পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তা হিসেবে ১ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ সহায়তার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাবে ১ লাখ ২০এরও বেশি মানুষ, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।’
মেরিস পেইন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকার এবং রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীরা যারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে, প্রাথমিক উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেছে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো যারা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য সহায়তা, জরুরি আশ্রয়, পানি এবং স্যানিটেশন সেবা প্রদান করেছে তাদের প্রত্যেকের প্রশংসা করি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কারো দোষ থাকলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বজায় রাখতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমি আজ আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের বিদ্যমান মানবিক সহায়তা থেকে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরুরি সহায়তা ঘোষণা করছি। আমাদের অতিরিক্ত সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
মন্ত্রী বলেন, এই অতিরিক্ত তহবিল ২৬০ মিলিয়ন এরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বরাদ্দকৃত তহবিলের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে যা ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় গোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার উখিয়া উপজেলার বালুখালীর পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সরকারি হিসেবে ১১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ১৫ জনের তথ্য দিয়েছে। প্রায় ১০ হাজার বসতঘর পুড়ে যায় এবং ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বসতি হারায়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
৩ বছর আগে