কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি রুট ম্যাপ চূড়ান্ত করেছে, যা ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।
রুটম্যাপ অনুযায়ী, সর্বস্তরের জনসাধারণ পুরনো হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, উপাচার্য ভবনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট-ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর দিকের গেইট দিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করবেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারতের পর আজিমপুর কবরস্থানের মূল গেট (দক্ষিণ দিকের) দিয়ে বের হয়ে আজিমপুর সড়ক হয়ে পলাশী মোড় থেকে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন।
আরও পড়ুন: জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
কবরস্থানে না গিয়ে বিকল্প পথে যারা শহীদ মিনারে যেতে চান তারা উপাচার্য ভবন পার হয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড় থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে (জহুরুল হক হলের পশ্চিমের রাস্তা) সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।
নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়েও আজিমপুর মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বক্শি বাজার মোড় হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়েও পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিব বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
উপাচার্য ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চাঁনখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে শুধু প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা থেকে ক্যাম্পাস এলাকার অন্যান্য সড়ক বন্ধ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
যেখানে তারা ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে নেয়া রুটম্যাপ ও সার্বিক প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য বরাবরের মতো এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং বিভিন্ন উপ-কমিটি নানাবিধ দায়িত্ব পালন পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার শ্রদ্ধা জানানোর পর অন্যান্য সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এবছর ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা যাবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বেদির প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে রং করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাটিকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে।
আইন অনুষদের সামনে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যাতে এলাকা মনিটরিং করতে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়।
অন্যদিকে, ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে তাদের চিত্রকর্মে তুলির সর্বশেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম গত দুই দিন ধরে দেয়ালচিত্র করছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বাকি আছে শুধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের গ্রাফিতি। বাকি অংশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
১ বছর আগে
সাংবাদিক তোয়াব খানকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার সকালে দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ সেখানে রাখা হয়, যেখানে লোকজন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বেলা ১টার দিকে খানের কফিন জাতীয় প্রেসক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকরা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রথম আলো, দৈনিক জনকণ্ঠ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন
বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খান গত শনিবার ৮৭ বছর বয়সে ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
খান ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বলিষ্ঠ কণ্ঠের ভূমিকাও পালন করেন এই প্রবীণ সাংবাদিক।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠানটি নিয়মিত প্রচারিত হয়। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর তিনি নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
২ বছর আগে
বিশিষ্ট সাংবাদিক গাফ্ফার চৌধুরী চিরনিদ্রায় শায়িত
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-এর রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শনিবার বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশিষ্ট এই বাংলাদেশি-ব্রিটিশ লেখক ও কলামিস্টের দাফন সম্পন্ন হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ১১ টা ৫মিনিটে লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী মারা গেছেন
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
২ বছর আগে
মুহিতের মৃত্যু দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা প্রাজ্ঞপ্রাণের প্রস্থান: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে আমরা দেশের অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখা একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, ভদ্র মানুষকে হারালাম।শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিক মুহিতের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ভব্যতা-ভদ্রতাসহ অনেক কিছু তার কাছে শেখার ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, কনিষ্ঠ ও অনুজদের মুহিত ভাই যেভাবে আপন করে নিতেন, তা ছিল অভাবনীয়। তার মৃত্যু আমাদের দেশ ও দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ যে আজকে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ যে আজকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এইক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বোতভাবে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এএমএ মুহিততথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আবুল মাল আবদুল মুহিতের মাধ্যমে দেশে মোট ১২টি বাজেট পেশ হয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের দশটি বাজেট দিয়েছেন একাধারে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং এই প্রাজ্ঞ মানুষটি। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণকারী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি বর্তমান সিলেট শহরের ধোপা দিঘির পাড়ে পৈতৃক বাড়িতে। ২০০৯ সাল থেকে টানা দশ বছর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদানকারী মুহিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
১০ম বছরে জাবি সাংবাদিকতা বিভাগ
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও উৎসব মুখর পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগটি প্রতিষ্ঠার দশ বছর পার করলো। দেশে আদর্শ সাংবাদিক তৈরিতে ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রচার ও প্রসারে বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।
উদ্বোধন শেষে এক বিশাল আনন্দ র্যালির আয়োজন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। আনন্দ মিছিল শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে ‘গণমাধ্যমে জনস্বার্থ: কালের পরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
আরও পড়ুন: জাবিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপভোগ করলেন ‘মিশন এক্সট্রিম’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগটি খোলা হয়েছে মাত্র নয় বছর আগে। আজ বিভাগটি প্রতিষ্ঠার দশম বছরে পদার্পণ করলো। একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশে মেধাবী সাংবাদিক তৈরিতে এই বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
আলোচনা সভা শেষে দৈনিক জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল মজিদ হারুনকে বিভাগের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কৃতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি , সামাজিক কর্মকাণ্ডসহ নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এসময় তার হাতে আজীবন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, আজ জার্নালিজম বিভাগটি পরিপূর্ণ রূপ লাভ করেছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একটি অপূর্ণ বিভাগ নিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল বিভাগটির। ক্লাসরুম বিহীন যাত্রা শুরু করা বিভাগটি আজ সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালমা আহমেদ, উজ্জ্বল কুমার মন্ডল, সুমাইয়া শিফাত,নিশাত পারভেজ, প্রভাসক শিবলী নোমান, সালমা সাবিহা,শবনম ফেরদৌসী, নওশীন জাহানসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাবিতে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে
ভাষা শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
৩ বছর আগে