ইঞ্জিন
নৌকার ইঞ্জিনে বোরকা আটকে নারীর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে নৌকার ইঞ্জিনে বোরকা আটকে গলাকেটে শামসুন্নাহার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কুরিখলা গ্রামের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
শামসুন্নাহার উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও গ্রামের আরিফ উল্লাহর স্ত্রী।
জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যায় সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার উপজেলার ইটাচকি গ্রাম থেকে নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ইঞ্জিনের সঙ্গে তার বোরকা আটকে অল্প সময়ের মধ্যেই গলাকেটে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়েছেন। এটা অপমৃত্যুর ঘটনা, বন্যাজনিত দুর্ঘটনা নয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু
৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আলী আকবর জানান, টাঙ্গাইলের লোকাল ট্রেনটি ঘারিন্দা রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭ টা ৮ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি বাসাইল উপজেলার সোনালিয়া গ্রামে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ফলে এই রেললাইন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ট্রেনটির ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভাঙা রেললাইন মেরামত, রাজশাহীর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সীতাকুণ্ডে চট্টলা এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
৯ মাস আগে
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় আকারে বেশ ছোট হওয়ায় যানজটের শহরে মোটরসাইকেলের জুড়ি মেলা ভার। ইঞ্জিনচালিত এই দ্বিচক্রযানে নেই প্যাডেল ঘুরানোর ক্লান্তি, সেইসঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় থাকে রোমাঞ্চের আনন্দ। এছাড়া নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনে বেরনোর সময় মুক্তি দেয় গাড়ি খোঁজার ঝামেলা থেকে।
এতসব সুবিধা একটু কম খরচে পেতে অনেকেই ঝুঁকে পড়েন পুরাতন মোটরবাইক কেনার দিকে। ব্র্যান্ডের নতুন মোটরবাইকে হাত দেওয়ার আগে এই যানগুলো ড্রাইভিংয়ে পরিপক্ক হওয়ার উপযুক্ত উপায়। তাই চলুন, সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার সময় কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় যে ১০টি বিষয় যাচাই করা উচিৎ
বর্তমান বাজার মূল্য
বাজেট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত বাইকটি পেতে প্রথমেই বাজারে তার বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে খোঁজ-খবর করে নেওয়া জরুরি। এর ফলে কত দিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং কোনো কিছু মেরামতো বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না- তা বিবেচনা করে দামদর করতে সুবিধা হবে। এজন্যে সহায়ক তথ্যের জন্য বাইক সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলো সহায়ক হতে পারে।
সরেজমিনে দেখার জন্য সরাসরি দোকানে চলে যাওয়াটা উত্তম। মূল্যের পরিধির ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে তবেই বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
এক নজরে বাহ্যিক দর্শন
বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করার সময় প্রথম দর্শনে বাইকের যতটুকু দৃষ্টিগোচর হচ্ছে তার সবটুকুই সুক্ষ্মভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। খেয়াল করতে হবে ফ্রেমে কোনো দাগ বা মরিচা পড়েছে কি না, সামনের ও পেছনের লাইটগুলো সঠিকভাবে জ্বলছে কি না এবং বসার সিট কভারে কোনো ছেঁড়া আছে কি না। বাইক স্টার্ট দেওয়ার চাবি কী হোলের ভেতর নির্বিঘ্নে ঢুকছে কি না এবং তা কোনো জ্যাম ছাড়াই ঘুরছে কি না- তা খতিয়ে দেখা জরুরি। চাকার কভার, হর্নের শব্দ এমনকি আয়নার মতো ছোট ছোট ব্যাপারও এ সময় এড়ানো যাবে না।
ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন ও ব্যাটারি
আসল যাচাইকরণ শুরু হবে ইঞ্জিন থেকে, যা বাইক স্টার্ট দেওয়ার সময়ই টের পাওয়া যাবে। ঠকঠক বা অস্বাভাবিক শব্দ হলে বোঝা যাবে বিয়ারিং বা ভালভে সমস্যা আছে। এর মাধ্যমে গিয়ারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কি না তথা ট্রান্সমিশনটাও যাচাই হয়ে যাবে।
ইঞ্জিন চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই ইগ্নিশন লাইট জ্বলে উঠে কয়েক সেকেন্ড পর বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লাইট জ্বলে থাকলে বুঝতে হবে ইঞ্জিনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় সমস্যা আছে। কোথাও কোনো রকম সংযোগ বিচ্ছিন্নতা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। হেডলাইটের ক্ষীণ বা নিভু নিভু আলো মানেই দুর্বল ব্যাটারি। ব্যাটারির টার্মিনালগুলো পরীক্ষার জন্য সঙ্গে মাল্টিমিটার রাখার প্রয়োজন হবে। একটি সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারির হাইড্রোমিটার রিডিং ১২ দশমিক ৬ ভোল্ট হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাজাজ পালসার এন-২৫০: বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ সিসি বাইক
ক্লাচ, ব্রেক ও সাস্পেনশন
স্টার্ট থেকে শুরু করে গিয়ার ধরতে পারছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ধীরে ধীরে ক্লাচে চাপ বাড়িয়ে আবার একই ভাবে আস্তে করে ছেড়ে দিতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোথাও জ্যাম অনুভূত হলে বা বাইকের বডি কেঁপে উঠলে ক্লাচে সমস্যা আছে। ভালো ক্লাচের ক্ষেত্রে বাইক চালু করার পর প্রথম গিয়ারে থাকাকালীন হাল্কা কম্পন দিয়ে ধীর গতিতে সামনে এগোনোর কথা।
এ অবস্থায় আলতো করে ব্রেক চেপে দেখে নেওয়া যেতে পারে তা কতটা মসৃণভাবে কাজ করছে এবং কোনো শব্দ না করে বাইক থেমে যাচ্ছে কি না। ভালো ব্রেকিং সিস্টেমে ব্রেক ছেড়ে দিলে বাইক মসৃণভাবে আগের গতিতে ফিরে যায়।
ব্রেক টানার সময় সাস্পেনশনটারও পরীক্ষা হয়ে যাবে। শক অ্যাবজরভার ভালো থাকলে খুব বেশি ঝাকুনি অনুভূত হবে না। এছাড়া থেমে থাকা অবস্থাতেও সিটে বসে হাল্কা বাউন্স করে দেখা যেতে পারে। এ সময় সিট সমেত বাহকের শরীর স্প্রিং না করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
চাকা ও টায়ার
যত্ন নেওয়া মোটরবাইকগুলোর চাকা ও টায়ারগুলো বেশ নতুনের মতো থাকে। টায়ার রাবারের পুরুত্ব কমপক্ষে ১/১৬ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এগুলো অনেক বছর হয়ে গেলে বা অযত্নে ব্যবহার হলে ছিড়ে যায়। অধিকাংশ মোটরসাইকেলের টায়ার প্রায় ৬ বছর পরে বদলে নিতে হয়। তাই টায়ার বদলের সময় কাছাকাছি হলে বিষয়টিকে বাইকের দরদামের সময় উত্থাপন করা যেতে পারে।
ছোট ছোট গর্ত বা কার্ব থাকা চাকা নেওয়া যাবে না। সামনের ও পেছনের চাকাগুলোর অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কি না তা যাচাই করতে হবে। ঘোরার সময় কোনো বাধা ছাড়াই চাকাগুলো ঘুরতে পারছে কি না সেদিকটাও দেখা দরকার।
রাস্তাঘাটে মোড় নেওয়ার জন্য বাইকের স্টিয়ারিং ডানে-বামে নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘোরাতে পাড়াটা জরুরি। এটি পরীক্ষা করতে বাইককে কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডের উপর রাখলে সামনের অংশ মাটি থেকে কিছুটা উপরে উঠে যাবে। এতে বোঝা যাবে সামনের চাকা এবং হ্যান্ডেলবারগুলো মুক্তভাবে এদিক-ওদিক ঘোরানো যাচ্ছে কনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
জ্বালানি ট্যাংক
অনেক পুরনো হয়ে গেলে জ্বালানি ট্যাংকের ভেতরটা অন্ধকার হয়ে যায়। ব্যবহারযোগ্য ট্যাংকে জ্বালানি থাকলে তা উজ্জ্বল দেখায়। এই রঙ বোঝার জন্য ট্যাংকের ক্যাপ খুলে টর্চ লাইটের সাহায্যে ভেতরে একদম নীচ পর্যন্ত ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
ফ্রেম
প্রথম দর্শনে এক নজরে দেখার সময়ই চোখে পড়বে বডির দাগ বা মরিচাগুলো। পরবর্তীতে বাইকের সামনে হ্যান্ডেলবার এবং ফর্কগুলোর অ্যালাইনমেন্ট যথাযথভাবে যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া বাইকের হেড টিউব বাইকের সিট বা আসন টিউবের প্রেক্ষিতে কিভাবে বেঁকে আছে- তা দেখতে হবে। কেননা এখানেও অ্যালাইনমেন্ট থাকা আবশ্যক। এছাড়া বিচ্ছিন্নতা বা ফাটল খুঁজে বের করার জন্য স্টিয়ারিং হেড বিয়ারিংও পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
সার্ভিস রেকর্ড
মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ নিরীক্ষণ শেষে এবার কাগজপত্র দেখার পালা। বাইকের পূর্বের অবস্থা যেমন- দুর্ঘটনা, নেমপ্লেট পরিবর্তন, ও কোনো অংশ মেরামতো হয়েছে কি না- সে ব্যাপারে সম্যক ধারণ দিতে পারে সার্ভিস রেকর্ড। পাশাপাশি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করা যেতে পারে যেমন, বাইকটি বিক্রি করা হচ্ছে কেন, শেষ কবে বাইকটি চালানো হয়েছিল এবং কোন পার্টস মডিফাই বা পরিবর্তন করা হয়েছে কি না ইত্যাদি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- বাইকের মালিকানা এ পর্যন্ত কতবার পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
অনেক বার হাতবদল হয়ে থাকলে সাধারণত বাইকের পূর্বাবস্থার সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এর সঙ্গে মোটরসাইকেলের মেরামতের রেকর্ডও সম্পর্কিত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ রেকর্ড মানে পূর্ববর্তী মালিকরা সময়মতো বাইকের সঠিক যত্ন নিয়েছিলেন।
কাগজপত্রের বৈধতা
একটি ঝামেলাহীন মোটরসাইকেল বেছে নেওয়ার জন্য এর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাইকরণ অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে নিবন্ধন কার্ড এবং হালনাগাদকৃত ট্যাক্স টোকেন। বাইকের ইঞ্জিন এবং চেসিস নাম্বার নিবন্ধনপত্র বা কার্ড ও ট্যাক্স টোকেনের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নিবন্ধন বা ট্যাক্স টোকেন কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই সঙ্গে যাচাই করতে হবে এই কাগজগুলোর সঙ্গে কোনো আইন সংক্রান্ত জটিলতা আছে কি না। মোটরবাইকটি কোনো মামলার সঙ্গে জড়িত আছে কি না, থাকলে তা নিষ্পন্ন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে একটু অসাবধানতায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন বাইকের নতুন মালিক।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
টেস্ট ড্রাইভ
যাবতীয় যন্ত্রাংশ খুটিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছার আগে নিজে একবার মোটরসাইকেলটি চালিয়ে নেয়া উত্তম। এই টেস্ট ড্রাইভের জন্য অবশ্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।
এই ব্যবহারিক নিরিক্ষণে ইঞ্জিন থেকে শুরু করে ব্রেক, ট্রান্সমিশন, সাস্পেনশন সবকিছুর কার্যকলাপ পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। কিছুটা সময় নিয়ে চালানোর সুযোগ থাকলে মাইলেজের ব্যাপারেও একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। সর্বতভাবে এই অভিজ্ঞতার আলোকেই ক্রেতা ঠিক করতে পারবেন যে, আসলেই বাইকটি তার কেনা উচিৎ কি না।
পরিশিষ্ট
পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার সময় এই ১০টি বিষয় সামগ্রিকভাবে সঠিক যানবাহনটি বেছে নিতে সাহায্য করবে। এখানে ক্লাচ, ব্রেক, সাস্পেন্শন, চাকা ও বৈধ কাগজপত্র নিশ্চিত করবে সার্বিক নিরাপত্তার দিকটা। ব্যবহৃত যানটি আর কতদিন চালানো যাবে তা ঠিক হবে ইঞ্জিন, ব্যাটারি ও জ্বালানি ট্যাংকের মানের নিরিখে।
অবশ্য একটি মোটরযানের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রত্যেকটি পূরণ করলেও পূর্ব ব্যবহারের ভিত্তিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কমবেশি হয়ে থাকে। উপরন্তু, শতভাগ ত্রুটিহীনতার সম্ভাবনা থাকে না মেনে নিয়েই সকলে কিনে থাকেন সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
১০ মাস আগে
গাজীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত, নিহত ১
গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে একজন যাত্রী নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রেনটির ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক
১ বছর আগে
বাজাজ পালসার এন-২৫০: বাংলাদেশের প্রথম ২৫০ সিসি বাইক
সেরা গতির বাইকটি অধিকারে থাকা আর আভিজাত্য ও দুঃসাহসিকতার যুগপৎ উন্মাদনা যেন একে অন্যের পরিপূরক। আর এই মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে দিতেই যেন দেশের সড়কে চলমান বাইকের সর্বোচ্চ ইঞ্জিন ক্ষমতার সীমা উন্নীত করা হয়েছে ৩৭৫ সিসিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২৭ নভেম্বর সোমবার চালু হলো বাজাজ পালসার এন-২৫০।
এর মধ্যে দিয়ে ২৫০ সিসির ইঞ্জিন দক্ষতার মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি। চলুন, এর বিভিন্ন ফিচার, দাম, এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাজাজ পালসার এন-২৫০ এর ফিচার
ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন
পালসারটি এন-২৫০ শক্তি পায় একটি সিলিন্ডার ও ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন থেকে। ইঞ্জিনটিকে পরিচালনা করে ২টি ভালভসহ একটি অত্যাধুনিক এসওএইচসি (সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামশ্যাফ্ট)।
এই মডেলের সঙ্গে থাকছে ৫-স্পিড কনস্ট্যান্ট মেশ গিয়ারবক্স। এছাড়া মোটরসাইকেলটি বিএস৬-২.০ নিঃসরণ মান মেনে চলে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকরণে বাজাজের প্রতিশ্রুতিকে ন্যায্যতা দান করে।
আরও পড়ুন: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
মাইলেজ ও জ্বালানি দক্ষতা
একবারে ১৪ লিটার জ্বালানি ভরতে পারে, যার প্রতি লিটারে এটি মাইলেজ পায় ৩৫ কিলোমিটার। এর সঙ্গে মডেলটি শক্তি এবং জ্বালানি দক্ষতার মধ্যে একটি সর্বোত্তম ভারসাম্য বজায় রাখে।
চ্যাসিস ও সাসপেনশন
এন-২৫০ স্পোর্টস নেকেড বাইকের ক্যাটাগরির অন্তর্গত, যেখানে আবরণে রয়েছে সতর্কতার সঙ্গে তৈরি একটি শক্তিশালী চেসিস।
৩৭ মিলিমিটারের টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং নাইট্রোক্স রিয়ার সাসপেনশনসহ মনোশক যে কোনো ঝাকুনি শোষণ করতে এবং একটি মসৃণ ও নিয়ন্ত্রিত রাইড প্রদানে ভূমিকা রাখে।
মাত্রা ও ক্ষমতা
১৪-লিটার জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা একে দীর্ঘ পথ চলার প্রশ্রয় দেয়। এটি ৭৯৫ মিলিমিটার-এর স্যাডল উচ্চতা, ১৬৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, ১৩৫১ মিলিমিটার হুইলবেস। সব মিলিয়ে পুরো বডিটির ওজন ১৬২ কেজি।
লাইটিং ব্যবস্থা
এলইডি হেডলাইট ও টেইল লাইট থেকে শুরু করে টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্প এবং ডিআরএল (ডেটাইম রানিং লাইট) পর্যন্ত প্রতিটি উপাদান সর্বোত্তম দৃশ্যমানতা প্রদানের জন্য ডিজাইনকৃত।
দূরত্ব, ও কম জ্বালানি সংক্রান্ত আশঙ্কাজনক নির্দেশকগুলো সর্বদা রাইডারকে বাইকের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত রাখে।
আরও পড়ুন: কীভাবে এল বাংলা ক্যালেন্ডার: দিনলিপি গণনার ইতিবৃত্ত
টায়ার ও ব্রেক
এন-২৫০ এর ব্রেকিং সিস্টেমে একটি ৩০০ মিলিমিটার ফ্রন্ট ডিস্ক এবং একটি ২৩০ মিলিমিটার রিয়ার ডিস্ক রয়েছে। এছাড়াও, একটি ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম সুবিধা দিচ্ছে ইঞ্জিন কিল সুইচ ও পাস সুইচের।
টিউবলেস টায়ার (সামনে: ১০০/৮০-১৭, এবং পিছনে: ১৩০/৭০-১৭) যে কোনো রাস্তায় এর বডিকে শক্ত গ্রিপে ধরে রাখে। এই টায়ার এবং অ্যালয় হুইলগুলোর সংমিশ্রণ (সামনে: ৪৩১.৮ মিলিমিটার, ও পেছনে: ৪৩১.৮ মিলিমিটার) বাইকের তৎপরতা ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে।
মোটর ও ব্যাটারি
চেইন ড্রাইভ এবং ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ৮ হাজার ৭৫০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ ২৪.৫ হর্সপাওয়ার শক্তি প্রদান করতে সক্ষম। ৬ হাজার ৫০০ আরপিএম-এ ২১.৫ নিউটন মিটার্স পর্যন্ত টর্ক বল এর যে কোনো জড়তাকে কাটিয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ পুলিশ কুকুরের প্রজাতি
কি কি সুবিধা থাকছে বাইকটিতে
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
এর ইঞ্জিন কিল সুইচ এবং পাস সুইচের ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম রাইডারের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার এক নতুন মাত্রা। এই সংমিশ্রণটি ধীরে সুস্থে থামার বিষয়টি নিশ্চিত করে, বিধায় থেমে থাকা বা চলন্ত উভয় অবস্থাতেই রাইডারের আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে।
জ্বালানি বান্ধব
১৪-লিটার জ্বালানি ক্ষমতা এবং প্রতি লিটারে ৩৫ কিলোমিটার এর সামগ্রিক মাইলেজ, এন-২৫০কে শক্তি এবং জ্বালানি দক্ষতার মাঝে দারুণ এক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মোটরযানটিকে আরোহীদের কাছে একটি লাভজনক পছন্দ হিসেবে উপস্থাপন করে।
বাইকের উপস্থিতি ও অবস্থা নির্দেশক
হেডলাইট, টেইল লাইট এবং টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্পসহ উন্নত এলইডি লাইটিং সিস্টেম যে কোনো জায়গায় এর দৃশ্যমানতা বাড়ায়। এই লাইটিং জ্বালানি কমে আসা ও দূরত্ব নির্দেশক সম্বলিত গাড়ির বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে রাইডারদেরকে সঠিক জানান দেয়।
গ্রিপিং টায়ার ও ব্রেক
এর ফ্রন্ট ডিস্ক, রিয়ার ডিস্ক এবং ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেমের সমন্বয় নিয়ন্ত্রিত ব্রেকিংয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। টিউবলেস টায়ার ও অ্যালয় হুইলগুলোর অন্তর্ভুক্তির কারণে যে কোনো রাস্তায় একে আরোহীর সেরা পছন্দে পরিণত করবে।
আরামদায়ক
স্প্লিট-সিট ডিজাইন, অ্যাডজাস্টেবল উইন্ডস্ক্রিন এবং প্যাসেঞ্জার ফুটরেস্ট বাইকে চড়ার সময় একটি আরামপ্রদ অভিজ্ঞতা দেয়। এলইডি-আলো ঘড়ি শুধুমাত্র একটি কার্যকরী উদ্দেশ্যেই কাজ করে না বরং গাড়ির সামগ্রিক নান্দনিকতায়ও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
বাইকটির কিছু অসুবিধা
দ্রুততায় গতির নিরবচ্ছিন্নতার ঘাটতি
সুপারবাইকটি প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার সময় নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অস্থিরতা অনুভূত হয়। এটি দ্রুততার ক্ষেত্রে রাইডারের আত্মবিশ্বাস এবং নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে যারা হাইওয়েতে বাহনটির ক্ষীপ্রতা পরখ করতে চান, এই সীমাবদ্ধতা তাদের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে।
পুরনো মডেলের সঙ্গে সাদৃশ্য
২৫০ সিসি ইঞ্জিনের পূর্বসূরি এন-১৬০ এর মতো একই টায়ার রাখার সিদ্ধান্ত ক্রেতাদের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে। একটি ২৫০ সিসি বাইক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ শক্তি পরিচালনা করতে এবং সর্বোত্তম গ্রিপ প্রদানের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই একটি শক্তিশালী টায়ার কনফিগারেশনের দাবি রাখে। পূর্বসূরির মতো একই টায়ার ব্যবহার করাটা বাইকের চূড়ান্ত কর্মক্ষমতার সঙ্গে রীতিমত আপস করার শামিল।
ইঞ্জিনের সীমাবদ্ধতা
বহু প্রত্যাশিত এই যানটির ইঞ্জিনে মাত্র ২টি ভালভ দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে, যা সত্যিই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ত্রুটি হিসেবে দেখা যেতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি ৪-ভালভ ইঞ্জিন কনফিগারেশনকে প্রায়শই পাওয়ার ডেলিভারি সর্বাধিক করার জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। ২টি ভালভের সীমাবদ্ধতা বাইকটির সঙ্গের অন্যান্য মোটরসাইকেলের সঙ্গে এর প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতাকে আশঙ্কাজনকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
৫-স্পিড গিয়ারবক্সের পুনরাবৃত্তি
৬-স্পিড কনফিগারেশনে আপগ্রেড করার পরিবর্তে ঐতিহ্যবাহী ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সুযোগ হাত ছাড়া করা। ৬-স্পিড গিয়ারবক্স ক্রমবর্ধমানভাবে এই ধরনের মোটরসাইকেলের জন্য অটোমোবাইল শিল্পে আদর্শ মান হয়ে উঠছে। এই অতিরিক্ত একটি মাত্র গিয়ারের অনুপস্থিতি বাইকের বহুমুখিতাকে সীমিত করতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘ ভ্রমণের সময়।
ব্লুটুথ সংযোগের অনুপস্থিতি
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে যেখানে ডাটা স্থানান্তর বিক্রয় বাড়ানোর সেরা নির্ণায়ক, সেখানে ব্লুটুথ সংযোগের অনুপস্থিতি এই নতুন পালসারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ত্রুটি। আধুনিক যানবাহন মানেই এখন রাইডারদের ন্যাভিগেশন, যোগাযোগ এবং বিনোদনের জন্য তাদের ডিভাইসগুলোকে নির্বিঘ্নে সংযুক্তকরণ। এই বৈশিষ্ট্যের অভাব সামগ্রিক রাইডিং অভিজ্ঞতা বাড়ানোর নিদারুণ সুযোগকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাইকটির মূল্য
লাল, নীল এবং কালো; এই তিনটি রঙের সঙ্গে নতুন চালুকৃত পালসারটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। সেমি-ডিজিটাল মিটারে পুরনো ধাচের নির্দেশক কাটা এবং ২-ভালভ ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই এন-২৫০-এর থেকে কম সিসি সম্পন্ন দেশের অন্যান্য বাইকগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে এখনো সরাসরি কোনো প্রতিযোগী না থাকলেও এই বিষয়গুলো দামের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
এছাড়া কোনো কারণে ত্রুটি দেখা দিলে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট টুল পাওয়া যাবে কি না তাতেও রয়েছে পর্যাপ্ত সন্দেহের অবকাশ। এরপরেও সুষ্পষ্ট ভাবে মূল্যটির তুলনা করার জন্য এর সমজাতীয় বাইকগুলোর বাজারে নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পরিশেষে
দীর্ঘ যাত্রার প্রমোদ অভিযানে রোমাঞ্চপ্রিয়রা নির্দ্বিধায় বাজি ধরতে পারেন এন-২৫০-এর ওপর। তবে প্রকৃত পালসার প্রেমীরা খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন এন-১৬০-এর সঙ্গে সাদৃশ্যটা। এই নিরিখে দুয়েকটি পরিবর্তনের জন্য এমন বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের দ্বিতীয়বার চিন্তা করা উচিৎ।
এছাড়া দ্রুততার সময় এর গতির নিরবচ্ছিন্নতার ঘাটতিটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি। তাই তরুণদের মধ্যে যাদের মোটরযানের সর্বশেষ গতির অভিজ্ঞতা নিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই বাইক বেছে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
১ বছর আগে
ইঞ্জিনের লাইট বিকল, সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের শর্টহুড লাইটের সমস্যার কারণে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেল স্টেশনে ট্রেনে লাইটের সমস্যা দেখা দেয়।
পরে রাত ৯টায় ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে বলে ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেল স্টেশনে আসলে সন্ধ্যা ৫ টা ৪০ মিনিটে ট্রেনের ইঞ্জিনের শর্টহুড লাইট বিকল হয়ে পড়ে। এতে সিলেটের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ইঞ্জিনসহ ট্রেন লাইনচ্যুত, ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথ বন্ধ
পরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা পর রাত ৯টায় উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে পারাবত এক্সপ্রেসকে টেনে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস সঠিক সময়ে সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি।
স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, সন্ধ্যায় পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেল স্টেশনে আসলে ইঞ্জিনের লাইট বিকল হয়ে পড়ে। কুলাউড়া থেকে বিকল্প ইঞ্জিন নিয়ে আসলে রাত ৯টায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ১৩ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ
১ বছর আগে
ভৈরবে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় বগি লাইনচ্যুত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধে বিপাকে পড়েছে হাজারো যাত্রী।
রবিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারো সিন্ধুর (প্রভাতী) ট্রেন ভৈরব রেলজংশনে পৌঁছালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, সারাদেশের সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
রেলজংশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভৈরব জংশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনটি সকাল ৯টার দিকে ভৈরব রেল জংশনে এসে পৌঁছায়। পরে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় হঠাৎ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ভৈরব রেলস্টেশন মাস্টার মো. ইউসুফ মিয়া জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় একটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
ইঞ্জিনটি উদ্ধারে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত, আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভৈরবে এগারোসিন্ধুর ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় বগি লাইনচ্যুত, আহত ১৫
১ বছর আগে
ইঞ্জিন-বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে মেট্রোরেলের একাদশ চালান
এবার মেট্রোরেলের একাদশ চালান নিয়ে জাপান থেকে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সোমবার সকালে মোংলা বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে ভিড়ে জাহাজ এমভি হোসি ক্রাউন।
বিদেশি ওই জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওহিদুজ্জামান জানান, জাপানের কোবে বন্দর থেকে আটটি রেলওয়ে কোচ ও চারটি ইঞ্জিনসহ ৩৪ বক্স মেশিনারি পণ্য নিয়ে এমভি হোসি ক্রাউন সোমবার সকালে মোংলা বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। এছাড়া দুপুরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের অগ্রগতির প্রশংসা থাই রাষ্ট্রদূতের
ওয়াহিদুজ্জামান আরও বলেন, এসব মালামাল জাহাজ থেকে খালাস করে সরাসরি নৌপথে বার্জে করে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি মেট্রোরেলের ডিপোতে নেয়া হবে। এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে মেট্রোরেলের ৭০টি কোচ এবং ৩৪টি ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন মেশিনারি পণ্য এসেছে।
এছাড়া পণ্য খালাস শেষে মঙ্গলবার জাহাজটির মোংলা বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেল: দৃশ্যমান হলো ২০.১ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট
আগামী বছর বিজয় দিবসে যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল
২ বছর আগে
গাজীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
গাজীপুরের কাওরাইদ রেল স্টেশনে ঢাকা থেকে নেত্রকোণাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার করে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে ঢাকা থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশন ছেড়ে কাওরাইদ স্টেশনের দুই নাম্বার লাইনে ঢোকার আগেই ট্রেনটির ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কয়েকজন সামান্য আহত হয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৯
কাওরাইদ রেল স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে কাওরাইদ রেল স্টেশনের ২ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তবে ১ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারি থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি: রেলমন্ত্রী
২ বছর আগে
হোন্ডার নতুন ইঞ্জিন সংযোজন লাইন উদ্বোধন
মুন্সীগঞ্জে নিজস্ব কারখানায় নতুন ইঞ্জিন সংযোজন লাইন উদ্বোধন করল জাপানি মোটরসাইকেল ব্রান্ড হোন্ডা।
৩ বছর আগে