বেগম খালেদা জিয়া
আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো সময় বলি না তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়ানামিক লিডার। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর কাজির দেউরি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিষয় না। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয়। তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। এখানে কোনো দলের বিষয় না। সেটা একমাত্র সম্ভব আজ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছিল। সেটা ফেরত এনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কাদের মধ্যে সমঝোতা হবে এটা কোনো আলোচনার বিষয় না। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একমাত্র সমঝোতা হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতাশা প্রয়োগে।
আমীর খসরু বলেন, বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশি কিছু করেছে। চট্টগ্রামে সেদিন মানুষের ঝড় তুলেছে। আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
১ বছর আগে
স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার তাকে হুইল চেয়ারে বাসায় ফেরৎ পাঠিয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে যে ডাক্তাররা আন্দোলন করেছিলেন, গত ১৪ আগস্ট তারাই সাঈদীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। তাই আমরা আশঙ্কা করছি, আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু রহস্যময়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা বাসরোড এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘এ সরকার যে কত নিষ্ঠুর এটাই তার প্রমাণ। এই স্বৈরাচার সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
রিজভী আরও বলেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নিপুণ রায় চৌধুরী, শ্যামল বিশ্বাস, রেজাউল কবীর পল ও হাজী মাসুমসহ আরও অনেকে।
পরে, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
১ বছর আগে
বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। কারণ এটি যদি চাইতো, তারা আদালতে গিয়ে বড়বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তো। তারা কিন্তু মামলা লড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ফখরুলের ভূমিকা শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে উনাকে যদি বিদেশ নেয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়া মারা যাক। উনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয় নাই- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করেন, আর বলেন দেশে কিছু হয় নাই। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন দেশে কিছু হয় নাই।'
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
আবেদন পাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত অনলাইন কেস ট্র্যাকিং সিস্টেম ‘সলট্র্যাক’ (http://soltrack.gov.bd) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোন আবেদন করা হয়েছে কি না বা তাকে কারাগারে নেয়ার কোন চিন্তা সরকারের আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো কোনও আবেদন পাইনি। আবেদন পাওয়ার পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে তাদের মামলা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি অফিসসমূহ তাদের মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকে না। এই কেস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সহজেই মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবে। এতে করে দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। ৯১ হাজারের বেশি সরকারি মামলা উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। সেগুলো ট্র্যাকিং ও এগুলোর সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির জন্য এ সফটওয়্যার অত্যন্ত সহায়ক হবে। ফলে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলায় সরকারি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের সঙ্গে সরকারের অন্য দপ্তরের সংযোগের মাধ্যমে একটি আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত হবে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এই পদক্ষেপ অনেকাংশে সহায়ক হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বস্তরে আইনের শাসন এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা ছিলো বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৪টি ভিত্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
প্রত্যেকটি কম্পোনেন্ট একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কিত। মূলত প্রযুক্তিনির্ভর নির্মল ও স্বচ্ছ তথা নাগরিক হয়রানিবিহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং ভোগান্তি ছাড়া প্রত্যেক নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই একটি স্মার্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সকল সেক্টরে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানের পদক্ষেপ হিসেবে স্মার্ট জুডিসিয়ারি প্রতিষ্ঠাও সরকারের একটি অগ্রগণ্য কাজ।
সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের কারণেই সারাদেশে বিচার বিভাগকে প্রযুক্তিবান্ধব করার জন্য ‘ই-জুডিসিয়ারি’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও পরামর্শের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে।
তিনি বলেন, দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উক্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোট চৌষট্টি হাজার পাঁচশত বিরাশিটি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। দেশের অবশিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহকে একইভাবে ই-রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তাছাড়া, সারা দেশের বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমকে ডিজিটাইজড করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে প্রত্যেক নিকাহ্ রেজিস্ট্রার বিবাহ নিবন্ধনের যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ইনপুট দিবেন এবং পক্ষগণ কাবিননামাসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এই অনলাইন পোর্টালে প্রকৃত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারদের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে বিবাহ নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, সরকারি মামলাগুলো ঠিকমত উপস্থাপন করা হলে বেশির ভাগ মামলায় সরকার জিতে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঠিক উল্টা। বেশিরভাগ মামলায় সরকার পক্ষ হেরে যায়। হেরে যাওয়ার পর সরকার পক্ষ থেকে আপিল করা হয় এবং তখন কিছু দৌঁড়ঝাপ শুরু হয় এবং একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘সলট্র্যাক’ সফটওয়্যারটি একে অপরকে দোষারোপ করার কালচার থেকে বেরিয়ে আসার একটি সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
পরীমণির ঘটনায় সন্দেহের গন্ধ খুঁজছে বিএনপি
জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে সরাতে সরকার পরীমণির ঘটনাকে সামনে এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও দেশের করোনা পরিস্থিতি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নিতেই পরীমণি ইস্যু সামনে আনা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
মাদক মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদকে সাতদিনের রিমান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হলো জনগণকে প্রতারিত ও ভুল পথে পরিচালনা করা। এখন আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা পরীমণির ঘটনায় খুব তৎপর। পরীমণি কে? জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে ও ভুল পথে পরিচালিত করতেই আবার একটি ঘটনা, আমরা কি তা বুঝি না?
আরও পড়ুন: বোট ক্লাবের নির্বাহী কমিটি থেকে নাসিরকে বহিষ্কার
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যখন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও তার মুক্তি, দেশের পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হচ্ছে তখন তারা এই বিষয়টি সামনে এনেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও খেলা করা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় নাসির ও অমি ৭ দিনের রিমান্ডে
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরীমণি। এ ঘটনায় রবিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় গত সোমবার উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে নেতা-কর্মীরা রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত: হানিফ
বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের চেয়ে চিকিৎসা রাজনীতি নিয়ে নেতা-কর্মীরা বেশি ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সু চিকিৎসার পরিবর্তে তাকে কীভাবে মুক্ত করতে হবে, নানানভাবে সরকারকে প্রেসার ক্রিয়েট করার অপ্রাঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় দাবি উত্থাপন করেন, যেটা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্তই না। আমার মনে হয় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে যারা নিয়েজিত আছেন তারাই সঠিকভাবে পরামর্শ দিতে পারবেন তার কখন কি প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বর্হিবিশ্বে প্রশংসিত: হানিফ
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনায় মৃত্যু বরণকারী চিকিৎসক ডা. রুমি স্মৃতি শ্রেণী কক্ষের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে বিদেশে নেয়ার মতো অবস্থা নেই। পাশাপাশি এই দুর্যোগের সময় অনেক দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত হয়ে গেছে। এর মধ্যে কোন দেশে কোন ডাক্তারের কাছে তাকে নেয়া হবে এবং তারা তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন কিনা এসব অনেক বিষয় ভাবার আছে। তাছাড়া সবচাইতে গুরুতপূর্ণ বিষয় হলো তার চিকিৎসায় যেসব বিশেষজ্ঞরা আছে তাদের মতামত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এই দেশেই করা সম্ভব। তাকে বিদেশে নেয়া এই মুহূর্তেই বিশেষ প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মুস্তানজিদসহ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সকল চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় প্রথম টিকা নেবেন হানিফ
৩ বছর আগে
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার শুনানি ১৮ মার্চ
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত।
৩ বছর আগে