নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর
নৌ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত: ইরফান সেলিমকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চ চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ এ মামলায় ইরফান সেলিমকে জামিন দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দ আহমেদ রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট ইরফান সেলিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সাথে তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
ইরফান সেলিমের ২ মামলায় জামিন
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সাথে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালগালও করেন তারা।
এরপর ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে দেন ছয় মাসের সাজা।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
৩ বছর আগে