরও বেশি সঞ্চয় ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই সঙ্গে আরও বেশি বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসায়িক বিকাশে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
১১.১১, বছরের সবচেয়ে বড় সেল, চলছে ১১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এখুনি ঘুরে আসুন দারাজে এবং উপভোগ করুন অবিশ্বাস্য ডিল ও অফার।
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
৭৫২ দিন আগে