আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক
সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোন পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সেবা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া নারীরা, বিশেষত যারা মহামারির সময়ে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।
মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসান হোটেলে বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর এবং ‘ইন সার্চ অব জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার ও একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
আনিসুল হক বলেন, ২০২২ একটি বিশেষ বছর কারণ আমরা বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত যেমন প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বলেন, যারা এই হৃদয়গ্রাহী, চিত্তাকর্ষক ও কষ্টকর গল্পগুলো আমাদের বলেছে, এই বইটি শুধুমাত্র তাদের জন্য নয়।
আরও পড়ুন: কোন ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি জানান, যারা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, নির্যাতিত ও এখনও দুঃসময়ে দিনযাপন করছে, বইটি তাদের সকলের অবস্থার প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের বইটি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জি আই জেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামের হেড অব প্রোগ্রাম, প্রমিতাসেন গুপ্ত এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
২ বছর আগে
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অনেক ভৌত অবকাঠামো বানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি একটি ভালো আইনি কাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভালো একটি ‘প্রটেকশন’ পায়। তাই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ।
আরও পড়ুন: তাড়াহুড়ো করে ইসি গঠনে আইন করা সঠিক হবে না: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজনে সোমবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১ এর 'লিগ্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার' শীর্ষক এক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা বর্তমানে সময়ের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি বড় সাফল্য। কোভিড-১৯ আঘাত হানার ঠিক আগেও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ছিল আট শতাংশের ওপরে এবং গত এক দশকে তা ছয় শতাংশের ওপরে ছিল।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবকালেও প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ভালো ছিল। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত ও সমযোপযোগী নীতির কারণে। বাংলাদেশ এই সফলতা ধরে রাখতে পারলে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘এই সফলতা ধরে রাখতে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কোম্পানি আইন সংশোধন করেছে।’
২ বছর আগে
উন্নয়নের জন্য বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য: মন্ত্রী
যে কোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যান্য লক্ষ্যের সাথে বৈষম্যহীন আইন ও নীতি প্রয়োগ বিষয়ক লক্ষ্য ১৬(বি) বাস্তবায়নে বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’
রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত লেজিসলেটিভ রিসার্চ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এসডিজির গোল- ১৬(বি) বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এর অংশ হিসেবে ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক তা সংস্কার বিষয়ক প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ১৭৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রণীত ১২৮৬টি আইনে কোনো বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কিনা তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিতকরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ/বিভাগকে গবেষণার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন আইনের বৈষম্যমূলক বিধান, বৈষম্যের বিভিন্নরূপ, যেমন- লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য, ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষম্য, প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য ইত্যাদির স্বরূপ উৎঘাটনপূর্বক বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করবে যাতে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন করা যায়। এছাড়া সরকার বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে এসব সুপারিশ বিবেচনা করা হবে।
অন্যান্য সরকারের সময়ে বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের বিষয়ে গবেষণার জন্য বিশেষ কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকার কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তিনি গবেষণার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা কখনো কখনো দুঃখের সাথে লক্ষ্য করি যে, কেউ কেউ আইন বিষয়ে গবেষণা এবং ভালোভাবে পড়াশুনা ছাড়াই আইন সম্বন্ধে কথা বলে থাকেন, আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। আইন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিষয়ে ভালোভাবে পড়াশুনা ও গবেষণা না করে ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। দিলে জনগণ বিভ্রান্ত হন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বক্তব্য দেন।
এছাড়া কর্মশালায় বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি গবেষণাকর্ম প্যাকেজ-১, ২, ৩ ও ৪ এর টিম লিডার যথাক্রমে প্রফেসর ড. এম. আহসান কবির (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), প্রফেসর কে.শামসুদ্দিন মাহমুদ (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়) ও প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) নিজ দলের গবেষণাকর্মের ফলাফল উপস্থাপন করেন।
এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রথমবার ও ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে যেভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী দুস্থ মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছেন তা ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশে আর দেখা যায় নি।’
আরও পড়ুন: শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এই রোজায় কেউ যেন কষ্ট না পান সে কারণে প্রধানমন্ত্রী এ উপহার পাঠিয়েছেন। আপনারা আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করবেন তিনি যেন আমাদেরকে এ মহামারি থেকে রক্ষা করেন।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আখাউড়ার এক হাজার মানুষের প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি চাল, এক কেজি সয়াবিন তেল, এক কেজি পিঁয়াজ, আধা কেজি মসুর ডাল ও এক প্যাকেট সেমাই বিতরণ করা হয়।
সাহায্য পাওয়া মানুষজন উক্ত সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন: আইনমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের মুক্তি ও ভাগ্য উন্নয়নে আজীবন লড়াই করে গেছেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, দুর্দিনে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য তিনি তার তহবিল থেকে খাদ্য উপহার পাঠিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী
বুধবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় টি.আলী কলেজ মাঠে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী মহামারি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
এ সময় তিনি কসবার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া কৃষি বিভাগের ৬টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন এবং উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃহত্তর কুমিল্লা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ৫৪০টি সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, কসবা পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এমজি হাক্কানী ও আলহাজ্ব রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, সহকারী কমিশনার(ভূমি) হাছিবা খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-সাংবাদিক, মু্ক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
সকল শ্রমজীবি মানুষের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪১তম সেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এই সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী আইএলওকে আশ্বস্ত করে বলেন, শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ একটি ছয় বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনাটির মেয়াদ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্ত উত্তোরণের সাথে সংগতি রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি শ্রম আইন সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম পরিদর্শন বিভাগের ক্ষমতায়ন এবং শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিহার সংক্রান্ত ৪টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণের কথা আলোচনা সভায় তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের আলোকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার: আইনমন্ত্রী
আইএলও গভর্নিং বডি’র বর্তমান চেয়ারম্যান ভারতের শ্রম সচিব অপূর্ব চন্দ্রে’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কিত এ আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও ভারত, চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, মরক্কো, কিউবা, ইরাক, বাহরাইন, আজারবাইজান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও মেক্সিকোর প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সরকার আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী: আইনমন্ত্রী
৩ বছর আগে