জলবায়ু
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এটিএসিএইচ’র আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’- বিষয়ক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও ও এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরে বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইটস ইম্পেক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর ’-শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে কোস্টাল এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
এ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে লবণাক্ত বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি হওয়ার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ এবং পরবর্তী পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের সুইডেন অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল, এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রতি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরও সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস প্রদান করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিযুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড' দিয়েছে আইওএম ও জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮ এর সাইডলাইনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ এ সময় 'অভিযোজন ও সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ'-শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
হাছান মাহমুদ জানান, জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতাদের নজরে নিয়ে আসেন। এর আগেও বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গত বছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ-২৭ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
একইসঙ্গে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত, ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা এবং এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্রমাগত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে এখন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।
পুরস্কার প্রদানকারী গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে ব্যাপৃত।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এদিন বিকালে দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে, কমনওয়েলথ মহাসচিব তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জি-২০ নেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে পেছনে ফেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের (ইউএন) ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (কপ-২৮) সম্মেলনের ২৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবার সম্মেলনের আয়োজক। দেশটির দুবাই শহরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই বছরের জলবায়ু সম্মেলনটি বিশেষভাবে বিশ্ববাসীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কারণ গ্লোবাল স্টকটেকের মূল্যায়নের সময় এসে গেছে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী এবারই প্রথম বিশ্বের সামগ্রিক অগ্রগতির দ্বিবার্ষিক মূল্যায়নই (স্টকটেক) হচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে কপ-২৮ এর সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ আল জাবের বলেন, ‘গ্লোবাল স্টকটেকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন পথচলা শুরু হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ কী হবে, এটা থাকবে এবারের সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয়। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা কার্যকর করতে, ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে এবং ২০৩০ পর্যন্ত পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।’
আল জাবের বিশ্ব নেতাদের কাছে একটি সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ বিষয়ে বৈশ্বিক মূল্যায়নের উপর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং এজেন্ডাগুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কপ-২৮ সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই প্রেসিডেন্সি (সবুজ) অর্থায়ন শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের দক্ষিণাংশের দেশগুলোর আর উন্নয়ন ও জলবায়ু কর্মকাণ্ডের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে না।’
তিনি সমাধানের জন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসার এবং ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নিচ্ছি। অস্থিতিশীল বিশ্ব থেকে খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে, বর্তমানে আমরা যে জটিল প্রভাবগুলোর (জলবায়ু পরিবর্তনের) সম্মুখীন হচ্ছি তা সমাধানের সর্বোত্তম প্রতিক্রিয়া তৈরি করার জন্য স্থিতিস্থাপকতার অভাব রয়েছে।’
তিনি দ্রুত প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ নেওয়ার এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য দৃঢ় আহ্বান জানানোর সময় জাতিসংঘের এই জলবায়ু কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের মধ্যে এবং এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কে ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও সতর্ক করেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫-ডিগ্রি সীমা অতিক্রম করার আগে পৃথিবীর কার্বন নির্গমন সহ্য করার ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগে আমাদের হাতে এখনও প্রায় ছয় বছর আছে।’
এবারের কপ-২৮ সম্মেলন পৃথিবী ও সমস্ত মানবজাতির মুখোমুখি থাকা জলবায়ু সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ৭০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পাঁচটি অর্থায়ন চুক্তি সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এই চুক্তি সই হয় বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়ন, মাধ্যমিক শিক্ষা, নদীর তীর সুরক্ষা ও নাব্যতা, শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য এবং গ্যাস বিতরণ দক্ষতা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো এই চুক্তির আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
চুক্তির আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- ২১০ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স প্রজেক্ট, ৩০০ মিলিয়ন ডলারের লার্নিং এক্সেলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন প্রজেক্ট, ১০২ মিলিয়ন ডলারের যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট, ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলারের আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রজেক্ট এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবিটমেন্ট প্রজেক্ট।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই সেক নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স প্রজেক্ট ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের প্রায় ১৭ লাখ গর্ভবতী নারী ও ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মায়েদের নগদ অর্থ প্রদান ও কাউন্সেলিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়নে সহায়তা করবে।
লার্নিং এক্সেলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন প্রজেক্ট শিক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষার মান উন্নত করে মাধ্যমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। কোভিড-১৯ মহামারির সময় শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর জন্য প্রস্তুতি উন্নত করতে প্রকল্পটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পাশাপাশি পরিপূরক অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করবে। ঝরে পড়ার হার কমাতে এই কর্মসূচির আওতায় ৮০ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে এবং ৫ হাজার স্কুলে সক্রিয় যৌন হয়রানি ও প্রতিরোধ কমিটি গঠন নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে: বিশ্বব্যাংক
যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-১ যমুনা নদীর তীর রক্ষা ও নাব্যতা উন্নয়ন, নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি রক্ষা, হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা এবং তাদের জীবিকা ও সম্পদ রক্ষায় সহায়তা করবে। এটি পর্যাপ্ত গভীরতার সঙ্গে নৌপথের চ্যানেলগুলোকে উন্নত করবে যাতে সারা বছর বড় কার্গো জাহাজগুলোর চলাচল উপযোগী করতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং বাণিজ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন প্রজেক্ট ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভায় ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগসহ সাধারণ রোগের চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও রেফারেল করার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করবে। এটি মশা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগকেও সমর্থন করবে। এটি নারীদের জন্য প্রসবপূর্ব পরিষেবাগুলো উন্নত করতে সহায়তা করবে। গর্ভাবস্থায় আড়াই লাখেরও বেশি নারীকে কমপক্ষে চারটি চেকআপ পাওয়ার লক্ষ্য নিশ্চিত করবে। এটি প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং এবং ফলো-আপে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ২১০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন
গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবিটমেন্ট প্রজেক্ট প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ এবং শেষ ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করতে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খলে মিথেন নির্গমন কমাতে সহায়তা করবে। এটি ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করবে। প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেম প্রাকৃতিক গ্যাসের শেষ ব্যবহারকে কার্যকর করতে, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো এবং পরিবার ও শিল্প ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাস বিল কমাতে সহায়তা করবে।
আবদুলাই সেক বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সহনশীলতা উন্নত করার পাশাপাশি আমাদের শিশুদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, একটি বাসযোগ্য গ্রহে দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যকর অংশীদারিত্ব থাকায় লাখ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ক্ষয়ক্ষতি তহবিলকে পুরোপুরি চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি তহবিলটি সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়া উচিত।’
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেসের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেইরা দা সিলভা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের লক্ষ্য হলো দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া। কারণ তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত নেতিবাচক পরিণতিগুলো যেমন- ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, চরম তাপপ্রবাহ, মরুকরণ, দবানল, ফসল ব্যর্থতা প্রভৃতি মোকাবিলা করে।
ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন না করায় প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যাপ্ত নয়।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি জলবায়ু সহনশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন।
তিনি বলেন, তারা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বাড়ি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গ্রিন বেল্ট, কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তৈরি করেছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে জলবায়ু সহনশীল ঘর দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করেছে।
ইউএনওপিএস কর্মকর্তা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের, বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইউএনওপিএস স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালকের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের জন্য মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় প্লান্ট নির্মাণ করা হলে ভালো হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ইউএনওপিএসকে অভিনন্দন জানান।
তিনি ইউএনওপিএস’র প্রকল্প পরিচালনার দক্ষতার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ইউএনওপিএস প্রমাণিত দক্ষতা বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্কৃতি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত হবে না: মুখপাত্র দুজারিক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
জিসিএ’র জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সায়মা ওয়াজেদ
জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)। অভিযোজন সমাধানের জন্য পদক্ষেপ ও সমর্থন ত্বরান্বিত করতে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হলো জিসিএ।
জিসিএ বুধবার তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে (টুইটার) লিখেছে, “জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক জিসিএ'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ড. সায়মা ওয়াজেদকে স্বাগত জানাই।”
আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী নারী নেতৃত্বের তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ
জিসিএ উল্লেখ করেছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পেশাগত কাজ ও অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে জলবায়ু স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে যারা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তাদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহযোগী ড. সায়মা।
জিসিএ'র মন্তব্যের জবাবে সায়মা লিখেছেন, “জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে জিসিএ'র সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি, যা সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।
২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত সায়মা ওয়াজেদ একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্কুল সাইকোলজিস্ট। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে।
তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজনকে সমর্থন করতে অ্যাডভোকেসির সঙ্গে জড়িত। তিনি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ এবং একজন দক্ষ বক্তা ও লেখক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উন্নয়নে সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসায় নেটিজেনরা
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
জলবায়ু ফ্রন্টে তরুণ নেতাদের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, বিশ্বের সামনে উদ্ভূত জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি আপনাদের নিজ নিজ দেশে কমিউনিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে আপনাদের উত্সর্গের জন্য সমস্ত জলবায়ু চ্যাম্পিয়নদের প্রশংসা করি।’
২৬-২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস, একটি যুব-নেতৃত্বাধীন সামাজিক উদ্যোগ জেনল্যাবের সঙ্গে সহযোগিতায়, ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়ন্স নেটওয়ার্ক (সিএসিএন) বাংলাদেশ কনক্লেইভের আয়োজন করে।
লক্ষ্য ছিল বায়ুর মান উন্নত করায় তরুণ জলবায়ুকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ৫০ জন জলবায়ু উদ্যমী তরুণ এই ইভেন্টে যোগ দেয়।
রাষ্ট্রদূত হাস সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তরুণ প্রতিনিধিদের পরিবেশ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সীমানা পেরিয়ে কাজ করার মাধ্যমে এই তরুণ নেতারা তাদের সম্প্রদায়কে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে ভাগ করা সমৃদ্ধির জন্য তাদের একে অপরের প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আপনাদের আবেগ, উত্সর্গ ও উদ্ভাবনী চিন্তা আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর একটি মোকাবিলার অমূল্য সম্পদ।’
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক কাজ চালিয়ে যান এবং জেনে রাখুন যে বিশ্ব আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা দেখছে এবং সমর্থন করছে। একইসঙ্গে আমরা সকলের জন্য আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’
ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়নস নেটওয়ার্ক (সিএসিএন) হলো ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে আঞ্চলিক একটি উদ্যোগ। যার লক্ষ্য এই অঞ্চলে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তরুণ নেতৃত্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া ও ক্ষমতায়ন করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
উদ্যোক্তাদের জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান
নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নীতিগত সহায়তা নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
একটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সাহসী ঘোষণা দিয়ে বলেছেন আমরা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসা ৪০ শতাংশ জ্বালানি সরবরাহ করতে চাই। মুজিবের জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে, আমরা সহনশীল প্রকল্পে রূপান্তরিত করছি যা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো সুযোগে পরিণত করবে।’
সম্প্রতি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) ‘প্রিজারভ প্ল্যানেট আর্থ, ঢাকা-২০২৩’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিএডি)।
আরও পড়ুন: কয়লার ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ভাইস-চেয়ারপারসন ওয়াসেকা আয়েশা খান।
সাবের হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বৈশ্বিক নির্গমনের মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ অবদান রাখছে। সুতরাং, আমাদের এই ক্রান্তিকালীন পরিবর্তনের খুবই প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা শূন্যের কোটায়। এই ভূমিকায় বিশ্বনেতা হবে বাংলাদেশ।’
সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
আয়েশা ওয়াসেকা খান বলেন, ৩০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের কার্যকর অগ্রগতি রয়েছে, যার মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বেসরকারি খাতে অর্থায়নে এবং আরও ৬৫টি প্রকল্প বিবেচনাধীন।
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাংলাদেশকে জ্বালানি প্রযুক্তি পরিহার করতে হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে আটকে থাকা সম্পদে পরিণত হতে পারে এবং ভর্তুকির ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বিশ্বব্যাংকের সাথে ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি
আইসিসিএডির পরিচালক অধ্যাপক সালেমুল হক, আইইইই সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রহমান, এসওএল শেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান গ্রো এবং নাসার অনুদান বিজয়ী ওয়াহিদুল হাসান প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক ছিলেন আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি কাইয়ুম খান।
আইইউবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিমও আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার’ হিসেবে প্রায় ৪৪টি যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব এই সম্মেলনে যোগ দেয়।
সম্মেলনটিতে স্পন্সর করেন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইইই), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, প্রজেক্ট আরোধ্য এবং হেল্প সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বাস্তবায়ন অংশীদার ছিল এনভোলেড লিমিটেড।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারে রোড ম্যাপ তৈরির আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিন, এসডিজি অর্জন করুন: বক্তারা
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।
তারা বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের প্রতিশ্রুতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসডিজি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামিট-২০২৩’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহাম্মদ।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজির প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য ‘বৈশ্বিক পুনঃপ্রতিশ্রুতি’ করার জন্য একটি জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মোমেন বলেন, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও জলাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর ৬ দশমিক ৬ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত ও চাকরি হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এই ধরনের বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে ধনী দেশগুলোর ত্রুটির কারণে যেগুলো বিপুল গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গত করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টি করে’।
কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
তাই অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মতো বাংলাদেশও চায় ধনী দেশগুলোর বোঝা ভাগাভাগি করুক।
এসডিজির ১৭ লক্ষ্য অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলো এসডিজি অর্জনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি দেবে।
উন্নত দেশগুলো তাদের জিডিপির ০.৭ শতাংশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু মাত্র ছয়টি দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
মোমেন বলেন, অর্থ ও প্রযুক্তি ছাড়া এসডিজি আদৌ অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত এবং শরণার্থী সংকট এসডিজিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে।
তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যের রূপান্তরে প্রচুর বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।
জলবায়ু পরিবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোজন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে স্থিতিস্থাপকতা ও সমৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত হাতিয়ারে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুচ্যুতদের জন্য জলবায়ু সহনশীল আবাসনসহ জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রস্তাব দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৩ জুন প্যারিসে অনুষ্ঠিত একটি নতুন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিং প্যাক্টের শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে একটি সিভিএফ-ভি২০ সভায় সমাপ্তি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মোমেন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রকৃতির জন্য ইতিবাচক উন্নয়নের জন্য জলবায়ু অর্থায়নের ওপর ভি২০ অ্যাকরা-মারাকেচ এজেন্ডার জন্য সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি প্যারিস চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য জলবায়ু অর্থায়নের ওপর কংক্রিট বিতরণযোগ্যতার ওপর সিভিএফ অবস্থানের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও ওষুধ আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ইইউএন-হ্যাবিট্যাট সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী