তীব্র শীত
ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। সকালে ও সন্ধ্যার পর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনই বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। নর্থ সার্কুলার রোডে কাপড়ের দোকান ও মার্কেট থাকায় সেখানে মানুষের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমতো শীতের কাপড় কিনতে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে অন্যান্য বছর ভ্রাম্যমাণ হকার্স মার্কেট বসলেও এবার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় করছে।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। প্রতিদিনই নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার পারদ।
এদিকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
আর রবিবার (৮ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন থেকে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা আরও কমবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর একটু আগেই শীত পড়া শুরু করে এ জেলায়। এরপর থেকে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
এর আগে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘সোমবার আকাশে কুয়াশা রয়েছে ও নিম্নচাপের কারণে আকাশ মেঘলা। আগামীকালও এরকম থাকতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবার সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমবে।’
তীব্র শীতের আভাসে দিনমজুর আব্বাস মিয়া বলেন, এই অগ্রহায়ণে এত শীত, তাহলে পৌষ ও মাঘ মাসে তীব্র শীত পড়বে। আমরা তো কোনো কাজ করতে পারব না। সংসার চালাব কীভাবে? এখনই চিন্তা হচ্ছে।
রিকশাচালক লিয়াকত বলেন, প্রচণ্ড শীতে কোনো যাত্রীই পাব না। আবার কোনো জনপ্রতিনিধিও এখন নেই। খুব চিন্তায় আছি।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়, যা গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আর গত শীতে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
১ সপ্তাহ আগে
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির নিচে নামায় চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯২ শতাংশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি আর উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিনে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমিন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই। কিন্তু আজ একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসতো আছে।’
ঈমান আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আজ ভোরে কাজে যেতে পারিনি, শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি। আল্লাহ ভরসা।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আর এক-দু’দিন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
১০ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বেশ কিছুদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও কুয়াশা পড়ার কারণে বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমছে। এই পানির কারণে চারা তুলনামূলকভাবে বড় হচ্ছে না।
বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকেরা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু কিছু স্থানে বীজতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। এ অবস্থায় জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা, ভাসমান- তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে স্থান, জমি তৈরি, শেড তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের।’
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনো বীজ একটানা কত ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোন জায়গায় রাখতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রুণ জাগরিত বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।’
সদর উপজেলার রুহিয়া রামনাথ এলাকার কৃষক সুধির রায় জানান, প্রত্যেক বছর তিনি কমপক্ষে দেড় একর (১৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগান। এ বছরও তিনি বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু তীব্র শীতে বেশিরভাগ চারা গাছ মারা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপে চারাগুলো বড়ো হচ্ছে না বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে চারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান গ্রামের কৃষক সামশুল হক জানান, প্রত্যেক বছর তিনি প্রায় সোয়া দুই একর (২২৫ শতক) জমিতে বোরো ধান চাষ করে থাকেন। এ বছরও বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু করবেন। আপাতত বোরো ধানের বীজতলা করেছেন, শীতের জন্য তিনিও সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বোরো ধানের আবাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০ হেক্টর জমির। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
তিনি জানান, গত বছরে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে বেশ কিছু এলাকায় সামান্য কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার ক্ষতির খবর পাওয়া গেলেও, সেটি বড় সমস্যা নয়।
জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মতো বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
১০ মাস আগে
তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতের কারণে আজ (২১ জানুয়ারি) ও আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২১ জানুয়ারি রাজশাহীর সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী। সন্ধ্যায় রাজশাহী শিক্ষা কর্মকর্তারা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ২১ ও ২২ জানুয়ারি রাজশাহী জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে। ফলে এ দুইদিন রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, রবিবার একদিনের জন্য পাঠদান বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তবে অফিস খোলা থাকবে।
রবিবার আবহাওয়া দেখে আবারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে একদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার কুয়াশার মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে কুয়াশা কেটে গিয়ে তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। শনিবার আবার ঘন কুয়াশা পড়েছে। ফলে তাপমাত্রাও কমে গেছে। পুরো জানুয়ারিজুড়েই এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নয়, টিকায় জোর দেয়া হচ্ছে: দীপু মনি
১১ মাস আগে
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না দুইদিন ধরে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদি পশুর। শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা।
আরও পড়ুন: শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
জেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
এদিকে লালমনিরহাটে ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগ। যেমন- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াম, হাঁপানি, অ্যাজমা, হৃদরোগসহ নানা রোগ। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে- বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার যা ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় সন্ধ্যায় তাপমাত্রা আরও কমে যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পরে আরও বেশি শীত অনুভূত হয়।
১১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পাড়ছেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া এলাকার হাফিজুদ্দি বলেন, ‘ঠাণ্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা-পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। মানুষ একটা জ্যাকেট দিছে সেটা দিয়ে একটু ঠাণ্ডা কমেছে।’
একই এলাকার মান্নান মিয়া বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠাণ্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাস কাবু করে ফেলছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি, তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
১১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ
ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানকার জনপদ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ভোর থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে জেলার ট্রেন ও নৌ চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। দেরি করে ছাড়ছে এসব যানবাহন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ: দুর্ভোগে ছিন্নমূল মানুষ
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শেষের কয়েকটি দিন ও বছরের শুরুতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকে ও বছরের শুরুতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি তীব্রতায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাবলু মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে অত্যধিক কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবেও এখনও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি।
একই এলাকার পাশ্ববর্তী গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্চা, বীজতলা তৈরীসহ নানা ধরণের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
এছাড়া সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। তবে শীত মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আসন্ন শীতে জেলার গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত এসব কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান ব্যবস্থাপনা শাখা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
শীতের প্রকোপে সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগী বাড়ছে
১ বছর আগে
তীব্র শীতে কম্বল সংকটে ভুগছেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের কয়েদীরা
তীব্র শীতে গরম কম্বল ছাড়াই কাটাতে হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের নারী ও শিশুসহ ৯০০ কয়েদীকে।
৪ বছর আগে
ফরিদপুরে তীব্র শীতে কর্মহীন সময় পার করছেন দিনমজুরেরা
ফরিদপুরে গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমছে। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারণে কর্মহীন অবস্থায় দিন পার করছেন তারা।
৪ বছর আগে