দেশের উন্নয়ন
এম এ মুহিত সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন ভালো মানুষ ছিলেন। দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে সারাজীবন তিনি কাজ করে গেছেন। তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন সফল মানুষ হিসেবে সর্বসাধারণের ভালোবাসা পেয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত মরহুম মুহিতের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা মুহিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এভাবেই তাঁর স্মৃতিচারণ করেছেন।
মুহিতের ছোট ভাই, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় মূলবক্তা ছিলেন মুহিতের বন্ধু, সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করে মোকাম্মেল হক বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নের জন্য সারাজীবন চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুহিত বিশেষ অবদান রেখেছেন।
মুহিতের ব্যক্তিত্বের স্মৃতিচারণ করে সাবেক এই সচিব বলেন, তিনি কখনো ক্ষমতার বড়াই করতেন না। তিনি দীর্ঘকাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সফলভাবে, মর্যাদার সাথে দায়িত্ব পালনকালেও তিনি ক্ষমতায় আছেন কি নাই তা কখনো বুঝা যেত না। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞায় দেশ ও জনগণ অনেক উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি শুধু নিজের বড়ভাইকে হারাইনি বরং হারিয়েছি একজন প্রকৃত বন্ধু ও একজন আন্তরিক সহকর্মীকে। একইসাথে দেশ হারিয়েছে এক অমূল্য সম্পদকে।
তিনি বলেন, মুহিত ভাই আমার তো বটেই, আমাদের অনেকের জন্যেই তিনি ছিলেন একজন মেন্টর।
মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মুহিত ভাই দেখিয়ে গেছেন-সততা, আন্তরিকতা, ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকলে মানুষ যেকোনো ভালো কাজ বাস্তবায়ন করতে পারে। মুহিত ভাই পৃথিবীর সকল ভালো ভালো আইডিয়া গ্রহণ করতেন আর দেশের জন্য সেগুলো কাজে লাগাতেন।
ড. মোমেন বলেন, মুহিত ভাইয়ের স্মরণে এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর এই উপলক্ষে আমাদের প্রতিজ্ঞা করা প্রয়োজন, আমরা যেন সবাই দেশকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসি, দেশের জন্য কাজ করি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেকের সঞ্চালনায় এ স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃস্থানীয়সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
২ বছর আগে
দেশের উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) সফল বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এটাকে শুধু চুক্তি মনে করলে হবে না। দেশের সার্বিক উন্নয়নে এপিএ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে প্রান্তিক কৃষক ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছে। অনেক ফড়িয়া ধানের মজুদ করছে- তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে না। এ সময় তিনি ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষার্থে খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রতি মনিটরিং জোরদার করার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী
এর আগে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ২০২১-’২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খাতুনের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মো: মুজিবুর রহমান এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার নিজ-নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে এপিএ চুক্তিতে সাক্ষর করেন। খাদ্য সচিব চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
পরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: শাহনেওয়াজ তালুকদার এবং অফিস সহায়ক মো: সুমন মিয়ার হাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী ।
৩ বছর আগে
দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন রবিবার বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৩ বছর আগে