দাপ্তরিক ভাষা
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকারে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় হাছান মাহমুদ সামনের চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করলেও জাতীয় স্বপ্নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা। এটাই আমাদের স্বপ্ন। আমি জানি এখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কিন্তু এটাই আজ আমাদের স্বপ্ন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন।
তিনি বলেন, 'অনেকেই জানেন না, তাকে যখন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কারাগার থেকে) নেওয়া হয়, তখন তিনি একটি সভার আয়োজন করেছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হবে।বঙ্গবন্ধু তার কারাগারের সদস্যদের নিয়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ বিভিন্ন বিদেশি মিশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও অংশ নেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস, কূটনীতিক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ নেতা হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ তার নেতৃত্বের জন্য প্রাপ্ত প্রশংসার কথাও উল্লেখ করেন।
ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপন করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করে।
২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য, ‘বহুভাষিক শিক্ষা - শেখার এবং আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার একটি স্তম্ভ’, মাতৃভাষায় শুরু হওয়া শিক্ষার পক্ষে সমর্থন করে, বহুভাষিক শিক্ষার রূপান্তরকে সহজ করে এবং আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণ করে।
বাংলাদেশে 'অমর একুশে' স্মরণে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যা সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সংরক্ষণে জাতির অঙ্গীকারের কথা বলা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যা জাতীয় ঐক্য ও স্মরণীয় মুহূর্তের প্রতীক। এসময় কালজয়ী সংগীত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'র গানটি বাজানো হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
১০ মাস আগে
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কার্যক্রমের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে। জাতিসংঘের বৃহত্তম পুনর্গঠন যখন হবে তখন আমরা আমাদের বিষয়টি তুলে ধরবো।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তহবিলের বিশাল সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য ভালবাসা, শ্রদ্ধা এবং আকাঙ্ক্ষা থাকলেও প্রতি বছর এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা এই মুহূর্তে যৌক্তিক হবে কিনা তা ভাবতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটি সম্পর্কে চিন্তা করেছি এবং এটি নিয়ে কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: প্রতিটি ভাষাকে সম্মান করে ‘আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত’ বিশ্ব চায় বাংলাদেশ
শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে হিসেব করেছি যে এর জন্য প্রতিবছর ৮০০ কোটি টাকা লাগবে।
জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে - আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ।
এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন যে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা চালু করার প্রস্তাবে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের বিরোধিতা না থাকলেও অর্থের জন্য জাতিসংঘের পক্ষে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেছিলেন, জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বলেছে যে জাতিসংঘে একটি নতুন দাপ্তরিক ভাষা চালু করার জন্য তাদের প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন যে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের একটি অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাংলা ভাষায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কথা বলে এবং এ ভাষার শিল্প, সাহিত্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। আমাদের সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে যাতে জাতিসংঘকে বাংলাকে তাদের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ন্যায্য অনুরোধটি গ্রহণ করার জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত
১ বছর আগে
জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
৩ বছর আগে