দিল্লি
২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি
প্রায় তিন দশক পর দিল্লির ক্ষমতায় বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি—বিজেপি। বিজেপির কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়ে ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির দল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিল্লির বিধানসভার ভোট গণনা শুরু হয়। গণনা শুরু হওয়ার আগেই বুথফেরত জরিপে বিজিপিকে জয়ী দেখানো হয়েছিল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
এর আগে, টানা দুই মেয়াদে দিল্লির ক্ষমতায় ছিলেন আপ নেতা কেজরিওয়াল। ২০১২ সালে দেশটির রাজধানীতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন শুরু করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি দিল্লির ক্ষমতায় বসেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয় হন কেজরিওয়াল। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করায় গত নির্বাচনেও তিনি ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। তিনি গ্রেপ্তারের পর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিজেপি তাকে ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ থাকলেও বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন দলটি।
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়ে দিল্লির মূখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৫৬ বছর বয়সী এই নেতা। পদত্যাগের পর জাতীয় নির্বাচনি প্রচারে মনোনিবেশ করেন তিনি। তবে যে আসনগুলোতে তিনি জয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন, সেগুলোতেও হেরে যান। এবার বিধানসভার নির্বাচনেও তার পরাজয় প্রায় নিশ্চিত।
চলতি বিধানসভার নির্বাচনি প্রচারে কেজরিওয়ালকে হারাতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে ছিল আড়াই হাজার নারীকে মাসিক আড়াই হাজার রুপি করে ভাতা এবং গর্ভবতী নারীদের এককালীন ২১ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা প্রদান। এ ছাড়াও ক্ষমতায় এলে রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি, বয়স্কদের মাসিক পেনশন ও তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে ১ হাজার ৫০০ রুপি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল মোদির দল।
বিধানসভার এই নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে, পরবর্তীতে যা আইন প্রণয়নে দলটির জন্য সহায়ক হয়।
৬৮ দিন আগে
গণভবনে কে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে আসবে না: হাসনাত
ভারতের দাদাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গণভবনে কে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না। বাংলাদেশ প্রশ্নে আমরা আপসহীন।’
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর দিকে চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এ কথা বলেন।
‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া কথা বলবে, সেসব মিডিয়ার বিপক্ষে অবস্থান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আসবে সেটা হচ্ছে, তাদের আগে বিচার হতে হবে,’ বলেন এই ছাত্রনেতা।
এ সময়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষে লিখলে কলম ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘যেসব টকশোজীবী ও বুদ্ধিজীবী এখন আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন, আপনারাই এতদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। এছাড়া ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী কথা বলবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেব।’
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি—আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, পরবর্তী সময়ে যারাই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসবে তাদের পরিণতিও একই হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক বলেন, ‘আজকে তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে। ভয়কে জয় করতে হয়েছে। কারণ, আমাদের দুর্বৃত্তায়ন ও প্রতিহিংসার রাজনীতির সংস্কৃতি আশাহত করেছে। আমরা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র করতে পারিনি।’
‘আপনারা যদি কোনো কারণে মনে করেন প্রোক্লেমেশন দিতে ও জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আপনাদের রাষ্ট্রীয় কোনো বাধা রয়েছে সেটি আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। আমরা যেভাবে আগস্ট মাসে রাস্তায় নেমেছেন একইভাবে আবার রাস্তায় নেমে আসবেন। এই প্রোক্লেমেশন দিতে আপনাদের বাধা কোথায়? কারা বাধা দিচ্ছে সেগুলো আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে উপদেষ্টার কাতার থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসুন। আমরা একসঙ্গে মিলে যেভাবে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, প্রয়োজন হলে সেভাবে আবার আমাদের প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, তামিম আহমেদ প্রমুখ।
৯৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় ঢাকা, দিল্লিকে চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লেখা নোট ভারবালের কথা উল্লেখ করে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারতকে অবহিত করেছি।’
গত ১২ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামকে চিঠি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন
পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করার সুবিধার্থে ২০১৬ সালের জুলাইতে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে।
৫ আগস্ট পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
১১৫ দিন আগে
দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত
ভারত সরকার সোমবার বলেছে, নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং সারা দেশে অন্যান্য উপ বা সহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভবনে হামলা ওভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে কোনো পরিস্থিতিতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৩৬ দিন আগে
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী ঢাকা
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা করছেন তারা।
তিনি বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত করে আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব বলে আশাবাদী।’
'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, বাধা ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোশিওলজি (পিএসএস) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হোসেন বলেন, বাংলাদেশের কিছু উদ্বেগ ছিল। বিগত সরকার ভারতের সঙ্গে অমিমাংসিত যেসব বিষয় সমাধানের চেষ্টা করেছিল, তার কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে।
ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতি উপলব্ধি করে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
তবে যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বাধা থাকে যা স্বাভাবিক বলে স্বীকার করেন তিনি।
হোসেন বলেন, '৫ আগস্টের পর সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে, এটাই বাস্তবতা।’
গোলটেবিল বৈঠকে প্যানেল আলোচক ছিলেন-এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম আসাদুজ্জামান রিপন।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩৮ দিন আগে
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, 'এটা স্বাভাবিক যে আমরা এই সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম চালাব।’
তিনি বলেন, তাদের স্বীকার করতে হবে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোর কারণে কাজ ব্যাহত হতে পারে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘এখানে স্পষ্টতই আমাদেরকে পারস্পরিক স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।’
রাজীব সিক্রির লেখা 'স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়া'স ফরেন পলিসি' বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, সবাই অবগত আছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে যাওয়ার সময় পঞ্চগড় সীমান্তে ৯ বাংলাদেশি আটক
২৩০ দিন আগে
ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে ভারত বলেছে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করার জন্য ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভীতি ছড়ানোর খবর দেখেছে তারা। যা সত্য দিয়ে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা উচিত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আমরা গণমাধ্যমে ফারাক্কা ব্যারেজ গেট খুলে দেওয়ার খবর দেখেছি, যার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেকেরও বেশি পানি গঙ্গা ও পদ্মা নদীতে প্রবাহিত হবে।’
তিনি বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় প্রবাহ বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক মৌসুমি ঘটনা।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেয়নি ভারত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বুঝতে হবে যে, ফারাক্কা শুধু একটি ব্যারেজ মাত্র, বাঁধ নয়। যখনই পানির স্তর জলাশয়ের নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছায়, তখন পানির প্রবাহ অতিক্রম করে।’
তিনি বলেন, ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করার একটি কাঠামো মাত্র। এটি মূল গঙ্গা বা পদ্মা নদীর গেট দিয়ে সাবধানে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে ভারসাম্যপূর্ণ পানি মূল নদীতে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়।
প্রটোকল অনুযায়ী নিয়মিত ও সময়মতো যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এবারও তা করা হয়েছে বলে জানান মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
২৩৪ দিন আগে
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ফিরতে ঢাকার সহযোগিতার প্রশংসা দিল্লির
ভারতীয় ৬ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে যে 'চমৎকার সহযোগিতা’ পেয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমাদের ৬ হাজার ৭০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে চমৎকার সহযোগিতা পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সচল, জরুরি নয় এমন কর্মীদের স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমোদন: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় তারা তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তারা 'গভীরভাবে' কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে সম্পর্ক দৃঢ়, উষ্ণ ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। ‘এভাবেই আমরা দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দেখি।’
তিনি বলেন, ভারতের হাইকমিশন সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট বা বিমানবন্দরে তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত
মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনের বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন পরিচালনা করছে এবং সেখানে থাকা আমাদের সব লোক, শিক্ষার্থী ও আমাদের নাগরিকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা যেকোনো সহায়তার অনুরোধ করলে, তা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুভব করে। ‘আমরা আশাবাদী, দেশের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ভারত বাংলাদেশের ঘটনাবলী 'নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ' করছে এবং ভারত দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মনে করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
২৬৫ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে যে তারা তারেক রহমানের পক্ষে আছে।’
শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
বাংলাদেশের মাটিতে ভারত সরকারের রেলপথ নির্মাণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, আবারও ভারত যাচ্ছেন 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, ‘দেখা যাক এবার তিনি কী নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি যদি খালি হাতে ফিরে আসেন, জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে না এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। কাজেই আমি আপনাদের (ভারত) জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’
পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করে তাহলে দেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
দিল্লির আগ্রাসন বাংলাদেশিরা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি। ফারুক বলেন, ‘আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিই।’
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই সরকার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’
আকস্মিক বন্যায় সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছে, যা আজ বন্যা ও অসংখ্য মানুষের পানিবন্দি হওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৩০০ দিন আগে
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি নয়াদিল্লি সময় বিকাল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
সফরকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে। পরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করবে।
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশক ধরে, একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি হবে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। তিনি সেখানে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন।
এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী প্রেস বিবৃতি দেবেন।
এরপর তারা হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আনুমানিক রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন ২১ জুন
৩০০ দিন আগে