ডিএসসিসি
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যু হার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। কারণ সে সময় প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই রোগীদের পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলেও তাকে সেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায় না। এতে মৃত্যুর হার বেড়ে যায়।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিস মশা বেশি হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এতে বুঝা যায় যে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
মেয়র আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজারের মতো হলেও মৃতের সংখ্যা ছিল ২০০-এর নিচে। আর গতবছর ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু মৃত্যু ১ হাজার ৭০০-এর বেশি। পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন কাজ করছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের পরিধি অনেক বৃদ্ধি করেছি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় বৃদ্ধি করেছি। কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কিনা, কর্মপরিকল্পনা পরিপালন করছে কিনা সেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তদারকি করছি। আমাদের প্রয়াস বা কর্মপরিকল্পনা ঠিক আছে কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে একটি মৃত্যুও না ঘটে।’
আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমাতে আরও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি কঠোরতা দেখানো হবে বলে জানান মেয়র।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
পরে মেয়র তাপস ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২১টি মসজিদের ১৫০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব ও খাদেমের মাঝে ২৫ কেজি চাল, ৩ কেজি পোলাও চাল, ৩ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেজুরসহ ২৪ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়াও শ্যামপুর এলাকায় ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুদের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২ হাজার ৫০০ বাসিন্দার মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডালসহ ৮ ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ডিএসসিসি মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
সন্ধ্যা ৭টা থেকে নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করবে ডিএসসিসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচরি প্রচারসংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা থেকে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদে রদবদল
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করপোরেশনের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবে।
নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকেই আমরা নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানারসহ নির্বাচনি প্রচারকাজে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সারা রাত এ কাজ চলবে। আজকের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে আগামীকাল রাতেও এ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আওতাধীন ভোটকেন্দ্রে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত
তিনি আরও বলেন, এই অপসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী অবয়বে আমরা ঢাকা শহরকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সম্মানিত প্রার্থীদের আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে আহ্বান জানাই। এছাড়াও নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে নতুন করে কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর জন্য নগবাসীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
ডিএসসিসির আওতাধীন ভোটকেন্দ্রে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত সব নির্বাচনি কেন্দ্রে বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৪২টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
অঞ্চল-১ এ ৪৮টি, অঞ্চল-২ এ ২৫০টি, অঞ্চল-৩ এ ১০৮টি, অঞ্চল-৪ এ ৯৯, অঞ্চল-৫ এ ৯৭টি, অঞ্চল-৬ এ ১৯টি, অঞ্চল-৭ এ ১৬টি, অঞ্চল-৮ এ ২৫টি, অঞ্চল-৯ এ ২২টি এবং অঞ্চল-১০ এ ৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে আওতায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচনি কেন্দ্র রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে এডাল্টিসাইডিং করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্লিচিং পাউডারও ছিটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপণী বিতান এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনো বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারেরা নিয়ন্ত্রণ ওপরিচালনা করছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, প্রতিটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবে।’
মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি যথানিয়মে নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ এটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয় মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহির মাঝে আসবে।’
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদের নির্ধারণ করার পরেই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি।
আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদের অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটাও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন।
অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম কোনো হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে এরকম কোনো নজির নাই। আগে দেখা গেছে, যে (জামানতের) অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর হয়েছে। কিন্তু সে অর্থ ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।
শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরোনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটা হস্তান্তর করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘মেরাদিয়া কাঁচা বাজারও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি তার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো মার্কেটগুলোও দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে আমরা সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপণী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে গৃহীত ‘ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন’ শীর্ষক ৮ সারির (লেন) সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যানজট নিরসনে সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) ইনার সার্কুলার রিং রোডের উন্নয়নের প্রস্তাবনা রয়েছে।
সে প্রস্তাবনার আলোকেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ সারিতে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইসগেট থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিমি অংশে ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
যার মধ্যে মাঝের দুই-দুই সারি করে ৪ সারি এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই পাশে দুই-দুই সারি করে ৪ সারি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।
এর ফলে বর্তমানে বিদ্যমান ২০ ফুট প্রশস্ততার সড়কটি ১৪০ ফুটে উন্নীত হবে। এছাড়াও সড়কের প্রতি পাশে ৫ ফুট করে উভয় পাশে মোট ১০ ফুট প্রশস্ততার ১০ কিমি ফুটপাত ও ১০ কিমি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
সেজন্য ফুটপাতসহ অতিরিক্ত ১৩০ ফুট সড়ক উন্নয়নে বিদ্যমান গড় ৮ ফুট গভীরতার রাবিশ (আবর্জনা) অপসারণ করতে হবে, যা পরবর্তীতে বালু ভরাটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও এই সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সড়কের উভয় পাশে ৮ কি.মি. গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে এবং ৩টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) নির্মাণ করা হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ৫৬৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ৮টি টাওয়ার স্থানান্তর বাবদ ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সকল বৈদ্যুতিক খুঁটি ও টাওয়ার স্থানান্তরের জন্য ডিপিডিসিকে ১২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ কিমি গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে, ১০ কিমি. ফুটপাত, ১০ কিমি. আরসিসি ড্রেন নির্মাণের জন্য ৪০০ কোটি টাকা, ২২ জন পরামর্শকসহ ৩৩ জন জনবলের জন্য ৩০ মাসে ১৪ কোটি টাকা এবং ৯০০টি এলইডি বাতি স্থাপনে সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
প্রকল্পের উল্লিখিত অনুষঙ্গ বাদে ১৪০ ফুট প্রশস্ততার ৫ কিমি দৈর্ঘ্যের সড়কের নির্মাণে ব্যয় রাখা হয়েছে ৩৮৯ কোটি টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যানবাহনগুলো সার্ভিস রোড হতে এক্সপ্রেসওয়েতে এবং এক্সপ্রেসওয়ে হতে সার্ভিস রোডে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
তাছাড়া সড়কের এলাইনমেন্টে ৩টি ওভারপাস রাখা হয়েছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে পারাপার করতে পারবে।
ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর অভ্যন্তরে যানজট কমানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নষ্ট হওয়া কর্মঘণ্টা হ্রাস করা এবং ফলশ্রুতিতে জ্বালানি অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
কারণ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী ২১ জেলার যানবাহনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার যানবাহনও যাত্রাবাড়ী মোড় দিয়ে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করে।
ফলে যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে সাভার, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, গাজীপুরসহ উত্তর বঙ্গগামী যানবাহনগুলোর আর ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।
এছাড়াও বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সংলগ্ন হওয়ায় প্রস্তাবিত সড়কে প্রশস্ত হাঁটার পথ এবং বৃক্ষ রোপণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য যেমনি রক্ষা হবে এবং তেমনি নগরবাসী নদীর নান্দনিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত ১২ কিমি. অংশের বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা দুই ধাপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেলো। দ্বিতীয় ধাপে লোহার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত বাকি ৭ কিমি. রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোট ৯৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৬ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৯৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। বাকি অর্থ সরকার যোগান দেবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যারা তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তারাই আজ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না।
তাপস বলেন, আজ অনেকেই অনেক কথা বলেন। তাদের চোখে উন্নয়ন দেখা যায় না। যারা জীবনে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা কীভাবে উন্নয়ন দেখবে?
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। শেখ হাসিনা সে প্রত্যাশা পূরণ করছেন। যারা উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে, তারা তিন-চারবার ক্ষমতায় ছিল। তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না।
বিএনপি খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে ফেলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা এসেছিল। তখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেনি। তখন আর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেনি। এখনও বলে না। বেগম খালেদা জিয়াকে তারা ভুলে গেছে। মাইনাসই করে ফেলছে। তাদের আর বেগম খালেদা জিয়ার দরকার নেই। তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে।
তিনি বলেন, একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে।
তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাব না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকুল্যে আটটি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জোটেনি। সুতরাং এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।
ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে তাপস বলেন, এবার তারা যদি নির্বাচনে না আসে, এর মানে হলো, তারা বুঝে গেছে যে, নির্বাচনে এলে তারা শূন্য আসন পাবে। সেজন্য নির্বাচনে আসতে চায় না, যা তারা ২০১৪ সালে করেছিল।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছিল। সেজন্য ২০১৪ সালে লজ্জায় আর নির্বাচনে আসেনি। তারা জানত, নির্বাচনে এলে ভরাডুবি হবে। ভরাডুবি থেকে ইজ্জত বাঁচাতে নির্বাচনে না এসে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়েছিল। ভেবেছিল নির্বাচনকে প্রতিরোধ করবে, প্রতিহত করবে। সে শক্তি তাদের নেই। সেটি তারা করতে পারেনি।
উন্নয়ন উৎসবে মেয়র তাপস জানান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত তিন বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোড়ান খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা, এসটিএস নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
ডিএসসিসির ২টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ড দুটিতে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঘোষিত রেড জোন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলা ১১টায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে ৯০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ সিটির ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে।
বুধবার (৯ আগস্ট) কাঁচপুরে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা বুধবার কাঁচপুরে ঢাকা মহানগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছি। ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাপনাকে সুশৃঙ্খল করতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা একটা দীর্ঘ অপেক্ষা। ১৯৮৪ সালের পর কোনো আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়নি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এখানে সাড়ে ১২ একর জমি দিয়েছে। টার্মিনালটি সম্পন্ন হলে এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬টি জেলায় আন্তঃজেলা বাস চলাচল করবে।
ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে টার্মিনালটি নির্মাণ করছে এবং এটি পরিচালনার পুরো দায়িত্ব নেবে বলে জানান তাপস।
এ সময় তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ কাজে ব্যয় হবে ২৮ কোটি টাকা। আমরা আশাবাদী আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে।
মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বাসে প্রবেশ ও প্রস্থান এবং শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার পূরণে সব পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) নগর ভবন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত সুত্রাপুরস্থ পরিচ্ছন্নকর্মী নিবাসের 'আশালতা' বাসার বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
তাপস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশের সব মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণের জন্যই সংবিধান দিয়েছিলেন এবং দেশ গঠনে নিয়োজিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন কেউ আর গৃহহীন থাকবে না। বাংলাদেশের সব নাগরিকের ঘর থাকবে, বাসস্থান থাকবে।
মেয়র বলেন, আজকে আমরা ১৩৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর মাঝে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। বিগত তিন বছরে আজ অবধি আমরা ৫২৫ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর মাঝে বাসা বরাদ্দ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত অঙ্গীকার পূরণে ক্রমান্বয়ে আমরা সব পরিচ্ছন্নকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দিতে পারব।
পরিচ্ছন্নকর্মীসহ করপোরেশনে কর্মরত সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করে তাপস বলেন, আমাদের সব পরিচ্ছন্নকর্মী, গাড়িচালকসহ অন্যান্য কর্মীদের জন্য এমনকি আমাদের কর্মকর্তাদের জন্যও আমরা বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
আমরা আশা করি, সবার জন্য আরও বাসস্থান নির্মাণ করে সবাইকে যেন বাসা বরাদ্দ দিতে পারি সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আরও প্রকল্প দেবেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত, বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে: মেয়র তাপস
এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত আট ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৩ স্থাপনাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) করপোরেশনের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, সবুজবাগ, নবীপুর লেন, মালিটোলা, পূর্ব জুরাইন, উত্তর মান্ডা ও কোনাপাড়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মনজুরুল হক ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায় ৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান হাজারীবাগের নবীপুর লেনে ৬৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিটোলা এলাকায় ৪২টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৮৪ বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র