মোদি
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন-মোদির আলোচনা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই নেতা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ফোনালাপে মোদী ও বাইডেন ইউক্রেন ও কোয়াড ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
তারা ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিস্তারিত মতবিনিময় করেন।
মোদি বলেন, 'আমি শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
২ মাস আগে
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: মোদির সঙ্গে ফোনালাপে ইউনূস
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর 'অতিরঞ্জিত' করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংখ্যালঘু সুরক্ষার বিষয় নিয়ে সরেজমিনে রিপোর্ট করার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানান।
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছেন, তার সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন আলাপে সংখ্যালঘুদের রক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই টেলিফোনে কথোপকথন এবং এক্স-এ পোস্ট করা বার্তার জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি ভারতীয় নেতা ও ভারতীয় জনগণকে অভিনন্দন জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানান এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে মোদি বলেন, তিনি তাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং সারাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ১৭ আগস্ট নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দিতে ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের ফলে তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশের 'দ্বিতীয় বিপ্লব' এবং তার সরকার ছাত্র-জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মোদিকে ইউনূসের ফোন, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস
রবিবার কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৩ মাস আগে
মোদিকে ইউনূসের ফোন, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস
বাংলাদেশের হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আশ্বস্ত করেছেন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থনীতি পুনর্গঠনে পোশাক শিল্পকে এগিয়ে আসার আহ্বান ড. ইউনূসের
মোদি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন।
মোদি বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রবিবার কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
দুই নেতা নিজ নিজ জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এ তথ্য শেয়ার করে মোদি বলেন, তারা বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় ড. ইউনূসকে মোদির অভিনন্দন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি এই অভিন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র
তার ভ্যারিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে শেয়ার করা একটি বার্তায় মোদি বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. ইউনূস
৩ মাস আগে
তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: 'ভারতে স্বাগতম': দিল্লিজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মোদির ব্যানার
শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস এবং সেশেলসের শীর্ষ নেতাদেরও মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
৮ হাজারেরও বেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে।
পরে নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেবেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নয়াদিল্লিতে কঠোর ও বহুস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
৫ মাস আগে
মোদির শপথ গ্রহণ: প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের অভ্যর্থনা
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার দুপুরে দেশটির রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নয়া দিল্লিতে পৌঁছানোর পর প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় ভারত।
শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমাদের অন্যতম মূল্যবান অংশীদারের এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: লায়ন্স ক্লাব কনভেনশনে ত্রাণ কাজে যথার্থ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনু্ষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারত। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি ও ‘সাগর’ রূপকল্প বাস্তবায়নে এটি করা হচ্ছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর পর রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তার মন্ত্রিপরিষদের শপথ নেওয়ার কথা।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতের প্রতিবেশী ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের 'বিশিষ্ট অতিথি' হিসেবে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজু, সিশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল 'প্রচণ্ড' এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি একই সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেবেন নেতারা।
সোমবার তিনি দেশের উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন এবং রাত ৮টায় তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়
৫ মাস আগে
মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার (৭ জুন) নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৯ জুন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট ২৯৩টি আসনে জয়ী হওয়ায় আগামী ৮ জুন রাত ৮টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন মোদি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয় পাওয়ায় মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বিদেশি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, যারা মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে মোদি শেখ হাসিনাকে তার সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান এবং সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচনে জয়লাভের পর উষ্ণ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম বিদেশি নেতা যিনি মোদিকে অভিনন্দন জানান, যা দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ ও ব্যক্তিগত সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন মোদি, ভারতে নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষা
৫ মাস আগে
পদত্যাগ করলেন মোদি, ভারতে নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষা
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (৫ জুন) মোদি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
এসময় নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
দেশের পরবর্তী সরকার গঠনের আগে যে নিয়ম অনুসরণ করা হয়, মোদির পদত্যাগ তারই অংশ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন বুধবার সকালে তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোদির এনডিএ জোটকে ঢাকার অভিনন্দন, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
৫ মাস আগে
মোদির এনডিএ জোটকে ঢাকার অভিনন্দন, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী
ভারতের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিজয়ী জোট এনডিএ-কে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য ভারতের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়াকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (৫ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা এনডিএ, ইন্ডিয়া জোট ও ভারতের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। এটি গণতন্ত্রের অনুপ্রেরণা ও উদাহরণ।’
ভারতের নির্বাচন কমিশন ৫৪৩টি লোকসভার আসনের মধ্যে ৫৪২টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে বিজেপি ২৪০টি আসন এবং কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে শিগগিরই একটি নতুন সরকার গঠিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক গভীর সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মনে হচ্ছে শান্তিরক্ষীদের অবদান খাটো করতে ইচ্ছা করে তৈরি করা হয়েছে: ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এটা ভারতীয় জনগণের পছন্দ। একই জোট ক্ষমতায় থাকবে। আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং রক্ত ও পারস্পরিক ত্যাগের বন্ধনে আবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দলগুলো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, যা বাংলাদেশে দেখা যায় না।
পানি বণ্টন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করে এবং তারা অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
হাছান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশেষ সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারো তুলনা হয় না।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে যোগ দিতে ঢাকার আগ্রহ: সমর্থনের আশ্বাস বেইজিংয়ের
৫ মাস আগে
নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল (ইউএনবি)-‘অনুপ্রবেশকারী’ বলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল। দেশটিতে সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর একটি নির্বাচনি সমাবেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে রবিবারের সমাবেশে মোদি বলেন, কংগ্রেস পার্টি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রাধিকার রয়েছে। যদি তারা ক্ষমতায় ফিরে আসে তবে দলটি ‘আপনার সমস্ত সম্পদ একত্রিত করবে এবং যাদের আরও সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে বিতরণ করবে।’ মোদির এ কথার শোনার পর জনতা হাততালি উল্লাস প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে এটি বিতরণ করবে। আপনি কি মনে করেন আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘অত্যন্ত অত্যন্ত আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন। দলটি সোমবার ভারতের নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকা কমিশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলে।
মোদির এই মন্তব্যে মুসলিমবিরোধী প্রচারণা চালানো এবং নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও প্রার্থীদের ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এমন কোনো কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান নিষিদ্ধ।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে ভোটারদের সুরক্ষিত রাখতে ‘জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক অনুভূতিতে আঘাত করা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মুসলিম আইনপ্রণেতা ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন পার্টির সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইদি রবিবার বলেন, 'মোদি আজ মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী বলার পাশাপাশি বলেছেন, মুসলিমদের অনেক সন্তান থাকে। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদীর একমাত্র অঙ্গীকার হলো মুসলিমদের হেনস্থা করা ও এভাবেই ভোট আদায় করা।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদির দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবং ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের বৈচিত্র্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, মোদির বিজেপি ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা লালন করে এবং কখনো কখনো সহিংস হয়ে উঠছে। তবে মোদির দলটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের নীতির কারণে সমস্ত ভারতীয়রা উপকৃত হয়।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মোদির আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত গরুর মাংস খাওয়া বা গরু পাচারের অভিযোগে উগ্রহিন্দুরা অসংখ্য মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মুসলমানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জন করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং উপাসনালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের গণহত্যার জন্য কিছু প্রকাশ্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
২০০৬ সালে কংগ্রেসের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটি বিবৃতির ভিত্তিতে মোদি এই মন্তব্য করেছিলেন। সিং বলেন, ভারতের নিম্নবর্ণ, উপজাতি, নারী ও ‘বিশেষত মুসলিম সংখ্যালঘুদের’ সমানভাবে দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সিং বলেন, ‘সম্পদের ওপর তাদের প্রথম দাবি থাকতে হবে।’ একদিন পরেই তার দপ্তর থেকে বিষয় স্পষ্ট করে জানানো হয়, মনমোহন সব পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর কথা বলছেন।
বেশিরভাগ জরিপে দেখা গেছে, মোদি ও তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত ফলাফল বের হবে ৪ জুন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদীর মন্তব্যকে 'বিদ্বেষমূলক ভাষণ' বলে বর্ণনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ খাড়গে লেখেন, ‘ভারতের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার পদের মর্যাদার এতটা নীচে নামিয়ে আনেননি যতটা মোদী করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনের কাছে করা আবেদনে দলটি বলেছে, মোদী ও বিজেপি নির্বাচনি প্রচারে বারবার ধর্ম, ধর্মীয় প্রতীক ও ধর্মানুভূতির ব্যবহার করেছে। নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করেছে।
কমিশনের আচরণবিধি নিজে থেকে আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি নোটিশ জারি করতে পারে এবং লঙ্ঘনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রচারকারীদের স্থগিত করতে পারে।
কমিশনের এক মুখপাত্র সোমবার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করছি।’
মোদি তার ভাষণে একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী মিথের কথাও উল্লেখ করেন, মুসলমানরা বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু ও মুসলমানদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বা ২০ কোটি।
সরকারি তথ্য দেখা যায়, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মুসলমানদের মধ্যে প্রজনন হার ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ১৯৯২-৯৩ সালে ৪.৪ থেকে ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ২.৩-এ দাঁড়িয়েছে। একই সময় হিন্দুদের ১.৯৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি।
মোদির বিজেপি এর আগে মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং তাদের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এসব বিষয়ে মোদির সুস্পষ্ট নীরবতা তার চরমপন্থী সমর্থকদের সাহস জুগিয়েছে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দিতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
৬ মাস আগে