মধ্যবিত্ত
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
শুরু হয়ে গেছে পুরোনো বছর পেরিয়ে নতুন বছরের আগমনের লগ্ন। এই উৎসবমুখর লগ্নকে কেন্দ্র করে রকমারি চলচ্চিত্র জগতেও চলছে সাজসাজ রব। পরিবর্তনের জোয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুতি চলছে নতুন বছরের সিনেমার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো ঢেলে সাজাতে পারে ঢালিউডকে। কেননা প্রেক্ষাগৃহের ছবির পাশাপাশি যুগপৎভাবে ওয়েব ফিল্ম মুক্তিও দর্শকদের প্রত্যাশার খোরাপ যোগাচ্ছে। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ১০টি সম্ভাবনাময় ঢালিউড সিনেমার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০ বাংলাদেশি সিনেমা
বরবাদ
‘প্রিয়তমা’ (২০২৩)-এর পর শাকিব খান ও ইধিকা পালের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘বরবাদ’। সিনেমাটির নির্দেশনার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নাট্য নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের।
রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন প্রযোজিত ছবিটির বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আছেন ভারতের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। আইটেম গানে থাকছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানব সাচদেব ও মিশা সওদাগর।
আরো পড়ুন: ‘ব্ল্যাক মানি’: পূজা চেরী ও রুবেলকে নিয়ে রায়হান রাফীর প্রথম ওয়েব সিরিজ
অ্যাকশন ঘরানার ছবিটির দৃশ্য পরিচালনা করেছেন টলিউড ও বলিউডের অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। ছবির কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন প্রীতমসহ বলিউডের কিছু শিল্পী।
প্রায় ১৫ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি, যা মুক্তির লগ্নে বাংলাদেশি সিনেমার জন্য রেকর্ড সৃষ্টি করবে! এখন পর্যন্ত ২০২৫-এর ঈদুল ফিতরে এই চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে আছে।
দাগি
‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩)-এ ব্যাপক জনপ্রিয়তার রেশ ধরে আফরান নিশো ও তমা মির্জাকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘দাগি’। এর প্রযোজনায় রয়েছে যৌথ ভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। পরিচালনায় রয়েছেন শিহাব শাহীন এবং ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ (২০১৫)-এর পর বড় পর্দায় এটি নির্মাতার দ্বিতীয় কাজ।
নিশো-তমা জুটির পাশাপাশি একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা সুনেরাহ বিনতে কামাল।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
রোমান্স, ড্রামা ও অ্যাকশনের মিশেলে গড়া চিত্রনাট্যে ছবিতে পরিবেশন করা হবে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির গল্প। আসছে বছর রোযার ঈদে শাকিবের ‘বরবাদ’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে চলচ্চিত্রটি।
৩৪৪ দিন আগে
নেশা করা মধ্যবিত্তের ইতিহাস কোন দিকে?
আমাদের সমাজের যে মধ্য পরিসর সেটা ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। স্বাধীনতার প্রথম ১০ বছর ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার কাল। কী ধরণের রাষ্ট্র হবে সেটা নিয়ে চলে যুদ্ধ। তবে রাজনীতি ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে যা কিনা একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা। ক্রমেই অর্থনীতি ভিত্তিক রাষ্ট্র- সমাজ গড়ে ওঠে। এই ধারা এখনও চলছে বা প্রতিষ্ঠিত।
আমাদের দেশ বা সমাজ কম বেশি বিত্তবানদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তারাই রাজনীতি, সমাজনীতি করে এবং সংস্কৃতি চর্চার তারাই পৃষ্টপোষক। তারাই ঠিক করে কি হবে, কি চলবে, কি ঘটবে। আর তাদের আজ্ঞাবহ হিসেবে যারা কাজ করে, তারাই এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তারা ক্রমেই পরিণত হয়েছে একটি পরনির্ভর শ্রেণিতে। তাদের মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠার আগ্রহ কম।
আমাদের ইতিহাসে সমাজ চলে আঁতাতের মাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে চলে এই আঁতাত। তাই বড়লোকের সাথে মধ্যবিত্তের এই সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজ আমলে যেমন ছিল, আজও তেমন আছে। যদিও ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত মিডল ক্লাসের দাপট লক্ষ্য করা যায়। সেটা ছিল মধ্যবিত্তের বড়লোক হবার আকাঙ্ক্ষার দাপট। মুক্তিযুদ্ধে তাদের চেয়ে গ্রামের মানুষ, যারা মধ্যবিত্ত নয় তারা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর কিছু মধ্যবিত্ত ওপরে উঠে গেলো। আর ভালো থাকার জন্য বাকি মধ্যবিত্তরা তাদের ওপর নির্ভরশীল হলো। যে মধ্যের অর্থনৈতিক ভিত্তি নাই, তারা বাড়ে কিন্তু সবল হয় না। সেই কারণেই জিজ্ঞাসা করা দরকার এই শ্রেণি কি ইতিহাস ভিত্তিক না পুরাটাই সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল?
গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তি আছে - রেমিট্যান্স ও কৃষি- তাকে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। কিন্তু মধ্যবিত্ত নাগরিকদের কেউ পাত্তা দেয় না। বড়লোকরা গ্রামের মানুষ নিয়ে চিন্তা করে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মধ্যবিত্ত নাগরিককে পাত্তা দেয় না। এমনকি তাদের আন্দোলনকেও না। কিছু দিন যায়, তারপর শেষ হয়, এটাই বাস্তবতা। তালিকার সন্ধানে মশগুল এই মিডল ক্লাস ক্ষমতাহীন।
মধ্যবিত্ত নাগরিক তার জীবনের মূল্য বিচার করে জীবন যাপনের মাধ্যমে। তার এটা চাই, ওটা চাই, পশ্চিমা বা ভারতীয় রোল মডেলের মতো জীবন চাই। তাদের জীবন নেশা, দেহ আর অস্তিরতা দিয়ে গড়া। সাথে আছে সোশ্যাল মিডিয়া, বেঁচে থাকার আইডি কার্ড। কিছু করার চেয়ে কমেন্ট করতে, লাইক দিতে বেশি দেখা যায়।
যারা মিডিয়ায় আছে তাদের আমরা চিনি বলে ঘটনাগুলো সামনে আসে। কিন্তু এই মিডল অংশের বেশিরভাগই ভোগের বাইরে আর কোনো কিছুর সন্ধান করে না। তাই তাদের কেউ পাত্তা দেয় না। আর তাদের ভেতর যারা উন্নত কিসিমের, তারা চেষ্টা করে বিদেশ যেতে, সেখানে গিয়ে প্রায় বিলীন হয় অভিবাসী শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হয়ে। তারা নিজের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়।
অতএব মদ খাওয়া আর ‘অনৈতিক’ জীবন নিয়ে এতো যে দুঃখ আর কথা সেটা তারাই করে যাদের ওর ভেতরেই বসবাস। এতো মামুলি কিছু নিয়ে ভাবার মানেই হয় না। এই দেশে যেখানে কম করে হলেও এক কোটি মানুষ মাদকে নেশাগ্রস্ত। আর সাথে মদ্যপায়ীদের যোগ করলে এই সংখ্যা কয় কোটি হবে?
তাহলে ইতিহাস এখন কার কাছে? কারণ ইতিহাস তো চলমান, থেমে নেই। কারা গড়ছে ইতিহাস?
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
১৫৫৯ দিন আগে
রাঙ্গামাটিতে নিম্নবিত্তের ভরসা পুরোনো শীত কাপড়
শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রাঙ্গামাটিতে গরম কাপড়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায়, ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানের দিকেই ঝুঁকছেন পাহাড়ে বসবাসরত নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।
২১৭০ দিন আগে