টম ল্যাথাম
দুই সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সামনে নিউজিল্যান্ডের রানপাহাড়
অষ্টম ও নবম ওভারে দুই রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নিয়ে ভালো বোলিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ইঙ্গিত আর জোরালো হয়ে বাস্তবে ধরা দেয়নি, বরং কিউই ব্যাটারদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়ে খরুচে এক ইনিংস শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে রাচিন রবীন্দ্রর চোটে একাদশে ডাক পেয়েই ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন উইল ইয়াং। ১১৩ বলে একটি ছক্কা ও ১২ চারে ১০৭ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর উইকেটরক্ষক-ব্যাটার টম ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস-সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৮ রান। ১০৪ বলে তিনটি ছক্কা ও ১০ চারে এই রান করেছেন তিনি। এছাড়া,৩৯ বলে চারটি ছক্কা ও তিনটি চারে ৬১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপস।
এদিন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও প্রথম উইকেটের জন্য অষ্টম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় পাকিস্তানকে। ওভারের তৃতীয় বলে আবরার আহমেদের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ১০ রান করে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। পরের ওভারেই আরেকটি সাফল্য পায় পাকিস্তান। এবার নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ২ বলে ১ রান করে ফেরেন কেইন উইলিয়ামসন।
এরপর ডেরিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটের পতন ঠেকানোর চেষ্টা করেন ইয়াং। তাতে খানিকটা সফলও হন তিনি। তবে সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৪ বলে ১০ রান করে মিচেলও ফিরে গেলে ল্যাথামের সঙ্গে বড় সংগ্রহের পথে এগোন ওপেনার ইয়াং।
নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ১১৮ রানের জুটি গড়ে ইয়াং যথন ফিরে যান, তখন তিন উইকেটে ৭৩ রান থেকে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৯১।
২০৭ রান নিয়ে শেষ দশ ওভারে প্রবেশ করে কিউইরা। এরপর রানের চাকার গতি বাড়িয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। তারপর ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে আরও বড় সংগ্রহের দিকে ছোটেন ফিলিপসও। তবে যখন মনে হচ্ছিল, এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করেই ইনিংস উৎরে যাবে নিউজিল্যান্ড, ঠিক তখনই স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ধরা পড়েন ফিলিপস।
ইনিংসের তখন আর দুই বল বাকি। এ সময় ব্যাটিংয়ে নেমে একটি লেগ বাই রান নিয়ে ল্যাথামকে স্ট্রাইক দেন মিচেল ব্রেসওয়েল, আর শেষ বলে তিন রান নিয়ে ৩২০ রানে ইনিংস শেষ করেন কিউই উইকেটরক্ষক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩২০/৫ (ল্যাথাম ১১৮*, ইয়াং ১০৭, ফিলিপস ৬১; নাসিম শাহ ২/৬৩, হারিস রউফ ২/৮৩, আবরার আহমেদ ১/৪৭)।
৭১ দিন আগে
৬০ রানে গুটিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের বোলিং তোপে মাত্র ১৬.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় টম ল্যাথাম বাহিনী। টি-টুয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের এটি যুগ্ম সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।
টাইগারদের পক্ষে মুস্তাফিজ তিনটি, সাইফুদ্দিন, সাকিব, নাসুম দুটি করে এবং মেহেদী একটি উইকেট নেন। নিউজিল্যানন্ডের পক্ষে অধিনায়ক টম ল্যাথাম (১৮) এবং হেনরি নিকোলসই (১৮) শুধু দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক।
এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও কোল ম্যাকনির।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই সিরিজেও নেই। বাঁহাতি ওপেনার কিছুদিন ধরে হাঁটুর ইনজুরিতে রয়েছেন। তবে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস সিরিজে ফিরেছেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দশটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। সবগুলোই তারা হেরেছে। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে।
এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নেই। আগামী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা কোনো খেলোয়াড়কে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ সফরে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, টম ব্লান্ডাল, উইল ইয়াং, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস, কোল ম্যাকনি, ডগ ব্রাসওয়েল, আজাজ প্যাটেল, ব্লেয়ার টিকনার এবং জ্যাকব ডাফি।
আরও পড়ুন: টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
১৩৩৮ দিন আগে
সিরিজ হারল বাংলাদেশ
টম ল্যাথামের শতরানের উপর ভর করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্য ১০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় স্বাগতিকরা। ল্যাথাম ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ডেভন কনওয়ে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন।
২৭২ রান ফাইটিং স্কোরই ছিল। বাংলাদেশের বোলাররা শুরুর দিকে কিউই ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন। দলীয় ৫৩ রানের মধ্যে প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন মেহেদী ও মুস্তাফিজ। তবে কনওয়ে এবং ল্যাথাম বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ও মুস্তাফিজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ২৭২ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ মিঠুনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে সফরকারীরা।
১৫০০ দিন আগে