এভিয়েশন শিল্প
এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন অংশীদার হতে আগ্রহী রাশিয়া
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি রাশিয়ার এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারিত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যেকোনো সহায়তা করতে আগ্রহী রাশিয়া।
আরও পড়ুন: হুমকি পেলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
এছাড়াও, উভয় দেশের পর্যটকেরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যেসব পর্যটক এখন কাছাকাছি দেশগুলোতে ভ্রমণ করেন, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করতে কাজ করছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’ পাশাপাশি, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ সম্ভাবনার নাম: বিমান প্রতিমন্ত্রী
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম। ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ এবং আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি হবে তিন গুণ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশসমূহের অংশগ্রহণে ‘৫৮তম ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এবছর বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে বিকশিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সারাদেশের সব বিমানবন্দরে সময়োপযোগী অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনদক্ষতা উন্নয়ন, নিরাপত্তা উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া নিরাপদ বিমান চলাচল নিশ্চিতকরণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন উন্নয়নকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও ভৌগলিক গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করা।
মাহবুব আলী বলেন, এবারের ডিজিসিএ কনফারেন্সের থিম ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিতকরণ’ এর প্রতি সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের মধ্যে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য এরই মধ্যে আমরা ‘বঙ্গবন্ধু নেক্সট জেনারেশন এভিয়েশন প্রফেশনালস’ স্কলারশিপ চালু করেছি।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে দেশে আসছে আরেকটি ড্যাশ-৮ বিমান
কানাডার ডিহ্যাবিল্যান্ড থেকে কেনা নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের দ্বিতীয়টি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয়টি আগামী ৪ মার্চ দেশে আসবে বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানিয়েছেন।