অভিজিৎ রায়
উন্নয়ন করলে শত্রু ও চাপ বাড়ে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোনো দেশ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করলে সে দেশের শত্রু ও চাপ বাড়তে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো দেশ উন্নয়ন করলে সে দেশের কিছু শত্রু হয়ে যায়। ওই দেশের ওপর চাপও বাড়তে থাকে। আপনার কিছু সহকর্মীর চেয়ে আপনি ভালো করলেও এ বিষয়টি ঘটে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো চাপ অনুভব করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা (মার্কিন প্রশাসন) তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছেন। সরকার পর্যায়ে কোনো সমস্যা নেই। ‘তারা তাদের কাজ করছে, আমরা আমাদের।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ও বাংলাদেশে কিছু মানুষ রয়েছে যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন পছন্দ করেন না—আওয়ামী লীগ কেন এত ভালো করছে এবং বাংলাদেশের মানুষ কেন সুখে আছে।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ হত্যায় দণ্ডিত দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, কিছু মানুষ মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে অবিরত আলোচনা চালিয়ে গেছেন এবং মিথ্য তথ্য ও বানানো ভিডিও প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, এখানে যখন কাউকে হত্যা করা হয় সেটা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে অবহিত করা হয় কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হলে তাকে বলা হয় ‘দায়িত্ব পালনের সময়’ মারা গেছেন।
মিথ্য তথ্য প্রদানকারীদের সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের অধিকাংশকে হইতো পয়সা দেয়া হয়।
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদের ওপর হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায়। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কোপানো হয়। বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান।
এ ঘোষণার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে এবং ওসামা বিন লাদেনের ক্ষেত্রেও এ রকম হয়েছে বলে শুনেছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ প্রায়ই সফল হয়। বাংলাদেশও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবির রহমানের তিন পলাতক খুনির—তাদের অবস্থান অজানা—জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারে তাহলে সরকার অবশ্যই তাকে পুরস্কৃত করবে। তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) একই কাজ করেছে।’
এর আগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট ও প্রত্যাবাসন: কী করণীয়?’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২ বছর আগে
অভিজিৎ হত্যায় দণ্ডিত দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় দণ্ডিতদের মধ্যে দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত হয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের একটি গ্রুপ এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে। ওই সময় আমাদের দেশে জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছিল। তবে আমাদের দেশের নিরাপত্তায় যারা আছে তারা তাদের সকল কর্মকাণ্ড ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মেজর জিয়া ও আকরামকে আমরা খুঁজছি। কিন্তু আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তা থেকে জানা গেছে সে অন্য কোন দেশে গা ঢাকা দিয়ে আছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির হোসেন, মানিকগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দূর্জয়, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসি
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় আজ
২ বছর আগে
অভিজিৎ হত্যাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদের উপর হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায়। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে কোপানো হয়। বন্যা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও কুপিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধা আঙুল কেটে ফেলে এবং মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ মারা যান।
সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, একজন লেখক, ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে অভিজিৎ রায় বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে ও বাক স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে কারাবন্দী নাস্তিক ব্লগারদের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ গড়ে তোলায় কাজ করতেন এবং সামাজিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পরিচিত মুখ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসি
বিবৃতিতে বলা হয়, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিৎকে লক্ষ্যবস্তু এবং হত্যা করা হয়।
তাকে হামলার দায় স্বীকার করেছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে হামলাকারীরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিসের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস (আরএফজে) এই পুরস্কার ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা কমেছে: মার্কিন প্রতিবেদন
২ বছর আগে
ব্লগার অভিজিৎ হত্যায় ৫ জঙ্গির ফাঁসি
লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় পাঁচ জঙ্গির ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
৩ বছর আগে