টি-২০
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়
অ্যাডিলেডে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার-১২ এর রবিবারের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চমকে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচটিতে নেদারল্যান্ডসের জয়ের কারণে গ্রুপ-২ এর পরবর্তী বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলায় যে জিতবে সে দল সেমিফাইনালে যাবে।
সকাল ১০টার খেলায় জয়ী দল ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনালে লড়াই করবে। এদিকে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।
ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে তারা করে ১৫৮ রান। জবাবে ৮ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৫ রান করে হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
কলিন অ্যাকারম্যানের ২৬ বলে ৪১ রানের জন্য তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। তার দুর্দান্ত এই খেলা ডাচদের জয়ে বড় অবদান রেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হত। তবে এই ম্যাচে হারের কারণে তাদের পয়েন্ট পাঁচেই থেকে গেছে। যেহেতু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় দলের চার পয়েন্ট করে রয়েছে তাই যে জিতবে সে দলই সেমিফাইনালে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান লাইভ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: আইরিশদের হারিয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে কিউইরা
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ রানে জয় পেল ভারত
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: প্রথম ২ বলে ২ উইকেট তাসকিনের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথমে বাঁহাতি ব্যাটারর বিক্রমজিত সিংকে পরের বলে ডানহাতি বাস ডি লিডে তুলে নিয়ে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
এর আগে নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে দুই চার ও দুই ছয়ে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া ওপেনার নাজমুল শান্ত ২০ বলে ২৫ রান করেন।
ডাচদের হয়ে পল ভ্যান মিকারেন ও ডি লিডে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনারদের ভালো শুরুর পরও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান করে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে পল ভ্যান মিকেরেন বোল্ড হয়ে ১৪ বলে ১৪ রান করা সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ।এরপর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ভালো খেলতে থাকা শান্তকেও (২০ বলে ২৫) হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন লিটন। ভ্যান বিনের একটি শর্ট বলে অফে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন।
শারিজ আহমেদের শিকার হয়েছেন সাকিব। বাঁ-হাতি ব্যাটার বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও ডি লিড ডিপ মিডউইকেটে বাউন্ডারিতে অসামান্য ক্যাচ নেন।
শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ১২ বলে ২০ রান করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোর গড়তে সহায়তা করেন।
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেনারদের ভালো শুরুর পর দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনারদের বিদায়ের ঠিক পরেই লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান যথাক্রমে ৯ এবং ৭ রান করে আউট হয়ে যান।
প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান করে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে পল ভ্যান মিকেরেন বোল্ড হয়ে ১৪ বলে ১৪ রান করা সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ।এরপর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ভালো খেলতে থাকা শান্তকেও (২০ বলে ২৫) হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন লিটন। ভ্যান বিনের একটি শর্ট বলে অফে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন।
শারিজ আহমেদের শিকার হয়েছেন সাকিব। বাঁ-হাতি ব্যাটার বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও ডি লিড ডিপ মিডউইকেটে বাউন্ডারিতে অসামান্য ক্যাচ নেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান করেছে।
এর আগে হোবার্টের আকাশ মেঘলা থাকায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
পূর্বাভাস বলছে হোবার্টে আজ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ভালো শুরুর পর সৌম্য ও শান্তর বিদায়
হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো শুরু পর ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত ফিরে গেছেন গেছেন।
প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান করে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে পল ভ্যান মিকেরেন বোল্ড হয়ে ১৪ বলে ১৪ রান করা সৌম্যকে হারায় বাংলাদেশ।
এরপর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ভালো খেলতে থাকা শান্তকেও (২০ বলে ২৫) হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে হোবার্টের আকাশ মেঘলা থাকায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
পূর্বাভাস বলছে হোবার্টে আজ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ
নেদারল্যান্ড একাদশ: ম্যাক্স ওডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি লিডে, কলিন অ্যাকারম্যান, টম কুপার, স্কট এডওয়ার্ডস (উইকেটরক্ষক), টিম প্রিংলে, লোগান ভ্যান বেক, শারিজ আহমেদ, ফ্রেড ক্লাসেন, পল ভ্যান মিকারেন
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস লাইভ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
টি২০ বিশ্বকাপ: ৪ উইকেটে জয় পেল ভারত
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদার্যলান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
হোবার্টের আকাশ মেঘলা থাকায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
পূর্বাভাস বলছে হোবার্টে আজ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে টসের সময় আবহাওয়া ভালো ছিল বলে জানা গেছে।
ওপেনার হিসেবে সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্পিনার হিসেব রয়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত। একাদশে পেসার হিসেবে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস লাইভ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশ আজ তাদের প্রথম জয়ের দিকে নজর রাখছে।
এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ভালো খেলে নেদারল্যান্ডসও সুপার টুয়েলভে একটি ভালো শুরু করতে চায়।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ
নেদারল্যান্ড একাদশ: ম্যাক্স ওডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডি লিডে, কলিন অ্যাকারম্যান, টম কুপার, স্কট এডওয়ার্ডস (উইকেটরক্ষক), টিম প্রিংলে, লোগান ভ্যান বেক, শারিজ আহমেদ, ফ্রেড ক্লাসেন, পল ভ্যান মিকারেন
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপ: ৪ উইকেটে জয় পেল ভারত
টি২০ বিশ্বকাপ: ১৬০ রানের টার্গেটে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারাল ভারত
২ বছর আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: উন্ডিজকে বিদায় করে সুপার টুয়েলভে আইরিশরা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। তিন ম্যাচে দুই হারে গ্রুপ বি থেকে সুপার টুয়েলভে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে দু’বারের চ্যাম্পিয়নদের। আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি দিনের অপর ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডের মধ্যকার জয়ী দল সুপাল টুয়েলভে খেলবে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন উইন্ডিজের অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪৬ রান করে দলটি। ব্র্যান্ডন কিং ছয়টি চার ও একটি ছয়ে ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন।
গ্যারেথ ডেলানি ১৬ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। ওপেনার পল স্টার্লিং ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে ৪৮ বলে ৬৬ রান করেন। তিনে নামা লোরকান টাকার ৩৫ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া অপর ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবির্নি ২৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন।
এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের গ্রুপ এ-এর শীর্ষ থেকেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া নেদারল্যান্ডস গ্রুপ এ-তে দ্বিতীয় স্থানে থেকে সুপার টুয়েলভে খেলবে।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারাল স্কটল্যান্ড
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজের মুখোমুখি হতে পারে বাংলাদেশ
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নামিবিয়ার চমক
২ বছর আগে
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন
প্রতিটি ম্যাচের হারজিতের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী থাকেন দলনায়ক। খেলার মাঠে জটিল মুহূর্তগুলোতে সিদ্ধান্ত দিয়ে স্কোয়াডের শক্তিগুলো কাজে লাগান তিনি। পাশাপাশি নিজের ভাগের কাজটুকুর প্রতিও তাকে নিরঙ্কুশ খেয়াল রাখতে হয়। টি-২০-এর মত দ্রুততম ক্রিকেট ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কারণ এখানে পুরো ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার ধাক্কাটা আসে প্রতি বল ও ব্যাটে। দলের প্রতিটি খেলোয়ারের সম্মিলিত প্রয়াস স্বাভাবিকভাবেই দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তবে কখনো কখনো একজনের হাতেই পুরো ম্যাচ জয়ের শাতকাহন রচিত হয়। আর সেই একজনটা যদি হয় স্বয়ং দলপতি, তখনি সৃষ্টি হয় ইতিহাস। আজকের নিবন্ধে ২০২২ আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন বাছাই করা হয়েছে, তাদের বিগত জয় এবং নিজ নিজ পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যান যাচাই করে।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এর শীর্ষ ৬ ক্যাপ্টেন
রোহিত শর্মা | ভারত
অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ২০ ওভারের ম্যাচ জয় এবং ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যানের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় নামটি হচ্ছে মাহেন্দ্র সিং ধনী। তার ৪১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি এখনো স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। ২০০৭ থেকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত ৮৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য খেলায় তার সংগ্রহ ছিল গড়ে ৩০.৬১ রান। আর নেতৃত্ব অর্জনের পর থেকে ৪৫টি খেলায় ব্যাট করে তিনি সংগ্রহ করেছেন গড়ে ৩৪.৭১ রান।
আরও পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে তার ভালো দিনগুলোতে তার সমকক্ষ কেউই নেই। চাপ সামলাতে জানা এই ব্যাটসম্যান যে কোন ইনিংসকে বহুদূর টেনে নিয়ে যেতে পারদর্শী। বিরাট কোহলির পর থেকে রোহিতের অধীনে ভারত ৪৫টির মধ্যে জয় পেয়েছে মোট ৩৫টি ম্যাচে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা শতকরা ৭৭.৭৮ ভাগ। এবার তিনি ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয় হবে।
সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২২ এর ঠিক আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান এ পর্যন্ত ১০৩ ম্যাচে ১২১.৪৯ স্ট্রাইক রেটে ২১৩১ রান করেছেন। বোলিংয়ে ৬.৭১ ইকোনোমির পাশাপাশি ১২২ উইকেট শিকার করেছেন।
সাকিবের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি, বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে সেই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভালো কৌশল কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছেন সাকিব।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ভালো করছে না, ফলে সাকিবের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং বড় দলের বিপক্ষে জয়ের অভ্যাস তৈরি করা। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার একজন স্মার্ট ক্রিকেটার হিসেবে জানেন যে কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অন্যান্য অধিনায়কদের তুলনায় সাকিবকে সম্ভবত খেলোয়াড় হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হবে। তবে বাংলাদেশ যখনই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে তখনই সাকিব তা করেছেন।
বাবর আজম | পাকিস্তান
৫৬টির মধ্যে ৩৪টিতেই জয়; অর্থাৎ জয়ের শতাংশ ৬০.৭১। পরিসংখ্যানটি মধ্যম ক্যাটাগরির জন্য দারুণ একটি রেকর্ড। ২০১৯ থেকে দলের ভার পাওয়ার পর থেকে এই রেকর্ডটাই অর্জন করেছেন বাবর আজম। ২১ শতকে পাকিস্তানের জন্য সেরা উপহার ছিল ২০০৯ এর টি-২০ বিশ্বকাপ জয়।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
কিন্তু ২০১০ এর পর কিছু উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়ের বিদায় গোটা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০১৬ তে ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন আজম। অতঃপর গত ২ বছর ধরে তার অধিনায়কত্বে দলটি মোটামুটি আত্মবিশ্বাসের সাথেই খেলছে। দলের বোলিং সামঞ্জস্যতাকে বাবর খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। হারিস রউফ কোন ওভারে বল করবেন আর কোন ওভারে শাহীন করবে, তা তিনি জানেন। এছাড়া টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ৩য় স্থান অধিকার করা তাদের পুনরায় বিশ্বকাপ জয়ের আগ্রহটাকে ন্যায্যতা দিয়েছে।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ৩৩ ইনিংসে বাবরের গড় রান ছিল ৪৯.৬২, যেটি অধিনায়ক হওয়া পর হয়ে যায় ৫১ ইনিংসে ৪১.১১। তাই ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের দিক থেকে একটু শঙ্কা থেকেই যায় এই ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে।
অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া
স্বল্পদৈর্ঘ্য ম্যাচ জয়ের শীর্ষ তালিকায় ৩য় অবস্থানটিতে রয়েছে এই অসি ক্রিকেটার। ২০১৪ তে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে ৭১টি ম্যাচের ৩৯টিতে জয় পেয়ে তিনি ৫৪.০৫ শতাংশ জয়ের সম্মানজনক অবস্থানটি ধরে রেখেছেন। এছাড়া বর্তমান টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কৃতিত্বটাও এসেছে অ্যারন ফিঞ্চের পরিচালনায়। ব্যাট হাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। মাঠ কাঁপানো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি এখনকার সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
২০১১ তে ক্রিকেটের ভূবনে অবতরণ করে অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৭ ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন গড়ে ৪০.১৮ রান। কিন্তু নেতৃত্ব দানের সময় ৭১ ইনিংসে তার গড় রান দাড়ায় ৩২.৫৫। এই ধারাবাহিকতায় স্বাভাবিক ভাবেই তার রানের গ্রাফটা আরো অধ্বঃগামী হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি মার্কি ইভেন্টের ইতিহাস পুরো বিশ্ববাসীকে একদম ভিন্ন ছবি দেখিয়েছে। আর এই অফুরন্ত সম্ভাবনাটি নিশ্চয়তায় রূপান্তর হবে, যদি তিনি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ স্টেজে অস্ট্রেলিয়াকে একটি শক্তিশালী সূচনা এনে দিতে পারেন।
কেন উইলিয়ামসন | নিউজিল্যান্ড
অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে টেস্ট খেলোয়াররা খেলার এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ তাদের কাছে নাকি টি-২০ মাত্রার পাহাড়সম স্ট্রাইকিং রেট সৃষ্টির দক্ষতা নেই। তাদের এই ধারণাকে শক্ত হাতে বাউন্ডারির ওপারে নিক্ষেপ করেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
২০১১ তে ক্রিকেটে পদার্পণ করার পরের বছরেই পুরো দলের দায়িত্ব পেয়ে যান। একজন সাধারণ অল রাউন্ডার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম বছরটিতে তিনি ১৬ ইনিংসে ৩২.৪৬ গড় রান সংগ্রহ করেছিলেন। আর বোলিংয়ে রান দিয়েছিলেন গড়ে ৫০। এরপর অধিনায়কত্বের দীর্ঘ ১০ বছরে ৬১ ইনিংসে সংগৃহিত ৩২.১৩ এবং বোলিংয়ে প্রদানকৃত ১৬ রানের গড় ধরে রেখেছেন। উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডের জন্য এখন একজন নির্ভরযোগ্য ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচও হারল বাংলাদেশ
বিগত টি-২০ বিশ্বকাপে ব্ল্যাক ক্যাপদের ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তার দীর্ঘ নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ৬১টি খেলায় ৩১টিতে জয়ের মুখ দেখেছে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা ৫০.৮২ শতাংশ, যেটি এবারের শিরোপা জয়ের নিমিত্তে কোন ভাবেই উপেক্ষনীয় নয়।
দাসুন শানাকা | শ্রীলঙ্কা
২০১৫ থেকে ক্যারিয়ারের শুরু; ২০১৯ এ দলপতি হওয়া, অতঃপর মোট নেতৃত্ব দেয়া ম্যাচের অর্ধেকটিতে দলকে জয় এনে দেয়া। এই বৃত্তান্ত এই সময়কার স্বনামধন্য অল রাউন্ডার দাসুন শানাকার। ক্যাপ্টেন হওয়ার আগের ৪ বছরে নিজেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়েছেন শানাকা। ৩৯ ইনিংসে রানের গড় ১৫.৩৮ আর বোলিংয়ে রানের গড় সীমাবদ্ধ রেখেছেন ২০.৬৪-এ। পরিসংখ্যানটি আহামরি না হলেও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর তার রানের গড় বেড়ে হয়েছে ২৮.৮২ (৩১ ইনিংসে)। দুভার্গ্যজনকভাবে বোলিংয়েও গড়টা বেড়ে ২৮.১১ হয়েছে।
কিন্তু তার বোলিংয়ে আছে ম্যাচের ভাগ্য বদলানোর যাদু। পাওয়ার প্লের সময় বোলিং করেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে তিনি ভারসাম্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এবারের এশিয়া কাপে সবাই যখন ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ব্যস্ত, তখন সবার অলক্ষ্যে সুকৌশলে তিনি লঙ্কানদের এনে দিলেন এশিয়া কাপের শিরোপা। শুধুমাত্র এই আত্মবিশ্বাসটাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার আধাআধি জয়ের পাল্লাটাকে ইতিবাচক দিকে ভারী করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
শেষাংশ
আইসিসি টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সুপার খেলোয়াররা বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকবেন। যুক্তির মাপকাঠিতে সংখ্যার ভবিষ্যদ্বাণী কখনো বিফলে যায় না। কিন্তু এরপরেও ক্রিকেট যুদ্ধের এক বিশাল বলয় জুড়ে রয়েছে অদৃষ্ট। ভাগ্যের বিভ্রমে খেলার মাঠে যে কোন কিছুই ঘটে যেতে পারে। সেই দিক থেকে টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ২য় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের নতুন ক্যাপ্টেন জস বাটলারকেও ছোট করে দেখা যাবে না। ঠিক যেভাবে একদমই মুছে ফেলা যাবে না টাইগার দলনেতা বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম।
২ বছর আগে
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সময় ঘনিয়ে এসেছে আইসিসি ২০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। নয়নাভিরাম দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্বনন্দিত এই স্পোর্টস ইভেন্টের অষ্টম আসর। ২০২১ এর ১৫ নভেম্বর আইসিসি থেকে ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ভেন্যু নিশ্চিত করা হয়। আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াই এবার আয়োজন করবে পুরো ইভেন্টটি। ১৬ অক্টোবর, ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট উৎসব। আজকের নিবন্ধটিতে এই ভেন্যুগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার সাথে সাথে আইসিসি পুরুষ টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি সম্বন্ধেও আলোচনা করা হবে।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের ৭টি ভেন্যু
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
ধারণ ক্ষমতা: ১,০০,০২৪
১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি বা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম এবং গোটা বিশ্বে ১০তম বৃহত্তম স্টেডিয়াম। এটি একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম, যা অস্ট্রেলিয়ান খেলাধুলার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হয়ে আছে। এমসিজি-তে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচটি খেলা হয় ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম আন্তঃ-ঔপনিবেশিক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভিক্টোরিয়া ও এনএসডব্লিউ (নিউ সাউথ ওয়েলস)।
এমসিজি টেস্ট ক্রিকেট (১৮৭৭) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (১৯৭১) জন্মস্থান। এছাড়া এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য সব সময় এই ভেন্যুটি নির্ধারিত থাকে। ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস এবং ২০০৬ এর কমনওয়েলথ গেমস সহ বিভিন্ন বড় আন্তর্জাতিক স্পোর্ট্স ইভেন্ট ও কনসার্টের আয়োজন করেছে এমসিজি।
আরও পড়ুন: আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
২ বছর আগে
তামিমকে টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ফিরিয়ে আনার দাবি
তামিম ইকবালকে টি-২০ টিমে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের তামিম ভক্তরা মঙ্গলবার বিকেলে ছাত্রনেতা সৌরভ প্রিয় পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।‘ক্রিকেট প্রেমী চট্টগ্রামবাসী’ ব্যানারে নগরীর কাজীর দেউড়ি চত্বরে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তামিমকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এইজন্য তামিমের অভিমানকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা বলেন, বিসিবিতে নীলনকশা চলছে। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অপমানজনকভাবে বিদায়, টেস্ট থেকে অভিমানে মাহমুদ উল্লাহর সরে দাঁড়ানো, উইকেট কিপিং থেকে মুশফিকের সরে দাঁড়ানো এবং অভিমানে তামিম ইকবালের দূরে থাকা- সব বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। এসব কিছুই বিশ্ব ক্রিকেটে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র।
আরও পড়ুন: টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিমতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপেনিংএ তামিমের বিকল্প নেই। তামিমের বিকল্প তামিমই। আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। প্রধানমন্ত্রী বিসিবি সভাপতি, কোচ, সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে তামিমের সাথে বসবেন আশা করি। তামিমকে ফিরিয়ে আনবেন। বিসিবির সাথে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে যে মনোমালিন্য, রাগ অভিমান চলছে তা নিরসন করবেন’।মানববন্ধনে ক্রিকেট প্রেমীরা আরও বলেন, বিসিবি তামিমকে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ লীগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে। কিন্তু নিজের মাতৃভূমির পক্ষে খেলানোর জন্য চেষ্টা করছেন না। আমরা এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। তামিমের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে দেশীয় ও বৈশ্বিক ক্রিকেট মাফিয়ারা। আমারা চাই তামিম ফিরে আসুক। আর তামিমের প্রতি অনুরোধ করছি রাগ অভিমান ছেড়ে দেশ মাতৃকার টানে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার। আমরা তামিমকে ছাড়া টি-২০ বিশ্বকাপ মানি না, মানব না। প্রয়োজনে আমরা আরও কর্মসূচি পালন করবো।
আরও পড়ুন: এক ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান তামিম ইকবালওমর কাইয়ুম এবং নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জাকির হোসেন, মো. মামুন, মিঠুন বৈষ্ণব, মো. বেলাল, হামিদ, জাসেদ খান জাসু, মো. ফরিদ, লিমন চৌধুরী বাপ্পা, গাজী রিফাত, মহিউদ্দিন আবসার, কামরুজ্জামান, মো. জুয়েল, মামুন, ওমর ফারুক প্রমুখ।
৩ বছর আগে
মুরুব্বি, এইটারে কিরকিট খেলা কয়?
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ানগো যা দিলো হেইটারে হার/পরাজয়, বিজয়, এই সব সুট বুট মার্কা কথায় বোজান যাইবো না। এইটা হইলো গিয়া প্যাদানি। মানে আচ্ছা কইরা, কইসা পিসনে হাত বাইন্দা এক হাত, দুই হাত, পাঁচ হাত দিয়া মহল্লা স্টাইলে মাইর।
এই রকম মাইর অসি বাবুরা আগে কোনোদিন নাকি খায় নাই। টি-২০ খেলায় হেগো এদ্দিনের সব চাইতে কম স্কোর। মানে আমাগো স্কুলের সব চাইতে বড় মাস্তানের পয়সা খাইয়া বেরাইম্মা পোলা সাইজা স্কুলে অংকে চুরি কইরা যা পাইসিল, তার চাইতে কম। এর নিচে অসি ক্রিকেট নামে নাই বলা যায়। ওদের লাইগা একটু কানতাম, কিন্তু মনটা আইসা আচ্ছা লাগতাসে যে পারলাম না।
ভাইয়া আবার আইসেন, এইবার তো রাস্তা চিনসেন, বুড়িগঙ্গার পানি এবার ড্রামে কইরা আপনাগো লাইগা রাইখা দিমু। দেখলেন তো, কত জলে কত পানি। আসল কথা টাইমটা আর পিচটা আমাগো আসিল। আপ্নেরা রঙ টাইমে আইসিলেন ফল পাড়তে। মানে যারে কয়, ধরা খাইসেন আর কি। মজা না?
বাংলাদেশ কি দেখাইলো?
ব্যাটিং তেমন কিসু করে নাই, খালি পরথমে এট্টুক পিটায় রাখসে যাতে রাতে খাবার শর্ট না পড়ে। ঠিকই একটু কমতি কমতি হইসে কিন্তু আগার-মাগার কইরা ১২১ হইসে। এই মাঠে এইটাই কেউ পারে না, কিন্তু বুঝেনি তো সব, মহল্লার মানুষ, সাকিবরে আবার যদি কতল কইরা দেয়। কিন্তু প্রথম উইকেট পরসে জলদি, তবে হেগো কাপ্তান নিজেই চালু আসিল এবং ছক্কাও মারসে। তবে সাকিব মিয়ার ছক্কা পার্টিরে ডাইকা আনা হইসিল উপরে, কিন্তু হে ভাবসে আবার মাঘ মাস আইসে। অমনি ধরা, গেসে গা প্রথম ওভারেই।
হেদের কি বাথরুম প্রব্লেম হইসিল
ধরেন গিয়া ৪ উইকেট ত্বক কইতে পারেন কিরিকেট খেলসে, কিন্তু তারপর যা হইসে সেইটা মনে হয় বুড়া মানুষ বহুতখন বাইরে থাকার পর যহন হিসু ধরে, আর হে বাসায় দৌঁড়াইতে দৌঁড়াইতে ফিরা ওয়াশরুম খোঁজে, অনেকটা সেই রকম আর কি!
অথবা মানে যদি আমগো ওয়াসার কলের পানি খাইলেন না ফুটাইয়া, কয়েকবার আর কি। তহন টয়লেট রে 'যান আমার প্রাণ আমার’ কইয়া খালি দেহা করতে যান, সেই রকম আর কি। আশা যাওয়ার মধ্যে থাকা কওয়া যায়। জন্মের আগেই হগলটি আউট।
আবার আইসেন, কিমুন?
এইটা কোনও কথা হইলো। আমগো বাড়ির জামাই বাবাজি ঘুম থিকা উইঠা টিভি খুইলা দেহে সব ফক ফকা। খোমা হেভি বেজার। কয় এইডা কিমুন বাড়ি, কিরিকেট দেহন যায় না।
কি আর করুম কন, কি আর বলুম। সবই আল্লা'র ইস্সা।
তয় কিনা দাওয়াত রইলো আব্বাজানেরা। আবার আইসেন। পকেটে ফুইসা কম থাকলে খবর দিয়েন, চাঁদা তুইলা টিকেটের দাম পাঠামু, আঃ-বাহ্ ফ্রি, খালি এইবারের মতো ঠুশ মাইরা খেইলেন। হাগু মুতু নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।
৩ বছর আগে