সূচক
সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচকের বড় পতন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় নাজেহাল অবস্থা বিনিয়োগকারীদের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট, যা চলতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস-৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০-ও কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৭০টি কোম্পানির। ৪৮টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। সবচেয়ে বেহাল দশা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। তালিকাভুক্ত ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টির, ৬৯টিরই দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৭টি কোম্পানির দর পরিবর্তন না হওয়ার বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫টি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। সারা দিনে মোট ৪১৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক দর
ঢাকার পুঁজিবাজারে করুণ দশা ব্যাংক খাতের শেয়ারে। তালিকাভুক্ত ২৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টির শেয়ারের দরবৃদ্ধি এবং আর পাঁচটির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ১৬টি ব্যাংকের। এক দিনের লেনদেনে এই খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
একইভাবে পতনের ছোঁয়া লেগেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। এই খাতে মাত্র একটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত আছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং দাম কমেছে ১৮টি কোম্পানির।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইনস্যুরেন্স খাতেও পতনের ধারা বজায় আছে। ১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ৩টি কোম্পানির সবগুলোরই দাম কমেছে। টেক্সটাইল খাতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টি কোম্পানির। ওষুধশিল্প খাতে ২৪টি কোম্পানির দাম কমেছে, বেড়েছে ৭টির এবং আইটি খাতে ৮টি কোম্পানির দর কমার বিপরীতে দর বেড়েছে মাত্র একটি কোম্পানির।
সামগ্রিকভাবে পাট, প্রকৌশল, খাদ্য ও সিমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধি হলেও এসব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। বিশেষ করে সিমেন্ট খাতে পতনের দিনেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪৭ শতাংশ, কিন্তু তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪টি কোম্পানিরই।
মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
ঢাকার পুঁজিবাজারে ৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১২৫ টাকা, যা দিন শেষে শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩১.৬০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১২৪ টাকা, যা লেনদেন শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩৪.৩০ টাকা।
এছাড়া ৮.৭৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাইডেলবার্গ মেটারিয়ালস। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১০ এপ্রিল কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ২৭৩.৬০ টাকা, যা একদিনের ব্যবধানে বেড়ে ২৯৭.৫০ টাকা হয়েছে।
ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম এক দিনে ৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ৮৫০.৯০ টাকা প্রতিটি শেয়ারের দাম দিন শেষে বেড়ে হয়েছে ৯১৪.১০ টাকা।
শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় পঞ্চমে থাকা মুন্নু অ্যাগ্রোর দাম বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে ৩২০ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২.১০ টাকা।
পতনে শীর্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান
ডিএসইতে পতনে শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে ৯.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে প্রথমে উঠে এসেছে আল-হ্বাজ টেক্সটাইল মিলস। ১৪১.৪০ টাকার লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম দিন শেষে কমে হয়েছে ১২৮.৬০ টাকা।
ব্যাংক খাতের মধ্যে ৯.৫৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়া সিরামিক খাতে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম কমেছে ৮.১৪ শতাংশ।
আর্থিক খাতে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের দাম কমেছে ৭.৫০ শতাংশ এবং ৫.৯১ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের পঞ্চমে আছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। এছাড়া ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসইতে। সারা দিনে সিএসইতে মোট ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। এক দিনে সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ১১.১৬ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৪.২০ টাকা, যা সারা দিনের লেনদেন শেষে কমে ২১.৫০ টাকায় নেমেছে।
৪ দিন আগে
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
ঈদের লম্বা ছুটির পর দেশের পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় লেনদেন। টানা সূচক কমে সপ্তাহের শেষ দুই দিনে তা কিছুটা বাড়লেও সপ্তাহজুড়ে অস্বস্তিতেই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এর মধ্যেও শেয়ার বিক্রিতে মোটেও ভাটা পড়েনি।
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট। ছুটি শেষে ৫২১৯ পয়েন্ট নিয়ে শুরু করা সূচক বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ৫২০৫ পয়েন্টে ঠেকেছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি মধ্যম ও ক্ষুদ্র কোম্পানির এসএমই সূচকেও মুখ থুবড়ে পড়েছে ঢাকার বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসএমইএক্স কমেছে ২৫ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে এই খাতে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অবশেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান, ঈদের পর সর্বোচ্চ লেনদেন
অবশ্য ডিএসইর বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ পতনের ধারা থেকে নিজেদের ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইএস বেড়েছে ৪ এবং ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমছে। ১৪১টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৩৫টি কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের পর দাম অপরিবর্তিত আছে মাত্র ১৯টি কোম্পানির।
সূচক হারালেও ঢাকার বাজারে বেড়েছে লেনদেন। সাপ্তাহিক গড় লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে ৪৮৭ কোটি টাকা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪০৬ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৯ শতাংশের বেশি।
ঢাকার পুঁজিবাজারে ব্যাংকখাতে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩টি ব্যাংকের। এর বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টি কোম্পানির।
সপ্তাহ শেষে এ খাতে সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট এবং লেনদেন বেড়েছে ৫ শতাংশ। তবে মোট রিটার্ন কমেছে ১.৭৫ শতাংশ।
অন্যান্য খাতে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে সিমেন্ট এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। সিমেন্ট খাতে সর্বোচ্চ ৬.৯ শতাংশ এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ৬.৫৫ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
ডিএসইতে সবচেয়ে কম রিটার্ন এসেছে টেক্সটাইল খাতে। এ খাতে ৪.৭৫ শতাংশ রিটার্ন কম এসেছে। এছাড়া কাগজ শিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, চামড়া শিল্প, সাধারণ বীমা, টেলিকম ও আইটি খাতেও রিটার্ন ছিল নেতিবাচক।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে। সারা সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। শেয়ারের দামও বেড়েছে ৫.১০ শতাংশ।
ব্লক মার্কেটে সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ব্যাংক এশিয়া। কোম্পানিটি এক সপ্তাহে মোট ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষ দিনে ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
চট্টগ্রামের হালচাল
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। পুরো সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। ছুটির আগের সপ্তাহে যেখানে চট্টগ্রামের বাজারে মোট লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা, গত সপ্তাহে এসে তা কমে হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৬৫টি কোম্পানির। অন্যদিকে দর বেড়েছে ১৩১টি কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ২২ কোম্পানির।
চট্টগ্রামের বাজারে শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় আছে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা।
অন্যদিকে, এই বাজারে তলানিতে আছে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড। এক সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির দাম কমেছে ১৮.৫১ টাকা।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একদিকে ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে এশিয়ার শেয়ারবাজারে ধস, অন্যদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস—পুরোটাই দেশের পুঁজিবাজারে কম-বেশি প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধি
তবে বর্তমানে দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় এবং সিংহভাগ দেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের শুল্কনীতি প্রশমনের সিদ্ধান্তের পর আগামী সপ্তাহ দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে পারে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৫ দিন আগে
কোনোভাবেই পতন থামছে না পুঁজিবাজারে
ঈদের ছুটির পর নতুন উদ্যোমে লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঘটেছে ঠিক বিপরীত। টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ১৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীত দর কমেছে ১৯৪ কোম্পানির, অপরিবর্তিত আছে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে বি এবং জেড ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দরবৃদ্ধির তালিকায় এগিয়ে আছে এ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরিভুক্ত ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০ কোম্পানির, কমেছে ৯৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে গতদিন মুখ থুবড়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড। ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমলেও টানা তিনদিনই লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে। সারাদিনে মোট ৪৮৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৬৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: উত্থানে শুরু হলেও পতনে শেষ পুঁজিবাজারের লেনদেন
৯.৯৩ শতাংশ দাম বেড়ে দিনের শীর্ষ কোম্পানিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। ১১৯.৩০ টাকায় লেনদেন শুরু করে দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১৩০.৬০ টাকা। অন্যদিকে ৭.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে ঢাকার বাজারে তলানিতে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স। ২৫.২০ টাকা শেয়ারপ্রতি লেনদেন শুরু করে দিন শেষে দর নেমেছে ২৩.২০ টাকায়।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও পতন হয়েছে সূচকের। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে দর নেমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৩৮ কোম্পানির মধ্যে ৯২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১২ কোম্পানি। ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
পতনের ধারায় লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এইচ.আর. টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
৯ দিন আগে
পাসপোর্ট সূচকে একধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৮২তম, যা ২০২৫ সালে এক ধাপ এগিয়ে ১৮১তম হয়েছে। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও পাসপোর্টের বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করেছে দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, করব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা—এই পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮।
বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৫০ দেশে ভিসামুক্ত, অন অ্যারাইভাল ভিসা কিংবা ই-ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণ করা যাবে।
নোমাডের হিসাবে বৈশ্বিক ধারণা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩০। যেসকল দেশের এই সূচকে স্কোর ৫০ এর নিচে তারা বিশ্বের কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেই দেশের মানুষ তাদেরকে ভালোভাবে গ্রহণ করেন না, আতিথেয়তার বদলে বিদ্বেষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
বাংলাদেশের স্কোর ৩০ হওয়ায় দেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না বলে নোমাডের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
নোমাডের ব্যক্তিস্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের স্কোর ১০, যা সর্বনিম্ন ব্যক্তি স্বাধীনতা হিসেবে ধরা হয়। ১০-৫০ সূচকের মধ্যে যাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার স্কোর ১০-২০, তারা নাগরিক হিসাবে নূন্যতম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট
নোমাডের প্রতিবেদনে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসাবে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ডের নাম। দেশটির পাসপোর্টের স্কোর ১০৯। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৭৬ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
পাসপোর্টে শক্তিমত্তায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড এবং গ্রিস। এই দুই দেশের পাসপোর্টের স্কোর ১০৮.৫। এ দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৭৫ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষ চারে আছে পর্তুগাল এবং শীর্ষ পাঁচে আছে যৌথভাবে মাল্টা এবং ইতালি।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় দেশটির অবস্থান ১০৪। মালদ্বীপের স্কোর ৬৫.৫। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ১০১ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ অঞ্চলে সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট আফগানিস্তানের। নোমাডের তালিকায় বৈশ্বিক সূচকেও দেশটির পাসপোর্ট সবচেয়ে দুর্বল। সূচকে ১৯৯তম স্থানে আফগানিস্তানের স্কোর ২৭।
আফগানিস্তানের পরেই দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট পাকিস্তানের। শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে দেশটির র্যাংক ১৯৫, যা নোমাডের তালিকায় দুর্বল পাসপোর্টের শীর্ষ পাঁচ। পাসপোর্টে পাকিস্তানের স্কোর ৩২।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান এবং বাংলাদেশের পরে ১৮০তম স্থানে আছে নেপালের পাসপোর্ট। পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে নেপালের স্কোর ৩৯.৫।
আরও পড়ুন: অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে ভারতের অবস্থান ১৪৮ এবং স্কোর ৪৭ দশমিক ৫। এ দেশের পাসপোর্টধারীরা ৭৫ দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে ১৬৮তম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির পাসপোর্টের স্কোর ৪৩.৫।
অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে এ অঞ্চলে দ্বিতীয় শক্তিশালী পাসপোর্ট ভূটানের। পাসপোর্টের শক্তিমত্তার সূচকে ভূটানের অবস্থান ১৪০তম এবং স্কোর ৪৯।
১২ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পতনে ডিএসই হারিয়েছে সবকটি সূচক
সপ্তাহ ভালো কাটেনি ঢাকার পুঁজিবাজারে, টানা পতনে কমেছে সবকটি সূচক। সূচকের পতনের পাশাপাশি সারা সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
৫২২৫ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন সপ্তাহ শেষে এসে ঠেকেছে ৫২০১ পয়েন্টে।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৭ পয়েন্ট।
বেহাল দশা ছোট এবং মাঝারি আকারের কোম্পানিতেই। ডিএসই'র এসএমই সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের লেনদেনে এ খাত ১.৬৩% সূচক হারিয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। সারা সপ্তাহে ১৪৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৭ কোম্পানির। দর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮ কোম্পানির এবং ১৮ কোম্পানি অংশ নেয়নি লেনদেনে।
সপ্তাহের শুরু থেকে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ধুম লেগে যায়। এতে করে আদতে লেনদেন বাড়লেও বাড়েনি শেয়ারের সামগ্রিক দাম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসের গড় লেনদেন ছিল ৪৭৮ কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেশি।
তবে গড় লেনদেন বাড়লেও বাজার থেকে কমেছে মোট মূলধনের পরিমাণ। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর দেয়া তথ্য অনুসারে, অনেক বিনিয়োগকারীই তলি তল্পা গুটিয়ে বাজার ছেড়েছেন। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
ডিএসই'র সাপ্তাহিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩৩৩ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক, আইটি, লাইফ ইনস্যুরেন্স, টেক্সটাইল, সাধারণ বীমা, ট্যানারি, টেলিকম এবং পাটখাতে রিটার্ন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড, সিরামিক, রিয়েল স্টেট, কাগজশিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট বন্ড, প্রকৌশল, জ্বালানি এবং ঔষধশিল্পে ভালো রিটার্ন এসেছে। এদের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয়ে আছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস পিএলসি। সাপ্তাহিক হিসাবে কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মারিকোর শেয়ার। মারিকোর পরেই শেয়ার বিক্রিতে এগিয়ে আছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া, বিচ হ্যাচারি এবং খান ব্রাদার্স।
সারা সপ্তাহে লেনদেনে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। ৪৭ টাকায় লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহ শেষে হয়েছে ৬২ টাকা।
অন্যদিকে সাপ্তাহিক লেনদেনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৬৫ টাকায় শেয়ারপ্রতি লেনদেনে সপ্তাহ শেষে কমে হয়েছে ৫৬ টাকা।
পুঁজিবাজারে বেহাল দশা কাটিয়ে উঠতে গত সপ্তাহে সোমবার (১৭ মার্চ) পুঁজিবাজার উন্নয়নে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অধিকতর শক্তিশালীকরণ এবং সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য কমিটি কাজ করবে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাস্কফোর্স এবং কমিটি উভয়কেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর নইলে সভা করে বাজারে চলমান সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বজায় ছিল সূচকের পতনের ধারা। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। ১৪৫৭৬ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শুরু হলেও সপ্তাহান্তে সূচক দাঁড়িয়েছে ১৪৫৫৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৪, কমেছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ তালিকায় আছে উত্তরা ব্যাংক, ফাইন ফুডস, রবি, ফু-ওয়ান সিরামিক এবং শাইনপুকুরের শেয়ার।
আরও পড়ুন: আবারও সূচক কমলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে এসেছে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে।
এছাড়া ভালো অবস্থানে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল, সেমি লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট এবং এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষে উঠে এসেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহ ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৫ টাকা। ডিএসই'র মতো সিএসইতেও ধস নেমেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজে। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে আলিফের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ১৪ টাকা।
২৬ দিন আগে
আবারও সূচক কমলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
২৯ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার সূচকের পতনের ধারা কাটিয়ে উত্থানের মুখ দেখলেও দুই বাজারেই কমেছে মোট শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনের পরিমাণ। তবে লেনদেন কমলেও দুই বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ এর সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
গতদিন ডিএসই'র লেনদেন ৫০৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন এসে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৬, কমেছে ১৫৬ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও, দাম কমেছে জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির।
জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৩৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টিরই দাম বেড়েছে। বাকি কোম্পানির মধ্যে অপরিবর্তিত ৩ এবং দাম কমেছে একটির।
ব্লক মার্কেটে ২০ কোম্পানির শেয়ার ৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও সূচকের উত্থান
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২০৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি।
৩০ দিন আগে
টানা পতনে ঢাকার বাজার, সূচক কমলো চট্টগ্রামেও
টানা দুই দিন পতনের মুখে পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক। অন্যদিকে প্রথম কার্যদিবসে উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিনে পতন হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে সিংহভাগের। ৯৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২২১ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির।
‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৭ কোম্পানির ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড সর্বোচ্চ ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
প্রথম ঘণ্টার পর দর কমতে শুরু করলে ডিএসইতে রীতিমতো শেয়ার বিক্রির ধুম নামে। এতে করে বাজার আরও পয়েন্ট হারিয়েছে। সূচক কমলেও শেয়ার বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে ঢাকার বাজারে।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৫০৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতদিন ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৪৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সোমবার ডিএসইর শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং সাড়ে ৪ শতাংশের ওপর দাম হারিয়ে তলানিতে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯৯, বেড়েছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের জায়গা করে নিয়েছে আইসিবি এএমসিএল থার্ড মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সমরিতা হাসপাতাল।
৩১ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকায় সূচকের পতন, চট্টগ্রামে উত্থান
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে। একইভাবে ঢাকায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দাম বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস ১ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩, কমেছে ১৯০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ৪০ কোম্পানির ১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরা ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৪৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
অন্যদিকে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড।
চট্টগ্রামে উত্থান
ডিএসইতে পতন হলেও সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্টে।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। মোট ১৮১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
রোববার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক এবং ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
৩২ দিন আগে
সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সারাদিনের লেনদেনে বেড়েছে সূচক। গত দুই দিনের উত্থানের ধারা বজায় রেখে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানি ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
ঢাকার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়ে গেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা, যা এ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। গতদিনের ৪১২ কোটি টাকার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৫২ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯১, কমেছে ১৪০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে দরবৃদ্ধি এবং দরপতনের কোম্পানির সংখ্যা সমান সমান।
জেড ক্যাটাগরির মোট ৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছ ৩৯, কমেছে ৩৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরেই দাম ছিল অপরিবর্তিত। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৩ এবং কমেছে ৫ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
ব্লক মার্কেটে ৩৯ কোম্পানির ৩৭ লাখ শেয়ার ১৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮, কমেছে ৬৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনের মোট ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে হামি ইন্ডাস্ট্রিস পিএলসি এবং ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম পিএলসি।
৩৬ দিন আগে