ঘন কুয়াশা
পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে আগেই শীত পড়ে। এবার একটু দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কদিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে।
ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় কিছু কিছু গাড়িচালককে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে।
ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীত পড়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, ‘আইজ ঠান্ডা লাগেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না, ভাড়া নাই বসে আছি।’
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।’
৫ দিন আগে
৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানানো হয়।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিকে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
অন্যদিকে, গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বইছে মৃদু-মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ: বিএমডি
৯ মাস আগে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার ২টি ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে দুইটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ফ্লাইট দুইটি সিলেটে অবতরণ করে। এরমধ্যে একটি এসেছিল কাতারের দোহা থেকে ও অপরটি চীনের গুয়াংজু থেকে।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন লিমন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চীনের গুয়াংজু ও কাতারের দোহা থেকে ছেড়ে আসা দুইটি ফ্লাইট নির্ধারিত গন্তব্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। তাই ফ্লাইট দুইটি ডাইভার্ট হয়ে ওসমানীতে অবতরণ করে।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে গুয়াংজু থেকে আসা ফ্লাইট ওসমানীতে অবতরণ করে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর দোহা থেকে আসা ফ্লাইট সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ওসমানীতে অবতরণ করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় দুবাই প্যাকেজ ঘোষণা
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ৭টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নদী পার করতে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও জানান, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও করবি নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ৬ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে কুড়িগ্রামে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা-শীতে কাবু চাঁদপুর, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালাচ্ছেন।
এছাড়া কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সারাদিন আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ছয় দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা, চলতি মাসে ২ শিশুর মৃত্যু
আদর্শ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ সাত, আট দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ায় বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কম। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি-কাশি।
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
সিরাজগঞ্জে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে গরিব, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাসহ দিনমজুর পরিবারগুলো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে ও আবহাওয়া অফিসে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে এবং শুক্রবার ভোররাত থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে। কুয়াশায় দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি।
গত কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শীতের তীব্রতার প্রভাব বেড়েছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচলসহ দূরপাল্লার অধিকাংশ যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে জেলা ও উপজেলার শহরসহ বিভিন্ন স্থানে কম জনসমাগম ঘটছে। তবে শীত নিবারণে বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঠান্ডাজনিত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে
খেটে খাওয়া মানুষদের শীতবস্ত্রের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
এদিকে, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে দুপুরে কুয়াশা কিছুটা কমে যাওয়ায় যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক না হলেও গতি কিছুটা বেড়েছে।
জেলায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জান বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার সবকয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে ইতোমধ্যেই বিতরণ শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এই কম্বলের আরো চাহিদার বিষয় জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও শীতে দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন।
গত মঙ্গলবার থেকে জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। দিন ও রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা।
শুক্রবার (১২জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, ঠান্ডার প্রকোপে কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
শীতের রোগীর কারণে বাড়তি চাপ সামলাতে দেখা যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি ২ দিন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭ জনসহ শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে মোট ৬২ জন ও ডায়রিয়া বিভাগে নতুন ৩১ জনসহ মোট ৫৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
শিশু বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া অভিভাবক মো. ফরিদ শেখ বলেন, ‘আমার দেড় বছরের বাচ্চাটা গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে সর্দি বের হচ্ছে ও বমি করছে। সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম, চিকিৎসা চলছে।’
আরেক অভিভাবক লিপি বেগম বলেন, ‘গতকাল বিকালে হাসপাতালে আসছি। ঠান্ডার কারণে বাচ্চাটার জ্বর-সর্দি । কয়েকদিন থেকে ঠাণ্ডার প্রকোপ একটু বেশি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মোছা. জুলেখা বেগম বলেন, ‘গত ৩ দিনে হাসপাতালের শিশু বিভাগে আর ডায়রিয়া ওর্য়াডে নতুন অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। ঠান্ডার কারণে রোগ বাড়ায় আমাদের প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে হওয়ায় এখানে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ।’
সরকারিভাবে ১ মাস আগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে জানান সাধারণ মানুষ। তারা গরম পোশাকের অভাবে সড়কের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ঘন কুয়াশার এ দাপট আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। যার ফলে সূর্যের দেখা পাওয়া কষ্টকর হবে। আগামী সপ্তাহে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় ৪২ হাজারের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে কোনো মজুত নেই। আমরা ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ৪টি ফেরি।
এছাড়া, পাটুরিয়ায় ৮টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ২টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পারাপারের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত ৩টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় লঞ্চে কার্গো জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ ১
তিনি আরও বলেন, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে হামিদুর রহমান, বনলতা, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও হাসনা হেনা নামে ৪টি ফেরি। এছাড়া আরও ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছে অর্ধ শত যাত্রীবাহী বাস ও ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পাড়ছেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া এলাকার হাফিজুদ্দি বলেন, ‘ঠাণ্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা-পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। মানুষ একটা জ্যাকেট দিছে সেটা দিয়ে একটু ঠাণ্ডা কমেছে।’
একই এলাকার মান্নান মিয়া বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠাণ্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাস কাবু করে ফেলছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে আসা ইউএস বাংলার এই ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর ৫০ মিনিট পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক রাগীব রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছিল। তিন ঘণ্টা পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফ্লাইটগুলো ঢাকার দিকে যাত্রা করে।
এর আগে ২ জানুয়ারি একই কারণে ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে পাঁচটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ জুন
ওই দিন রাত থেকে বিমানের এসব ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল। পরে ৩ জানুয়ারি সকালের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনটি ফ্লাইট ফিরে গেলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুটি উড়োজাহাজ আটকা পড়েছিল।
পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সেগুলোও ঢাকা অভিমুখে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
১০ মাস আগে