ঘন কুয়াশা
জবুথবু লালমনিরহাটের মানুষ
ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট। দুদিন আগে ঝলমলে রোদ ছিল। রবিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করছে এ জনপদে।
মহাসড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। ঘন কুয়াশা থাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ২ নৌরুটে চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে ৪ ফেরি
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগেও ছিল ভ্যাপসা গরম। আর এখন প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন। এরপর শীত আরও বাড়বে, ভোরে কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে ঠান্ডার প্রভাব বাড়বে।
কালীগঞ্জ দুহুলী এলাকায় রিকশাচালক নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘দুদিন ধরে পরিষ্কার রোদ ছিল আর রবিবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা সব। পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।’
কাকিনা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালাচ্ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষে ঠান্ডা আরও বাড়বে।’
লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসের জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, ‘প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রাম
৮ ঘণ্টা আগে
৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এদিকে, দুই ঘণ্টা বন্ধের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকে পড়া ফেরিগুলোও ঘাটে পৌঁছেছে। ঘাটে আটকে পড়া যানবাহনগুলো পারাপার শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, ঘন কুয়াশায় রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকে পড়ে হাসনা হেনা ও কেরামত আলী নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৬টি ও দৌলতদিয়াঘাটে ২টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহনবোঝাই করে আটকে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
এছাড়া ঘন কুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝ নদীতে যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় খান জাহান আলী নামে একটি ফেরি। এছাড়া আরিচাঘাটে আরও তিনটি ও কাজিরহাট ঘাটে একটি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কমে যাওয়ায় সকাল সাড়ে ৮টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় এবং সকার ৯টায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় চারটি ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনগুলো পারাপার শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ২ নৌরুটে চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে ৪ ফেরি
৮ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশায় ২ নৌরুটে চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশায় মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকে আছে চারটি ফেরি। চার ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশায় বুধবার(১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় মাঝ নদীতে আটকে পড়ে শাহপরান ও এনায়েতপুরী নামে দুইটি ফেরি।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে আরেক নৌরুট আরিচা-কাজিরহাটে রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মাঝ নদীতে যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় হামিদুর রহমান ও কৃষাণী নামে দুইটি ফেরি।
আরও পড়ুন: আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ
এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৪টি ও দৌলতদিয়াঘাটে ৬টি ফেরি এবং আরিচাঘাটে যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই আরও চারটি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে বলেও জানান ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মধ্য রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চারটি ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাকীগুলো যাত্রীবাহী বাস। এছাড়াও প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস রয়েছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ হয়ে পড়ায় ঘাটগুলোতে আটকে পড়া যাত্রীরা কনকনে শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন। নদী পার হতে আসা বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীরাও আটকে পড়েছেন।
আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, ঘন কুয়াশা প্রাকৃতিক বিষয়। কুয়াশা না কেটে যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চালানো সম্ভব হবে না। ফেরিতে উচ্চ মাত্রা ফগ লাইট লাগানো থাকলেও সেগুলো কাজে আসছে না বলেও জানান কর্তৃপক্ষ।
কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুয়াশায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চালু
১ সপ্তাহ আগে
ঘন কুয়াশা চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রাম
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। চার দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে শুরু করেছে কুয়াশা পড়া। রাতভর বৃষ্টির মতো টপ টপ করে শিশির পড়ছে।
কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিশেষ করে শীতে বিপাকে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ও চরবাসী। এছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস। খেটে খাওয়া মানুষ সময় মতো কাজে যেতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
হাসপাতালেও বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যে মতে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাগেশ্বরীর কেদার ইউনিয়নের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম জানান, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় মাঠে কাজ করা খুব কঠিন হয়েছে। কাজ করার সময় হাত-পা ঠান্ডায় জমে আসে।
অটোরিকশা চালক আশরাফুল হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে খুব ধীর গতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যায় না।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ মাসে তাপমাত্রা কমে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতকাল শুরু, দিন-রাতে বাড়বে আরও ঠান্ডা
২ সপ্তাহ আগে
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা।
শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। অপর দিকে, শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৪০৫টি চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষগুলো।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহের রুহুল আমিন (৪০)বলেন, ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
ওই এলাকার দিনমজুর আবু বক্কর (৫২)বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
৪ সপ্তাহ আগে
পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে আগেই শীত পড়ে। এবার একটু দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কদিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে।
ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় কিছু কিছু গাড়িচালককে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে।
ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীত পড়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, ‘আইজ ঠান্ডা লাগেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না, ভাড়া নাই বসে আছি।’
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।’
১ মাস আগে
৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানানো হয়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিকে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
অন্যদিকে, গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বইছে মৃদু-মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ: বিএমডি
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার ২টি ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে দুইটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ফ্লাইট দুইটি সিলেটে অবতরণ করে। এরমধ্যে একটি এসেছিল কাতারের দোহা থেকে ও অপরটি চীনের গুয়াংজু থেকে।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন লিমন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চীনের গুয়াংজু ও কাতারের দোহা থেকে ছেড়ে আসা দুইটি ফ্লাইট নির্ধারিত গন্তব্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। তাই ফ্লাইট দুইটি ডাইভার্ট হয়ে ওসমানীতে অবতরণ করে।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে গুয়াংজু থেকে আসা ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর দোহা থেকে আসা ফ্লাইট সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ওসমানীতে অবতরণ করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় দুবাই প্যাকেজ ঘোষণা
১১ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ৭টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নদী পার করতে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও জানান, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও করবি নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
১১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ৬ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে কুড়িগ্রামে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালাচ্ছেন।
এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সারাদিন আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ছয় দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
আদর্শ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ সাত, আট দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ায় বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কম। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি।
১১ মাস আগে