অ্যাকাউন্ট
জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএফআইইউ
সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাড়ে ৩৫০টির বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
জব্দ করা অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ এবং বিএফআইইউর নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আপসহীন অবস্থানে সরকার
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অর্থপাচার রোধ ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএফআইইউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রভাবশালী কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে পাচারের তথ্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
এই কর্মকর্তা ইঙ্গিত দেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে ব্যবসায়ের মালিকানা পরিবর্তিত হতে পারে, পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ প্রধান পদে সাক্ষাৎকার নিয়ে উদ্বেগ
আইনি কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, তদন্ত চলাকালীন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সর্বোচ্চ সাত মাস সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে পারে। যদি কোনো মামলা দায়ের করা হয়, তবে আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারে।
হাসান বলেন, 'বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে সরকার-টু-সরকারের চুক্তি এটি সহজ করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের বিধিবিধান প্রায়ই সম্পদ পুনরুদ্ধারকে জটিল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ করতে পারে যে, ওই অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, তাহলে তা উদ্ধার করা কিছুটা সহজ হবে।’
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি আন্তর্জাতিক আর্থিক আইনের জটিলতা নিরসনে একটি শক্তিশালী আইনি দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও ধৈর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী আইনি লড়াইয়ের দল দরকার।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ প্রথা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা সরিয়ে নেওয় হয়, তারপর বিদেশে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং এটি প্রতিরোধে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
স্থগিত অ্যাকাউন্ট এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
সূত্র জানায়, স্থগিত করা অ্যাকাউন্টগুলোর বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টগুলো আইনগতভাবে মালিকদের মালিকানায় রয়েছে।
মুজেরি পরামর্শ দেন, বাজেয়াপ্ত তহবিলগুলো অভিযুক্তদের কর্মের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিএফআইইউ এখন সিআইডি, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং কর গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি মামলা পরিচালনার জন্য কাজ করছে। এই পদক্ষেপটি অর্থ পাচার মোকাবিলা এবং চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
৬৮ দিন আগে
হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, হুন্ডি সংযোগের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে মানিলন্ডারিং কার্যক্রম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বাণিজ্য লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
রউফ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর থেকে অর্থ পাচার রোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, '২০২২ সালে আমি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মারাত্মক সংকট ছিল। সে সময় ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিই।’
বিদেশে রপ্তানি পণ্যের মুনাফা রাখা সত্ত্বেও আবার মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে। তা প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
হুন্ডি নিষিদ্ধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে তাদের পরিবারকে হয়তো ৫০০ টাকা পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি বিদেশে পরিচিত কাউকে সেই টাকা দেন এবং দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সেই টাকা স্বজনদের দিচ্ছেন।
সেই টাকা বিদেশে পড়ে থাকে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি এই অর্থ পরিশোধ করেছেন। আগে যেহেতু হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পেমেন্ট করা হতো, এখন তা এমএফএসের মাধ্যমে করা হয়।
প্রতিদিন প্রায় ২০০টি এ ধরনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। পরে আবার গ্যারান্টি দিয়ে কিছু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে প্রচারণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে প্রতি বছর মানি চেঞ্জারদের মাধ্যমে ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের ট্রানজিশন হয়।
কিন্তু লেনদেনের সামান্য অংশ সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা ডলারের দর বাড়িয়ে দিলে অনেক প্রবাসী রেমিট্যান্স আটকে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রউফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘এজন্য মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা এড়িয়ে চলুন। এটা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি।’
সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
৩৮৪ দিন আগে
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়াই ১৪-১৮ বছর বয়সী তরুণদের মোবাইল ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট (এমএফএস ) খোলার সুযোগ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব পেমেন্ট সিস্টেম মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে, তা তাৎক্ষণিক বাস্তবায়নের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪-১৮ বছর বয়সী ব্যক্তি তার নিজের এনআইডি ছাড়াই বাবা-মায়ের গ্যারান্টির মাধ্যমে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
তবে, অ্যাকাউন্ট খুলতে আগ্রহী ব্যক্তি ও বাবা-মা উভয়কেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আবেদনকারীর বাবা-মা/অভিভাবককে অবশ্যই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্ম শংসাপত্র দিতে হবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের এমএফএস অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলকভাবে একটি লিঙ্কযুক্ত এমএফএস অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
বাবা-মা বা অভিভাবকদের এমএফএস অ্যাকাউন্টের সত্যতা নিশ্চিত করে এই অ্যাকাউন্টটি খোলা উচিত।
পিতামাতা বা আইনী অভিভাবকের সম্মতিতে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবা-মায়ের সম্মতি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, তাদের অবশ্যই তাদের মোবাইল ফোনে ওটিপি পাঠাতে হবে।
এছাড়াও, এই অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টধারীর মোবাইল ফোন নম্বরে বার্তাগুলো পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সময়ে, লেনদেনের তথ্য অভিভাবকদের জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৫৪৪ দিন আগে
এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
অনলাইন জুয়া ও হুন্ডিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মোবাইল অর্থনীতি পরিষেবার (এমএফএস) ২১ হাজার ৭২৫টি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। এমএফএস অপারেটরদের ভবিষ্যতে এই ধরনের লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
বিএফআইইউ চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন জুয়া ও বাজি লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেন থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়াও, ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং অবৈধ হুন্ডি, গেমিং ও বাজি সম্পর্কিত লিঙ্কগুলোর একটি তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
সংস্থাটি ২১টি মানি চেঞ্জারের বিবরণ এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিএফআইইউ।
আরও পড়ুন: ১৫ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করল বিএফআইইউ
বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহিনুল ইসলাম, বিএফআইইউর পরিচালক, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের চিফ অব মানি লন্ডারিং এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, অপরাধী ও অর্থ পাচারকারীরা যেন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-এর কার্যক্রম সম্পর্কে সংসদে অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং
৫৫০ দিন আগে
দেশ টিভির এমডির ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকবে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৪১ কোটি এক লাখ ২১ হাজার ৭৪২ টাকা ফ্রিজ না করতে হাইকোর্টের আদেশ ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
খুরশীদ আলম খান জানান, এ আদেশের ফলে আরিফ হাসানের ওই ৩৪১ কোটি টাকা ফ্রিজ থাকবে। কাজী আরিফ হাসান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হাসান টেলিকমের ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২০ সালে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরিফ হাসান হাইকোর্টে আসেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গত বছর হাইকোর্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও বলেন, শুনানি শেষে আদালত আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
৬২৭ দিন আগে
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের নামে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এসব শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বিদেশে তাদের সেবা সম্প্রসারণ করছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এসব হিসাব থেকে কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিবির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের বৈদেশিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বিবেচনায় বিদেশ থেকে আয় হিসেবে যে অর্থ আসবে তার ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে জমা করা যাবে।
আরও পড়ুন: এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: বিবি গভর্নর
অবশিষ্ট পরিমাণ টাকা নগদ করা হবে। জাহাজ এবং বিমানের পরিচালন ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট স্ট্যাটাস সহ করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি এবং এয়ারলাইন্স যারা বিদেশি কোম্পানিকে জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমান ভাড়া দেয় তারাও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ এই হিসাবে জমা করা যেতে পারে। যা জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমানের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন এজেন্টের ওপর নির্ভর করে বিদেশে ব্যবসা করছে শিপিং ও এয়ারক্রাফট কোম্পানিগুলো। নতুন নির্দেশিকা সেই নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব শিথিল করার কারণে স্থানীয় শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
৭১৯ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে বলেছেন, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসাবে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, যা মোটেও সত্য নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তাই এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বীর নিবাস: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
৭৭২ দিন আগে
হুন্ডিতে লেনদেন: ২৩০ এমএফএস অ্যাকাউন্টের ক্যাশ-আউট স্থগিত
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর সঙ্গে জড়িত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ২৩০টি অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ-আউট স্থগিত করেছে।
বিএফআইইউ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো রোধ ও বৈধ পথে রেমিটেন্স বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
বিএফআইইউ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। তবে অ্যাকাউন্টগুলোতে টাকা পাঠানো যাবে।
ক্যাশ-আউট স্থগিত হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিকাশ, নগদ, উপায় ও রকেটের।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
৮৬৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শনিবার ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক,টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মিথ্যা ও ভুয়া পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রেস সচিব সবাইকে অনুরোধ করেন।
৮৯৭ দিন আগে
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের ছয়টি অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোনো কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন। এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল।
তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এসব নম্বরে আর কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ছয়টি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা কোনো লেনদেন করতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্ট বন্ধ
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্টও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যে মেডিকেল টিম উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছিলেন, তারাও সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের এক মুখপাত্র আরিফুল ইসলাম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, 'অনশনরত শিক্ষার্থীদের সবার অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তারা সবাই খিঁচুনি, ব্লাডে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল কমে যাওয়া, ব্লাড প্রেশারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় পড়ছেন। তারা অর্গান ড্যামেজের ঝুঁকিতে আছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
১১৬০ দিন আগে