মোবাইল নেটওয়ার্ক
বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মাদারীপুরের অধিকাংশ এলাকা
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাদারীপুরের বেশির ভাগ এলাকা শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পাচ্ছে না অনেক এলাকা।
টানা প্রায় ৪২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও ভ্যান নেই বললেই চলে। এছাড়া জেলার সদর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর ও ডাসার উপজেলায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে বাতাস ও বৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাত থেকে বিদ্যুতের মূল লাইনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও এর পর থেকে পুরো সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জেলার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল খুবই কম। হাট-বাজারে নেই ক্রেতার উপস্থিতি। সড়কে ছোট যানবাহনও প্রায় নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন: কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
শিবচরের এক স্কুল শিক্ষক মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি খুবই কম। আর বিদ্যুৎ না থাকায় শনিবার থেকেই দুর্ভোগে আছি সবাই। মোবাইলে চার্জ প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে।’
পল্লি বিদ্যুতের শিবচর উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জন্য মূল লাইনে সমস্যা। শনিবার থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে কাজ করে যাচ্ছে কর্মীরা।
পল্লি বিদ্যুতের জোনাল ম্যানেজার মো. জনাব আলী বলেন, ‘জেলা সদরে আংশিক বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ নেই।’
মাদারীপুর পল্লি বিদ্যুতের কর্মকর্তা জনাব আলী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
২ মাস আগে
সিলেটে বন্যায় মারা গেছে ৩ হাজারের বেশি গবাদিপশু
সিলেটে চলমান বন্যায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যার পানিতে সিলেট জেলায় হাঁস-মুরগিসহ তিন হাজারের বেশি গবাদিপশু মারা গেছে। আর ডুবে গেছে গবাদিপশুর ৭১০টি খামার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানি কমলে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে।
বন্যায় হালের গরু ভেসে যেতে দেখেছেন কোম্পানীগঞ্জের বিলাজুর এলাকার এরশাদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘বন্যা সব নিয়ে গেছে। ঘরে গরু ও মুরগি ছিল, এগুলোও ভাসিয়ে নিয়েছে। ঘরের আসবাবপত্রও স্রোতে ভেসে গেছে। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। কেবল নিজেরা জীবন নিয়ে কোনোমতে আছি।’
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে বন্যায় ৭ দিনে ২২ জনের মৃত্যু: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১৮৯টি গবাদিপশু মারা গেছে।
আর জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সিলেট জেলায় ৭১০টি খামার ডুবে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে এক হাজার ৯৯১ টন খড় ও দুই হাজার ৯৫৯ টন ঘাস। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় প্রাণিসম্পদের ক্ষতির পরিমাণ ১১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
চলমান বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। তবে এ উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে।
অধিপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পানিতে উপজেলা পরিষদ ভবন তলিয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এই উপজেলার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে পাঁচ দিন ধরে মাছ ধরার ট্রলারে আটকে থাকা ১৩ জেলেকে রবিবার উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। গত ২৮ নভেম্বর বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকা থেকে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছিলেন তারা।
১ ডিসেম্বর তাদের মাছ ধরার ট্রলারটি মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যায়। এই কারণে তাদের পাঁচ দিন সাগরে ভাসমান অবস্থায় থাকতে হয়।
রবিবার, তারা তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিরে পেলে জাতীয় জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯৯-এ কল করতে সক্ষম হয়। পরে ৯৯৯ অপারেটররা বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে। ট্রলারটির সন্ধানের পর রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আটকে পড়া জেলেদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ফিশিং বোট থেকে ১৩ জেলে উদ্ধার
চার ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার
২ বছর আগে
সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফের চালু: বিটিআরসি
নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্ধ থাকা মোবাইল নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার রাতে ফের চালু করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
টেলিটকের নেটওয়ার্ক ২০২৪ সালের মধ্যে সারাদেশে
পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় এখনও পিছিয়ে থাকায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানী টেলিটক। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদানই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
৪ বছর আগে