অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটা টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেকগুলো দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। স্থলপথে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করত। সাধারণত তারা ধরে যে দেশের লোক সেখানে তারা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটার মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে যে এটার কি করা যায়।'
নাসিমুল গনি বলেন, 'আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসেডিং আছে সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার যে, মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কোনো ব্যাপার না, ওয়ান-টুতে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি- এসব বলে লোকগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে দেখতেছে কি বিপদে তারা পড়েছে!'
মূলত দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা এই অবস্থায় এসেছে। অবৈধ প্রবেশের সময় তারা তাদের ধরেছে বলে জানান নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কেউ ঘর-বাড়ি বিক্রি করেছে। কেউ জমি বিক্রি করেছে, টাকা ধার করেছে, মোটামুটি সর্বস্বান্ত হয়েছে। এই গল্পগুলো তারা সেখানে শুনেছে। তারা বিস্তারিত অনেক অনুশীলন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, যখন জানবো যে আমাদের দেশের লোক তখন তাদের আমরা গ্রহণ করব। কি পদ্ধতিতে আমরা তাদের গ্রহণ করব, সেটার কার্যক্রমের অংশটি আজকে সই হয়েছে।'
এ চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কি জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, 'তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। নাম এই, ঠিকানা এই, আমরা তখন তদন্ত করব যে এই নামে আসলে কেউ আছে কিনা। সত্যি সে বিদেশে আছে কিনা। যখন আমরা দেখব এই নামে একটা লোক আছে, ছবিটাও মিলছে, তখন আমরা বলব ঠিক আছে তোমরা কবে পাঠাবো বলো। তারা পাঠালে পরে আমরা এদের গ্রহণ করব।'
তিনি বলেন, 'তারা (বাংলাদেশি) এখন সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন সেন্টারে আছে। তারা উপলব্ধি করেছে এই লোকগুলো পরিস্থিতির শিকার। আমরা এখন কিভাবে সমাজের লোকগুলোকে পুনর্বাসন করতে পারি। অন্যভাবে বলা যায়, আমরা কিভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ করতে পারি। এটাতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য একটা অঙ্গীকার করেছি।'
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে কি কোনো আর্থিক মূল্য থাকবে কিনা- এ বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, 'পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটা আমরা আর্থিক মূল্য দিয়ে হিসাব করতে যাব না। এ বিষয়ে তো আন্তর্জাতিক কতগুলো নিয়ম আছে। সেটার বিষয়ে উভয়পক্ষ যেভাবে একমত হয়, সর্বোচ্চ যতটুকু সুবিধা আমরা নিতে পারি। অন্য যারা এভাবে পাঠিয়ে দেয়, তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কিছু পেতাম না। এটাতো আমার হাতে একটা উদাহরণ এসে গেল।'
তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারি এটা আমার জানামতে প্রথম এই ধরনের কোনো চুক্তি। আমার জানার ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে হবে যে কি কারণে এটা হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'
২৪ দিন আগে
মার্চের শেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার
চলতি মার্চ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টার চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই অনুষ্ঠান শেষে জ্যেষ্ঠ সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক: নাসিমুল গনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রক্রিয়াটি এতদিন নয়া দিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।'
২৪ দিন আগে
ঢাকা থেকেই বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে অস্ট্রেলিয়া
এখন থেকে ঢাকার হাইকমিশন থেকেই বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক। তখন তিনি বলেন, এখন থেকে অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় অবস্থিত তাদের হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রসেস করবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়েছেন টনি বার্ক। পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্কের বাংলাদেশ সফরের সময় তার কাছে এই অনুরোধ করেছিলেন।
এর আগে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা নয়াদিল্লি থেকে প্রসেস করা হতো।
২৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বোলারদের কাছে যে প্রত্যাশা অধিনায়ক রোহিত শর্মার
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে পেসার জসপ্রীত বুমরাহকে আরও বেশি সমর্থন দিতে সতীর্থ বোলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ব্রিসবেনে বৃষ্টির কারণে ড্রয়ের পর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবারের টেস্টের দিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।
বুমরাহ ব্যতিক্রমী ২১ টি উইকেট নিয়েছেন, যার গড় ১০ দশমিক ৯০। আর বাকি ভারতীয় বোলিং আক্রমণ সম্মিলিতভাবে ২৬ উইকেট নিয়েছেন, যার সর্বোচ্চ গড় ৩৬ দশমিক ৮১।
শর্মা বুমরাহর আধিপত্য স্বীকার করে মহম্মদ সিরাজসহ অন্যান্য বোলারদের আরও কার্যকর পারফরম্যান্স করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে টাইগাররা
রোহিত শর্মা বলেন, 'বুমরাহ এখনও পর্যন্ত অসাধারণ খেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘সিরাজ এবং অন্যরা জানে যে তাকে সমর্থন করার জন্য তাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে এবং কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে কিন্তু সুযোগ মিস এবং কাছাকাছি সুযোগের কারণে কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক হয়েছে।’
নেট সেশনের সময় হাঁটুর চোট পাওয়া সত্ত্বেও তিনি ফিট আছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন রোহিত। তিনি সিরিজে লড়েছেন, তবে তিনি ছয় নম্বরে ব্যাটিং করবেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি।
মেলবোর্নের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১০৪ ফারেনহাইট) পৌঁছতে পারে বলে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় ভারত দুই স্পিনারকে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে। অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবসর নিয়ে ব্রিসবেন টেস্ট শেষে দেশে ফিরে যাওয়ায় ওয়াশিংটন সুন্দর ও নবাগত তনুশ কোটিয়ানকে স্পিনের দায়িত্ব পালনের জন্য ভাবা হচ্ছে। ২৩ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি রবীন্দ্র জাদেজা।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেডকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এমসিজি বিশেষজ্ঞ স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। ২০২১-২২ অ্যাশেজ সিরিজে টেস্ট অভিষেকে সাত রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া দুটি পরিবর্তন আনবে, নাথান ম্যাকসুইনির জায়গায় অভিষেক করবেন ১৯ বছর বয়সী স্যাম কনস্টাস এবং আহত জশ হ্যাজেলউডের জায়গায় অভিষেক করবেন বোল্যান্ড।
অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেনে সেঞ্চুরিসহ ৮১ দশমিক ৮০ গড়ে ৪০৯ রান নিয়ে অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন হেড। অস্ট্রেলিয়ার অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন বুমরাহর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সেখানে মূলত মূল পারফর্মার হিসাবে নিজেকে দাঁড় করিছেন হেড।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ৩ জানুয়ারি শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।
আরও পড়ুন: ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
১১৩ দিন আগে
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বিশ্বে প্রথম আইন পাস করে ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
সাইবার বুলিং, আসক্তি ও ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শসহ তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই সপ্তাহের শুরুতে সংসদে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সামাজিক যোগযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠোরভাবে বয়স যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনে বাধ্য করতেই এ আইন করা হয়েছে।
১৬ বছরের কম বয়সিরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না-তা এই এসব নিয়মের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
নতুন নিয়মগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ২০২৫ সাল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সময় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন আইনে বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।
২০২৫ সাল থেকে ১৬ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারীদের শনাক্ত এবং ব্লক করতে সক্ষমতাসম্পন্ন সিস্টেমগুলো স্থাপন করতে আইনত বাধ্য হবে সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলো। এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে, তাদের বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে। এটির পুনরাবৃত্তি হলে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আইননের ফলে উন্নত বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির বিকাশ করতে হবে। এতে
সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু প্ল্যাটফর্ম এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ভুলভাবে নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি স্থাপনে কাজ শুরু করেছে।
তবে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গোপনীয়তা ও তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ নতুন আইনটিকে দেশের যুবকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনটির লক্ষ্য ডিজিটাল যুগে শিশুদের সুস্থ চিন্তাভাবনা ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার ও হতাশা, উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তাদের অনলাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত উদ্বেগ বা হতাশার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
সাইবার বুলিং এবং সামাজিকভাবে নানা তুলনার চাপগুলোকে এই চ্যালেঞ্জগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই যুগান্তকারী আইন পাস করে অস্ট্রেলিয়া বাকি বিশ্বের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। অন্যান্য দেশগুলোকে তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং এই প্রভাবগুলো কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে উৎসাহ দেবে।
১৩৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আয় ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে থাকায় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের পরামর্শ দেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনিয়মিত অভিবাসন সমর্থন করে না এবং অস্ট্রেলিয়ায় অনিয়মিত নাগরিকদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
প্রশাসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন এবং সেই চেতনার আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তৌহিদ হোসেন।
এসময় সাম্প্রতিক অস্থিরতায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
এছাড়াও ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নার্দিয়া দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ২০২৪ সালের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়া সব বাংলাদেশির জন্য একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন এই সংকটের কারণে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে দীর্ঘায়িত সংকটের এই চূড়ান্ত সমাধানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর আরও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেন।
২০৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে দলটি।
দলের সঙ্গে আছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি এই সফর তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলেও উল্লেখ করেন হান্নান।
এই সফরে বাংলাদেশ এইচপি চার দিনের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের মুখোমুখি হবে এবং ওয়ানডেতে পাকিস্তান শাহিনস এবং নর্দার্ন টেরিটরি দলের বিপক্ষে খেলবে।
প্রথম চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ১৯ জুলাই। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৬ জুলাই। ওয়ানডে হবে ১ ও ৬ আগস্ট। আগামী ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মোট ২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই সফরের জন্য আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আম্পায়ার হওয়ার ইচ্ছা সাথিরা জাকিরের
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এইচপি স্কোয়াড:
তিন দলেই আছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মুকিদুল ইসলাম, রিপন মন্ডল ও মারুফ মৃধা।
চার দিনের ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলোয়াড়: এসকে পেভেজ রহমান জীবন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান, জিসান আলম, আফিফ হোসেন (ওয়ানডে অধিনায়ক), শামীম হোসেন, আকবর আলী (টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ওয়ানডে দলের সহঅধিনায়ক), ওয়াসি সিদ্দিক, আবু হায়দার রনি ও মাহফুসুর রহমান রাব্বি (টি-টোয়েন্টি দলের সহঅধিনায়ক)।
শুধু চার দিনের ক্রিকেট খেলোয়াড়: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় (অধিনায়ক), অমিত হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু (সহঅধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আইচ মোল্লা, রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মুরাদ।
শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: আলিস ইসলাম
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বিসিসিআইয়ের বাড়তি বোনাস ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসিত রাহুল দ্রাবিড়
২৭৮ দিন আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
অ্যান্টিগায় চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম সুপার এইটে ডিএল পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রিশাদ হোসেন কিছুটা ধীরগতির পিচে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে জ্বলে উঠলেও বাংলাদেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যর্থতায় জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের ইনিংসে কিছু ভালো মুহূর্তও ছিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মিডল অর্ডারের শক্ত ভিত তৈরি করে সুসংগঠিত ইনিংস খেলেন। আক্রমণাত্মক হিটিংয়ের জন্য পরিচিত তৌহিদ হৃদয় ইনিংসের শেষ দিকে দুটি শক্তিশালী ছক্কা মেরে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করেছিলেন।
তবে অ্যাডাম জাম্পার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা বাংলাদেশি ব্যাটারদের আটকে রাখেন। জাম্পার শৃঙ্খলাবদ্ধ স্পেল, ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের এমন একটি ইনিংস থামিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে সত্যিকার অর্থে আর কখনই গতি সঞ্চার করতে পারেনি।
প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের শেষ দিকের আগ্রাসন রুখে দেন তিনি। হ্যাটট্রিকের প্রথম দুই উইকেট আসে ১৮তম ওভারে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসানকে আউট করে। শেষ ওভারে ধীর বলে বিপজ্জনক তৌহিদ হৃদয়কে আউট করে হ্যাটট্রিক নিশ্চিত করেন কামিন্স।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
এটি টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগেরটি ছিল ব্রেট লির।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে শেষ করে বাংলাদেশের ইনিংস।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের গল্পটা ছিল ভিন্ন। ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণ করে প্রথম চার ওভারে ৩৬ রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান অল্পের জন্য নিয়ন্ত্রণ পেলেও জয়ের শক্ত মঞ্চ আগেই তৈরি করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি করলেও হেডকে সমান ভয়ংকর দেখাচ্ছিল। বৃষ্টি তাদের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে, যখন তারা ডিএলএস পার স্কোরের চেয়ে ২৮ রানে এগিয়ে ছিল। আর এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে বেশি রানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। শান্ত বলেন, 'আমার মনে হয়েছে, আমাদের ১৭০ রান করা উচিত ছিল। তিনি টুর্নামেন্ট জুড়ে বোলারদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তারা তাদের পারফরম্যান্স বজায় রাখবে।
সুপার এইটে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। দলটি ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
৩০০ দিন আগে
নারী ক্রিকেট: অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরেকটি বড় পরাজয় বাংলাদেশের
নারী ক্রিকেট সিরিজে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেট দল সব দিকেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এ কারণে সিরিজ শেষে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। ছয়টি ম্যাচের কোনোটিতেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অ্যালিসা হিলি ৪৫ ও তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ৪৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। তবে, অস্ট্রেলিয়ার রান নিয়ন্ত্রণে রাখতে দলকে সহায়তা করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট: সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে সামান্যতম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো অবস্থানে কখনোই ছিল না বাংলাদেশ দল। ১৮ ওভার ১ বল খেলে মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় তারা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা দলের হয়ে সর্বোচ্চব ৩২ রান করেন।এরপর বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবেই উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়।
চলতি মাসের শেষ দিকে নিজ দেশের মাঠে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেই বিবেচনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহ, ১ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৩৭৮ দিন আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
মানবাধিকার, আইনের শাসন ও উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য নিজেদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও আমরা এই সত্যকে স্বাগত জানাই যে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তবে এটি দুঃখজনক যে নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সমস্ত অংশীজনরা অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিরোধী দলীয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে তারা উদ্বিগ্ন।
দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
৪৬৩ দিন আগে