আন্তর্জাতিক
ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-ক্যানেলে তীব্র ভাঙন, ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার
বাগেরহাটের বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-ক্যানেলে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
ইতোমধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রোমজাইপুর গ্রামের কয়েকটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ২ শ্রমিক নিখোঁজ, আহত ১১
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলে গত পূর্ণিমার জোয়ারের পানির স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রশিদ মোল্যা, মিজান মোল্লা, জামাল মোল্যা, জাহাঙ্গীর শেখসহ তাদের পাঁচটি বসতবাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দুটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে এবং ঝুঁকিতে রয়েছে আরও পাঁচটি খুঁটি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে আরও ৫০ টি বসতবাড়ি। রোমজাইপুর গ্রামের গ্রাম রক্ষাবাঁধ ভেঙে ও জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক পরিবার।
রোমজাইপুর গ্রামের বিভাষ হালদার বলেন, ‘সপ্তাহ ধরে ক্যানেলে ভাঙন শুরু হলে পাঁচটি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রামরক্ষা বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় দৈনিক দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক জোয়ারের স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. বায়েজিদ সরদার বলেন, ‘রিমালের আঘাতে বাঁধ ভেঙে গ্রামের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। আমরা স্থানীয়ভাবে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেছি। ক্যানেলে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে কয়েকটি বসতবাড়ি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে। লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার বসতবাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য রীনা বেগম হেনা বলেন, ‘রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই নদী ভাঙনে মড়ার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। দৈনিক দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় এলাকার শতাধিক পারিবার। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পরিবার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, ‘নদী ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারকে অবহিত করেছি।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ‘নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন
নড়াইলে মধুমতি নদীভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার
২৬৩ দিন আগে
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৩৫তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, ভারত, হংকং ও সিংগাপুর।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর ইউসুফ।
এসময় আরও ছিলেন সংসদ সদস্য (চেরাস) ও প্রধানমন্ত্রীর চীনবিষয়ক সাবেক দূত ওয়াইবি তান কোক ওয়েই এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মালয়েশিয়া-চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড লিংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতো চং চং তিক।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেলা ও বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, খাদ্যপণ্য এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমান প্লাস্টিক , এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেড , কিউ পেইল, এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিক, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিক লিমিটেড, আরএফএল কোম্পানির প্লাস্টিকপণ্য, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মাফিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেশিন ঘর ওয়ার্কস, বায়োনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকুইপমেন্টসের তথ্যবহুল প্রকাশনা, ড্যানিশ, তীর , প্রাণ কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী এবং কেএডব্লিউ এপারেলস, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনজেড টেক্স গ্রুপ, আরবিডি ফাইবারস লিমিটেডের তৈরি পোশাক সামগ্রীর সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলে বিদেরি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
২৮১ দিন আগে
‘আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর’
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে।
প্রতিশ্রুত সেবা দিতে না পারলে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অবশ্যই তাদের গ্রাহকদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানান তিনি।
পলক বলেন, এটি বাস্তবায়নে নিয়মিত মনিটরিং ও অডিট করা হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান-সংক্রান্ত বিটিআরসি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে।
পলক বলেন, কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।
কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।
পলক বলেন, মোবাইল অপারেটরসমূহ গ্রাহকদের সেবা প্রদান, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট প্রদান ও অপারেটর যেসব সুবিধা আমরা দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও মোবাইল অপারেটরসূমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে দেশে মোবাইল সেবাকে গ্রোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উপনীত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি আরও বলেন, আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় কীভাবে ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি সে বিষয়েও কাজ করছি। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোন সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
২৯৩ দিন আগে
২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ
আগামী ২৯ মে (বুধবার) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে।
এদিন সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২৪’ আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।
সকাল ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের স্বজন ও আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে থাকবেন- মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতহাইকমিশনাররা, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধানরা, সংসদ সদস্যরা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে বিশেষ টকশো প্রচারিত হবে।
ইতোমধ্যে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৩২৭ দিন আগে
বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) আন্তর্জাতিক মানের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিএসটিআইর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ, যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন, বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপন, ওয়ানস্টপ সেবা চালু ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এসব কর্মসূচি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম, পাশে আছি: শিল্পমন্ত্রী
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএসটিআই সভাকক্ষে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএসটিআই।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আইএসওর সদস্যপদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের ভোক্তা সাধারণের জন্য মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সুনাম এবং সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্ব এবং আঞ্চলিক ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বিএসটিআই'র আধুনিকায়নে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিএসটিআইর জন্য ল্যাবরেটরি সমৃদ্ধ ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিএসটিআই কার্যালয়কে আধুনিক ল্যাবরেটরি-সমৃদ্ধ কার্যালয়ে রূপান্তর, বিএসটিআইর পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণের জন্য আরও ৬৮টি নতুন ল্যাব স্থাপন ও বিদ্যমান ল্যাব আধুনিকায়ন, দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিএসটিআই হালাল সার্টিফিকেট প্রদান, ওজন ও পরিমাপের আধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে ২১টি নতুন ল্যাব স্থাপন ও বিদ্যমান ল্যাব আধুনিকায়ন এবং প্রয়োজনীয় জনবল সৃজন ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, বিএসটিআইর কার্যক্রম বিভাগ থেকে জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতিসংঘ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো সঠিক পরিমাপ। সে বিবেচনায় এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি গুরুত্ব বহন করে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণের মতো জটিল চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং মোকাবিলা করার জন্য সঠিক পরিমাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পরিমাপ গণনা ও তদারকির মাধ্যমে পরিবেশের কার্বনের পরিমাপ জানা যাবে, যা প্রকারান্তরে কার্বনদূষণরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
৩৩৪ দিন আগে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিমানের হাইড্রোলিক বিকল, অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৭৫ যাত্রী
যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে অধিকতর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিমান অর্থ পরিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স’ এর ওপর বিমানের সকল কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন এভিয়েশন ইন্স্যুরেন্স ট্রেইনার ডেভিড জর্জ এবং জেমস জনস্টোন।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন- কার্গো পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার ও উপসচিব মো. নওসাদ হোসেন, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিচালক এয়ার কমডোর মো. মনিরুল ইসলামসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ময়লার ঝুড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
৩৩৯ দিন আগে
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, রাজধানীর শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে মোট ৩৯ দশমিক ৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য ব্যাপক বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) সকালে মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
মেয়র বলেন, ‘আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে, ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু এই খালগুলো (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল) এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।’
আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার। এরপরে শ্যামপুর ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার, জিরানি ৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং কালুনগর ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার খাল। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবং আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, আগামী এক বছরের মধ্যে (খালগুলোর) দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।’
উল্লেখ্য, ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ, ৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
৩৪৬ দিন আগে
জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জামদানি পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা
তিনি বলেন, জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা প্রদান এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে প্রদর্শনী করা।
সিনিয়র সচিব বলেন, উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। একসময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল। এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জামদানির বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদেশিদের কাছেও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়।
তিনি বলেন, নবীন কারিগররা জামদানির নকশা বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞ নয়। সেজন্য গত ১১ মার্চ থেকে এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
জাকিয়া সুলতানা আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরও গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো শিল্পে উৎপাদন খরচ না উঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী (৩০ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেলা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের জামদানি কারিগররা ব্যস্ত
এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
৩৮৪ দিন আগে
গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য ঢাকা ও দিল্লির প্রতি গ্যারান্টি ও সালিশি ধারাসহ একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।
শনিবার(৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি কেবল অববাহিকাভিত্তিক চুক্তির ভিত্তিতেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ায় নাটোরে পানি ক্রমশ বাড়ছে
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আইএফসির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, লেখক ও গবেষক সিরাজুদ্দীন সাথী, তমিজউদ্দীন আহমদ, আইএফসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ড. নাজমা আহমদ এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আজাদ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ নেপাল ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সই করা পানি চুক্তিতে নিশ্চয়তা ও আরবিট্রেশন ক্লজ রয়েছে।
ফলে সিন্ধু ও মহাকালী পানিচুক্তি পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সই করা গঙ্গার পানি চুক্তিতে শর্ত পূরণ করা হয়নি।
এই ত্রুটির কারণে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আশানুরূপ গড়ে ওঠেনি।আরও পড়ুন: বিহারে বন্যা সামাল দিতে ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত
১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট ৪১ দিন পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশে একতরফা পানি প্রত্যাহার অব্যাহত থাকে এবং পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়।
পরে ১৯৭৭ সালে ৮০ শতাংশ পানির প্রাপ্যতার গ্যারান্টি ক্লজ দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি পানি চুক্তি সই হয়। কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবায়নের পরিবর্তে ১৯৮২ সালে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দিয়ে ৫ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরপর ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য আবারও ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয়। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে এসে এই চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই গঙ্গা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায়নি। চুক্তিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ না থাকায় এটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। চুক্তির এই দুর্বলতা নবায়নের সময় দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার প্রভাবে ভাঙছে নবগঙ্গা-মধুমতি
২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তা আজও করা হয়নি।
শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর কোনো পানি বাংলাদেশে ছাড়া হয় না। পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা ব্যারেজ থেকে সামান্য পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে।
অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তীব্র বন্যা ও তীর ভাঙনের কারণে ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে এই নদীর উৎপত্তিস্থল। তাই নদীর প্রবাহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন। এ পর্যন্ত তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার বেড়েছে।
এতে বলা হয়, স্বল্পমেয়াদি সুবিধার জন্য অদূরদর্শী বাঁধ দিয়ে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
৪০৬ দিন আগে
আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মগুলো সময়মতো কাজ করে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম আছে, কিন্তু প্রয়োজনের সময় ফোরামগুলো কাজ করে না।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি ইতোমধ্যে অনেক প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সময়মতো কাজ করে না।’
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ -এ যোগদানের লক্ষ্যে তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ক্ষুদ্র ভূমিতে বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মধ্যম শক্তি বা উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির কোনো উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না।
এনায়েতউল্লাহ খান তার প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে রয়েছে, যখন জোটনিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। আমাদের (বাংলাদেশ) মতো মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম অন্যতম।
ইউএনবির প্রধান সম্পাদক জানতে চান, 'আপনি (শেখ হাসিনা) জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে মা ও শিশু, নারীর ক্ষমতায়নসহ (আন্তর্জাতিক ফোরামে) অনেক বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মধ্যম শক্তি ও উদীয়মান শক্তিকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন কিনা?'
আরও পড়ুন: গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি আমার দেশ, দেশের মানুষ, ছোট ভূখণ্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে ব্যস্ত আছি। হ্যাঁ, আমি আওয়াজ তুলি এবং যেখানে কোনও অন্যায় দেখি সেখানে প্রতিবাদ করি। আমি সব সময় বলি, আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কোনো প্লাটফর্ম গঠন করার মতো যোগ্যতা ও চিন্তাভাবনা তার নেই।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে যেভাবে ভেটো দেওয়া হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে হাসপাতালগুলোও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না এবং শিশুদের খাবার নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। আমার যা কিছু আছে তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতন। এর চেয়ে বড় কিছু করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
আরও পড়ুন: রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪২২ দিন আগে