ডেঙ্গু পরিস্থিতি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, গত বছর এই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। আজ মৃতের সংখ্যা একজন। এতে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রবিবার সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু যাতে না বাড়ে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে প্রচারণা চালানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, উন্নত দেশের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গবেষণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে। ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিকনির্দেশনা
সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং তাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার তথ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এর পাশাপাশি অধিদপ্তর বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ:
শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি দুটি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু সন্দেহে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।সেগুলো হলো-
- তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টসমূহে ব্যথা
- বার বার বমি করার প্রবণতা, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া ও শরীরে র্যাশ ওঠা
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
তীব্র ডেঙ্গুর লক্ষণ:
- ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিন পর লক্ষণ দেখা যেতে পারে
- শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এবং তীব্র পেট ব্যথা হওয়া
- ক্রমাগত বমি করা, বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া এবং ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
- শরীরে অবসাদ ও অস্থিরতা অনুভব করা
ব্যক্তিগত সতর্কতা:
- ঘর বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে
- মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরা
কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি:
- পরিবার, প্রতিবেশি ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে
- পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৮৯
মশার প্রজনন রোধে যেসব কাজ করতে হবে:
- ঘর ও আশেপাশের যেকোনো জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না
- ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে
- ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেনার, মটকা, ব্যাটারি ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে, বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে
- পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র নষ্ট করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে
- দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে
ডেঙ্গু হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিভাগের আওতাধীন মাস্টার রোল কর্মীসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নগর ভবনে এক জরুরি সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তের পর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।
জরুরি সভায় ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। নগরীতে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা খুবই জরুরি। যেহেতু এডিস মশা জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে, তাই ঘরের ভেতরে, ছাদে ও বারান্দায় যেন কোনো পাত্রে পানি জমে না থাকে- তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সময়মত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন ডিএনসিসি’র
তিনি আরও বলেন, ‘টানা ভারী বর্ষণের কারণে শহরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা দূর করে জনগণকে স্বস্তি দিতে কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।’
মেয়র বলেন যে সংশ্লিষ্ট সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নগরবাসীকে পলিথিনসহ অন্যান্য জিনিস ড্রেনে না ফেলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এই জিনিসগুলো ড্রেনে ফেলা হলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। সবাই সচেতন হলে কর্মচারীদের জন্য কাজ সহজ হবে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
ডিএনসিসি’র সব মার্কেট ও বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে: মেয়র আতিকুল
১ বছর আগে
নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২১ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ২৯ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকার বাইরে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২২ রোগী হাসপাতালে
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বর্তমানে ১২১ জনের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১১৩ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে আট জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৭৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১২৫৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
তবে গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১০৫ জন মারা যান।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২২ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১৮ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১৯ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকার বাইরে তিন জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৪০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বর্তমানে ১১৮ জনের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১০৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৯৯২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
তবে গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১০৫ জন মারা যান।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ২৬ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ১৯ জন ও ঢাকার বাইরে সাত জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি: তদারকির নির্দেশ হাইকোর্টের
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৪২ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ২৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন একজন হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু!
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন একজন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৫২ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ৩১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কোন রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: আরও ৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু!
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ রোগী হাসপাতালে
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২০৮ জন এবং বাকি ১০ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৫৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ১২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩ জন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৯০১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ হাজার ৮৩৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তাদের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১০টি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
দেশে করোনা আক্রান্তদের ৯৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত: বিএসএমএমইউ
৩ বছর আগে
ডেঙ্গু পরিস্থিতি: একদিনে আরও ১৯৬ রোগী হাসপাতালে
দেশে করোনা বিপর্যের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছে। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
তাদের মধ্যে ঢাকায় ১৯৪ জন এবং বাকি দুজন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩০ জন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
পড়ুন: ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ৮৭৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তাদের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে চারটি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে।
পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আরও ১৭০ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু পরিস্থিতি: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৯৪ রোগী হাসপাতালে
৩ বছর আগে