অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বিশ্বে প্রথম আইন পাস করে ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
সাইবার বুলিং, আসক্তি ও ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শসহ তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই সপ্তাহের শুরুতে সংসদে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সামাজিক যোগযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠোরভাবে বয়স যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনে বাধ্য করতেই এ আইন করা হয়েছে।
১৬ বছরের কম বয়সিরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না-তা এই এসব নিয়মের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
নতুন নিয়মগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ২০২৫ সাল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সময় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন আইনে বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।
২০২৫ সাল থেকে ১৬ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারীদের শনাক্ত এবং ব্লক করতে সক্ষমতাসম্পন্ন সিস্টেমগুলো স্থাপন করতে আইনত বাধ্য হবে সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলো। এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে, তাদের বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে। এটির পুনরাবৃত্তি হলে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আইননের ফলে উন্নত বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির বিকাশ করতে হবে। এতে
সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু প্ল্যাটফর্ম এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ভুলভাবে নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি স্থাপনে কাজ শুরু করেছে।
তবে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গোপনীয়তা ও তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ নতুন আইনটিকে দেশের যুবকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনটির লক্ষ্য ডিজিটাল যুগে শিশুদের সুস্থ চিন্তাভাবনা ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার ও হতাশা, উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তাদের অনলাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত উদ্বেগ বা হতাশার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
সাইবার বুলিং এবং সামাজিকভাবে নানা তুলনার চাপগুলোকে এই চ্যালেঞ্জগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই যুগান্তকারী আইন পাস করে অস্ট্রেলিয়া বাকি বিশ্বের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। অন্যান্য দেশগুলোকে তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং এই প্রভাবগুলো কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে উৎসাহ দেবে।
৩ সপ্তাহ আগে
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আয় ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে থাকায় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের পরামর্শ দেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না এবং অস্ট্রেলিয়ায় অনিয়মিত নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই চেতনার আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তৌহিদ হোসেন।
এসময় সাম্প্রতিক অস্থিরতায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
এছাড়াও ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নার্দিয়া দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়া সব বাংলাদেশির জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন এই সংকটের কারণে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে দীর্ঘায়িত সংকটের এই চূড়ান্ত সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন।
৩ মাস আগে
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে দলটি।
দলের সঙ্গে আছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি এই সফর তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলেও উল্লেখ করেন হান্নান।
এই সফরে বাংলাদেশ এইচপি চার দিনের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের মুখোমুখি হবে এবং ওয়ানডেতে পাকিস্তান শাহিনস এবং নর্দার্ন টেরিটরি দলের বিপক্ষে খেলবে।
প্রথম চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ১৯ জুলাই। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৬ জুলাই। ওয়ানডে হবে ১ ও ৬ আগস্ট। আগামী ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মোট ২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই সফরের জন্য আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আম্পায়ার হওয়ার ইচ্ছা সাথিরা জাকিরের
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এইচপি স্কোয়াড:
তিন দলেই আছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মুকিদুল ইসলাম, রিপন মন্ডল ও মারুফ মৃধা।
চার দিনের ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলোয়াড়: এসকে পেভেজ রহমান জীবন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান, জিসান আলম, আফিফ হোসেন (ওয়ানডে অধিনায়ক), শামীম হোসেন, আকবর আলী (টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ওয়ানডে দলের সহঅধিনায়ক), ওয়াসি সিদ্দিক, আবু হায়দার রনি ও মাহফুসুর রহমান রাব্বি (টি-টোয়েন্টি দলের সহঅধিনায়ক)।
শুধু চার দিনের ক্রিকেট খেলোয়াড়: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় (অধিনায়ক), অমিত হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু (সহঅধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আইচ মোল্লা, রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মুরাদ।
শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: আলিস ইসলাম
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বিসিসিআইয়ের বাড়তি বোনাস ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসিত রাহুল দ্রাবিড়
৫ মাস আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টিগায় চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম সুপার এইটে ডিএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রিশাদ হোসেন কিছুটা ধীরগতির পিচে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে জ্বলে উঠলেও বাংলাদেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যর্থতায় জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের ইনিংসে কিছু ভালো মুহূর্তও ছিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিডল অর্ডারের শক্ত ভিত তৈরি করে সুসংগঠিত ইনিংস খেলেন। আক্রমণাত্মক হিটিংয়ের জন্য পরিচিত তৌহিদ হৃদয় ইনিংসের শেষ দিকে দুটি শক্তিশালী ছক্কা মেরে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করেছিলেন।
তবে অ্যাডাম জাম্পার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা বাংলাদেশি ব্যাটারদের আটকে রাখেন। জাম্পার শৃঙ্খলাবদ্ধ স্পেল, ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের এমন একটি ইনিংস থামিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে সত্যিকার অর্থে আর কখনই গতি সঞ্চার করতে পারেনি।
প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের শেষ দিকের আগ্রাসন রুখে দেন তিনি। হ্যাটট্রিকের প্রথম দুই উইকেট আসে ১৮তম ওভারে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসানকে আউট করে। শেষ ওভারে ধীর বলে বিপজ্জনক তৌহিদ হৃদয়কে আউট করে হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করেন কামিন্স।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
এটি টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগেরটি ছিল ব্রেট লির।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে শেষ করে বাংলাদেশের ইনিংস।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের গল্পটা ছিল ভিন্ন। ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণ করে প্রথম চার ওভারে ৩৬ রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান অল্পের জন্য নিয়ন্ত্রণ পেলেও জয়ের শক্ত মঞ্চ আগেই তৈরি করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি করলেও হেডকে সমান ভয়ংকর দেখাচ্ছিল। বৃষ্টি তাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে, যখন তারা ডিএলএস পার স্কোরের চেয়ে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল। আর এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে বেশি রানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয়েছে, আমাদের ১৭০ রান করা উচিত ছিল। তিনি টুর্নামেন্ট জুড়ে বোলারদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তারা তাদের পারফরম্যান্স বজায় রাখবে।
সুপার এইটে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। দলটি ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
৬ মাস আগে
নারী ক্রিকেট: অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরেকটি বড় পরাজয় বাংলাদেশের
নারী ক্রিকেট সিরিজে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেট দল সব দিকেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এ কারণে সিরিজ শেষে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। ছয়টি ম্যাচের কোনোটিতেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যালিসা হিলি ৪৫ ও তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ৪৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। তবে, অস্ট্রেলিয়ার রান নিয়ন্ত্রণে রাখতে দলকে সহায়তা করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট: সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে সামান্যতম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো অবস্থানে কখনোই ছিল না বাংলাদেশ দল। ১৮ ওভার ১ বল খেলে মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা দলের হয়ে সর্বোচ্চব ৩২ রান করেন।এরপর বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবেই উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।
চলতি মাসের শেষ দিকে নিজ দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেই বিবেচনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহ, ১ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৮ মাস আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
মানবাধিকার, আইনের শাসন ও উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য নিজেদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও আমরা এই সত্যকে স্বাগত জানাই যে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তবে এটি দুঃখজনক যে নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সমস্ত অংশীজনরা অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিরোধী দলীয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে তারা উদ্বিগ্ন।
দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
১১ মাস আগে
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে কমপক্ষে ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, কয়েক ডজন মানুষ এখনও বাড়ির ছাদে আটকে আছে। বন্যার কারণে সোমবার কেয়ার্নস বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, শহরের ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ খাবার পানির সংকটে রয়েছে।
সোমবার কেয়ার্নে বৃষ্টি কমলেও পাশ্ববর্তী পোর্ট ডগলাস, ডেনট্রি, কুকটাউন, উজাল উজাল ও হোপ ভ্যালে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসসহ জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল এবারের বন্যাকে ‘একেবারে ধ্বংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র তীর থেকে সরানো হলো ৩৮০ তিমির মৃতদেহ
ক্যারল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গত রাতে আমরা ভয়াবহ চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছি। রাতে আমরা কমপক্ষে ৩০০ জনকে উদ্ধার করেছি।’
তিনি বলেন, তবে কারো মৃত্যু বা গুরুতর আহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০০ বাসিন্দাকে উজাল উজালের আদিবাসী এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হবে। উদ্ধারদের মধ্যে ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একটি ৭ বছর বয়সী শিশু হাসপাতালের ছাদে রাত কাটিয়েছে।
একটি ক্যাটাগরি ২ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বুধবার উজাল উজালের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছে। শক্তিশালী বাতাসে ওই এলাকার সামান্য ক্ষতি হলেও ভারী বৃষ্টিপাতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানির তোড়ে রাস্তা ও রেললাইন ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
প্রায় ১৪ হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোমবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় গুলিতে কমপক্ষে ৪ জন নিহত
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া
আহমেদাবাদে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আইসিসি বিশ্বকাপের ২০২৩ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২৪১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এই বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার মোহম্মদ শামি ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের প্রথম উইকেট তুলে নেন।
এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার হন মিচেল মার্শ। স্টিভেন স্মিথকেও ঘরে ফেরান বুমরাহ।
২৮ ওভারের পরে তিন উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১৬২ রান।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়াকে ২৪০ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: অস্ট্রেলিয়াকে ২৪০ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত
ভারতের আহমেদাবাদে রবিবার (১৯ নভেম্বর) আইসিসি বিশ্বকাপের ২০২৩ ফাইনালে ৫০ ওভারে ২৪০ রান করেছে ভারত।
টস হেরে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় প্যাট কামিন্সের দল।
অস্ট্রেলিয়ান পেস আক্রমণে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায়।
বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
মিচেল স্টার্ক ১০ ওভারে ৫৫ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। শুভমান গিলকে আউট করে তিনি এই সাফল্যের সূচনা করেন।
১০০ রানে পৌঁছানোর আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত
অন্যান্য ম্যাচের মতো রোহিত শর্মা ঝোড়ো সূচনা করেছিলেন, কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক তার আগ্রাসি ব্যাটিং ধরে রাখতে পারেননি।
গিলের মতো শ্রেয়াস আইয়ারও তার জীবনের সবচেয়ে বড় ম্যাচে উল্লেখযোগ্য রান করতে ব্যর্থ হন।
উইকেটের পেছনে পাঁচটি ক্যাচ নেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক জশ ইঙ্গলিস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক তিনটি উইকেট নেন এবং জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স দুটি করে উইকেট নেন।
এই ম্যাচের আগে আইসিসি বিশ্বকাপের আরেকটি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মুখোমুখি হয়েছিল, যেটি অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল: শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত
ভারতের আহমেদাবাদে রবিবার (১৯ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনালে ১০০ রানে পৌঁছানোর আগেই তিনটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকেই পড়েছে ভারত।
অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০তম ওভারের পর ভারতের দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১১৫ রান।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। তাদের আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের টার্গেট দিল ভারত
১ বছর আগে