মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
জিয়া-এরশাদ-খালেদা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চেয়েছিল: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘তারা ২৯ বছর রাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিল। আর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ও শেখ হাসিনা সাড়ে ১৮ বছর মোট ২২ বছরের মতো আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছি। তারা ২৯ বছরে কী করেছে আর ২২ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে- সেই হিসাব যদি মিলান, তাহলেই বুঝতে পারবেন তারা কখনোই বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি। বাংলাদেশকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।’
আরও পড়ুন: মানবতার সেবায় অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করুন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত জাতীয় সংগঠন খেলাঘরের দুই যুগ পূর্তি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্মেলনে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের সাধের পাকিস্তান যেমন আজকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্র বাংলাদেশকেও তারা তেমন ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই পরাজিত শক্তিকে আবার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশিষ কুমার চক্রবর্তী, খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।
২ বছর আগে
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে সময়োপযোগী করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ফর টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের অঙ্গীকার করেছেন।’
রবিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়র (ডরপ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না:মোজাম্মেল হক
এসময় মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে সময়োপযোগী করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
আলোচনা সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডরপ’র উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. যোবায়ের হাসান।
উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হলো-সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার প্যাকেটের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা কৌটায় নূন্যতম পরিমাণ নির্ধারণসহ মোড়কীকরণে কঠোর নিয়ম আরোপ করা তথা প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়ন করা।
হাসান আরও উল্লেখ করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করার প্রস্তাবসমূহ আইনে অন্তর্ভুক্ত হলে সাধারণ মানুষ তামাকজনিত রোগের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ: মোজাম্মেল হক
ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়রের (ডরপ) চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার সভাপতিত্ব ও ডরপের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্যরা, বিড়ি শ্রমিক ও নেতা এবং যুব ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ছয়টি সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন এবং সংসদ সদস্যরা ও নীতি-নির্ধারকদেরকে উক্ত প্রস্তাব সমূহকে সমর্থন ও আইনটি পাশ করার ক্ষেত্রে সংসদ ও সংসদের বাইরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
২ বছর আগে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ
প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন এ তালিকা প্রকাশ করেন।
এই প্রকাশিত তালিকা আজকেই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার আবাসন নির্মাণ করবে সরকার
মন্ত্রী বলেন, আরও যাচাই বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে যাচাই বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা পরের ধাপ ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারবে না। যারা আগে আবেদন করে রেখেছেন তারা শুধু রিভিউ ও আপিল করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণশহীদদের কীভাবে সম্মানিত করা যায় সেটা আমরা ভাবছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা গ্যাজেট তালিকা ইতোমধ্যেই বাতিল কার হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
‘সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাজেট প্রকাশটা বিতর্কিত ছিল। তবে তাদের ভাতা এখনও চালু আছে। বাহিনীর মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কারা যাচাই বাছাই চলছে। আমাদের ধারণা ৮-১০ হাজার সঠিক মুক্তিযাদ্ধা হবে এবং ৫-৭ হাজার কোন যুদ্ধই করেনি,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকাশিত তালিকায় যদি কারও কোন তথ্যে মিল না থাকে তাহলে ভাতা পেতে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেজন্য আমরা একবছর যাচাই বাছাই করেছি। শতবাগ নির্ভুল করার জন্য সময় নিয়েছি। তারপরও ভুল থাকতে পারে। তবে সেই ভুল তেমন বড় কোন কিছু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ জনের নাম প্রকাশ করা হল। বাকিদের যাচাই বাছাই করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না।’
তালিকায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাকের নাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাকের নামসহ এই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু অপকর্মসহ যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনের সহযোগিতা ও খুনি হিসেবে তাদের নামের পাশে তাদের কর্ম উল্লেখ থাকবে।
‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি যার যার অর্জন। সেটা কেউ বাতিল করতে পারবে না। তবে তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। খেতাবটা একটি সম্মান। সেটি যেকোন সরকার সম্মান দিতে পারেন, আবার চাইলে যেকোন অপারাধের জন্য ফিরিয়ে আনতে পারেন,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম বাদ, শোকেই মৃত্যু
৩ বছর আগে