অবকাঠামো নির্মাণ
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নও প্রয়োজন।’
তিনি স্বল্প অর্থ বরাদ্দের কারণে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সব সচিবকে বিষয়টি জানাতে যাতে এ ধরনের প্রকল্প দ্রুত শেষ হয়।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সরকারের জন্য নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও সেগুলোও খুব তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারণ, সেগুলো অসমাপ্ত থাকলে প্রকল্পগুলোর ব্যয় অহেতুক বাড়বে এবং সময়ও নষ্ট হবে। এগুলো সম্পন্ন হওয়া নিশ্চিত করুন।’
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারকে অবশ্যই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের লক্ষ্য অর্জনে যে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষ করে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের নৌপথের সুবিধা কাজে লাগানোর বিষয়েও তারা একমত হয়েছে বলে প্রেস সচিব জানান।
আরও পড়ুন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায়
বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বেশি বন্দর নির্মাণের ওপর জোর দেন। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য তিনি এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক গঠনের কথা বলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং তার দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে এককালীন ফুলটার্ম ভিসা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একমত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটানকে আইসিটি সেক্টরে বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহে সহযোগিতা করবে।
উভয় নেতা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ফোরামে একসাথে কাজ করার বিষয়েও একমত হন।
বৈঠকের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪৫ মিনিট একান্তে আলাপ করেন।
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী ডা. শেরিং ভুটানের রাজা ও জনগণের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুটান আমাদের কাছে বিশেষ কিছু’।
আরও পড়ুন: ভুটানের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে ঢাকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন লোটে শেরিং। পরে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহিদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল এবং চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়েন গংফেল উপস্থিত ছিলেন।
শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করে বাংলদেশ। এটাই কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশের প্রথম পিটিএ চুক্তি।
৩ বছর আগে