ভূমি অফিস
নাশকতার আশঙ্কা: ভূমি অফিসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনায় নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সরকারি স্থাপনাসমূহে দুর্বৃত্তদের দ্বারা নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৪টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মাগুরা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে প্রবেশ করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। একই সময়ে মাগুরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডে উপজেলা ভূমি অফিসের একটি কক্ষে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র ও রেজিস্টার, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টারসহ টেবিল, চেয়ার, আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলের বোতল, কয়েকটি খালি বোতল ও মাস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, যা পুলিশ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সংক্রান্ত দলিলপত্র সংরক্ষিত থাকে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড কক্ষসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৪ দিন আগে
মাগুরায় দুই সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
মাগুরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় এবং রেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. আসমা আক্তার বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে দুষ্কৃতকারীরা ভবনের পেছন দিক দিয়ে জানালা ভেঙে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে নিচতলার একটি কক্ষে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে থাকা কম্পিউটার ও জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা রেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক স্থানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অফিসের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাইরে দলিল লেখকদের দুটি কক্ষ আগুনে পুড়ে গেছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পেট্রোলের বোতল শনাক্ত করে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
২০ দিন আগে
নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরি ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা গেলেও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
গ্রেপ্তারা হলো- মাদারগঞ্জ বাজারের এলাকার আরিফ হোসেন ও একই ইউনিয়নের গাবতলা ডাক্তার পাড়ার বাবু মিয়া।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে দুই যুবক বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে একটি পানির পাম্প চুরি করেন। সেই সঙ্গে অফিসের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে রেজিস্ট্রার-২ বই ১২টি, রেজিস্ট্রার-১২ বই একটি, বেশকিছু নামজারি নথি পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুপুরের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, দুইজন যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে চুরি যাওয়া পানির পাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহম্মেদ বলেন, আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
৪২৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামপুর বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বাজারের প্রায় ১৫০টি হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করা হয়েছে।
সহকরী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভূমি অফিস সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রামপুর বাজারে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এক একর ৫৫ শতাংশ জমিতে ১৫০টি কাঁচা-পাকা হোটেল ও দোকান ঘর সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয়। এসব দোকান মালিকরা রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: লালদিয়ার চরের ১০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ সোমবার
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পর পর তিনবার নোটিশ পাঠালেও দোকানদাররা তাদের হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করেননি। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য এর আগে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার পরেও তারা এব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। তাই আইনগতভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযানে ৮ জনকে জরিমানা
তিনি জানান, পরবর্তীতে এই বাজারটিকে চান্দিনা ভিটি এবং তোহা বাজার হিসেবে দুটি অংশে সাজানো হবে এবং যারা প্রকৃত দোকানদার তাদের ঘরের জমি বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহিরুল ইসলাম, ভূমি অফিসের কর্মচারী ও থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
১৭৩৭ দিন আগে