সিইসি
কারসাজির চিন্তা বাদ দিয়ে মানতে হবে নিবার্চনী আচরণবিধি: সিইসি
কারসাজির চিন্তা বাদ দিয়ে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে দলগুলোর থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন সিইসি।
ভোটে কারসাজি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, কেউ এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন না; কেউ এ ধরনের চেষ্টা করবেন না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের পাশে আছি।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আমরা সব সময় ভুলে যাই, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে, ভোট সন্ত্রাস করে আপাত দৃষ্টিতে জেতা যায়। কিন্তু আখেরে নিজের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে, আখেরে টেকা যায় না।’
আরও পড়ুন: এমন জোয়ার সৃষ্টি হবে, যেখানে ভোট ছাড়া কোনো চিন্তা থাকবে না: সিইসি
এ ছাড়াও, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচনী আইনবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পক্ষে মত দেন নাসির উদ্দিন। এতে আইনকানুন মানায় চাপ তৈরি হবে না বলে মনে করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘লিখিতভাবে যদি এরকম একটা ঐকমত্য নেওয়া হয় আচরণবিধি মানার জন্য, এতে একটা দলীয় চাপ থাকবে। তাহলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি।‘
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সব দলের মধ্যেই ঐকমত্য রয়েছে। এক সময় দেশের স্বার্থে তারা একমত হবে বলে আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, এ দেশের মানুষ এখন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। যদি কোনো কারণে এটা বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে জুলাইয়ের আন্দেলনে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। সেটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
এতদিন দেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলো উল্লেখ করে তিনি জনগণের সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কারণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
একটা সুস্থ সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একমাত্র এজেন্ডা বলে অভিমত দেন সিইসি। এরপরে সিইসি উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার ওয়াদা নেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ সকল পর্যায়ে কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৬ দিন আগে
এমন জোয়ার সৃষ্টি হবে, যেখানে ভোট ছাড়া কোনো চিন্তা থাকবে না: সিইসি
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, ‘তারা আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না, তবে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’
‘ভোটারতালিকা তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অনেকগুলো আবেদন ঝুলে আছে, আইনি জটিলতার কারণে তারা নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। ৫০-এর বেশি আসন নিয়ে ৩৫০ বেশি আবেদন ঝুলে আছে। এই আইন সংশোধন করার জন্য তারা এরইমধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আরও কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে যতটুকু সংস্কার দরকার, তার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, যা সংস্কার দরকার, তার প্রস্তাব আমরা সরকারের কাছে দেব।’
বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা মনে করছেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। থিংক দিজ থিং উইল সেটল ডাউন বা দিজ টাইম। সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
৫২ দিন আগে
যেকোনো মূল্যে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সুযোগের অভাবে মানুষ ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমরা তাদের দুঃখ দূর করার লক্ষ্য নিয়েছি।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটের অধিকার তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনাররা তথ্য সংগ্রহকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। কারণ, সর্বশেষ হালনাগাদ কর্মসূচিতে নারী ভোটারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কম ছিল।
একই সঙ্গে দুই জায়গায় ভোট দেওয়া ভোটারদের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন তারা।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং যোগ্য ভোটারদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ অভিযানের সময় গণনাকারীরা ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি ও তার আগে জন্মগ্রহণকারী যোগ্য ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
এছাড়া ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ভোটারদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ এবং তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়োর জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করবেন গণনাকারীরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের ওপর ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫৫ হাজার ১৬ জন গণনাকারী এবং ১১ হাজার ৮০১ জন সুপারভাইজার রয়েছেন।
২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি। দাবি ও আপত্তি পুনর্বিবেচনার পর কমিশন ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও গণনাকারীদের জন্য সম্প্রতি ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিন্তু ভোটার তালিকার বাইরে রয়েছেন তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, অতীতে ভোটার হয়েছেন কিনা তা নিশ্চয়তা, সম্ভাব্য ভোটারদের নামের বানান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই লিখে রাখা এবং রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদের তথ্য যাতে কোনোভাবেই সংগ্রহ করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
বিদ্যমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী (২ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত) দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার জন।
আরও পড়ুন: সন্দেহ দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে: সিইসি
৮৭ দিন আগে
সন্দেহ দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সব সন্দেহ দূর করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
তিনি বলেন, 'সংশয় দূর করার জন্য আমরা এটা (ভোটার তালিকা হালনাগাদ) করছি। আমরা মাঠে অনেক মানুষকে সম্পৃক্ত করছি।’
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই আশাবাদী, সব সংশয় দূর হবে, ইনশাল্লাহ।’
সোমবার থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কিছু উপকরণ সহায়তা দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার ও ৪ হাজার ৩০০ ব্যাগ সিইসির কাছে হস্তান্তর করেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, তারা ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং প্রায় ৬৫ হাজার লোক এই বিশাল কর্মসূচিতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
তিনি বলেন, 'এই ছয় মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হবে।’
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সেজন্য কমিশন যাতে দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৬৫ হাজার লোক কাজ করবে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তারা রাজনৈতিক বক্তব্য (বিতর্ক) করেন না এবং আইন, বিধি ও বিধিবিধানের মধ্যে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
সরকার ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে কমিশন কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার সঙ্গে তাদের প্রস্তুতি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’
ইউএনডিপির সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইসি ইউএনডিপির সহায়তা চাইবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, তারা আমাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
৮৮ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারক নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি। যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে দিয়ে হবে। এবার নির্বাচনে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
৯৬ দিন আগে
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের লক্ষ্য: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর রীতি থেকে বের হয়ে এসে সত্যিকার অর্থে গ্রহণযোগ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সংকল্পবদ্ধ যে, আমরা আগের দুই-তিনটি নির্বাচন কমিশনের মতো নই। আমাদের লক্ষ্য জাতিকে একটি সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।’
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় এখনো নির্ধারণ করা না হলেও সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ১৬ ডিসেম্বরের ভাষণের ইঙ্গিতের ভিত্তিতে কমিশন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বর্তমান অগ্রাধিকার হলো জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি ‘
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আ. লীগ: সিইসি
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মৃত ব্যক্তি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে কমিশন।
সিইসি ভোটার তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে তরুণদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরও প্রস্তুতি সংস্কার কমিশনের অনুসন্ধান এবং সুপারিশের উপর নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ এ অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০৭ দিন আগে
নিষিদ্ধ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে আ. লীগ: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকার বা বিচার বিভাগ নিষিদ্ধ না করলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলে এবং বাইরের কোনো চাপ নেই। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা বদ্ধপরিকর।’
অতীতের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বিগত নির্বাচনগুলোতে ভুয়া ভোটারদের বিষয়টি স্বীকার করেন সিইসি। ভোটার নিবন্ধন কমে যাওয়াকে ভোটদান প্রক্রিয়ার প্রতি অনাস্থাকে দায়ী করেন এবং এসব উদ্বেগ নিরসনে শিগগিরই ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এবার আগের মতো নির্বাচন হবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে নির্বাচনি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
বৈঠকে সিইসি ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এ প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।
বিভিন্ন পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং ভোটারদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
১০৮ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কমিশন পুরোপুরি প্রস্তুত: সিইসি
জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়ার আশ্বাস সিইসির
এ বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য যেসব প্রস্তুতির দরকার তার সবই আমাদের রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময় ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে করা প্রশ্ন তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন (ইঙ্গিত) দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল- তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি। এই মুহূর্তে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা আমাদের নেই।’
সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রশ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়ে থাকে, আমরা অবশ্যই সেটি দেখব। ২০০১ সালের সীমানায় হবে না, বর্তমানেরটার ভিত্তিতে হবে- বিষয়টি তা নয়, আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে এটি করব।’
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নির্বাচন হবে নাকি নতুন ভোটার তালিকা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে আমাদের হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করব। অনেকে মারা গেছেন, অনেকে বাদ পড়েছেন, অনেক বিদেশিরা ভোটার হয়েছেন, ভোটারের ডুপ্লিকেশন হয়েছে- এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা ওই তালিকা সংশোধন করব। সংশোধিত তালিকার আলোকেই ভোট হবে।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটি সময়সীমা তো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোব। আমরা পাবলিকলি কোনো রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা করছি না। তবে কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা তো থাকবেই।’
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ কমিশনার
১২১ দিন আগে
ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটদানের রেকর্ড হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটি ২০ লাখ ভোটার। এত মানুষের ভোটদানের বিষয়টি উল্লেখ করে এই নির্বাচনকে ‘বিস্ময়কর ঘটনা’ বলে আখ্যায়িত করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার।
ভোট গণনার একদিন আগে সোমবার (৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন।
এ সময় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভোটারদের ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ (দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা) জানান তিনি।
সিইসি বলেন, 'আমরা ৬৪ কোটি ২০ লাখ ভোটারের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছি। এটা আমাদের সবার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যা জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর ভোটারের দেড়গুণ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের ভোটারের আড়াই গুণ। গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। ভারতের নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটি বিস্ময়কর ঘটনা। পৃথিবীতে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।’
সিইসি আরও বলেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩১ কোটি ২০ লাখ নারী ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন, যা ২৭টি ইইউভুক্ত দেশের নারী ভোটারের ১.২৫ গুণ। যা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রতি ইসিআইয়ের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলিত ঘটায়।’
আরও পড়ুন: ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতের এই নির্বাচনে নারী ভোটারদের সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের ভোটারদের চেয়ে ১.২৫ গুণ বেশি।
সিইসি বলেন, ‘৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটারদের অংশগ্রহণ আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তারাই আমাদের গণতন্ত্রের নায়ক। স্বাধীনতার আগে থেকেই তারা ভারতকে দেখেছে এবং গত ৭০ বছর ধরে তাদের অবদান দিয়ে এই দেশকে রূপ দিয়েছে।’
নির্বাচনি কর্মীদের সতর্কতার কারণে পুনর্নির্বাচন অনেক কমানো গেছে বলে জানান রাজীব কুমার।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ৫৪০টি পুনর্নির্বাচন দেখা গিয়েছিল, সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা ৩৯টি পুনর্নির্বাচন দেখেছি যার মধ্যে ২৫টি পুনর্নির্বাচন কেবল দুটি রাজ্যে।’
এছাড়াও নির্বাচনি প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখায় জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে ভোটদানের হার গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।’
তিনি আরও বলেন, ২৩টি দেশের ৭৫ জন পর্যবেক্ষকের একটি বৈশ্বিক প্রতিনিধি দল ভারতের এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। ভারতের নির্বাচন পরিকল্পনা, পরিচালনা ও স্বচ্ছতার মাত্রা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন তারা।
সিইসি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে মোকাবিলা করা হয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনে কোনো সহিংস ঘটনা নির্বাচন কমিশন দেখেনি বলে জানান রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ভোট গ্রহণ শুরু
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমরা কোনো সহিংসতা দেখিনি। এই পর্যায়ে আসতে দুই বছরের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার রেকর্ড তৈরি করেছে। যা ২০১৯ সালে বাজেয়াপ্ত করা অর্থের প্রায় তিনগুণ।
লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রস্তুত করতে শক্তিশালী ও নির্ভুল প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু।
এদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জয় উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার বুথফেরত কয়েকটি সমীক্ষায় জানা গেছে, কেন্দ্রের শাসক দল অন্যান্য দল শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যেও নিজেদের এগিয়ে নিয়েছে। অন্য আরেকটি বুথফেরত সমীক্ষায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের ঘোষণা করা ৪০০ আসনের লক্ষ্যে ‘৪০০ পার’ এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারে।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফল জানা যাবে ৪ জুন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার উপায়
৩১৮ দিন আগে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ: সিইসি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি আরও বলেন, সঠিক ভোটার উপস্থিতি জানতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন চলাকালে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে, ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৮৭টি উপজেলা পরিষদে ২৬১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন নারী (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
৩২৩ দিন আগে