ইএসডিও
ঢাকা ও রংপুরের কিছু অংশ থেকে ১৫৮ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ
দেশের দুটি প্রধান শহর ঢাকা ও রংপুর থেকে একদিনে প্রায় ১৫৮ কেজি একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার (ইএসডিও) পরিচালিত ব্র্যান্ড অডিটের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণকারী শনাক্ত করতে ৩০ সেপ্টেম্বর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং গার্লস গাইড ও বয়েজ স্কাউটদের সঙ্গে ব্র্যান্ড অডিট পরিচালনা করে ইএসডিও।
ব্র্যান্ড অডিট হলো একটি অংশগ্রহণমূলক বিজ্ঞান উদ্যোগের অংশ। যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্যে আবিষ্কৃত ব্র্যান্ডগুলোকে গণনা করা হয় এবং রেকর্ড করা হয়; যাতে প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করা যায়।
২০১৮ সাল থেকে প্লাস্টিকের আবর্জনা দেখা যেতে পারে এমন বিভিন্ন ব্র্যান্ড চিহ্নিত করার প্রয়াসের অংশ হিসেবে ইএসডিও প্রতি বছর এই ব্র্যান্ড অডিট করে।
ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক (বিএফএফপি), প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করা একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সহযোগিতায় ইএসডিও ষষ্ঠবারের মতো ব্র্যান্ড অডিট পরিচালনা করেছে।
ঢাকায় প্রায় ৮৯ কেজি এবং রংপুরে প্রায় ৬৭ কেজি এককবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের একক ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন প্রয়োগের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এ বছর ঢাকা শহরের লালমাটিয়ায় অডিট শুরু হয় এবং আসাদ গেট, আড়ং সার্কেল, সংসদ ভবন, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুল, ধানমন্ডি ২৭, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুলে গিয়ে শেষ হয়।
আবার একই দিনে রংপুরে ডিসি মোড়, কাচারি বাজার, ডিসি অফিস, শিখা অফিস, টাউনহল ও সুরভি উদ্যান ব্র্যান্ড অডিট করা হয়।
এতে প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। ঢাকার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অডিটে অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল, লালমাটিয়া গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ ছাড়াও রংপুরের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অডিটে অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে রংপুর জিলা স্কুল এবং রংপুর গার্লস হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি স্কুলের গার্লস গাইড ও বয়েজ স্কাউট অন্তর্ভুক্ত ছিল।
স্বেচ্ছাসেবক ও ইএসডিও সদস্যরা নির্বাচিত এলাকা জুড়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে।
বর্জ্যের মধ্যে ইএসডিও প্রধানত কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে, ইউনিলিভার, মন্ডেলেজ, পারফেটি ভ্যান মেলে, বোম্বে সুইটস, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, প্রাণ আরএফএল লিমিটেড, স্কয়ার ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আকিজ গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, এসিআই ফুডস লিমিটেড এবং একমি গ্রুপসহ প্রায় ৭২টি জাতীয় ও বহুজাতিক ব্র্যান্ড উৎপাদনকারী ৬টি আন্তর্জাতিক এবং ১৪টি স্থানীয় মূল কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছে।
বিএফএফপি গ্লোবাল ক্যাম্পেইন এই ব্র্যান্ড অডিট টুল তৈরি করেছে, যা প্রাথমিকভাবে জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রযোজকদের একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব থেকে পরিবেশকে কীভাবে রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার জন্য পরিচালিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় সৌরভ ছড়াচ্ছে ‘টিউলিপ’
শীতের জেলা পঞ্চগড় রাঙিয়ে তুলেছে নানা রঙের টিউলিপ ফুল। সীমান্তবর্তী এই জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সারিয়ালজোত ও দর্জিপাড়া গ্রামে টিউলিপ ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। ৪০ শতাংশ জমিতে এবারই প্রথম রাজসিক সৌন্দর্য এর ফুল টিউলিপ উৎপাদন করেছেন চাষিরা।
পঞ্চগড় জেলায় শীত মৌসুমে তাপমাত্রা কম থাকায় টিউলিপ ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে প্রমাণ করে দিয়েছেন তেঁতুলিয়ার শারিয়াল জোত ও দর্জিপাড়া গ্রামের চাষি মুক্তা বেগম, আনোয়ারা বেগম, সুমি আক্তার, আয়শা বেগম, মোছা. হোসনেয়ারা বেগম, মনোয়ারা বেগম, মোর্শেদা বেগম ও সাজেদা বেগম। তারা সকলেই ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) নারী সদস্য।
তারা জানান, বাল্ব বা চারার দাম, শেড নেট, ফেন্সিং নেট, রাসায়নিক সার, জৈবসার, কীটনাশক ও শ্রমের মূল্য বাবদ মোট খরচ প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা। ৪০ হাজার টিউলিপ ফুল ১০০ টাকা হারে বিক্রি করতে পারলে ৪০ শতক জমি থেকে মাত্র দুই মাসে ৮ লাখ টাকা আয় করবেন চাষিরা। পরবর্তীতে বছরের অন্য সময়টাতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফুল চাষাবাদও করতে পারবেন। ফুল বাগানে ক্ষুদ্র পরিসরে বিনোদন পার্ক তৈরি করে পর্যটক ও ফুলপ্রেমিদের জন্য প্রবেশ মূল্য চালু করেছেন। এতে ফুল বিক্রি বাদেও তারা অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন।
শীতপ্রধান অঞ্চল হিসেবে পঞ্চগড়ে টিউলিপ রোপণ ও উৎপাদনে সফল হওয়ায় ভবিষ্যতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে টিউলিপ রপ্তানির সম্ভাবনা জাগিয়েছেন। ফুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হলে আগামী বছর প্রায় ৫ একর জমিতে টিউলিপের চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রতিদিন দূর-দূরান্তের শত শত প্রকৃতিপ্রেমি শিশু কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষ পরিবার পরিজন নিয়ে দলবেধে দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুলের অপরুপ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন এসব ফুল বাগানে। নানা ধরনের চোখ ধাঁধানো টিউলিপ দেখে স্থানীয়সহ পর্যটক সকলেই বিস্মিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২১ বছরে ৪০ বাঘের মৃত্যু
২ বছর আগে
জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ পাচ্ছেন ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
দেশের পরিবেশ উন্নয়নে অসামান্য এবং অনুসরণীয় অবদান রাখার জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ প্রদানের জন্য তিনজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
৩ বছর আগে