হুয়াওয়ে
আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৪ সালে নেট ৫.৫জি সল্যুশন্স চালু করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশননির্ভর ৫.৫জি যুগে টেলিকম ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ের এই পরিকল্পনাটি সাহায্য করবে।
একটি পরিপূর্ণ নেট ৫.৫জি সল্যুশনস ১০ জিবিপিএস সংযোগ, অ্যাডাপ্টেবল আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করে। এর ফলে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি ত্বরান্বিত হবে। হোম ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ব্রডব্যান্ডকে ১০ জিবিপিএসে আপগ্রেড করার পাশাপাশি আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কটি একটি ৪০০জিই কনভার্জড মেট্রো নেটওয়ার্ক এবং ব্যাকবোন নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের ডেটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট লিওন ওয়াং বলেন, “৫.৫জি এর যুগে ‘গ্লাস-ফ্রি থ্রিডি, হাউজ ওয়াইড ইন্টেলিজেন্স, আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও কনফারেন্সিং এবং কম্পিউটিং সার্ভিসেস’- এর মতো নতুন আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। এর ফলে হোম ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ব্রডব্যান্ড, এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস এবং এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লাইনে ১০ জিবিপিএস গতি প্রয়োজন হবে। বিনিময়ে, এটি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়ের সুযোগ তৈরি করবে। সর্বব্যাপী ১০ জিবিপিএস এর সংযোগ, ইলাস্টিক আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড পরিবহন এবং স্বায়ত্তশাসিত নেটওয়ার্ক সেল্ফ-অপ্টিমাইজেশনে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নেট ৫.৫জি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দিবে।”
প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক স্লাইসিং’ এর মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কগুলোকে আপগ্রেড করতে পারবে এবং নতুন-নতুন সেবা দিতে পারবে যেগুলোর ক্ষেত্রে ১০ জিবিপিএস-এর থেকেও বেশি গতি দরকার হয়। সপ্তম প্রজন্মের ওয়াই-ফাই ৭ হাই-ডেনসিটি সুবিধা, দারুণ ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং ক্লাউডভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মতো নতুন নতুন সক্ষমতা ব্যবহার করে সরবরাহকারীরা প্রাইভেট লাইনের শীর্ষে পৌঁছে ‘এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক’ যুক্ত করতে সক্ষম হবে। ফলে, তারা ওয়ান-স্টপ পরিষেবা সরবরাহ করতে পারবে যাতে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের উচ্চ-মানের ১০ জিবিপিএস ওয়্যারলেস সংযোগ, ভিডিও পরিষেবা এবং ওঅ্যান্ডএম পরিষেবার অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
১ বছর আগে
চুয়েটে আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে হুয়াওয়ে
শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান লাভের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগিরই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এর ৬ষ্ঠ আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে।
এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চুয়েট ক্যাম্পাসে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এর দক্ষিণ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ঝাং চেং (জাস্টিন), দক্ষিণ এশিয়া জনসংযোগ বিভাগের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার নাজিয়া সামান্থা ইসলাম এবং চুয়েট থেকে এর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ও প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য অনুষদ সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে চুয়েটের অনুষদ সদস্যদের সার্টিফাইড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই আইসিটি অ্যাকাডেমির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
পরবর্তীতে, এই অনুষদ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে একটি আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে সঠিক দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বুধবার ‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া আমি আশা করি যে, এই অ্যাকাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ঝাং চেং (জাস্টিন) বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত এবং এই কারণে আমরা তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই যেন তারা ভবিষ্যতের বিশ্বে উন্নতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য যথাযথ আইসিটি দক্ষতা সম্পূর্ণ জনবল এবং একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এই আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হুয়াওয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমরা চুয়েটে আমাদের ৬ষ্ঠ অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি অ্যাকাডেমি চালু করে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫০০ আইসিটি অ্যাকাডেমির কার্যক্রম চলছে।
এ উদ্যোগের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত।
এছাড়াও, বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
১ বছর আগে
হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় হুয়াওয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি নতুনভাবে তৈরি অত্যাধুনিক হুয়াওয়ে কাস্টমার সল্যুশন ইনোভেশন সেন্টারের (সিএসআইসি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সিরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে ইন্টিগ্রা টাওয়ারে অবস্থিত সিএসআইসি’তে হুয়াওয়ের ১২০টিরও বেশি রেফারেন্স অ্যাপ্লিকেশন ও সেবা পাওয়া যাবে এখানে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ইউয়ান।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সমাধানসমৃদ্ধ এই হুয়াওয়ে সিএসআইসি মালয়েশিয়াকে আসিয়ান অঞ্চলের ডিজিটাল কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠতেও সহায়তা করবে। মালয়েশিয়ায় এই শিল্পখাতের উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) হাব ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে হুয়াওয়ে’র সিএসআইসি ডিজাইন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিকের তরুণদের বিকাশে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিএসআইসি দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার অঙ্গীকারের প্রমাণ। তিনি বলেন, “২০ বছর থেকে মালয়েশিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করা এবং উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের বিকাশ শক্তিশালী করতে অবদান রাখার জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ।’
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার সিইও ইউয়ান জানান, মালয়েশিয়ায় আইসিটি খাতের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ও স্থানীয় সহযোগীদের ব্যবসায়িক সফলতা আনতে হুয়াওয়ে নিজের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে ছড়িয়ে দিবে সিএসআইসি’র মাধ্যমে।
বাংলাদেশে হুয়াওয়ে সিএসআইসি চালু করে গত ২০১৬ সালে। তখন থেকেই বিশ্বের সেরা প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও চর্চার আদান-প্রদান এবং ব্যবসায়িক সল্যুশনে নতুনত্ব আনার মাধ্যমে আইসিটির ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
২ বছর আগে
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ হুয়াওয়ে’র
আগামী দশকের প্রবণতাগুলো সম্পর্কে জানতে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে। শিল্পখাতের অংশীদারদের অংশগ্রহণে চীনের শেনজেনে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
পরবর্তী দশকের ইনটেলিজেন্ট বিশ্ব ও শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট পূর্বাভাস জানাতে হুয়াওয়ে এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য প্রথমবারের মতো কোয়ান্টেটিভ ও কোয়ালিটেটিভ মেথড ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
গত তিন বছরে হুয়াওয়ে এক হাজারেরও বেশি একাডেমিক, ক্রেতা ও শিল্পখাতের অংশীদারদের সাথে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করেছে। এরই অংশ হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি কর্মশালা আয়োজন করেছে এবং জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর তথ্য ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে।
এছাড়াও এ প্রতিবেদন তৈরির জন্য হুয়াওয়ে নেচার ও আইইইই এর মতো বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছে এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কনসাল্টিং ফার্মসহ হুয়াওয়ের নিজস্ব ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিয়েছে। এমন সামগ্রিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে হুয়াওয়ে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যা পরবর্তী দশকের আইসিটি প্রযুক্তি ও এর ব্যবহারিক প্রবণতাগুলো সম্পর্কে অগ্রিম বার্তা দিবে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিবেদনে ম্যাক্রো স্তরে অনুসন্ধানের জন্য আটটি ক্রস-ডিসিপ্লিনারি ও ক্রস-ডোমেন নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আইসিটি প্রযুক্তি কীভাবে মানুষের উন্নয়নের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটি কীভাবে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে শিল্প পর্যায়ে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, কম্পিউটিং, ডিজিটাল পাওয়ার ও ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিভ সল্যুশন এ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশনের নির্বাহী পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়্যাং বলেন, ‘৩০ বছর আগে আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে জীবনকে সমৃদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ১০ বছর আগে একটি উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তকে কানেক্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য হলো একটি সম্পূর্ণ সংযুক্ত ইনটেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, ঘর ও প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস, খুব দ্রুতই আমরা একটি ইনটেলিজেন্ট বিশ্বে বাস করবো।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ফিউচারিস্ট স্টিভেন জনসন, ওয়ার্ল্ড ইলেকট্রিক ভেহিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ফাউন্ডিং ও রোটেটিং চেয়ারম্যান চেন কিংকুয়ান, রোল্যান্ড বার্গ গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-প্রসিডেন্ট ডেনিস ডেপক্স ও চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (সিএআইসিটি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং ঝিকিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড ২০৩০ ফোরামের মাধ্যমে হুয়াওয়ে প্রথমবারের মত পরবর্তী দশক সম্পর্কে তাদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি ও ট্রিপল ক্যামেরার বাজেট ফোন এ১৬
৩ বছর আগে
২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার হবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি
হুয়াওয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) বাজার দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ বিষয়টির ওপর আবারও জোর দিলেন হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার বিজনেস গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা বব কাই।
তিনি বৃহস্পতিবার চীন থেকে অনলাইনে আয়োজিত হুয়াওয়ের বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট ২০২১ -এ ‘ফাইভজি + এআর, টার্নিং ড্রিমস ইনটু রিয়েলিটি’ শীর্ষক মূল বক্তব্যের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
তিনি বলেন, ‘ফাইভজি এআর চালু করবে এবং এআর ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। শিক্ষা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, কেনাকাটা, ভ্রমণ ও নেভিগেশন এবং গেমিং-এই পাঁচটি শিল্পখাত প্রথমেই এআর প্রযুক্তিকে বিস্তৃতভাবে গ্রহণ করবে। জড়জগৎ আর ডিজিটাল জগতকে একসাথে করার মাধ্যমে আমাদের কল্পনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবে এআর।’
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
সামিটে শেনঝেন কমিউনিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যুরো’র পরিচালক হে চেংজিয়ান, স্ট্রাটেজি অ্যানালিটিক্স’র নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ম্যাকক্যুইন, শেনঝেন টিভি স্টেশনের প্রধান নির্মাতা হুয়াং হে, রিয়েলম্যাক্স’র সিইও ওয়েই রঙ্গজি, মিলিপ সিইও হিরোশি ফুকুদা, এইচএডিও চীন রিজিওন’র প্রতিনিধি লিয়াং জিনহাও এবং শেনজেন এআর অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক ফু জি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
তারা এআর-এর সাম্প্রতিক ব্যবহার এবং এআর প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা সবার সামনে তুলে ধরেন।
৩ বছর আগে
থাইল্যান্ডে ‘প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলো হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (থাইল্যান্ড) কো.লিমিটেডকে বিশেষ প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করার পাশাপাশি ‘ডিজিটাল ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে