আল্টিমেটাম
এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণে আল্টিমেটাম
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আস্থার অভাব তুলে ধরে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তারা জানিয়েছেন, ২৯ মে’র মধ্যে তাকে অপসারণ করতে হবে, নইলে কর্মসূচি আরও বাড়বে।
সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান পরিষদের নেতারা। বক্তারা বলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং তার নেতৃত্বে এনবিআর কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
কর্মকর্তাদের পক্ষে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মনালিসা শাহারিন, উপকর কমিশনার রইসুন নেসা ও এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব শাহাদাত জামিল। সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের বিভিন্ন শাখা ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। চেয়ারম্যানের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে অসহযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
আরও পড়ুন: দুই সপ্তাহ পর কাজে ফিরলেন এনবিআর কর্মকর্তারা
তবে রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় স্বেচ্ছায় কাজ করবেন।
এছাড়া এনবিআরের কাঙ্ক্ষিত রূপ নিয়ে আগামী মাসে “আমরা কেমন এনবিআর চাই” শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজনের ঘোষণাও দেন পরিষদ নেতারা। এতে এনবিআর সংস্কার ও কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তারা।
১৯২ দিন আগে
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
২৫৭ দিন আগে
নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
নরসিংদীর শিমুলতলা থেকে পাঁচদোনা বাইপাস সড়ক নির্মাণের চলমান কাজ বন্ধের দাবিতে মাধবদীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মাধবদী-বাবুরহাট রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটি। প্রতিবাদকারীদের দাবি, এই সড়ক নির্মাণ ঐতিহ্যবাহী মাধবদী ও দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী কাপড়ের বাজার শেখেরচর (বাবুরহাট) বাজার ধ্বংসের পাঁয়তারা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাধবদীর পুরাতন বাস্ট্যান্ডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সিআইপি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর থানা বিএনপির সভাপতি ও মাধবদী-বাবুরহাট রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা আবু সালেহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— মাধবদী শহর বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মাধবদী-বাবুরহাট রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনুসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মাধবদী ও বাবুরহাটকে পাশ কাটিয়ে ফসলি জমির ওপর দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এতে একদিকে মাধবদী ও বাবুরহাটের যে ঐতিহ্য, সেটি ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে, অন্যদিকে সরকারের তিনগুন বেশি টাকা খরচ করা হচ্ছে। এই মাধবদী ও বাবুরহাটকে ঘিরে অনেক শিল্পকারখানা ও অর্ধশত ব্যাংকের শাখা রয়েছে। প্রায় দশ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান এই এলাকায়। এছাড়া দুইটি বাজারে প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। মাধবদী ও বাবুরহাটকে পাশ কাটিয়ে সড়ক নির্মাণ হলে বিপুল পরিমাণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। ব্যবসায়ীক লেনদেন কমে যাবে।
তাই এই শিল্পকে বাঁচাতে নতুন বাইপাস সড়কের কাজ বন্ধ করে পুরনো মহাসড়ক প্রশস্ত করার জোর দাবি জানান তারা।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, আগামী চার দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধসহ লাগাতার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
৩০০ দিন আগে
পঞ্চগড়ে চার বিচারকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চগড়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চার বিচারকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে পঞ্চগড় আদালত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিসহ সমন্বয়ক মোজাহার ইসলাম সেলিম, মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান ফয়সাল প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যা: ইসকন নিষিদ্ধ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
এ সময় তারা বলেন, পঞ্চগড় আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হেনা সম্প্রতি জেলা জজ আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে মেধার মূল্যায়ন না করে নিয়োগের নামে বাণিজ্য করেছেন। ছাত্র-জনতা ও পরীক্ষার্থীরা নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
তারা আরও বলেন, তারা এখনও আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরের ভূমিকা পালন করছেন। আগস্ট বিপ্লবের পরেও তারা ঘুষ, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সমন্বয়কদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক।
আগস্ট বিপ্লবের পরেও যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুকসহ ওই চার বিচারক আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট। আদালতের নিয়োগে দুর্নীতি করে আইনমন্ত্রীর এলাকার লোকদের বারবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। সরকারি বাড়ি থাকা সত্ত্বেও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল আদালতকেই নিজের বাসভবন বানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: তিন দফা দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
তিনি বলেন, ‘হাসিনার সময়ে প্রশাসনের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হলেও তার দোসর এই বিচারকদের এখনও সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তাই তারা শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এখনও নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। তবু আর অন্যায়-দুর্নীতি হতে দেব না।’
এ বিষয়ে জানতে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জমিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
৩১৬ দিন আগে
তিন দফা দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাতিলসহ সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- যৌক্তিকভাবে ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমিয়ে তা শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল এবং আগামী ২ সেমিস্টার ৪ মাস করে শেষ করতে হবে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি কার্যকর না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রসায়ন বিভাগের আসাদুল্লাহ আল গালিব, সমাজকর্ম বিভাগের মুজাহিদ ইমন, মুহাম্মদ আলী, মুরাদ মিয়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহবুবুল হাসান পবন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল হোসেন।
এ সময় আজাদ শিকদার জানান, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে তা বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি ফির পাশাপাশি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তত্ত্বীয় প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১০৫ টাকা, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা। এছাড়া, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১৬০ টাকা যা ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম তারা শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে। কিন্তু আমরা বারবার দাবি নিয়ে গেলেও প্রশাসন তাতে ভ্রুক্ষেপ করছে না। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর আগের প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতিগুলো এখনও বাতিল করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস শিক্ষার্থীরা হতে পারে না উল্লেখ করে এই শিক্ষাথী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বারবার বলেছি, পূর্ববর্তী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর অযৌক্তিকভাবে ভর্তি, ক্রেডিট ও সেমিস্টার ফি চাপিয়ে দিয়েছিল, যা শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম করে অর্থ নেওয়ার মতো।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস বিশ্ববিদ্যালয় বের করবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদিকে নজর না দিয়ে আয়ের উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অযৌক্তিক ফি বাতিল করে শিক্ষার্থীবান্ধব ফি নিশ্চিত করুন।’
পবন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটায় অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়ার কোনো অর্থ দেখি না। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হন।’
শাবিপ্রবিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ বিভাগীয় পর্যায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রশাসনের সঠিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
৩৫৮ দিন আগে
শিক্ষকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জাহিদুল হককে হত্যার হুমকিদাতা ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন, চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকিদাতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্বজিৎ ভাস্কর্য স্থাপনের জানান তারা।
রবিবার (নভেম্বর ২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক জাহিদ মরে গেলে লক্ষ জাহিদ ঘরে ঘরে’-সহ নানা স্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে একজন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে মারার হুমকি দেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকব। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ছাত্র আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, এটা কি তার অপরাধ?
তাদের দাবি, অভিযুক্ত কাজী মনির ও হুমকিদাতা সালাউদ্দিন মোল্লা স্পষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। এখন বাইরে বসে হত্যার হুমক দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অতুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বিদেশে পালিয়েও আমাদের হুমকি দেয়। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া মানে আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে হুমকি দেওয়া। জবিতে ফ্যাসিস্ট আমলের যারা রয়ে গেছে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব এবং সব অভিযুক্তদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনতে চাই। জবি প্রশাসন আমাদের পূর্ণ সহায়তা করবে আশা করি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সকল ক্লাস বর্জন করব।’
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমাদের যে সহকর্মীর কাছে হত্যার হুমকি এসেছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন জাতীয় অংশীজন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তার চিন্তা সবসময় ছিল। আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীদের পক্ষেও তার শক্ত ভূমিকা ছিল। এখন যখন ওই আন্দোলনের স্পিরিটের বিরোধীরা বহাল তবিয়তে আছে, এ বিষয়ে তার আপত্তি আছে। তিনি এগুলো নিয়ে বলছেন। এজন্য জাহিদ এখন পলিটিকাল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। জাহিদের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে আমরা হারাতে চাই না।’
চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন আলপ্তগীন তুষার বলেন, ‘শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল হককে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত সকল দুর্বৃত্তদের বহিষ্কারের দাবিতে আজ আমরা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়েছি।’
‘উনিও শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। আজ জাহিদকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমাকে দেবে। আমি বলে দিতে চাই- বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা আর শিল্পী সমাজ ছুঁলে পুরো জয় বাংলা হয়ে যাবেন। জাহিদকে একা ভেবে ভুল করবেন না, আমরা পুরো শিল্পী সমাজ আছি তার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষক। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি।
৩৭৫ দিন আগে
বকেয়া মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের আল্টিমেটাম
বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেট আম্বরখানা এলাকায় ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকেরা।
এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকরা রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করেন।
এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা। দুই দিনের মধ্যে বকেয়া মজুরি দেওয়া না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন তারা।
তবে আগামী দুদিন কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
জানা যায়, ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি পাচ্ছেন না সরকারের ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগানের শ্রমিকরা। বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের কারণে ৭ দিন ধরে অচল হয়ে পড়েছে সরকারি মালিকানাধীন ১৮টি চা বাগান।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির সব পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। এতে কোম্পানিতে অচলাবস্থা দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে পড়ে কোম্পানির সব বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও মজুরি।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে শ্রমিকরা। ১৭৮ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকরা ৬ সপ্তাহ ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বকেয়া মজুরির দাবিতে গত সপ্তাহ থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন এনটিসির মালিকানাধীন বাগানগুলোর শ্রমিকরা। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে একযোগে আন্দোলন করছেন তারা।
সিলেটে এনটিসির মালিকানাধীন চা বাগানগুলো হলো- লাক্কাতুরা, দলদলি ও কেওয়াছড়া চা বাগান। দেশের ছোট-বড় মিলিয়ে এনটিসির ১৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এই সবগুলো বাগানেই আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, গত দুর্গাপূজার আগ থেকেই তাদের মজুরি ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পূজার সময়ে বোনাস প্রদান করলেও দেড় মাসের মজুরি বকেয়া রয়ে গেছে।
শ্রমিক সজিব মুন্ডা বলেন, যে টাকা মজুরি পাই, তাদিয়ে সংসারই চলে না। কোনরকমে চালাতে হয়। এরমধ্যে দেড় মাস ধরে মজুরি বন্ধ। আমরা বাঁচব কী করে? দোকানে বাকির টাকার অংশ বেকল বড় হচ্ছে। এখন দোকানদারও বাকি দিতে চায় না। ফলে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।
লাক্তাতুরা বাগানের আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, আন্দোলনের শুরুতে প্রথমে তারা সিলেটের জেলা প্রশাসরকর কাছে বকেয়া মজুরির দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এরপর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছিল।
রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দুই দিনের আল্টিমেটাম দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা। তিনি নিজেও এনটিসির মালিকানাধীন লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিক।
রাজু বলেন, আমাদের দেড় মাসের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। মজুরি না পেয়ে লক্ষাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কে সরকারে আসল বা গেল তা নিয়ে নিরীহ চা শ্রমিকদের কিছু আসে যায় না। আমরা কোনো রাজনীতিতে নেই। আমরা কেবল আমাদের মজুরি চাই।
এ ব্যাপারে লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আক্তার শহিদ বলেন, শ্রমকিদের মত আমরা নিজেরাও সমস্যায় আছি। আমাদেরও বেতন বন্ধ হয়ে আছে। তবে শুনেছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক বলেন, কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন হয়েছে। সেজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি, দুই থেকে একদিনের মধ্যে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
৪০৩ দিন আগে
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রভোস্ট ও দুই হাউজ টিউটরসহ ১৮ জন পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি, আহত ৫
ড. আইনুল বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমিও পদত্যাগ করেছি। শুধু ট্রেজারার পদত্যাগ করেননি।’
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি। রাষ্ট্রপতি বরাবর আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকারসহ দুজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করে নিজেরাই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্যকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি
৪৮০ দিন আগে
সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কোটা আন্দোলনকারীদের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবির বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে এবং পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
রবিবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তানে জিপিওর কাছে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমরা সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পাচ্ছি না। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আমরা সংসদে আমাদের এক দফা দাবির বিষয়টি উত্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমরা চাই তিনি আইন পাসে ভূমিকা রাখবেন এবং জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ অধিবেশন ডেকে সেখানে আমাদের দাবির বিষয়ে আইন পাসে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। জনদুর্ভোগ হোক এমন কোনো কর্মসূচি নিতে আমাদের বাধ্য করবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিন।’
উল্লেখ্য, গুলিস্তানের জিপিওর কাছে পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারো সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে পুলিশ পাহারায় বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলটি দুপুর আড়াইটার দিকে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন এবং বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বাকৃবিতে গণ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান
কোটা ইস্যু এখনও বিচারাধীন থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়োগ স্থগিতের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
৫০৮ দিন আগে
চট্টগ্রামে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির অফিসে তালা, সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি শাখার একটি দলীয় কার্যালয় দখল করে তালা ও চাবি দিয়ে আটকে রেখেছে দলটির স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের অসন্তুষ্ট কর্মীরা। যারা চট্টগ্রাম দক্ষিণ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া ছিল।
গত ২৬শে আগস্ট কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর নগরীর নিউমার্কেট এলাকার কোতোয়ালি রোডের দোস্ত বিল্ডিংয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সদ্য ঘোষিত জেলা আহ্বায়ক কমিটিকে পকেট কমিটি দাবি করে বিক্ষুব্ধরা সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলে দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দকে।
আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরপরই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে দোস্ত বিল্ডিংয়ের নিচে কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে ‘পদবঞ্চিত’ নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জুনায়েদ বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। এ কমিটি নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে। অযোগ্য ও বিতর্কিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এ কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়েছি। কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অপসারণ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের করা টাকার বিনিময়ে 'পকেট কমিটি' গঠনের অভিযোগের আঙুল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রদল বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের দিকে।
গত ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ৪২ সদস্যের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। ওই কমিটিতে রবিউল হোসেন রবিনকে আহ্বায়ক এবং কামরুদ্দিন সবুজকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক এনমান তাদের পছন্দের অনুসারীদের কমিটিতে রেখেছেন, যার ফলশ্রুতিতে এনামের প্রতি অনুগত একটি সংগঠন রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
নরসিংদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আরেক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
৮২৯ দিন আগে