ত্রাণ মন্ত্রণালয়
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে মঙ্গলবার ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যারই ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।
তিনি বলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)'র নারী ক্ষমতায়ন উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে 'এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ এ ভূষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যারা আগাম সতর্কসংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০ শতাংশ নারী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুরো দেশ জুড়ে আধুনিক আবহাওয়ার রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা রয়েছে। উপকূলে পাঁচ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দুর্যোগে প্রাণহানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন একই সঙ্গে করোনা মহামারিতে দেশের জনগণকে নগদ টাকা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টিরও প্রশংসা করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সন্ধান, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়েও প্রশংসা করেন যুকরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য ইউএসএইডের এম ডি ক্যাথরিন স্টিভেন্স, রিজিওনাল রিফিউজি কোর্ডিনেটর ম্যাকেঞ্জি রোয়ে ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা: ত্রাণ মন্ত্রণালয়
মুজিববর্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টিসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিবার প্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলাসমূহের জন্য ৩৯৫ কোটি ছয় লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভারসমূহের জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার সাতশত টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পানি সরবরাহ উন্নয়নে জাপান ও ইউএনএইচসিআরের সহায়তা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দের সাথে উদযাপনে অসহায়, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজানের সময় প্রদত্ত এ সহায়তা অতিদরিদ্র্য পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
রমজানে দরিদ্র ও দুস্থতের জন্য ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ
আসন্ন রমজান উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
মুজিববর্ষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা যাবে।
দেশের ৬৪টি জেলার ৪ হাজার ৫৬৮ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদানের জন্য অর্থ ছাড় করা হয়। সারা দেশের ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য দুই লাখ টাকা, বি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং সি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই খুলনায় নিত্যপণ্যের বাজার চড়া
এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য সাত লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রতিটির জন্য পাঁচ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। তাছাড়া দেশের ৬৪টি জেলায় এ ক্যাটাগরি দুই লাখ, বি ক্যাটাগরি এক লাখ পঞ্চাশ হাজার এবং সি ক্যাটাগরি জেলার জন্য এক লাখ টাকা হারে মোট এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্য পণ্যের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে: জিএম কাদের