উৎসব
বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ঢাকার যেখানে পাবেন: বধূ সাজের সেরা গন্তব্য
বিয়ে মানেই একজন নারীর অনন্যা হয়ে ওঠার সাতকাহন। অলঙ্কার ও বস্ত্রের আভরণ অন্দরমহলের দেবীকে যেন উজাড় করে তুলে ধরে সুন্দরের পূজারিদের সামনে। পরিচ্ছেদের আড়ম্বরে যেখানে সম্ভ্রম ও মর্যাদার চিরমুক্তি, সেখানে প্রত্যাশিত দিনটির মধ্যমণি হয়ে থাকে সেই পোশাকটি।
সেই সূত্রে, বাংলা ভূ-খন্ডের কারিগররা যুগ যুগ ধরে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়িকে। সময় বিবর্তনে বিশ্বায়নের প্রভাবে এখন বউ সাজে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বিগত তিন দশকে শুধুমাত্র এই বিয়ের সজ্জাকে ঘিরেই অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে পোশাক শিল্প। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল ফ্যাশনে ভর করে ব্র্যান্ডে রূপ নিয়েছে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চলুন, দেখে নেয়া যাক- বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা কয়েকটি মার্কেট ও ব্র্যান্ড।
বিয়ের শাড়ি ও লেহেঙ্গার জন্য ঢাকার সেরা ১০টি মার্কেট ও ব্র্যান্ড
মিরপুর বেনারসি পল্লী
শাড়ি শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণটি হলো বেনারসি। আর ঢাকার মিরপুরস্থ বেনারসি পল্লীর ঠিকানা আলাদা করে মনে রাখা দরকার হয় না। বহু বছর ধরে অনেকটা পরিপূরক শব্দের মতই যেন লেগে আছে ঢাকাবাসীর মুখে।
মিরপুর ১০-এ অবস্থিত এই মার্কেটের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৫ সাল। বেনারসির পাশাপাশি এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কাতান ও সিল্ক। এখানে সব মিলিয়ে শাড়ির দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০০ টি।
অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে ঢাকাই মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল তাঁত, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক, কাটা শাড়ি, ও জর্জেট। প্রতিটি শাড়িতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। পরিণত রং, হাল্কা ওজন, আর ন্যায্য দামের কারণে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত সবারই ভীড় হয় এখানে। বধূ সাজসজ্জায় শাড়ির জন্য প্রথম পছন্দ মিরপুরের এই বেনারসি পল্লী।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট
মধ্যবিত্ত রাজধানীবাসীর সাধ্যের মধ্যে উপযুক্ত গন্তব্য হচ্ছে ধানমণ্ডির হকার্স মার্কেট। গাউছিয়া মার্কেটের উল্টো পাশে অবস্থিত এই মার্কেটে প্রচুর দোকান থাকায় একসঙ্গে অনেক সংগ্রহ থেকে পছন্দ করা যায়।
ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ির প্রসিদ্ধ দোকান তো আছেই। সেই সঙ্গে মসলিন, নেটশাড়ি, পার্টি শাড়ি, অলগেঞ্জ, পার্টি লেহেঙ্গা, ফ্লোরাল প্রিন্ট, ও টিশ্যুসহ বাহারি রকমের শাড়ি আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। কাতানের মধ্যে রয়েছে মন্থানের কাতান, বেনারসি কাতান, ভেলোর কাতান, ও বেলগা কাতান।
আরও পড়ুন: শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
নিউ মার্কেট
কেনাকাটা যখন বিয়ের জন্য তখন নিউ মার্কেটে অবশ্যই একবার ঘুরে আসা উচিত। আজিমপুরের উত্তরাংশের এই বিশাল মার্কেটটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৯৫৪ সালে।
সেই শুরু থেকেই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের সংগ্রহ থাকার কারণে সবার কাছে এক নামে পরিচিত এই পুরনো মার্কেটটি। আর তাই শুধু শাড়ির জন্যই নয়, বিয়েতে দরকারি যাবতীয় জিনিসপত্রের জন্যও আসতে হবে এখানে।
এখানে কেনাকাটায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্য এবং স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ। বড় বড় শপিং মলের হাজার টাকার পণ্যও মাত্র কয়েকশো টাকাতেই কেনা সম্ভব এখান থেকে। এছাড়া এখানকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী অনেক বছর ধরে কাপড় বিক্রি করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে, এখানে দীর্ঘ মেয়াদী ক্রেতা-বিক্রেতা সুসম্পর্ক দেখা যায়।
বেইলি রোড
দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা শতাধিক শাড়ির দোকান বেইলি রোডকে শাড়ির বিশাল বাজারে পরিণত করেছে। এখানে পরিধেয় যেমন বাহারি, দামটাও তেমন মেলানো মেশানো।
বেইলি রোডের আশপাশ সহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ক্রেতারা আসেন প্রধানত টাঙ্গাইলের তাঁত ও ঢাকাই জামদানির টানে। তবে মিরপুর, কুমিল্লা, ডেমরা, সিরাজগঞ্জ, ও পাবনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তাঁতের শাড়িও এখানে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
এছাড়া দোকানগুলোতে মসলিন, রাজশাহী সিল্ক, টাঙ্গাইলের সিল্ক, মিরপুরের কাতান, পাবনার কাতানের চাহিদাও আছে। জামদানি, বালুচুরি, সুতি, জুট কটন, জুট কাতান এবং হাফ সিল্কও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
বিদেশি শাড়ির মধ্যে দেখা যায় কাঞ্জিভরম, পঞ্চমকলি, শিফন, ক্র্যাফট, জর্জেট, অপেরা কাতান, কাঁঠাল কাতান, আলাপ কাতান, খাদি কাতান, ভোমকা কাতান। হাতের কাজ করা এবং ভেজিটেবল ডাই করা শাড়িও পাওয়া যায় এখানে।
জ্যোতি
১৯৯০ সাল থেকে শুরু হওয়া জ্যোতি মূলত রেডিমেড পরিধান বিক্রি করে থাকে। প্রথমে ভারতীয় শাড়ি, কামিজ এবং বধূ সজ্জার সরঞ্জাম নিয়ে নূর ম্যানশন শোরুমের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের বিয়ের সাজসজ্জায় দোপাট্টা যুক্ত করে।
তাদের বিশেষ পণ্যগুলো হলো বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা, এবং প্রসাধনী। ঢাকা শহর জুড়ে জ্যোতির মোট ১১টি শাখা রয়েছে।
আনজারা
২০১৪ সালে একটি অনলাইন শপ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় আনজারার। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নওরীন ইমান ইরা এবং আবিরুল ইসলাম চৌধুরী। খুব ছোট থেকে ইরার ডিজাইনার হতে চাওয়ার স্বপ্নের ফসল এই আনজারা। আবির সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন এবং বিপণনের কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
তাদের দক্ষতার জায়গা হচ্ছে লেহেঙ্গা, গাউন, শাররা, এবং ঘাররাসহ বিভিন্ন ধরনের বধূর পোশাকে।
আরও পড়ুন: লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ক্যাটস আইয়ের সঙ্গে টুর্যাগ অ্যাক্টিভের অংশীদারিত্ব
আনজারা এখন কেবল ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ নেই। তাদের এখন ঢাকায় তিনটি শাখা, যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে ভিন্ন শৈলীর পোশাক। প্রধান শাখাটি থেকেই মূলত বিয়ের পোশাক বিক্রি করা হয়। আর অন্য দুটিতে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পার্টিতে পরিধানের পোশাক।
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ আনুষ্ঠানিকভাবে বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১ শুরু করেছে।
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় দারাজের মাধ্যমে ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা যুক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে।
দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাচ্ছেন উন্নতমানের ফ্যাশন, বিউটি, হোম ও ডেকোর এবং আরও অনেক আইটেম। কম দামের পাশাপাশি ৬৩ শতাংশ ক্রেতারা উপভোগ করেছেন ফ্রি ডেলিভারির সুবিধা। ১৪ হাজারের বেশি ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এস এম ই) দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেছেন প্রথম ২৪ ঘণ্টায়।
দারাজ গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিয়ারকে মিকেলসেন এই মাইলফলক সম্পর্কে বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমরা ক্রেতাদের কাছে সম্ভাব্য সর্বোত্তম মূল্য অফার নিশ্চিত করতে চেয়েছি। এটি আমাদের বিক্রেতা ও পার্টনারদের ছাড়া সম্ভব ছিল না। এ ছাড়াও দারাজে আরও অনেক নতুন বিক্রেতা যোগ দিচ্ছেন। দারাজকে ভরসা করার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এবারের ১১.১১-এ ক্রেতাদের অভিভূত সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আশা করি আমরা সারা বছর ক্রেতাদের জন্য সেরা পণ্য, সেরা মূল্য এবং সেরা মান নিশ্চিত করার আমাদের প্রতিশ্রুতিকে বজায় রাখতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
দারাজ ১১.১১ সেলে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ফ্যাশন পোশাক বিক্রি হয়েছে। এর মাঝে বাংলাদেশি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংখ্যাই বেশি।
১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি গ্রোসারি আইটেম বিক্রি করেছে।
দারাজ জানায়, ক্রেতাদের কাছে সর্বোত্তম মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্যগুলো পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আকর্ষণীয় ডিল এনছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে ক্রেতারা কেনাকাটা করার সময় অনেক বেশি সাশ্রয় করতে পারেবেন। গ্রাহকরা ৫০ কোটি টাকা মূল্যমানের ছাড়সহ অতুলনীয় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
২০ লাখ ডিলের সঙ্গে এ বছরের ১১.১১ আগের চেয়ে বড় যেখানে রয়েছে সুলভ মূল্যে পণ্য কেনার সুযোগ।
অবস্থান নির্বিশেষে, দারাজ এই মেগা উৎসব উদযাপনের জন্য নির্বাচিত পণ্যসমূহে বিনামূল্যে ডেলিভারি অফার করছে।
বিকাশ, নগদ, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ-ইবিএল কো-ব্র্যান্ড কার্ড ও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পেমেন্টে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দিচ্ছে।
১১.১১-এ আকর্ষণীয় ডিলগুলো ছাড়াও, ক্রেতারা সারা বছর প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সেরা মানের পণ্য উপভোগ করতে পারে। দারাজে আছে প্রতিদিনের কম দামের ডিল থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় ভাউচার এবং ফ্ল্যাশ সেল যা তার ব্যবহারকারীদের জন্য কেনাকাটাকে সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক করে তোলে। এই ধরনের উদ্যোগগুলো ক্রেতাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিতে সঞ্চয় করার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটাকে শোভনীয় অভিজ্ঞতায় রূপান্তরিত করে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান আরও হয় উন্নত।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘আমরা আমাদের পার্টনারসমূহ, ক্রেতাগণ এবং অবশ্যই আমাদের টিমের কাছে কৃতজ্ঞ তাদের প্রশংসনীয় সমর্থনের জন্য যা ১১.১১-কে বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ সময়ে, আমাদের এ বছরের লক্ষ্য ছিল ক্রেতাদের সঞ্চয় সর্বাধিক করতে সাহায্য করা এবং বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি করা। আমরা চেয়েছি জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবেলা করায় তাদের সাহায্য করতে। আমরা সামনে আমাদের ক্রেতাদের আরও বেশি সঞ্চয় ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই সঙ্গে আরও বেশি বিক্রেতাদের তাদের ব্যবসায়িক বিকাশে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
১১.১১, বছরের সবচেয়ে বড় সেল, চলছে ১১ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এখুনি ঘুরে আসুন দারাজে এবং উপভোগ করুন অবিশ্বাস্য ডিল ও অফার।
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
কলম্বোতে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন
শ্রীলংকার কলম্বোতে শুরু হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির ন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশনের মর্যাদাপূর্ণ থারাঙ্গানি থিয়েটারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ হাইকমিশন এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে। যা ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে আসছে আদর-প্রকৃতি জুটির ‘যন্ত্রণা’
এ সময় শ্রীলঙ্কার শতাধিক সিনেমাপ্রেমী প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাংলাদেশি সিনেমার স্বাদ উপভোগ করতে উপস্থিত হন।
থারাঙ্গানি থিয়েটার হলে উপস্থিত হন শ্রীলঙ্কার ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ভীদুরাহ বিক্রমনায়ক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক জি এল পেরিস, সাবেক মন্ত্রী পাটালি চম্পিকা রানাওয়াকা এবং কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার সিনেমার গোল্ডেন স্টার হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত অভিনেত্রী স্বর্ণা মাল্লাওয়ারাচ্চি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উৎসবের কিউরেটর হিসেবে চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক অনোমা রাজাকরুণা প্রদর্শনের আগে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
তার স্বাগত ভাষণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালকদের হাত ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির পুনরুত্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তারা অনেক আন্তর্জাতিক প্রশংসা বয়ে আনছেন।
হাইকমিশনার আরিফুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও জোরদার করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে শ্রীলঙ্কার দর্শকরা প্রদর্শনের জন্য নির্ধারিত সিনেমাগুলোর মর্মার্থ আরও গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবে।
আগামী দুই দিনে, আরও চারটি সমসাময়িক বাংলাদেশি সিনেমা প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্যে ‘রাত জাগা ফুল’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ শনিবার (৭ অক্টোবর) একই ভেন্যুতে যথাক্রমে বিকাল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে এবং ‘দামাল’ ও ‘ন ডরাই’ প্রদর্শিত হবে ৮ অক্টোবর একই সময়ে।
এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিল ও ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতার উপর ভিত্তি করে এবার আবারও আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে টফি’র মিউজিক ভিডিওতে র্যাপার আলী হাসান
ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর পর্দা উঠছে
তরুণ ইউরোপিয়ান ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উৎসব।
‘এ সেলিব্রেশন অব ইউরোপিয়ান অ্যান্ড বাংলাদেশি ইয়ং সিনেমা’- ট্যাগলাইন নিয়ে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আয়োজিত এই উৎসবের প্রধান সহযোগী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা।
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির পরিচালনায় একটি চমকপ্রদ আলোচনা পর্বের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
'চলচ্চিত্রে তারুণ্য'- শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক ও কবি সাজ্জাদ শরীফ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিজ্যুয়াল নৃবিজ্ঞান ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র কর্মী সিমিন ইবনাত ধরিত্রী।
প্যানেল আলোচনায় সাজ্জাদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এমন একটি আনন্দময় সময়ে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমাদের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সমাজের অজানা অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে নতুন ভাষার সন্ধান করছেন। তারা আমাদের সিনেমার বাধাগুলো পরিবর্তন করার জন্য উন্মুখ। এই ধরনের উৎসব আমাদের গাইড করতে এবং সাহায্য করতে পারে।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখনই আমাদের নতুন প্রজন্মের লোকদের জিজ্ঞেস করি, তাদের অধিকাংশই বলে যে তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দেশে তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে উন্নতি করতে পারে। যদি আমাদের সিনেমা আমাদের গল্প বলতে না পারে বা আমাদের জীবন এবং আমাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনুরণিত না হতে পারে, তবে এই সমস্যাটি আমাদের মাঝে থেকেই যাবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গাইড করার জন্য আমাদের বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র প্রশিক্ষক-সহযোগীদের সমর্থন প্রয়োজন।’
সাইমন ইবনাত ধরিত্রী বলেন, তরুণদের জীবনে সিনেমার প্রভাব খুবই প্রবল এবং সিনেমা দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সামাজিক সচেতনতার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনার পর ডাচ চলচ্চিত্র ‘ম্যালি ক্যান ফ্লাই’ প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।
এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এই চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গোয়েথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশসহ সহযোগী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে উৎসব কর্তৃপক্ষ সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে একটি 'মাস্টারক্লাস' আয়োজন করেছিল।
গত শুক্র ও শনিবার পরিচালক সৈয়দা নিগার বানু, চিত্রগ্রাহক অপু রোজারিও এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং পিপলু আর খান ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন।
রবিবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব প্রশিক্ষককে সম্মাননা দের ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
উৎসবের অংশ হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তিনটি বিভাগে সম্মানিত করা হয়। তরুণ পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার তার ‘যাত্রী’ ছবির জন্য সেরা গল্পের পুরস্কার পেয়েছেন এবং ‘আশ্লেষা’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আকিব মাহমুদ।
উৎসবে মেহেদী হাসান জোসেফের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পোস্টার’ সেরা চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং চরকি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান রনি।
২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ডাচ ক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স উৎসবে বিজয়ীদের মোটরসাইকেল প্রদান
রিয়া মানি ট্রান্সফার ক্যাশ রেমিট্যান্স ফেস্টিভ্যালের জন্য মোটরসাইকেল হস্তান্তর করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)।
মঙ্গলবার আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল, সাউথ ও নর্থ জোনের ৯ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রিয়া মানি ট্রান্সফারের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) সুহেল শামসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ফিনটেক ও শরী‘আহ বিষয়ক ওয়েবিনার
বিজয়ীরা হলেন কাপাসিয়া শাখার গ্রাহক মো. সুমন ও আহসান উল্লাহ, ভুলতা শাখার মাসুদ মৃধা, ফার্মগেট শাখার আসমা ইয়াসমিন, মাধবদী শাখার মো. রবিউল ইসলাম, পলাশ শাখার সুমা বেগম, আটিবাজার শাখার হারুন রশিদ, সামসুন্নাহার বেগম। রায়পুরা শাখা ও মেরাদিয়া উপ-শাখার জেসমিন পারভিন।
এই ক্যাম্পেইনটি আগামী ১৪ মে পর্যন্ত চলবে যাতে আইবিবিএল-এর ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে যেকোন দেশ থেকে রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য একজন ব্যক্তি প্রতিদিন একটি মোটরসাইকেল জিততে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসবে ঢল
কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব।
বুধবার ভোর থেকে এ উৎসব শুরু হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ পূর্বপুরুষ ও নিজেদের পাপমোচনের আশায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রমনা ঘাট থেকে রাজারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারব্যাপী এলাকায় গিয়ে এ স্নানে অংশ নেয় লক্ষাধিক নারী ও পুরুষ।
তবে এবারে পূণ্যস্নান বুধবার হওয়ায় পূণ্যার্থীর সংখ্যা দিগুন হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা। স্নান উৎসবে রংপুর বিভাগের সকল জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলার সনাতন ধর্মের মানুষেরাও অংশ নিয়ে থাকে।
স্নান উৎসব নির্বিঘ্নে করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার পাশাপাশি পূণ্যার্থীদের পোষাক পরিবর্তনে বুথসহ অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব শুরু
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবের সময় দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ডে ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে দেখা যায়, উৎসব-পূজা-পার্বণের সময় পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হয়, তখন পণ্যের দাম বাড়ে। উৎসবের সময় যেন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা রাখেন, সে জন্য আমি এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম শিল্প বণিক সমিতিসহ সব ব্যবসায়ী সমিতিকে আহ্বান জানাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাঁরা মজুতদারি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাঁরা পণ্যের দাম কমাবেন, তাঁদের যেন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হয়, প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা হয়। তাহলে দেশে সেই সংস্কৃতি চালু হবে।’
এ সময় ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধি তথা সমগ্র দেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আমাদের দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব, অন্যথায় তা পারব না।’
১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছেন এবং প্রত্যেক ব্যবসায়ীর সমৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের দোসরেরা যদি আবার সুযোগ পায়, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের মতো দেশটাকে জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে। আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে হতো না। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে, এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।’
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা ও তারেকের জন্য, জনগণের জন্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন। পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে বড়দিন উদযাপনে এখন উৎসবের আমেজ। পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় নানা রঙে সাজানো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
রাঙামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল, নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে।
গির্জাগুলোও সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারুকাজ।
এছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যীশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এ উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালিরাও। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে রাঙ্গামাটিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসবের সূচনা করবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করলেও এ বছর করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
আরও পড়ুন: রবিবার শুভ বড়দিন
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। এরমধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা ও রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গির্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লী গুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। রাঙামাটিসহ কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ি সাজেক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখোয়া পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখোয়া ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উদযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের।
অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
খ্রিস্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় জানান, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ রূপে যীশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে। পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জেলা শহরসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন।
দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছে সকলে।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাবান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) ৩য় অধিবেশন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সিআইএফএফ প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, উৎসবটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পরবর্তীতে সময় পরিবর্তন করা হয়।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতদেশের হাজার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করছে, ১০০০ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালককে ইতোমধ্যেই আমরা ইমেইলের মাধ্যমে সিলেকশনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
মেঘ আরও জানান, বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা এইবার অংশগ্রহণ করবে, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় উৎসবের পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আমাদের উৎসবে জমা পড়েছে, আমরা সে সব চলচ্চিত্র সেন্সর করে বাংলাদেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। এই অধিবেশনের আয়োজনটা বড়, এর আগে এশিয়া মহাদেশের কোন চলচ্চিত্র উৎসবে হাজার চলচ্চিত্র সিলেকশন হয়নি। আমরা এই রেকর্ড গড়তে চাই। তাই সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১২১টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো। সিআইএফএফ অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ায় অনুষ্ঠিত উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্র উৎসবের রেকর্ড গড়ে এবং বাংলাদেশে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাবপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করায় ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই উৎসবের মাধ্যমে শতাধিক দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের কাছে পদ্মা সেতু তুলে ধরা হবে। এইবার উৎসবের থিম সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু।
উৎসব পরিচালক জানান, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এইবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পাশাপাশি, মাস্টারক্লাস, ওপেন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাস থেকে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে আট বিভাগে আটটি বিভাগীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নিয়ে স্পেশাল উৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে পরিচিত করতে এবং বিভিন্নি দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে থেকে নিয়মিতো এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে ঢাকা ফেস্টিভাল।
১ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ বিশ্বের ১২১ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো, উৎসর্গ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
ঠাকুরগাঁওয়ে নবান্ন: বাঙালির জীবনের সচ্ছলতার উৎসব
আবহমানকাল থেকেই প্রকৃতির প্রাণধারা বহমান রেখেছে বাঙালির জীবনধারাকে। তাই প্রকৃতির উদার আনুকূল্যে সে যেমন বাঁচে, তেমনি এর রুদ্ররোষেও হয়ে পড়ে বিপন্ন। প্রকৃতি তাকে অপার দাক্ষিণ্যে পূর্ণ করে, আবার আঘাতে আঘাতে করে নিঃস্ব-সর্বশান্ত। তারপরেও মনে হয়, বাঙালির স্বপ্ন-প্রেম, তার বাঁচার ইচ্ছা, তার জীবনধারণ ও জীবনযাপনের সবকিছুই ওই প্রকৃতির দানে প্রাপ্ত। প্রকৃতি ঘনিষ্ঠ যে জীবন ও জীবনের কলরব, তাতেই বাঙালির উৎসব।
অন্যভাবে বলা যায়, প্রকৃতির উৎসবই বাঙালির উৎসব। ঋতুর আনুকুল্যে তার আশ্চর্য প্রণোদনায় এই উৎসব বর্ধিত ও পল্লবিত হয়। প্রকৃতির পালাবদলে তার ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যে চারদিক অপরূপ হয়ে ওঠে। ঋতুভিত্তিক কিংবা প্রকৃতিকেন্দ্রিক উৎসব পার্বনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘নবান্ন’।
আর এই নবান্ন হলো হেমন্তের উৎসব। তাই সমৃদ্ধির ঋতু হেমন্ত যখন আসে বাংলায়, তখন তা নিয়ে আসে ফসলের প্রাচুর্য। গ্রাম বাংলার কুটির থেকে প্রান্তর, পাকা ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে। ফসল তোলার আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে সকলে। হেমন্তে আয়োজন করা হয় প্রাণের উৎসব, জীবনের সচ্ছলতার উৎসব ‘নবান্ন’।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নবান্ন উৎসব শুরু