ইমিগ্রেশন
বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
তাই শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে ভারতে যাত্রী যাতায়াত বাড়লেও পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
বেনাপোল স্থলবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী ও চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বেনাপোল বন্দরে। তবে এখানে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদের ছুটি উপলক্ষে দুই দিনে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন প্রায় ২২ হাজার ১১৩ মানুষ। এর মধ্যে ভারতে গিয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬৩ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।
ভারতগামী যাত্রী নাসিম রানা বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। কিন্তু এখানে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ধীরগতিতে কাজ করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে কখন ইমিগ্রেশন পার হব বলতে পারছি না।’
যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমন করেন।
তিনি বলেন, ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যাতে তারা পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া পেট্রাপোলে দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ওসির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আজহারুল ইসলাম বলেন, ওসি জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
৪ মাস আগে
বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা।
এ সময় ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই যাত্রী ভারতে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়। আটক যুবক কেরালার নীল সারাম থানার পলি হাউস গ্রামের কয়া থারিপ্পার ছেলে সাজনাস থারিপ্পা কুন্নুমেল।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের শুল্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক শায়েখ আরেফিন জাহেদী জানান, থারিপ্পা কুন্নুমেল বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন যাচ্ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল।
পরে ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় ছুরি ও তালার মধ্যে বিশেষ কায়দায় সাদা স্কস্টেপ দিয়ে পেঁচানো ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ৭২ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের চালানটি সাজনাস থারিপ্পা ঢাকা থেকে নিয়ে আসে। তার পাসপোর্ট নম্বর ঠ-৬১২৫২৫৪।
তিনি বলেন, আটক পাচারকারীকে বেনাপোল বন্দর থানায় এবং স্বর্ণগুলো কাস্টমসের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
১১ মাস আগে
হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে এ বছর বাংলাদেশ থেকে সকল হজযাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষ সভায় এ ধন্যবাদ জানান।
সভায় সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউযান আল রাবিয়া সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করবেন। যাদের সকলের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন হচ্ছে। যা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আগমনকে ঝামেলামুক্ত ও নির্বিঘ্ন করেছে। হজ সংক্রান্ত অটোমেশন ও অনলাইন ব্যবস্থাপনা হজ ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন: ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথম কয়েকটি হজ ফ্লাইটে আমাদের হজযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা সবাই এই ব্যবস্থায় তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। প্রতি বছর সুন্দরভাবে হজ আয়োজনের জন্য মুসলিম উম্মাহ দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, মক্কায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম সমাবেশ পরিচালনা করা একটি বিশাল দায়িত্ব। সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর অধীনে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেছে, যা মানুষের হজ ও ওমরাহকে সহজসাধ্য ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
সভার শুরুতে, সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ২০২৩ সালের হজ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ব্রিফিং প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করতে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন ও এর সফলতা কামনা করেন।
ওআইসির বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা এ সভায় যোগ দেন। সভায় ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১,৫৫০ বাংলাদেশি হজযাত্রী
বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ২০৮৬ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে
১ বছর আগে
গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্থলপথে ব্যবসা বাণিজ্যের আরও প্রসারের লক্ষ্য সরকার নতুন নতুন স্থলবন্দর গড়ে তুলছে। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোনো দেশের সাহায্যের প্রয়োজন হবেনা।
বুধবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের গোবরাকুড়া অংশে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত ফলক স্থাপনের উদ্বোধন ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেনন সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার কাস্টমস রিজভী আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান আলী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরটি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ১১ মার্চ ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী’ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। ৩১ দশমিক ১৪ একর জমির ওপর স্থলবন্দরটি নির্মাণে ৭৫ দশমিক ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বন্দরটি নির্মাণে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, একটি ওয়্যারহাউজ, অফিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, ব্যারাক ভবন, পাওয়ার হাউজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও দু’টি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, প্লাস্টিক পণ্য ও শিশু খাদ্য ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ সকল স্থলবন্দরের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় ‘গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর’ একটি।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
৩ বছর পর সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন খুলছে ১২ মার্চ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন সেবা আগামী ১২ মার্চ থেকে যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন যে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার ১২ মার্চ বিকাল ৩টায় সোনমসজিদ ইমিগ্রেশনে উপস্থিত থাকবেন এবং উদ্বোধন করবেন।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি মনোজ কুমার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর অফিস পরিদর্শন করেন এবং এর সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট
বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ তিন বছর যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও আমদানি-রপ্তানির জন্য এই স্থলবন্দর চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের নতুন সংক্রমণরোধে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বাড়তি সতর্কতা
পূজার ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরু
১ বছর আগে
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি। সেই থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি ই-পাসপোর্টে বদলে নিতে পারেন। ই-পাসপোর্টের সুবিধা হচ্ছে- এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের সময় স্বয়ংক্রিয় ই-গেইটের কারণে ইমিগ্রেন্টদের কোনো রকম চেকিংয়ের সম্মুখীন হতে হবে না। ফলে অন্য দেশে যাওয়ার সময় দীর্ঘ সময় ধরে চেকিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার দরকার পড়বে না। চলুন, মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট বা এমআরপি থেকে নতুন ই-পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের পূর্বশর্ত
পাসপোর্টের এই ডিজিটালকরণ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, বিধায় পাসপোর্টের রিনিউ বলতে বর্তমানে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরকেই বুঝায়। তাছাড়া এখন আর এমআরপি দেয়া হয় না। পাসপোর্ট রিনিউ বা নতুন হোক উভয় ক্ষেত্রেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। আবেদনকারির বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই অনলাইনে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। নতুবা আগে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে তারপর ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের উপরের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি(এনআইডি) কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় এনআইডি কার্ডের তথ্যের হুবহু তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোনো গরমিল হলেই পাসপোর্ট অথবা এনআইডির যে কোনো একটির সংশোধন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ মূল আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
→ অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
→ জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
→ পূর্ববর্তী পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
→ ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা হলে ফি জমা প্রদানের রশিদ
→ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীগণ সরকারি অধ্যাদেশ/অনাপত্তি সনদ সংযুক্ত করতে পারেন
→ যদি তথ্য সংশোধন করতে হয় তাহলে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে যেয়ে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে নতুন ও পাসপোর্ট রিনিউ দুইয়েরই জন্য আবেদন করা যায়।
প্রথমেই জেলা নির্বাচনের পর থানার নাম বাছাই করতে হবে। আর এর সাথে সাথে সেই থানার নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখাবে। তারপর ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটটিতে নিবন্ধন করতে হবে। এবার ইমেইল যাচাইয়ের পালা। এখানে আবেদনকারী যে ইমেইল ঠিকানা দিয়েছিলেন সেখানে এই ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একটি বার্তা পাবেন। সেই বার্তায় প্রবেশ করে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করলে আবেদনকারীকে পুনরায় পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হবে। আর এভাবেই সম্পন্ন হবে ইমেইল যাচাই প্রক্রিয়া। এখন আবেদনকারি নিজের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
আবেদনের প্রথমেই ব্যক্তিগত তথ্যাবলি পূরণ করতে হবে। এরপরের স্ক্রিণে আসবে পাসপোর্ট নতুন না রিনিউ তার স্বীকারক্তির সেকশন প্রিভিয়াস পাসপোর্ট। এখানে Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP) এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আবেদনের কারণ হিসেবে Expired অপশনটি বাছাই করতে হবে। অতঃপর একে একে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের নাম্বার, ইস্যূ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্ট ওপর-নীচ করে খুলে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্ব ভাবে ইংরেজি অক্ষর ও সংখ্যা সম্বলিত নাম্বারটিই পাসপোর্ট নাম্বার।
আর পাসপোর্টের ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে তারিখগুলো। এরপর ঠিকানা, পিতা মাতার তথ্য, স্বামী/স্ত্রীর তথ্য, জরুরি যোগাযোগ, মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্টের ধরণ ও সবশেষে প্রদানের ধরণ সেকশনগুলোতে সঠিকভাবে তথ্য সরবরাহ করে আবেদটি সম্পন্ন করতে হবে। প্রদানের ধরনে ক্যালেন্ডার থেকে সশরীরে আবেদন জমাপূর্বক ছবি তোলা ও ফিঙ্গাপ্রিন্ট দেয়ার তারিখ বাছাই করতে হবে। এখানে সাধারণত কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস দূরত্বে যে কোন তারিখ বাছাইয়ের সুযোগ থাকে।
অতঃপর পূরণকৃত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি প্রদান
ই-পাসপোর্ট রিনিউ ফি অনলাইনে এবং অফলাইন তথা সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে উভয়ভাবেই পরিশোধ করা যায়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের নির্ধারিত করা ব্যাংকগুলো হলো- ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর যে কোনো শাখায় পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি জমা দেওয়া যাবে। এ সময় আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্রটি অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।
আর অনলাইনে ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, কিউ-ক্যাশ, বিকাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এবং সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
পাসপোর্ট রিনিউ ফি-এর তালিকা
ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন ই-পাসপোর্ট করার মতো একই খরচ লাগবে।
→ পাঁচ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট চার হাজার ২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং আট হাজার ৬২৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ পাঁচ বছর মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১২ হাজার ৭৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট আট হাজার ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন কোথায় জমা দিবেন
পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একত্রিত করে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পুরাতন পাসপোর্টের মূল কপি সঙ্গে নিতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনের সময় যে তারিখ ঠিক করা হয়েছিল সেই তারিখে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে কাগজপত্রসহ। ওয়েবসাইটে থানার নাম উল্লেখ করার পর যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখিয়েছিল সেটিই হবে আবেদনকারীর নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস।
অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য নিবেন। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, ছবি তোলার সময় সাদা শার্ট ও চশমা পড়া যাবে না। সব কাজ শেষে অফিস কর্মকর্তা একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে নবায়নকৃত পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
নবায়নকৃত পাসপোর্ট কোথায় সংগ্রহ করবেন?
আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে এসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, পুরাতন এমআরপি ও জাতীয় পরিচয়পত্র। এসময় ই-পাসপোর্ট দেয়ার আগে আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
শেষাংশ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানার কোনো ব্যাপার নেই। তবু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পাসপোর্ট রিনিউ করে নেয়া উচিত। মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৬ থেকে ৭ মাস আগেই এই নবায়নের কাজটি করে ফেলা উত্তম। কারণ দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকলে পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস না থাকলে কোনো এম্বেসি থেকে ভিসা পাওয়া যায় না। পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ভবিষ্যতে মেয়াদোত্তীর্ণ ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন করে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিণ্টের দরকার হবে না।
১ বছর আগে
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম এখন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা যাবে।
বাংলাদেশ সফররত সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আশ্বাস দেন।
রুট-টু-মক্কা সার্ভিস এগ্রিমেন্টের আওতায় বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরবে যাওয়ার আগে তাদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করতে পারবেন বলে সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে সৌদি সরকার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে এই রুট-টু-মক্কা সার্ভিস চুক্তি করতে যাচ্ছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার জন্য সৌদি বাদশাহ, সৌদি যুবরাজ ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বিলম্বিত পরিশোধের সময়সূচীসহ সৌদি জ্বালানি চেয়েছেন
সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। উপমন্ত্রী অভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য সৌদি আরবের আগ্রহের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে মোমেন সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা সফরের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
সৌদির সঙ্গে নিরপত্তা ইস্যুতে ২ চুক্তি সই করবে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
‘সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার,এনডিসি, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,জি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন রিপোটার্স ফোরাম (পিআইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পিআইআরএফ’র সভাপতি দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার আছাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলা আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি দল নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় মহাপরিচালক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সকল সদস্যের সঙ্গে পরিচিত হন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান সিপু, সহসভাপতি রুহুল আমিন তুহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার নেহাল হাসনাইন, দপ্তর সম্পাদক দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার ফজলুর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
মঙ্গলবার দুপুরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অধিদপ্তরের সেবাকে সহজীকরণ করতে আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সহযোগিতায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মাসব্য ও অর্থ) উম্মে সালমা তানজিয়া, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পাসপোর্ট ভিসা ও ইমিগ্রেশন) সেলিনা বানু, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসাইন, এনডিসি, পিএসসি, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), শিহাব উদ্দিন খান, পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন) মো. সাঈদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ‘ভেরি স্পেশাল পার্টনার’: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
সিউলে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপিত
১ বছর আগে
ভারতে ২ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ তরুণী
দীর্ঘ দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন সাত তরুণী। সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন- তুলি বিবি (২৪), রাবেয়া বেগম (২৭), মুন্নি খাতুন (১৭), কোহিনুর বেগম (৩৬), রিতা বেগম (২১), জারা আক্তার (২২) ও চম্পা বেগম (২৭)। এরা খুলনা, মাগুরা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে ফেরত আসা এই সাত বাংলাদেশি তরুণী দুই বছর আগে দেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যান। ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অবৈধভাবে কাজ করার সময় সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। ভারতের আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়। সেখান থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি শেল্টার হোম তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘রিপেট্রিয়েশন’ এর মাধ্যমে তাদের আজ দেশে ফেরত আনা হয়।
ওসি আরও জানান, ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে সাত তরুণীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিত হোসেনের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল চেকপোস্টে ইউএস ডলার উদ্ধার, নারী আটক
বেনাপোলে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
২ বছর আগে
ই-গেট ম্যাজিকে ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা নূরী আক্তার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আসেন। এই বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেটের প্রবেশ পথে প্রথমে পাসপোর্ট ছবি সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করান তিনি। মাত্র ৪-৫ সেকেন্ডের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তার সব তথ্য মিলে যায়। এরপর সামনে থাকা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে তার মুখমন্ডল মিলে যায়। এতে খুলে যায় দ্বিতীয় গেটও। মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় তার।
এরপর স্পেশাল ব্রাঞ্চ ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যক্রমও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে ফ্লাইটে উঠেন তিনি। ই-গেটের ম্যাজিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পেরে আনন্দিত এই যাত্রী।
বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেট ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এ সময় আরও দেখা যায়, বহির্গমন ও আগমনী যাত্রীদের মধ্যে যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেট ব্যবহার করছেন। এতে মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন তারা। যা আগে ৩০ মিনিট কিংবা এরও অধিক সময় লেগে যেত।
এত কম সময়ে ইমিগ্রেশন পার হতে পেলে উচ্ছ্বসিত নূরী আক্তার বলেন, আগে এক বস্তা কাগজ নিয়ে ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করা লাগত। কখনও কখনও ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগে যেত। খুব বিরক্ত লাগত। কিন্তু ই-পাসপোর্ট ও ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করায় এখন মাত্র ১৮ সেকেন্ড লেগেছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।
বাংলাদেশও বিদেশের মতো এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে আরেক যাত্রী জিল্লুর রহমান জানান, ই-গেট স্থাপনের পর তিনি এই প্রথম বিদেশ যাচ্ছেন। তাকে লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তাই খুব ভালো লেগেছে তার।
এ সংক্রান্ত হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে স্থাপিত ই-গেটের সামনে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, ইমিগ্রেশন প্রশাসনের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, ই-গেট মূলত ব্যক্তি ও তার পাসপোর্ট সঠিক কিনা, তা যাচাই করে থাকে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব। ই-গেট সিস্টেম ব্যবহারকারী যাত্রীদের সহায়তা করতে আমাদের লোক রয়েছে। কোন যাত্রী না বুঝলে তাকে সহায়তা করা হয়।
তার দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ছয়টি, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থল বন্দরে একটি করে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তবে চলতি বছরে ২২টি ল্যান্ড চেকপোস্টেও ই-গেট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে জুনেই চালু হচ্ছে ই-গেট
দেখা যায়, বহির্গমন গেটে ১২টি এবং আগমনী গেটে ১২টিসহ মোট ২৪টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। যে সকল যাত্রীদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, কেবল তারাই ই-গেট ব্যবহার করছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারায় তারা খুশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিস্টেমটি নতুন হওয়াতে অনেকেই ই-গেট ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। অনেককে এটির ব্যবহার সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। যখন সবাই এর ব্যবহার সম্পর্কে পুরোপুরি শিখে যাবে, তখন এই সময়সীমা আরও কমিয়ে আনা হবে। তখন এক মিনিটের মধ্যে কয়েকজন যাত্রীর ই-গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই ই-পাসপোর্ট প্রচলিত হয়েছে। এর জন্য বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের অনেকে এখনও ই-গেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন শেষ করতে খুবই আগ্রহী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্টের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো.খালিদ সায়ফুল্লাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তেরর উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
২ বছর আগে