চিন
বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষতার নীতিতেই চলবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ বহুদিন ধরেই জোট নিরপেক্ষতার বৈদেশিক নীতি বজায় রেখেছে এবং এই নীতিতেই ভবিষ্যতের করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করবো। তবে যেকোনও দেশই তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে।’
আরও পড়ুন: ‘কোয়াডে’ বাংলাদেশ যোগ দিলে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক খারাপ হবে
চিন বিরোধী জোট ‘কোয়াড’-এ যোগদান প্রসঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের সোমবারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি একথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চিনা রাষ্ট্রদূত নিজ দেশের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তারা যা চায়, তা বলতেই পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোয়াডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সাথে কোনও যোগাযোগ হয়নি। চিনা রাষ্ট্রদূত একটু আগ বাড়িয়ে কথা বলেছেন।’
মন্ত্রী জানান, অতীতে বহু দেশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলেছে, কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের নীতি অনুসরণ করেই চলেছে। ভবিষ্যতে দেশের জন্য মঙ্গলময় হয় এমন সিদ্ধান্তই নেবে বাংলাদেশ এবং এক্ষেত্রে চলমান বৈদেশিক নীতি মেনে চলা হবে।
চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সোমবার কোয়াড প্রসঙ্গে বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যোগদান দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘যথেষ্ট খারাপ’ হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোয়াড একটি ‘সংকীর্ণ উদ্দেশ্যমূলক’ ভূ-রাজনৈতিক চক্র এবং বাংলাদেশের এতে যোগদান করা উচিত নয়, কারণ এই উদ্যোগ থেকে কোনও লাভ হবে না।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এই জোট গঠিত হয়।
লি জিমিং বলেন, ‘ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে যে এই ধরনের অংশীদারিত্ব অবশ্যই আমাদের প্রতিবেশীদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং জনগণের মঙ্গলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
৩ বছর আগে
পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে চীনের রকেটের অধিকাংশ পুড়ে যায়
চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, রবিবার মধ্য রাতের দিকে পৃথিবীতে প্রবেশের সময়েই চীনের সবচেয়ে বড় রকেটটির ধ্বংসাবশেষের অধিকাংশই পুড়ে যায়। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরে এসে পড়ে।
রকেটের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে সক্ষম হওয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক জনাথন ম্যাকডোয়েল টুইটারে বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে রকেটের ধ্বংসাবশেষ সাগরে এসে পড়াটা ভাল দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা যেতে পারে চীন তাদের চেষ্টায় সফল....কিন্তু এটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেপরোয়া কাজ।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, শনিবার (৮ মে) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২৪ মিনিটে রকেটটির পুনরায় পৃথিবীতে প্রবেশ করে। তবে পুনরায় প্রবেশ করার আগেই এর অধিকাংশ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশে চীনের প্রথম প্রাইভেট রকেট পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ
কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কর্মকর্তা বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, এটা পরিষ্কার যে চীন তাদের রকেটের ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে।
সাধারণত রকেটের ধ্বংসাবশেষ মহাশূন্যে ভ্রমণ না করে পৃথিবীতে চলে আসে এবং জলভাগে এসে পড়ে। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা লং মার্চ ৫বি রকেটটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
৩ বছর আগে
ঢাকার বায়ু এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
এয়ার কোয়ালিটি সূচকে সোমবার সকালে বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর হিসাবে ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে এই শহরের একিউআই স্কোর ছিল ১৮০।
৩ বছর আগে