ফটোসাংবাদিক
সাংবাদিক কাজলের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ওই বছরের ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এরই মধ্যে কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।
পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৪ মার্চ ও ৪ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।
প্রবীণ ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান বীনু মারা গেছেন
প্রবীণ ফটোসাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মো. লুৎফর রহমান বীনু আর নেই। সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১২ টায় খিলগাঁওয়ের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
লুৎফর রহমান বীনু অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন ফটো সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সর্বশেষ দৈনিক ইনকিলাবে সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হিসেবে অবসর নেন। এছাড়াও তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন।
পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক জাহানারা বেগম আর নেই
বাদ আসর খিলগাঁওয়ে স্থানীয় মসজিদে নামাজে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক বিবৃতিতে ক্লাব সদস্য মো. লুৎফর রহমান বীনু এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের বন্ধু সাইমন ড্রিং আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
ইউএনবির সাবেক বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ আর নেই
ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন বিচারক।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আসামির আইনজীবী মো. জাহেদুর রহমান আদালতে পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিনের আবদেন মঞ্জুর করেন। একই সাথে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্টের রুল
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় ফটোসাংবাদিক কাজলের জামিন
গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন কাজল।
এরপর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার