আগরতলা
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।
এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত একটি খালি কনটেইনার ট্রেন চালানো হয়েছে।
বহুল কাঙ্ক্ষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের নির্মাণকাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া।
আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলক চলাচল: ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছেছে ট্রেন
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে দেড় বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগছে পাঁচ বছরেরও বেশি।
রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন এবং প্ল্যাটফরমের ফিনিশিং কাজ এখনও চলছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। ট্রেনটি ৪০কিলোমিটার গতিতে চলেছে। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে বৃহস্পতিবার
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিতে কাজ করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই অঞ্চলের পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে।
বুধবার ভারতের আগরতলায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণের জন্য অনুরোধ করেন এবং আগরতলায় একটি ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণে তাঁর সহায়তা চান।
রাজ্যের মন্ত্রী সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদে সাম্প্রতিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য ঘর ও হৃদয় খুলে দেওয়ার জন্য তিনি ত্রিপুরার জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তারা পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রচারে সম্মত হন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিমন্ত্রী।
সাহা চলমান কানেক্টিভিটি উদ্যোগ, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার।
এর আগে, প্রতিমন্ত্রী আগরতলায় ত্রিপুরা স্টেট মিউজিয়াম (উজ্জয়ন্ত প্যালেস) পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঢাকার উদ্দেশে আগরতলা ত্যাগ করেন শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
১ বছর আগে
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে এটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঠিকাদারেরা বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যদি কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করে বিকল্প ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেলপথের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। এটি আমাদের দুই দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে, এটি ৬ নাম্বার হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: স্টেশন পরিদর্শনে এসে দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করলেন রেলমন্ত্রী
এসময় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়তা প্রদান করেন যে আগামী জুনের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলপথ চালু করার আশ্বাস দেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন।
এই রেলপথটি ভারতের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশ এবং বাকী বাংলাদেশ প্রান্তে। নির্মাণ এবং পরামর্শক কাজে যুক্ত রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো রেল এন্ড অব ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি: রেলমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
২ বছর আগে
আগরতলা ঘড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর মুক্তি স্মরণে ডাকটিকিট অবমুক্ত
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি দিবস স্মরণে সোমবার ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছে ডাক অধিদপ্তর।
৩ বছর আগে