রূপসা
রূপসা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ
খুলনার রূপসা নদীতে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ১ নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে খান জাহান আলী সেতু পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচ হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় কয়রার সুন্দরবন টাইগার্স নামের একটি নৌকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় জয় মা কালী ও মোবাইল নামের নৌকাবাইচের দল।
প্রথম স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার হিসেবে ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
তিনি বলেন, ‘নৌকাবাইচ গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য। উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনাবাসীকে নির্মল বিনোদন উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন।’
আরও পড়ুন: নওগাঁর সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
তিনি বলেন, ‘নৌকাবাইচ হচ্ছে তারুণ্যের উৎসবের অংশ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সবার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে আমরা তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে দেশটাকে সাজাতে, যেখানে সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হবে। একে অপরের কাজে আমরা সহযোগিতা করব। তারুণ্যের শক্তিকে প্রকাশ ঘটিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ করে প্রধান অতিথি বলেন, ‘আপনারা যারা নৌকাবাইচে অংশগ্রহণ করবেন, আপনাদের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজকের এই উৎসবটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।’
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আক্তার জাহান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
৪১ দিন আগে
রূপসায় এতিমদের মাঝে দুম্বার মাংস বিতরণের অভিযোগ
সৌদি আরবের দেওয়া দুম্বার মাংস এতিম ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণে খুলনার রূপসায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কার্যালয়ের (পিআইও) বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা পিআইও সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরের মতো এবারও সরকারিভাবে গত ২৩ জানুয়ারি এতিম ও দুস্থদের জন্য ১৪ কার্টুন দুম্বার মাংস উপজেলায় আসে। প্রতি কার্টনে ১০ টুকরা করে দুম্বার মাংস ছিল।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এসব মাংস এতিম ও দুস্থদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা সঠিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বরাদ্দের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
উপজেলায় শতাধিক মাদরাসা থাকলেও তার মধ্যে মাত্র ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫টি করে দুম্বার মাংস দেওয়া হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান পাওয়ার যোগ্য হলেও তাদের দেওয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তালিকায় উপজেলা মডেল মসজিদের নাম থাকলেও বিষয়টি ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের কেউ জানেই না। মডেল মসজিদের নামে দুম্বার মাংস কাকে দেওয়া হয়েছে বা কে নিয়েছে তা কেউ জানে না।
এ ব্যাপারে মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. ফুহাদ উদ্দিন বলেন, সৌদির দুম্বার মাংসের বিষয় আমাদের কেউ জানায়নি। আর আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে উপজেলা মডেল মসজিদের নাম ব্যবহার করা উচিত হয়নি।
অপরদিকে রূপসার ইলাইপুর দারুস সালাম তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের মোহতামিম হাফেজ মওলানা মো. মারুফ বিল্লাহ বলেন, আমাদের মাদরাসায় ১০ জন এতিম শিশু রয়েছে। তাদের জন্য উপজেলা থেকে পাঁচ টুকরা দুম্বার মাংস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামন্তসেনা দাখিল মাদরাসায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং না থাকলেও তাদের ৫টি দুম্বার মাংস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন খুলনায় স্থায়ী অস্ট্রেলিয়ার চিত্রশিল্পী ম্যালকম কেইথ
এসব মাদরাসা প্রধানসহ কয়েকজন শিক্ষক মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কোনো শিক্ষার্থীকেও মাংস দেওয়া হয়নি বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
মাদরাসার প্রধান মওলানা মো. শফিউদ্দীন নেছারী জানান, এই মুহূর্তে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং না থাকলেও ১ তারিখ থেকে চালু করা হবে। আর দুম্বার মাংস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। পরে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ে বণ্টন করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে পরবর্তী বছরে যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে দেওয়া হবে।
তাছাড়া তালিকায় উপজেলা মডেল মসজিদের নাম থাকলেও তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহানকে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪১৬ দিন আগে
রূপসায় জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
খুলনার রূপসায় আলাইপুর এলাকায় ভিশন এশিয়া জুটমিলে ভয়াবহ আগুন লাগে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো না জানা গেলেও বড় অংকের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
ভিশন এশিয়া জুটমিল খুলনা অঞ্চলের একটি বড় পাটজাত পণ্য প্রক্রিয়া করার কারখানা। এখানে পাট থেকে সুতা ও চটজাত মালামাল উৎপাদন করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে পাট প্রক্রিয়া করার প্রথম শেডে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহাকরী পরিচালক মো. ফারুক শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে খুলনা সদর, রূপসা ও তেরখাদার ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অগ্নিকাণ্ডে ২ জনের মৃত্যু
৫১৪ দিন আগে
রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, নৈহাটি, নিহালপুর, কিসমত খুলনাসহ কয়কটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক চর শ্রীরামপুর বেড়িবাঁধ নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তা ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
চর শ্রীরামপুর বিলে প্রায় ৫২৫ হেক্টর জমি আছে। পাঁচ শতাধিক কৃষক এ সকল জমি আবাদ করে নানারকম ফসল ফলিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করে থাকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
এই বিলের যে জমি, জানা যায় তা অত্যন্ত উর্বর। এ সকল জমিতে বছরে তিনবার ফসল হয়। এ অঞ্চলের কৃষকরা সুখে শান্তিতে জমিগুলো আবাদ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল ও ধান চাষাবাদ করে হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছিল।
কিন্তু তিন বছর আগে রূপসা নদীর ভাঙনে শ্রীরামপুর পালপাড়া থেকে ইদ্রিস জমাদ্দারের ইটের ভাটা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে পড়ে, ফলে ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও কিছু জটিলতার কারণে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রীরামপুর চরে জমি আছে এমন উপজেলার কৃষক এএইচএম কামাল বলেন, প্রজন্ম ধরে আমরা এই জমি চাষ করে আসছি। এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাকি ফসল রপ্তানি করা হয়। তিন বছর আগে শুরু হওয়া নদী ভাঙনের কারণে আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানি ফসলি জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করতে পারে বলে আমরা সব সময় আশঙ্কা করি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকার কৃষকদের বাঁচানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল বলেন, এই এলাকার কৃষকদের জীবনে এই বাঁধের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফসল জমি ধ্বংস হবে এবং খাদ্যের অভাব হবে। তাই এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
৫৬১ দিন আগে
খুলনার রূপসায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খুলনা রূপসার ইলাইপুর মোমিনবাগ এলাকায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মো. হোসেন আলী (৬) রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের ইলাইপুর মোমিনবাগ এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হোসেন আলী বাইরে ঘুরতে গিয়ে পাশ্ববর্তী এক পুকুর পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, শিশুটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় পুকুরের পিচ্ছিল সিঁড়িতে পা পিছলে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৫৭৬ দিন আগে
খুলনায় মালবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ১
খুলনার রূপসায় ট্রাকচাপায় এক মুদি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ আগস্ট) রাত সোয়া ১০টার উপজেলার আলাইপুর বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অশোক রায় (৫৫) পিঠাভোগ গ্রামের মৃত বনমালী রায় এর ছেলে।
এদিকে, অভিযুক্ত ট্রাকটি জব্দ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন জানায়, একটি মালবাহী ট্রাক আলাইপুর থেকে ব্রিজের উপর উঠতে থাকে। এ সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রনণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে পিছনের দিকে চলে এসে একটি ফলের দোকান ও একটি মুদি দোকানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি দেখে ফল ব্যবসায়ী স্বপন পাল দৌঁড়ে সরে গেলেও মুদি দোকানি অশোক ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। এ সময় পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় অশোক রায়কে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জব্দ করা ট্রাকটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫১১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩
৫৮৯ দিন আগে
রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
খুলনার রূপসায় নদীর চরে বড় আকৃতির একটি কুমির দেখতে পেয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার উপজেলাধীন চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কুমিরটি দেখতে পায় এলাকাবাসীরা।
এই প্রথম রূপসা নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চররূপসার মাছ কোম্পানি এলাকায় কম্পিউটার দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম প্রথমে কুমিরটি দেখতে পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কুমিরের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিরের ছবিটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গেলেন যুবক
কুমিরটি দেখার জন্য স্থানীয়রা ও দূর-দূরান্তের মানুষ এসে ভীড় জমাতে থাকে।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম কুমিরটি দেখতে আসেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের সতর্ক করার জন্য বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে সঙ্গে নিয়ে চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রূপসা নদীর পাড়ে গিয়ে কুমিরের দেখা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, উৎসুক জনতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে।
বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি রূপসা নদীর পাড়ে অবস্থিত। জোয়ারের সময় বারান্দা পর্যন্ত পানি হয়। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুবই ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে নদীর পাড়ে চর এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়ায় শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এতে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর যদি শিগগিরই না দেয়া হয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও হ্রাস পেতে পারে।
চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন বলেন, সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নদীর চরে কুমিরটি দেখতে পাওয়া যায়। অল্প সময় কুমিরটি চরে ছিলো। এরপর নদীতে চলে যায়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা কুমিরটি দেখতে আসেন। তারা শিক্ষার্থীসহ উৎসুক জনতাকে সতর্ক থাকতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, কুমির আতঙ্কে বিদ্যালয়ের ক্লপ শিকল গেট আটকিয়ে শ্রেণিতে পাঠদান দেয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির
করমজল পর্যটন কেন্দ্র: প্রজনন হচ্ছে লবণ পানির কুমির ও ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ
৮৬৩ দিন আগে
রূপসায় ইটবাহী ট্রলির ধাক্কায় কলেজের অধ্যক্ষ নিহত
খুলনার রূপসায় ইটবাহী ট্রলির ধাক্কায় স্থানীয় চাঁদপুর কলেজের মো. রফিকুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার আলাইপুর সেতুর বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রলিচালককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ইয়াজুল মল্লিক একই জেলার মহিষাগুনি উপজেলার আজগর মল্লিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: ট্রাক ও মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত ২, আহত ১০
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১২ টার দিকে নিহত রফিকুল ইসলাম বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। দুপুর ১২ টার দিকে তিনি আলাইপুর ব্রিজ সংলগ্ন ওয়াপদার মোড়ে পৌঁছালে পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী ইটবোঝাই একটি ট্রলি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা ঘাতক ট্রলি ও চালককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে কাভার্ডভ্যান চাপায় কলেজছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
৮৯৮ দিন আগে
খুলনায় কিশোরীর লাশ উদ্ধার
খুলনার রূপসা উপজেলায় এক কিশোরীর লাশ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে গোয়ালবাড়ির চর গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মীম (১৪) গোয়ালবাড়ী চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মন্টু ফকিরের মেয়ে। সে পিঠাভোগ বিজিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন জানান, শনিবার সকালে মীম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সোমবার রাতে স্থানীয়রা জঙ্গলে মেয়েটির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি বলেন, ‘মেয়েটির মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা হোসেন নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছি।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রকৌশলীর বাসা থেকে গৃহপরিচারিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১০০২ দিন আগে
খুলনায় ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
খুলনার রূপসা উপজেলায় কয়লাবোঝাই ট্রাকের চাপায় এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত খন্দকার ফিরোজ আহমেদ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের খন্দকার মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি রূপসা উপজেলায় আরআরএফ নামে একটি এনজিও এর বিজনেস ডেভলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসে তিনি রূপসা শাখায় যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক রহমান জানান, অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফিরোজ আলাইপুর ছোট ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কয়লাবোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাক ও এর সহকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসআই।
১০৫৪ দিন আগে