ভূমি অফিস
নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরি ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা গেলেও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
গ্রেপ্তারা হলো- মাদারগঞ্জ বাজারের এলাকার আরিফ হোসেন ও একই ইউনিয়নের গাবতলা ডাক্তার পাড়ার বাবু মিয়া।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে দুই যুবক বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে একটি পানির পাম্প চুরি করেন। সেই সঙ্গে অফিসের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে রেজিস্ট্রার-২ বই ১২টি, রেজিস্ট্রার-১২ বই একটি, বেশকিছু নামজারি নথি পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুপুরের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, দুইজন যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে চুরি যাওয়া পানির পাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহম্মেদ বলেন, আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
৩ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামপুর বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বাজারের প্রায় ১৫০টি হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করা হয়েছে।
সহকরী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভূমি অফিস সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রামপুর বাজারে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এক একর ৫৫ শতাংশ জমিতে ১৫০টি কাঁচা-পাকা হোটেল ও দোকান ঘর সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয়। এসব দোকান মালিকরা রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: লালদিয়ার চরের ১০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ সোমবার
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পর পর তিনবার নোটিশ পাঠালেও দোকানদাররা তাদের হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করেননি। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য এর আগে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার পরেও তারা এব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। তাই আইনগতভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযানে ৮ জনকে জরিমানা
তিনি জানান, পরবর্তীতে এই বাজারটিকে চান্দিনা ভিটি এবং তোহা বাজার হিসেবে দুটি অংশে সাজানো হবে এবং যারা প্রকৃত দোকানদার তাদের ঘরের জমি বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহিরুল ইসলাম, ভূমি অফিসের কর্মচারী ও থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
৩ বছর আগে