গ্রেনেড
গাজীপুরে মাটির নিচে গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার
গাজীপুরে জোড়পুকুরপাড় এলাকায় একটি জমির মাটির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মাটি খননের পর একটি মাটির কলসের ভেতর এগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা: ডেপুটি স্পিকার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা আবুল কাশেম বাড়ি নির্মাণের জন্য গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার দক্ষিণ ছায়াবীথি (জোরপুকুরপাড়) এলাকায় সাড়ে ৩ কাঠা জমি কিনে বাউন্ডারি দিয়ে ফেলে রাখেন। সম্প্রতি তিনি ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেন।
সোমবার সকালে এখানে স্থানীয় লোকজন কাজ শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে মাটি খনন করার পর গর্তের মধ্যে একটি মাটির কলসের ভেতর গ্রেনেড সদৃশ কয়েকটি বস্তু দেখা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে এগুলো পরিত্যক্ত গ্রেনেড। নিরাপত্তার জন্য এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সীমানা ঘেরা জমির গেট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউলল করিম বলেন, গ্রেনেড সদৃশ কিছু বস্তু পাওয়া গেছে। এগুলো পরীক্ষা করে নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বস্তুগুলো পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে বস্তুগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল যুদ্ধকালীন গ্রেনেড
বগুড়ার শিবগঞ্জে নদী থেকে গ্রেনেড উদ্ধার
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে কবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল যুদ্ধকালীন গ্রেনেড
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে কবর খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেল একটি পরিত্যক্ত গ্রেনেড। ধারণা করা হচ্ছে- এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গ্রেনেড।
মঙ্গলবার(১৪ মে) উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে আজম নগর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেছে যুদ্ধকালীন একটি গ্রেনেড।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
এদিকে এই গ্রেনেড পাওয়া গেলেও বুধবার জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ বিকালে গ্রেনেডটি উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, জাহিদ হাসান ফিরোজ নামে একজন গ্রেনেডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ এসে গ্রেনেডের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ হাসান ফিরোজ জানায়, কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সবার চোখে পড়ে। প্রথমে সবাই না বুঝে এটি নিয়ে গুরুত্ব না দিলেও পরে যখন গ্রেনেড বোমা সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয় তখন আমরা এটি কবরস্থানের পাশ থেকে সরিয়ে রেখে একটি দেয়ালের পাশে রাখি। পুলিশ প্রশাসন খবর পেলে উনারা এসে এটির চারদিকে বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেন।
মীরসরাই জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরাপত্তার জন্য গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটিকে বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য চাপা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই ব্যাপারে এক্সপার্ট না। এটি উদ্ধার করতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক্সপার্টরা আসছেন। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে নদী থেকে গ্রেনেড উদ্ধার
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা: ডেপুটি স্পিকার
৬ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উদ্ধার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয়, মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। এ ছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলাও করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গুলিবিদ্ধ নবী হোসেনকে আটক করেছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেনেডটি উদ্ধারের তিনদিন পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রামু সেনানিবাসে এটি নিষ্ক্রিয় করে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নবী হোসেন গ্রুপের প্রধান নবী হোসেনকে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘন্টায় ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরও ১জন খুন
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ নবীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) এর প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে ছয় নম্বর আসামি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যম্পে গোলাগুলির পর উদ্ধার করা গ্রেনেডটি অত্যাধুনিক বিদেশি গ্রেনেড বলে জানিয়েছে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। ওই ঘটনার পর রবিবার এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৩৩ জনকে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ২০-২৫ জনকে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩৯ ব্লকে দুটি গ্রুপের মধ্যে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি হয়। এতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নবী গুলিবিদ্ধ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
১ বছর আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: ডেথরেফারেন্স ও আপিল শুনানির দিন ধার্য হতে পারে সোমবার
একুশে আগস্টের আলোচিত গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির দিন সোমবার ধার্য হতে পারে। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলা সম্পর্কিত ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলো রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ছিল।
কিন্তু এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার বিষয়টি কার্যতালিকায় না থাকায় সোমবার তা তালিকার্ভূক্ত করতে বলেন আদালত।
রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন এসব ডেথরেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হতে পারে।
তিনি বলেন, হত্যা মামলাটির ডেথ রেফান্স আদালতের লিস্টে ছিল। আদালত বিস্ফোরক আইনের মামলাটিও লিস্টে আনতে বলেছেন। সোমবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলগুলোর শুনানির দিন করা হতে পারে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ওই ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক , সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
ঘটনার পরদিন এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলা দুটির বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। আর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় আরও ১১ আসামিকে। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া এই ১৯ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ অনেকেই পলাতক।
পরে একই বছরের ২৮ অক্টোবর নিয়ম অনুযায়ী আসামির মৃত্যদণ্ড অনুমোদনের জন্য এ মামলার রায়ের কপিসহ ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার যাবতীয় নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়।
গত বছরের ১৬ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে তৈরির পর সুপ্রিম কোর্টে এসে পৌঁছায়। গত আগস্টে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল, জেল আপিল দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে এ মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জল, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ।
পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।
তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
এছাড়া পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অন্য একটি ধারায় আসামি খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার ৪৯ আসামির মধ্যে রায় দেয়ার সময় ৩১ জন কারাগারে ছিলেন। পলাতক ছিলেন বাকি ১৮ জন। পলাকত আসামিরা হলেন- তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, এটিএম আমিন, সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, খান সাঈদ হাসান, ওবায়দুর রহমান, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল বাবু, মোহাম্মদ হানিফ, আবদুল মালেক, শওকত ওসমান, মাওলানা তাজউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মাওলানা আবু বকর, খলিলুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম।
২ বছর আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে আ.লীগের নানা কর্মসূচি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করবে রবিবার।
বিএনপি-জাময়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দিবসটি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
কাল সকালে প্রথমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে নির্মিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুক হাইকোর্টে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সম্মান জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও সর্বস্তরের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই দিন হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোক নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সেদিনের হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মী ল্যান্স করপোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আব্দুল কুদ্দস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রীনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মো. হানিফ, আবুল কাশেম, জেহাদ আলী, মমিন আলী, এম শামছুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
এছাড়া গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আবু সায়্যিদ এবং এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের জন্য জাপানে বিশেষ দোয়া
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী আজ
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্যের সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানার একটি বাড়ী থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার মামলায় জেএমবি সদস্য রকিবুল হাসান জনি (২২) কে পাঁচ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় দেন।
আসামি রাকিবুল হাসান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালা কাটা এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার ছদ্মনাম সালাহ উদ্দিন আয়ুবী, আবু তাছিব আল বাঙালী ও হাসান।
রায় ঘোষণাকালে আসামি রকিবুল হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ‘জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, সদরঘাটের একটি বাড়ি থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ছয় পুলিশ সদস্য ও ভবন মালিকসহ সাত জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার একটি ধারায় আদালত পাঁচ বছর, অন্য আরেকটি ধারায় ছয় মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আসামি রাকিবুল হাসানকে।আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি সদরঘাটের শুভপুর বাস স্ট্যান্ডের মিনু ভবন থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধারসহ রকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পাশাপাশি তার কাছ থেকে দুটি সুইসাইড ভেস্ট, দুটি মোবাইল ফোনসেট, দুটি হাতে আঁকা মানচিত্র উদ্ধার করা হয়। একটিতে সদরঘাট থানা এবং অন্যটিতে সদরঘাট থানার আশপাশের এলাকাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার ছক আঁকা ছিল।
আরও পড়ুন: জেএমবির খুলনা বিভাগীয় প্রধানের ২০ বছরের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় সিরিজ বোমা হামলায় জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
কুমিল্লা শহরে গ্রেনেড হামলা-১৯৭১
বুম বুম বুম। ঠিক দুপুরবেলা ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে বোমা ফাটার শব্দ শোনা গেলো। ঠিক শহরের মাঝেই হয়েছে বোঝা গেলো। মাঝে মাঝে ক্যান্টনমেন্টের দিক থেকে কামান দাগানোর শব্দ আসে। এগুলো নিছক ভয় দেখানোর জন্যই। আজ সত্যিকার বোমা ফেটেছে। বোমা ফাটানোর সাথে সাথে নিমেষে কান্দিরপাড়-রাজগঞ্জ- চকবাজার প্রধান সড়ক জনশূন্য হয়ে গেলো।
মুক্তিবাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে এটা নিশ্চিত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি আর্মি এসে যাবে। যাকে পাবে তাকেই ধরে নিয়ে যাবে। কাউকে গুলি করে মেরেও ফেলতে পারে। হায়েনাদের বিশ্বাস নেই। ভয়ের মাঝেও জনগণ খুশি। আজ নিশ্চয় কোন বড় অপারেশন হয়েছে। এখন না জানা গেলেও সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতারে খবর পাওয়া যাবে। আজ চরমপত্রে এম আর আখতার মুকুল রসিয়ে রসিয়ে মুক্তি বাহিনী কিভাবে হানাদার বাহিনীর অবস্থা ছেরা বেরা করে দিয়েছে তা বর্ণনা দেবেন।
চকবাজার এর পাশ দিয়ে গোমতী নদীতে যাওয়ার পথে এক রাজাকারের হই চৈ শুনে লোকজন জমে গেলো। এক রাজাকার বাহাদুরি দেখিয়ে চিৎকার করছে মুক্তি ধরে ফেলেছি। একটা যুবক মাটিতে বসে আছে মাথা নিচু করে। শরীরের বাম অংশ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যুবক কি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে? কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যুবক সম্বিত ফিরে পেলো। মনে হল সে এখানে কেন? আঁচ করলো সে লোকজন বেষ্টিত। মনে পড়লো কিছুক্ষণ আগে এক রাজাকার তাকে ধরে ফেলেছে। মুহূর্তের মধ্যে তার পূর্ণ স্মৃতি শক্তি ফিরে এলো।
মেলাঘর ক্যাম্পের কুমিল্লার বিশেষ দলটির ডাক পড়লো হায়দার ভাইয়ের (ক্যাপ্টেন হায়দার) অফিসের সামনে। তিনি জানালেন কর্নেল ওসমানী ও নীতি নির্ধারকদের সাথে বৈঠক শেষে আগরতলা থেকে মেজর খালেদ মোশাররফ গতকাল ফেরত এসেছেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে যে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা শহর ও সীমান্তের বিবির বাজার লাইনটি শান্ত রয়েছে যা মোটেই কাম্য নয়। এখানে কিছু একটা করা দরকার। আন্তর্জাতিক মিডিয়া পাকিদের পক্ষে স্থিতিশীলতার সুর ভাজছে। খালেদ মোশাররফের নির্দেশে হায়দার ভাই এই গেরিলা গ্রুপকে নিয়ে বসেছেন কি করা যায়।
বিশেষ গ্রুপের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তিনি গ্রুপ সদস্যদের থেকে মতামত নিলেন। কুমিল্লা শহর এখন শান্ত। কারফিউ নেই। শহরে ঢোকা সহজ। রেকি করে ঠিক করতে হবে কোন কোন টার্গেট হাতে নিতে হবে। তারপর অপারেশন। এ প্রস্তাবে হায়দার ভাই সায় দিয়ে গাইডলাইন দিলেন। বার বার মনে করিয়ে দিলেন ‘সেফটি ফার্স্ট’। নিরাপত্তা সবার আগে। তারপর কঠিন টার্গেট নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। পলায়নের রাস্তাটা হবে নিরাপদ ও সহজ। প্রতিটা গেরিলাকে বেঁচে থাকতে হবে শত্রুর উপর বার বার আঘাত হানার জন্য ও তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য।
বিশেষ গ্রুপ এর সদস্যরা রেকি শেষ করে টার্গেট বাছাই করে মেলাঘর ফেরত এলো। ঠিক হলো একই সময়ে আটটি স্থানে গ্রেনেড হামলা করা হবে যাতে বড় ইমপ্যাক্ট হয়।
কুমিল্লা শহরে প্রবেশের সহজ পথ হল নৌকায় গোমতী পার হয়ে অলিগলি দিয়ে চলা। অন্য পথে গেলে বার বার রাস্তা বদল করতে হয়। সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট বাইপাস করতে হয়। মোটামুটি ঠিক হল গোমতী পার হয়েই অপারেশন করতে হবে।
পারাপারের কাজ করবে সংরাইশের আবুল। অপারেশন শেষে ফেরতও একই ভাবে। সম্পূর্ণ প্ল্যান হায়দার ভাইয়ের অনুমোদন পেলো। বাহার, জামাল খোকনসহ মোট ছয় জনকে গ্রেনেড দেয়া হল। বাহার একটা চাইনিজ পিস্তল পেল। সে একাই তিনটি টার্গেটে গ্রেনেড হামলা চালাবে। মনোহরপুর ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান, রাজগঞ্জের ব্যাংক (বর্তমান জনতা ব্যাংক) ও ছাতিপট্টি কমার্স ব্যাঙ্কে মূল সড়কে হামলা চালাবে তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পিস্তল দেয়া হয়েছে। অন্যান্য টার্গেট গুলো ছিল জজ কোর্ট, ডিসি অফিস ও অন্যান্য সরকারি অফিস। ব্রিফিং শেষে হায়দার ভাই মনে করিয়ে দিলেন ঝুঁকি থাকলে অপারেশন করা যাবে না। পিস্তল হারানো যাবে না। পিস্তল হচ্ছে তোমার আত্মরক্ষার শেষ সম্বল। ছয়জন গেরিলাকে মেলাঘর থেকে গাড়িতে করে সোনামুড়ায় নামিয়ে দেয়া হল। সোনামুড়া থেকে প্রথম গন্তব্য পেয়ারা বাগান।
সময় ঠিক করা ছিল দুপুর বারোটা বাজলে যে যার কাজ শুরু করবে। বাহার উজির দিঘির পাড় দিয়ে মনোহরপুরের গলিতে ঢুকে প্রথম গ্রেনেড ছুঁড়ল ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তানে ( বর্তমান সোনালি ব্যাংক)। তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে রাজগঞ্জের ব্যাংকে গ্রেনেড চার্জ করলো। না থেমেই আরও সামনে দৌড়ে গিয়ে ছাতিপট্টি কমার্স ব্যাংক এ শেষ গ্রেনেডটি ছোড়া হল। কিন্তু তৃতীয় গ্রেনেড ৬ সেকেন্ডের আগেই ফেটে গেলো। স্প্লিন্টারের আঘাতে গ্রেনেড হামলাকারী যুবকের বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়ে গেলো। দ্রুত পালাতে হবে। শত্রুর এলাকা থেকে পালানোর চিন্তা মাথায় ছিল বলে রক্তক্ষরণ ও ব্যথার কথা মনেই এলো না। বাহার প্রানপণে দৌড়াচ্ছে। শরীরের শক্তি শেষ হয়ে আসছে। আর পা চলতে চাচ্ছে না। এই দুর্বল মুহূর্তেই রাজাকার এসে তাকে ধরে ফেলল। মুক্তি ধরে রাজাকারের উল্লাস।
মুক্তির মাথা এখন পরিস্কার। কি হয়েছে তা পুরাপুরি মনে এলো। এখান থেকে পালাবে কি করে এটাই একমাত্র চিন্তা। চারিদিকে লোকজন। পাকিস্তানি হায়েনারা দ্রুত চলে আসতে পারে। গায়ে তো শক্তি নেই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত বুলিয়ে দেখল। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। রক্তে ভেজা শরীর। হাত বুলাতে বুলাতে পেটের কাছে শক্ত কি যেন একটা ঠেকল। কি হতে পারে। শক্ত জিনিসটার উপরে আবারও হাত বুলালো। মনে পড়ে গেলো এটাতো ৭.৬২ মি মি চাইনিজ পিস্তল।
আত্মরক্ষার শেষ সম্বল। পেট এবং নাভি বরাবর বাঁধা ছিল। মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেলো। শরীরে অসুরের শক্তি ভর করলো। মুক্তি এক লাফে দাড়িয়ে গেলো। পিস্তল বের করে রাজাকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তেই পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে গেলো। রাজাকার ও জনতা উধাও। গোমতীর দিকে প্রাণপণে দৌড়। আবুল নৌকা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। নদী পার হয়েই জ্ঞান হারাল যুবক। ওপারে ভিক্টোরিয়া কলেজের UOTC (বর্তমান BNCC) সার্জেন্ট কামাল ভাই আহত যোদ্ধাকে সোনামুড়া নিয়ে আসেন।
সূত্র: বাহার উদ্দিন রেজা বীর প্রতীক
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান দেখা হলো না
মুর্তজা বশীর ভাই, কেমন আছেন আজকাল?
নেশা করা মধ্যবিত্তের ইতিহাস কোন দিকে?
৩ বছর আগে
ভয়াল ২১ আগস্ট আজ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের র্যালিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী আজ।
শনিবার ওই হামলার স্মরণে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিনটিকে ‘গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসেবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করবে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়া ও ২১ আগস্টের হামলায় খালেদা জড়িত: শেখ হাসিনা
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
এই হামলার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালাত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্টের হামলা ‘আ’লীগের মাস্টারপ্ল্যান’: বিএনপি
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তা প্রদান করবেন।
দেশের ইতিহাসের ওই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার স্মরণে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিন ব্যাপী ‘আগস্ট রিপিটেড অ্যাটেম্পটস্’ শিরোনামে শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে বিএসআরএম কারখানায় গ্রেনেড উদ্ধার
জেলার মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকার জড়িত: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ আগস্ট (ইউএনবি)- ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকার জড়িত ছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন হামলা সম্ভব নয়।
৫ বছর আগে