স্বাধীন
বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করতে হবে। সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হতে হবে স্থানীয় সরকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষসহ দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিয়াকত আলী মিলনায়তনে (খুলনা প্রেসক্লাব) এক গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
গণসংলাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গতিমুখ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় করার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
এছাড়া পোশাক শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও সর্বোপরি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানো ও নিজেদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা শক্তিশালী হলেও তাদের ষড়যন্ত্রের জাল আমাদের শক্তির চেয়ে বেশি নয়। ভারতীয় শক্তির পক্ষে সমর্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন হিন্দু সম্প্রদায়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ভারতে বিজেপির ভোটের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব তাদের এইসব ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার ফলে আজ হুমকির সম্মুখীন। এদের রুখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। কীভাবে সফল করা যায় সে বিষয়েই রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করতে হবে।
এছাড়া সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে সাফল্যের জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক। শেখ হাসিনা যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, তাকে একটি ফ্যাসিস্ট বন্দোবস্তে পরিণত করা হয়েছে। সংবিধান এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ কিছুই করতে না পারে। এছাড়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পকেটে ঢুকিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে।
সাকি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের ফলাফল যাতে আবারও ছিনতাই হয়ে না যায় সেদিকে সকলের নজর রাখতে হবে। সংগ্রামের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে গণসংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আরও পড়ুন:
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন: ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার ড. ইউনূসের পক্ষে যারা চিঠি লিখেছেন তাদের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (বিচার) প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, বিশ্বে এমন কোনো উদাহরণ আছে কি না, যেখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, আর তা তদন্ত করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আ. লীগের অভিধানে কোনো চাপ, ভয় নেই: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যা বলতে চাই তা হলো, এখানে অতীতে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিষয়টিকে ‘হতাশাজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবশ্যই রায় মেনে নেওয়ার সাহস থাকতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান ‘নজিরবিহীন’।
যারা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে চান সরকার তাদের স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে যারা এই আহ্বানে যোগ দিচ্ছেন তারা নিজেদের সুনামের সঙ্গে যথাযথ ন্যায়বিচার করছেন বলে আমি মনে করি না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই, পালকি পাঠিয়ে কাউকে আনতে পারব না: শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশ-ভারত অর্থনীতির নতুন যুগে পা দিয়েছে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মত সাহসী দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব ছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আরও বেশি ঋণী করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না। কাজের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারব। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।’
আরও পড়ুন: পরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস: ‘শোক থেকে শক্তিতে নৌখাতের জয় যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো এত বড় হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না- খুনি চক্ররা এটা সংবিধানের সংযোজন করেছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পায়, তারা তার রক্তকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। সেই রক্তই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করতে চলেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা শারীরিক হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে।
তিরি আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা এবার ব্যর্থ হয়ে যাই তাহলে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা পুরোটাই ভাল ও আনন্দদায়ক হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঈদুল আজহায় ফেরিতে পচনশীল ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে ৭ দিন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’- শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন, সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।
একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছু নয়: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে: পার্বত্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে।
তিনি বলেন, ‘খারাপ মানুষ কোনো দল বা ধর্মের নয়। সমাজে যারা অপরাধী ও সন্ত্রাসী তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের খারাপ লোকদের বরদাস্ত করবে না।’
বৃহস্পতিবার পিআইডির এক প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, বান্দরবান সদরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক পূজা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থাকবে এটাই বঙ্গবন্ধুর নীতি, লক্ষ্য ও আদর্শ।
মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান সাংগ্রাই উদযাপনের জন্য উশৈসিং সেখানে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মিছিলটি বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশি মারমা এবং রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের নাম, যা প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পালিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রী নতুন বছরকে (বাংলা বছর) স্বাগত জানিয়ে বিগত বছরকে বিদায় জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এ দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে; ষড়যন্ত্র করেছে; মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকাকে পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই এক সময় তাদেরকে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকেনা। করোনায় গোটা বিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এই দেশকে নিয়ে যেন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সে সময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেয়া হয়েছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কি করেছে। তারা দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রংপুর মেডিকেলের ৬০০ যন্ত্রপাতির সাড়ে চারশ'ই অকেজো, এটা মেনে নেয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা ছিলেন। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুর থেকে ভাচুর্য়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
তিনি বলেন, আজ আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি। রক্ত আরও দিব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
১ বছর আগে
আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের আপিলের বিষয়ে শুক্রবার আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে না।
শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা প্রেসক্লাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের মুক্তিতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দুই নেতার হাইকোর্টে জামিন প্রক্রিয়ায় আইন লঙ্ঘন হয়েছে। তাই হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়ে আনিসুল বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, এখন হাইকোর্ট বিষয়টি তার এখতিয়ারে নিয়েছে। ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেছি এবং যদি এটি সত্য হয় তবে আমি লজ্জিত ও দুঃখিত। একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবী এ যে ঘটনা ঘটেছে তা আইনজীবীরা করতে পারেন না। আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
বৃহস্পতিবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তলব করা ব্যক্তিরা হলেন-আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া, সচিব (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলাম।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৪ জানুয়ারি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হাইকোর্টে লিখিত অভিযোগ পাঠান। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারপতির লিখিত অভিযোগ হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।
গত ২ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঁইয়া, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী এবং জুবায়ের ইসলামসহ প্রায় ১০-১৫ জন আইনজীবী এসে বিচারককে অভদ্রভাবে আদালত কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন।
অভিযোগে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তানভীর আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আকাঙ্খা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষাকারী গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে লড়াই করেছিল।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা আমাদের আশা-আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে পারিনি।’
মঙ্গলবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাসায় পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা দুর্গাপূজা উদযাপন করছি।’
আরও পড়ুন: বিরোধী দলগুলো খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করবে: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা বলেন, অসুরকে পরাজিত করে শান্তি, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করতে এবং অন্যায় ও কুৎসিতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে আবির্ভূত হন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দানবীয় শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা যেহেতু সারাদেশের মানুষ অবিচারের শিকার হচ্ছে, তাই আমরা এই উৎসব উপলক্ষে সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা এবং দানবকে পরাজিত করে সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার শপথ নিচ্ছি।’
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, বিএনপি ও আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আপনাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে।’
বাংলাদেশের জনগণ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশের জন্মের শুরু থেকেই গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘তারা গত কয়েক বছরে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দফার সংলাপে বিএনপি
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
২ বছর আগে
হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবাদীদের সব ভুল ধারণাকে ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে, ইউএনসিডিপি ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
বুধবার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশাবাদীদের সকল ভুল ধারণা দূর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার এবং বাণিজ্য চুক্তির ওপর একটি কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০টি দেশ এবং তিনটি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে একটি পিটিএ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, এই ১০টি দেশ হলো- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন ও মালয়েশিয়া।
এছাড়াও, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, কেনিয়া এবং জিসিসি দেশগুলির সঙ্গে পিটিএ, এফটিএ বা সিইপিএ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে