কার্টুনিস্ট
কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস মারা গেছেন
কার্টুনিস্ট ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস শনিবার ঢাকার শাহীনবাগের বাসায় স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
তিনি বাংলা দৈনিক সংবাদের কার্টুনিস্ট ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করেন।
বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দারসহ অন্যরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই
১ বছর আগে
মুক্তি পেল ‘ষ’-এর তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’
সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে চরকি অরিজিনাল অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ।
এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘লোকে বলে’ মুক্তি পেয়েছে ২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা ৫৯মিনিটে।
এটি পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এছাড়া নুহাশ পরিচালিত এই সিরিজটির মাধ্যমে চরকি এই প্রথম ভৌতিক ঘরানার কোনো কনটেন্ট মুক্তি দিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পেট কাটা ‘ষ’-এর মুক্তি পাওয়া দুটি পর্ব ‘এই বিল্ডিং এ মেয়ে নিষেধ’ ও ‘মিষ্টি কিছু’ দর্শক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউজিক ভিডিওতে প্রথমবার দিঘী
‘লোকে বলে’ পর্বে অভিনয় করেছেন মোরশেদ মিশু, সাঈদা তাসলিমা হাসান নদী, প্রণয় দেব উচ্ছাস তৌফিকুল ইমন ও গীতশ্রী চৌধুরী। কার্টুনিস্ট চরিত্রে এই পর্বে অভিনয় করেছেন মোরশেদ মিশু। তিনি বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কার্টুনিস্ট কিন্তু ক্যামেরার সামনে অভিনয় করার চেষ্টা এবারই প্রথম। আমি একই সঙ্গে নার্ভাস ও এক্সাইটেড। উন্মাদ ম্যাগাজিনে আমার আঁকা কার্টুন যখন প্রথমবার ছাপা হয়, সেইরকম অনুভব করছি। সেসময় যেমন সিনিয়র কার্টুনিস্টদের নামের পাশে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছিলাম এবারও তেমন আফজাল হোসেন, চঞ্চল চৌধুরী, নওশাবা আহমেদ, সোহেল মন্ডলের মত অভিনয় শিল্পীদের নামের সঙ্গে নিজের নাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি।’
সিরিজের নাম কেন পেটকাটা ষ দিয়েছেন এমন প্রশ্নে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘মূর্ধন্য ষ-কে আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে পেটকাটা ষ বলি। কেউ বাংলা ভাষা শিখলেই এই অক্ষরটাকে পেটকাটা ষ বলে ও চিনে। কিন্তু কেন? কোনো বাংলা বই বা কোথাও কিন্তু পেটকাটা ষ লেখা নেই। খুব ভৌতিক একটা অদ্ভুত নাম। কিন্তু কেমন করে যেনো লোককথার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনিষটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল এই ভূতের গল্পগুলোও একই রকম। কোথাও লেখা নেই। পুরাটা লোককথা। কিন্তু মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। সো ফাইনালি, পেটকাটা ষ-কে পেটকাটা ষ বলতে চাই; লিখতে চাই। আর ভূতের গল্পগুলোকে আমার মতো করে আধুনিকভাবে একত্রিত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: কেজিএফ চ্যাপ্টার ২: মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ব্যয়বহুল কন্নড় চলচ্চিত্রের বাজিমাত
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘চরকি সব সময় চেষ্টা করে দর্শকদের মৌলিক ও ভিন্ন কনটেন্ট উপহার দেয়ার। ভৌতিক বা হরর কনটেন্ট চরকির পর্দায় এর আগে দর্শক দেখেনি। আশা করছি, সিরিজ ‘ষ’ দেখে দর্শক হতাশ হবে না।’
ঘুরতে ঘুরতে একদিন এক দম্পতি এমন একটা গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় যে গ্রাম থেকে নাকি প্রতিটা বাংলা কুসংস্কারের উৎপত্তি হয়। একটার চেয়ে আরেকটার পেছনের গল্প অদ্ভুত, আরও বেশি আজব। কি সেই কুসংস্কারের গল্পগুলো? তা জানা যাবে ‘লোকে বলে’ পর্ব থেকে।
২ বছর আগে
বাঙালি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ আর নেই
বাঙালি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ মারা গেছেন। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
‘বাটুল দ্য গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’- এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বাঙালি কার্টুনের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর তাকে কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের প্রয়াণ
পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৯
করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে
২ বছর আগে
পিবিআই’র প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কার্টুনিস্ট কিশোরের নারাজি আবেদন
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ আবেদন করেন কার্টুনিস্ট কিশোর। আবেদনের ওপর আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কিশোরের ওপর নির্যাতনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সাদা পোশাকে অজ্ঞাতনামা ১৬-১৭ জনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।
গত ২০ মার্চ কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমী, অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুল আমিন খান ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. হাফিজ সর্দার। তারা কিশোরের শরীরে নির্যাতনের প্রমাণ পাননি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পান কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। পরে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ১০ মার্চ কার্টুনিস্ট কিশোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজ্ঞাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ১৪ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না তা দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরের ওপর নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি পিবিআই
কিশোর তার মামলায় অভিযোগ করেন, গত বছরের ২ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলিং বেলের শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। দরজা খুললে অপরিচিত একজন আমাকে বলে, দরজা খোলেন না কেন? পরনের লুঙ্গি খুলে প্যান্ট পরে আসেন। সঙ্গে একটি ভালো শার্ট পরেন। আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা আমাকে পরিচয় দেয়নি। তাদের আলাপ-আলোচনায় একজনকে জসিম বলে ডাকতে শুনি। সবাই ঘরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন। তারা আমাকে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেননি। বাসা থেকে আমার মোবাইল, সিপিইউ ও যত ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ছিল তা অবৈধভাবে নিয়ে যায়। আমাকে যখন হাতকড়া পরিচয়ে বাসার নিচে নামানো হয়, তখন বাসার সামনে ৬/৭টি গাড়ী অপেক্ষা করছিল। আমার বাসার সামনে অনেক লোকজন জড়ো হয় এবং একটি গাড়িতে আমাকে ওঠানো হয়। আমি তখন জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকি। কিন্তু গাড়িতে তারা অনেক জোরে শব্দ করে গান বাজাচ্ছিল। হয়তো এজন্য আমার চিৎকার বাইরে শোনা যাচ্ছিল না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে বুঝতে পারলাম আমাকে পুরনো একটি স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর প্রজেক্টরের মাধ্যমে একটির পর একটি কার্টুন দেখানো হচ্ছিল। সেগুলোর মর্মার্থ জানতে চাওয়া হয়। করোনা নিয়ে আমার কিছু কার্টুন দেখিয়ে সেগুলো আঁকার কারণ জানতে চাওয়া হয়। একপর্যায়ে আমার কানে প্রচন্ড জোরে আঘাত করা হয়। এরপর আমি বোধশক্তি হারিয়ে ফেলি। এভাবে ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
আরও পড়ুন: কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিলো আদালত
কার্টুনিস্ট কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ বুধবার
৩ বছর আগে
মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা কার্টুনিস্ট ওয়েস্টারগার্ডের মৃত্যু
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন আঁকার কারণে একসময় বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন ড্যানিশ কার্টুনিস্ট কার্ট ওয়েস্টারগার্ড।
রবিবার তার পরিবার ডেনমার্কের গণমাধ্যমের কাছে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তার পরিবার স্থানীয় বার্লিংস্কে পত্রিকাকে জানায় ঘুমের মধ্যেই ওয়েস্টারগার্ডের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির মধ্যেই হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
তবে ড্যানিশ গণমাধ্যমের দাবি, ওয়েস্টারগার্ডের জন্মদিনের পরের দিন গত ১৪ জুলাই ৮৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
ওয়েস্টারগার্ড ১৯৮০ এর দশকের শুরুতে ডেনমার্কে শীর্ষ স্থানীয় এবং রক্ষণশীল পত্রিকা জিলল্যান্ডস-পোস্টেনের কার্টুনিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
তবে তিনি বিশ্বব্যাপী বিতর্কিতভাবে পরিচিতি পান ২০০৫ সালে। ওই পত্রিকায় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন আঁকার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
ইসলাম ধর্মে মহানবী (সা.) এর যেকোনও ধরনের ছবি আঁকাই নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই সময়ের ওই ব্যঙ্গচিত্র সারাবিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওই ক্ষোভ ডেনমার্ক বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্টের জেরে সংঘর্ষে ভারতে নিহত ৩
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভোগার পর স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রেখেই মারা যান এই বিতর্কিত কার্টুনিস্ট। তার শেষকৃত্য সম্পর্কে কোনও তথ্যা পাওয়া যায়নি।
৩ বছর আগে
কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও দিদারুল ভূঁইয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (সম্পূরক অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতের রমনা জেনারেল রেকডিং (জিআর) শাখা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের
মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত আরও তিনআসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে অজ্ঞাত ব্যক্তি (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি)।
আরও পড়ুন: ১০ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর
অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদুন নবী।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় প্রথমবার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তখন তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি ৮ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন।
এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ৫ মে র্যা ব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
৩ বছর আগে
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ‘নির্যাতনের বর্ণনা’ আদালতে তুলে ধরেছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। তিনি নির্যাতনের অভিযোগে মামলা নিতে আদালতের কাছে আবেদনও করেছেন।
৩ বছর আগে