ডিএসসিসি
ডিএসসিসির আরোপিত জরিমানার ১৩৭১৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা
বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে লালবাগের শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠসংলগ্ন সড়ক খনন করার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) করা জরিমানার ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা।
ঢাকা ওয়াসা নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানার টাকা সংগ্রহ করে তা দুইটি চেকের মাধ্যমে করপোরেশনকে পাঠানো হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবস্থিত প্রকৌশল বিভাগের দপ্তরে জরিমানার অর্থ পরিশোধ-সংক্রান্ত পত্র ও দুটি চেক পাঠানো হয়। অঞ্চল-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব ঢাকা ওয়াসার প্রেরকের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পত্র ও চেক দুইটি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
উল্লেখ যে, অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের সই জাল করে ও অনুমোদন না নিয়ে গত ৮ জুলাই লালবাগের শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠসংলগ্ন রাস্তা খনন করায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খনন কাজে ওয়াসার ঠিকাদারের ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে। সই জাল করার অপরাধে সেদিন রাতেই লালবাগ থানায় ওয়াসা নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী সৈয়দ আবু জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পরে ৮ জুলাই অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯ এর ১.৩.৫ ধারা অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করায় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আরোপ করে ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পত্র দেয়। ঢাকা ওয়াসা গত ৯ জুলাই দক্ষিণ সিটির সে পত্র গ্রহণ করে।
ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবরে পাঠানো দক্ষিণ সিটির সেই পত্রে তিন কার্যদিবসের মধ্যে চালান/পে-অর্ডারের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খনন তহবিলে জরিমানার টাকা জমা দিতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার (রক্ষণাবেক্ষণ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মোস্তাকিম হোসেন তাদের নিযুক্ত ঠিকাদারকে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ শেষ করে তা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যান্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনেও ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আজিমপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটি তুলা মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। এখানে মাত্র ১৫ জন দোকানি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনোরকমে তাদের দোকানের কার্যক্রম চালাতেন। করোনার মাঝেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মার্কেট নির্মাণে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। তখন অনেকেই শঙ্কিত ছিল। কারণ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতীতের ইতিহাসে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্তই থেকে গেছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসে। ১৩, ১৫ ও ১৮ বছর হয়ে গেলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা শঙ্কায় ছিলেন যে, তারা আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন কি না?’
‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নির্মাণ সম্পন্ন করব এবং আবারও এখানে ব্যবসা পরিচালনার সুব্যবস্থা করে দেব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে। অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক এই নগর মার্কেট শুধু ক্ষতিগ্রস্তরাই নয়, আমরা ১১৭ জনের রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ওয়াসার সড়ক খননের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসময় মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমরা লক্ষ করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করা হয়েছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সই জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক! এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে যদি কোনো সংস্থা লিপ্ত হয়, তাহলে সমন্বয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী সড়ক খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং লালবাগের ঘটনায়ও ওয়াসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে (প্রতিষ্ঠানকে) কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়াও, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করব, মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মাঝে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল।’
নগর ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগর ভবন অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধনকালে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসীকে দ্রুততর সময়ে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘এখানে ঢাকাবাসী সরাসরি এসে জানতে পারবে যে- তার কাজের জন্য কোন জায়গায়, কোন দপ্তরে বা কোন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে, কী করতে হবে। এতে করে জনগণ তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবে এবং সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবে। সুতরাং সেবাগুলো যেন আরও সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত হয় ও ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় যেন পৌঁছানো যায়, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা অবারিত রাখতে সিটি করপোরেশন সজাগ থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনিক সংস্কার যেমন চলমান রয়েছে তেমনি আমরা বিভিন্ন বিভাগে জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কাজের জন্য আমরা প্রকল্পের ওপর নির্ভর করি না। সব কাজই নিয়মিত সূচি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা হয়। এছাড়াও সেবার উৎকর্ষতা বাড়ানের পাশাপাশি সেবার মান যেন প্রতিনিয়ত বাড়ে, সেসব বিষয়ের ওপর আমরা নজর দিয়েছি। সুতরাং এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা স্থায়ীভাবেই চালু থাকবে। এখান থেকে ঢাকাবাসী সহজে তাদের সেবা পাবে।’
উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএসসিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার (১ জুলাই) মেয়রের কাছে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ডিএসসিসি।
এসময় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি করেছিলাম, তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি রোধের মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ও সকলের কর্মতৎপরতায় এবার আমরা গত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
এর ফলে ঢাকাবাসীকে আরও বড় পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫১৩ কোটি ৯৬ লাখ, ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ, ৮৭৯ কোটি ৬৬ লাখ এবং ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএসসিসির ১১ স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১১টি স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।
অভিযানে সর্বমোট ৪৪৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ১১টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ মামলায় সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএসসিসির বাসাবো ও শাফিয়া এলাকার আশপাশ, নিউ পল্টন লাইন, ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ, উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক ও বালুর মাঠ, দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি, মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এবং শাফিয়া পল্লী ও আশপাশ এলাকায় ১১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পল্টন লাইন ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ এলাকায় ৬৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক, বালুর মাঠ এলাকায় ৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাছাড়া আদালত আরও ১০টি বাড়িতে সামান্য পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকদের সতর্ক করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল বিছিল ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি এলাকায় ১০৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় ৩৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির সক্ষমতা বেড়েছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কোরবানির হাট ও জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ডিএসসিসি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পুরোপুরি সক্ষম।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনোরকম কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতি বছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি।
এ সময় শেখ তাপস বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, এছাড়াও জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতি বৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে ও মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ডিএসসিসির বহরে যুক্ত হলো নতুন ১০ পে-লোডার
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে নতুন আরও ১০টি পে-লোডার।
যার ফলে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতির সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেল বলে দাবি করছে সংস্থাটি।
সোমবার (১০ জুন) ডিএসসিসির নগর ভবন প্রাঙ্গণে করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য ক্রয়কৃত এসব পে-লোডার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
র্যাংস মোটরস লিমিটেডের সিইও আহমেদ শাহরিয়ার আনওয়ার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে এসব পে-লোডারের চাবি হস্তান্তর করেন।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পে-লোডার ক্রয় করে।
চাবি হস্তান্তরের পর মেয়র ঘুরে ঘুরে পে-লোডারগুলো দেখেন।
এসময় মেয়র বলেন, নতুন পে-লোডার ক্রয়ের ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন হওয়ার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হবে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু ও হাটের বর্জ্য অপসারণে নতুন ক্রয়কৃত এসব পে-লোডার ভূমিকা রাখবে। নতুন পে-লোডার ক্রয়ের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
চুক্তি অনুযায়ী, এসব পে-লোডার পরিচালনায় নিয়োজিত চালকদের বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান র্যাংসস মোটরস লিমিটেড প্রয়োজনীয় দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সাহা, প্রধান নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. তাজনুর ইসলাম।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ডিএসসিসির ৯১ দল
প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আগামী শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বুধবার (২৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ‘জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ডিএসসিসির ৯১ দল
সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে নেওয়ার জন্য পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের আহ্বান জানান ডা. ফজলে শামসুল কবির।
আরও পড়ুন: জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ডিএসসিসির ৯১ দল
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবজনিত বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মাঠ পর্যায়ে পাঁচ সদস্যের ৯১টি দল কাজ করছে এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
সোমবার(২৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ডিএসসিসি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে করপোরেশন এলাকায় কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে নগরবাসীকে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগ থেকে সুরক্ষায় এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই: ডিএসসিসি মেয়র
নগরবাসীর এ সংক্রান্ত ফোন পেলে করপোরেশন দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ে করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৮০টি এবং প্রকৌশল বিভাগের ১১টি দল কাজ করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি করে এবং কয়েকটি ওয়ার্ডে দুই থেকে তিনটি করে দল কাজ করছে। পাশাপাশি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলে প্রকৌশল বিভাগেরও ১১টি দল কাজ করছে।
করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রকৌশল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের এসব দলের কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
একইসঙ্গে করপোরেশনের কাউন্সিলরাও বৃষ্টির পানি যাতে জমে থাকতে না পারে, সেজন্য মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
উল্লেখ, অনেক জায়গায় নর্দমাগুলোর ক্যাচপিটে (যেদিক দিয়ে পানি সড়ক হতে নর্দমায় প্রবেশ করে) পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যাদির জন্য পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হতে বাধা সৃষ্টি করছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের সুফল পেতে ঢাকাবাসীকে যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসসিসি।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জনঘনত্ব ও ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করলে সুফল পাওয়া যাবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চারটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বঙ্গবাজারে ‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতান’, পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট গেট পর্যন্ত আট লেনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি (ইনার সার্কুলার রিং রোড)’, ধানমন্ডি হ্রদে ‘নজরুল সরোবর’ এবং শাহবাগে ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান’ আধুনিকীকরণ শীর্ষক চার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ১০ তলা বঙ্গবাজার পাইকারি বিপণিবিতানের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণী
১) বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতান
১০ তলাবিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতানে পাঁচটি সাধারণ সিঁড়ি, ছয়টি জরুরি প্রস্থান সিঁড়িসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিপণি বিতানের প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা বাহির ও প্রবেশ দুয়ার থাকবে। ভবনে বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক কক্ষ এবং প্রতিটি ব্লকের প্রতি তলায় চারটি করে শৌচাগার থাকবে। এ ছাড়া ভবনের ভূমিতলে ১৬৯টি গাড়ি ও ১০৯টি মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৯৬১ জনের সবাইকে বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতানে পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়াও, পুড়ে যাওয়া মার্কেটে ব্যবসায়ীরা ১৭ থেকে ২২ বর্গফুট আয়তনের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। নতুন বিপণি বিতানে প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০ থেকে ১২০ বর্গফুট। ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
২) বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণি
পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে রায়েরবাজার স্লুইসগেট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আট লেনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মণি সরণির নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
৯৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নর্দমা (ড্রেন), ১০ কিলোমিটার পথচারী হাঁটার পথ (ফুটপাথ), তিনটি উড়াল সেতু (ভেহিকেল ওভারপাস), তিনটি পথচারী পারাপার সেতু (ওভারব্রিজ), দুই কিলোমিটার সংরক্ষণকারী দেয়াল (রিটেইনিং ওয়াল), তিনটি মসজিদ, ছয়টি যানবাহন বিরতির স্থান (বাস-বে) ও ছয়টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে।
এতে ঢাকা শহরের ভেতরে বাস, ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমার পাশাপাশি বহুলাংশে যানজট নিরসন হবে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: 'সুন্দর জীবনের' জন্য উন্নত ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
৩) নজরুল সরোবর
নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি লেকের (ধানমন্ডি ১৩/এ ও ৮/এ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন) ৫০ দশমিক ৯৬৭ কাঠা এলাকা জুড়ে নজরুল সরোবর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ‘নজরুল সরোবর’ নামের উন্মুক্ত বিনোদন মঞ্চে একটি ঘাটলা, উন্মুক্ত মিলনায়তন, পথচারীদের হাঁটার পথ, গণপরিসর, রেস্তোরাঁ, বসার স্থান (বেঞ্চ), দৃষ্টিনন্দন বাতি, পর্যাপ্ত সবুজায়ন ও শব্দযন্ত্র (সাউন্ড সিস্টেম) স্থাপনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নজরুল ইসলামের স্মৃতিময় মুহূর্ত ও সাহিত্যকর্ম সম্বলিত ফলক স্থাপন করা হবে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
৪) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান আধুনিকীকরণ
শাহবাগে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যানের আধুনিকীকরণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (শাহবাগে জিয়া শিশু পার্কের নতুন নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান করা হয়েছে)। প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিশু উদ্যানের আধুনিকায়নের কাজ করা হবে।
১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই পার্কে আগে ১১টি রাইড ছিল। আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেখানে মেগা ডিস্ক, সুপার এয়ার রেস, ফ্লাইং ক্যারোস্যাল, গ্যালিয়ন, ১২ডি থিয়েটার, মাইন কোস্টার, ক্লাইম্বিং কার, সুপার হ্যাপি সুইং, ওয়াটার ম্যানিয়াসহ অত্যাধুনিক নতুন ১৫ ধরনের রাইডস বসানো হবে।
এ ছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের জন্য শৌচাগার, চত্বর (প্লাজা), রেস্তোরাঁ, বিশ্রামস্থল, প্রশস্ত হাঁটার পথ, বসার আসন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সংযোজন করা হয়েছে। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে প্রচেষ্টা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী